আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি: প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

রাজশাহী জেলা বিএনপি আহবায়ক কর্তৃক প্রকাশ্যে জনসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

সোমবার উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি হাজী তোফাজ্জল হোসেন এর নেতৃত্বে ও সাঃ সম্পাদক মোঃ মসিউর রহমান মামুন এর পরিচালনায় উপজেলা শহরের ঝুমুর সিনেমা হলের সামনে থকে প্রতিবাদ মিছিলটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শ্রীনগর চকবাজার এসে শেষ হয়।

এসময় প্রতিবাদ সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের লীগের সভাপতি ও সাঃ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যেকে হত্যার হুমকি প্রদানকারী বিএনপি নেতাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।

এসময় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন, উপজেলা আঃলীগের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান জিঠু, যুবলীগের সভাপতি ফিরোজ আল মামুন, সাঃ সম্পাদক হাজী নেছার উল্লাহ সুজন, যুগ্ম সাঃ সম্পাদক আলাউদ্দিন সিকদার সুমন, নেতা নাজমুল তালুকদার, জুয়েল লস্কর, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল হক নিশাত সিকদার, সাঃ সম্পাদক হামিদুল্লাহ খান মুন, যুগ্ম সাঃ সম্পাদক অনিক ইসলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন খান, সাবেক সাঃ সম্পাদক ফাহিম ইসলাম প্রিন্স, শ্রমিকলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাঃ সম্পাদক সোহেল সাহরিয়াসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অঙ্গসংগঠনের ৩শতাধিক নেতাকর্মী।


আরও খবর



ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি আব্দুল হাই মারা গেছেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই মারা গেছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) থাইল্যান্ডের বামরুনদগ্রাদ হাসপাতালে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। মৃত্যুর বিষয়টি থাইল্যান্ডে অবস্থান করা তার ব্যক্তিগত সহকারী শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

আব্দুল হাই এর আগে নিউমোনিয়া ও লিভারের সমস্যায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও ২ ছেলে রেখে গেছেন।

আব্দুল হাইয়ের জন্ম ১৯৫২ সালের পহেলা মে শৈলকুপা উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামে। ফয়জুদ্দিন মোল্লা ও ছকিরন নেছা দম্পতির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি। তার শিক্ষাজীবন শুরু পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পাস করার পর ভর্তি হন বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পাস করার পর ভর্তি হন ঝিনাইদহ কেশবচন্দ্র কলেজে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে  বিএ পাস করেন। বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।

আব্দুল হাই সম্পর্কে জানা যায়, তিনি ১৯৬৮ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে সরকারি কেসি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। দেশ স্বাধীনের পর ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক ও ১৯৭৩ সালে যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আশির দশকে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৮৭ সালে তিনি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সারাদেশে মাত্র ৫৮টি আসনে বিজয় লাভ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসন ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের শৈলকুপার আসন। বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে এই আসনটিকে আওয়ামী লীগের দূর্গ বলা হয়।

এছাড়া তিনি ২০০১ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন ও ২০০৫ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের কাউন্সিলে দ্বিতীয়বারের মতো ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ পরপর চারবারে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং ২০২২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তৃতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন আব্দুল হাই (এমপি)। এ নিয়ে তিনি পঞ্চমবারের মতো ওই আসন থেকে এমপি হিসেবে জয়লাভ করেন। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই এমপি ৯৫ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগসহ জেলার নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। তার জানাজা ও দাফনের বিষয়টি পরিবার থেকে এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি।

নিউজ ট্যাগ: ঝিনাইদহ

আরও খবর



মস্কোয় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত বেড়ে ১১৫, আটক ১১

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কনসার্ট হলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রুশ তদন্ত কমিটি।

হামলার স্থানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকারী বাহিনী। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

এই হামলায় ইউক্রেন যুক্ত বলে দাবি করেছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী এফবিএস। তাদের ধারণা, ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়েই রাশিয়ায় ঢুকেছে হামলাকারীরা। তবে এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।

এর আগে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে একটি শপিংমলে ঢুকে এলোপাতাড়ি হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী। অনেকে আহত হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে রুশ তদন্ত কমিটি।

রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, পাঁচজন বন্দুকধারী এই হামলা চালায়। প্রথমে গুলিবর্ষণের পর সেখানে গ্রেনেড বা বোমা নিক্ষেপ করা হয়। তাতে হলটিতে আগুন ধরে যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রোকাস সিটির শপিংমলের কনসার্ট হল, রেস্টুরেন্ট, একুরিয়াম এবং বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় একযোগে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে একদল অস্ত্রধারী। পরে শপিংমলের বিভিন্ন জায়গায় বহু মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।


আরও খবর



বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা অনেক বছর পর বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পর ইতিহাসকে তার ঠিক যায়গায় নিয়ে যাওয়ার একটি সুযোগ পেয়েছি। এখন তার কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে।

রোববার দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা হত্যাকাণ্ডে যেটা ভুলে যাই, সেটা হচ্ছে তারা মনে করে একজন মানুষকে হত্যা করলেই তার আদর্শকে হত্যা করা যাবে। কিন্তু মানুষকে হত্যা করা যায়, কিন্তু তার স্বপ্ন ও আদর্শকে হত্যা করা যায় না। যে কারণে আজও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। আমরা আজ তার কন্যার নেতৃত্বে তার আদর্শ বুকে ধারণ করে এবং স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করে চলছি।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরন দাস, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহাদাত হোসেন শান্ত, ছড়াকার ডা. পীযুষ কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ।


আরও খবর



ড. ইউনূসকে ৫ বছরের ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা কর পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১১ সাল থেকে পরবর্তী ৫ পাঁচ বছরের জন্য তাকে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন।

কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে এর আগে গত বছরের জুনে ইউনূস সেন্টার একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে কর বকেয়ার বিষয়ে স্পষ্ট করে নিজের অবস্থান পরিস্কার করা হয়।

ইউনূস সেন্টার বলছে, প্রফেসর ইউনূসের যে টাকা নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে আলাপ চলছে, তার পুরোটাই প্রফেসর ইউনূসের অর্জিত টাকা। তার উপার্জনের সূত্র প্রধানত তার বক্তৃতার ওপর প্রাপ্ত ফি, বই বিক্রি লব্ধ টাকা এবং পুরস্কারের টাকা। এর প্রায় পুরো টাকাটাই বিদেশে অর্জিত টাকা। এই টাকা বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনা হয়েছে। কর বিভাগ তা অবহিত আছে। কারণ সব টাকার হিসাব তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ থাকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিনি জীবনে কোনো সম্পদের মালিক হতে চাননি। তিনি মালিকানামুক্ত থাকতে চান। কোথাও তার মালিকানায় কোনো সম্পদ নেই (বাড়ি, গাড়ি, জমি বা শেয়ার ইত্যাদি)। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার উপার্জনের টাকা দিয়ে ২টি ট্রাস্ট গঠন করবেন। তিনি তাই করেছেন।

একটি ট্রাস্ট করলেন প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট এবং অল্প কিছু টাকা দিয়ে (মোট টাকার ৬ শতাংশ) উত্তরসূরীদের কল্যাণের জন্য করলেন ইউনূস ফ্যামিলি ট্রাস্ট। ফ্যামিলি ট্রাস্টের মূল দলিলে এই রূপ বিধান রেখে দিলেন যে তার পরবর্তী এক প্রজন্ম পরে এই ট্রাস্টের অবশিষ্ট টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল ট্রাস্টে ফিরে যাবে। তিনি এটা করলেন যাতে তার বর্তমানে ও অবর্তমানে টাকাটা ট্রাস্টিদের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে থাকে এবং তারা ট্রাস্ট ২টির লক্ষ্য বাস্তবায়নে তৎপর থাকে।

দানকর দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, ড. ইউনূসের নিজের টাকা নিজের কাছে রেখে দিলে তাকে কম ট্যাক্স দিতে হতো। কারণ ব্যক্তিগত করের হার প্রতিষ্ঠানিক করের হারের চেয়ে কম। দানকরের প্রসঙ্গটি তুলেছেন তার আইনজীবী। আইনপরামর্শক বলেন, ট্রাস্ট গঠনের কারণে তাকে দানকর দিতে হবে না। কারণ বড় ট্রাস্টটি জনকল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত। ফ্যামিলি ট্রাস্টের ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দিলেন যে, এরকম ক্ষেত্রে (অর্থাৎ প্রফেসর ইউনূসের অবর্তমানে তার সম্পদের কী হবে, সে চিন্তায় যদি তিনি কোনো ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে) তাকে কোনো কর দিতে হবে না। কারণ এটা হবে তার অর্জিত টাকার একটি সুব্যবস্থা করে যাওয়া।

আইনজীবীর পরামর্শের ভিত্তিতে টাকা স্থানান্তর করার সময় প্রফেসর ইউনূস কোনো কর দেননি। কিন্তু তিনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করার পর কর বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানালেন যে, এক্ষেত্রে তাকে কর দিতে হবে। রিটার্নের যেখানে তিনি দানের তথ্যটি উল্লেখ করেছিলেন, সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তা তার ওপর দানকর ধার্য করে দিলেন। তিনি টাকার অঙ্কটা রিটার্নসে উল্লেখ করায় কর কর্মকর্তা তা দেখে কর আরোপ করেছেন। আইন পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রফেসর ইউনূস এ ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত চাইলেন। আদালত কর দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।

এখানে তার কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। কর দিতে হবে কি না, এ ব্যাপারে তার পক্ষ থেকেই আদালতের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়েছিল। আদালতে সরকার যায়নি, প্রফেসর ইউনূস গিয়েছেন। কর বিভাগ কোনো পর্যায়ে বলেনি যে প্রফেসর ইউনূস কর ফাঁকি দিয়েছেন। এখানে কর ফাঁকি দেওয়ার কোনো প্রশ্ন উঠেনি। প্রশ্ন ছিল আইনের প্রয়োগযোগ্যতা নিয়ে। এখন প্রফেসর ইউনূস বিবেচনা করবেন তিনি কর পরিশোধ করবেন নাকি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত চাইবেন। করের আইন যদি এক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য না হয়, প্রফেসর ইউনূস তাহলে সে টাকাটা জনহিতকর কাজে ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এই হলো কর নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার পেছনে তার উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে প্রফেসর ইউনূস ট্রাস্টের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশ ভ্রমণে ব্যয় করেন। বিষয়টি মোটেই সত্য নয়। তার বিদেশ ভ্রমণের সব ব্যয় আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। শুধু তাই নয়, প্রতি ভ্রমণে একজন অতিরিক্ত ব্যক্তিকে সফরসঙ্গী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ব্যয়ও আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বহন করে। প্রফেসর ইউনূসের বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যয় তার কোনো ট্রাস্টকে বা তাকে বহন করতে হয় না। কখনো কখনো তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাইভেট উড়োজাহাজ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে টাকা খরচের চিন্তা তাকে কখনো করতে হয় না।


আরও খবর



ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে আগামী সপ্তাহে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসবে আগামী সপ্তাহে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সাপ্লাই চেইন মজবুত ও শক্তিশালী করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সাপ্লাই চেইনের কোথাও যেন কোনো ঘাটতি না থাকে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাজার পরিচালনা কমিটির সহোযোগিতা না থাকলে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। শিগগিরই বাজারের সকল ব্যবসায়ীকে নিয়ে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হবে।

এসময় তিনি জানান, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে ছোলা ও চিনির সরবরাহ আছে। কৃষিপণ্য বাজারে আসার আগে হাতবদলসহ সর্বক্ষেত্রে তদারকি বাড়িয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় শুধুমাত্র রমজান মাসে নয়, সারা বছরই অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪