আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আমাদের দেশকে একসময় ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো, সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এখন বলা হয় উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় মেডিকেল, হেলথ ট্যুরিজম এবং খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এগিয়ে আসার কারণে দেশের এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। নীতি নির্ধারণসহ বেসরকারি খাতকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলেই এ উন্নয়ন হয়েছে। এভাবে সরকারি-বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। তাই কাওকে পিছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনসাধারণের উন্নয়নের জন্যই শুধু নয় বরং সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে কাজ করছেন। তার দায়বদ্ধতা, আন্তরিকতা ও নীতি নির্ধারণ বিশ্বনেতাদের প্রশংসা অর্জন করেছেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও আইএমএফ প্রধানও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অসাধারণ নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ভিশন ও মিশন থাকতে হয় সেটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী করে দেখিয়েছেন। তাই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ শেখ হাসিনার শাসনামল বাংলাদেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়। বর্তমানে এখন বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা শঙ্কা করেছিল করোনায় বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় নীতি এবং সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে মহামারি সত্ত্বেও দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়নি। বরং কোনও কোনও ক্ষেত্রে খাদ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার আমরা করছি। ফলে খাদ্য জাতীয় পণ্য তথা ধান, গম, ভুট্টা, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম এমন উৎপাদন হয়েছে এবং এর গুণগতমান এত ভালো যে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে এখন অনেক কিছু আমদানি করছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত মাছ এখন বিশ্বের ৫২টি দেশে রপ্তানি হয়। পৃথিবীর অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে মাংস আমদানি করতে চাইছে। দেশে উৎপাদিত নানাধরণের খাদ্য সামগ্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধ পৃথিবীর বহু দেশে রপ্তানি হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ওষুধ শিল্পে যান্ত্রিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য সেবা ও অন্যান্য গবেষণায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিশ্বের বিস্ময়।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বর্তমানে দেশে শিশু মৃত্যু-মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে, গড় আয়ু বেড়েছে। এর অন্যতম কারণ সরকার দেশে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের জোগান দিতে পারছে, উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে ও মানুষের প্রশান্তির জন্য অন্যান্য যেসব সহযোগিতা দরকার তা দিতে পারছে। প্রান্তিক পর্যায়ে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এক সময় বিপন্ন ছিল। এখন প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।


দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, ঢাকা-কক্সবাজার অত্যাধুনিক রেল সংযোগ, রাস্তার ব্যবস্থা... কী না হচ্ছে বাংলাদেশে। দেশে কোনও মানুষ খাদ্যের অভাবে থাকে না ও চিকিৎসার অভাবে কোনও মানুষ মারা যায় না। দেশের প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে। মানুষকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এর সবই সম্ভব হয়েছে দেশের মানুষের সদিচ্ছা, রাষ্ট্রীয় উপযুক্ত পলিসি ও সরকার প্রধানের নিরলস প্রচেষ্টায়। রাষ্ট্র নাগরিকের কল্যাণে ও মানুষের কল্যাণে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিতে চায়।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



স্বস্তি নেই নিত্যপণ্যে, কমেছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে সব ধরনের সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির কারণে দেশের বাজারে দাম কমেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও মাছ ও মুরগির বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজ দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবারও দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমায় খুচরা বাজারে দাম কমেছে বলে জানালেন শেওড়াপাড়ার খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা ব্যবসায়ী আব্দুল রহমান। তিনি বলেন, দুইদিন আগেও আমরা পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আজ দাম কমায় ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়,  শশা ৭০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০  থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা এবং সজনে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পিস, ব্রুকলি ৩০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং গাজর ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ টাকা, মূলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমি  শাক ১০টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে ব্রয়লার ব্রয়লার মুরগি থেকে ২০০ থেকে ২০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

শুক্রবার বাজারগুলোতে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায়, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়,  তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রুপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৬০০ থেকে ১০০০টাকা, বেলে মাছ ৭০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


আরও খবর



কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়: বেনজীর আহমেদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বহুল পঠিত একটি জাতীয় দৈনিকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ নিয়ে যে তথ্য প্রকাশ হয়েছে সে ব্যাপারে সবাইকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। সম্প্রতি ওই প্রতিবেদন প্রকাশ হলে মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) এ নিয়ে ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজ থেকে পোস্ট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান বেনজীর।

তিনি লিখেছেন, দু একজন অনেক ক্ষিপ্ত, খুবই উত্তেজিত হয়ে এক্ষুণি সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, প্রবন্ধ লিখে ফেলছেন। দয়া করে সামান্য ধৈর্য্য ধরুন। ঘোষণাই তো আছে কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়’।”


আরও খবর



আগারগাঁওয়ে মেট্রোরেলের পিলারে বাসের ধাক্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে সড়ক বিভাজনে উঠে মেট্রোরেলের পিলারে সজোরে ধাক্কা মেরেছে নিউমার্কেট-আজিমপুরগামী সেফটি এন্টারপ্রাইজের একটি সিটি বাস। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

যাত্রীদের অভিযোগ, অতিরিক্ত গতির কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়ক বিভাজনের ওপর উঠে যায়।

কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রশিদ জানান, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। বাসটির চালক এবং হেলপার পলাতক। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরে গাড়ির কাগজপত্রসহ চালক এবং হেলপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। এতে ঘটছে একের পর এক রেকর্ড। সর্বশেষ কার্যদিবস শুক্রবারও সোনার দামে বড় উত্থান হয়েছে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে দামি এই ধাতু। প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ২৩০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

শুধু শুক্রবার নয়, মার্চজুড়েই বিশ্ববাজারে সোনার দাম এমন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার বা দুই দশমিক ২৬ শতাংশ। মার্চ মাসে বেড়েছে ১৮৯ দশমিক ২০ ডলার বা নয় দশমিক ২৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে সোনার দামে বড় উত্থান হলেও এখনো দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় বাজারে সোনার চাহিদা বাড়লে ও তেজাবী সোনার দাম বাড়লে নতুন করে আবার দাম বাড়ানো হতে পারে।

এ বিষয়ে বাজুসের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, সোনার অস্বাভাবিক দাম হওয়ার কারণে দেশের বাজারে বিক্রি অনেক কমে গেছে। তবে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় বাজারে চাহিদা বাড়লে নতুন করে সোনার দাম বাড়ানো হতে পারে। এ জন্য আগামী কয়েকদিন স্থানীয় বাজারের চিত্র পর্যবেক্ষণ করবে বাজুস।

নতুন করে দাম বাড়ানো হলে বাংলাদেশের বাজারেও সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। অবশ্য বর্তমানে রেকর্ড দামেই বিক্রি হচ্ছে দামি এই ধাতু। দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ, যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ আট হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দুই হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর পাঁচ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম তিন হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে রোববার (৩১ মার্চ) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা গুনতে হচ্ছে।

দেশের বাজারে সর্বশেষ যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পর এরই মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৮০ ডলারের মতো বেড়ে গেছে।

বিশ্ববাজারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ১৮০ দশমিক ৯২ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে এখন প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৩২ দশমিক ৩৮ ডলার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার বা দুই দশমিক ২৬ শতাংশ।

আর মার্চ মাসেরে শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল দুই হাজার ৪৩ দশমিক ৬৩ ডলার। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ১৮৯ দশমিক ২০ ডলার বা নয় দশমিক ২৬ শতাংশ।

এদিকে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংর চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের যে রেকর্ডটা আমরা দেখেছি প্রতি আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ৩০০ ডলার এই বছর হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, বিশ্বাবাজারে সোনার দাম বাড়ছে, আমাদেরকেও তার সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে হবে। আমরা বেশি দামে কিনলে, বেশি দামে বিক্রি করবো। এর বিকল্প নেই। দাম বেশি হওয়ার কারণে এখন আমাদের সেল কম হচ্ছে। দামটা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দামটা কমলে হয় তো তখন মানুষ আবার কেনাকাটা শুরু করবে।


আরও খবর



বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি-সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই সই হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা। এর বাইরে শ্রমশক্তি, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসড়ক পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে সড়কটির নামকরণ করা হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওকাতারের আমির শেখ তামিম। একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেন শেখ হাসিনা ও আমির শেখ তামিম। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তারা।

সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান শেখ হাসিনা।

দুপুরে বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে করে আমির কাতারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দি‌কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


আরও খবর