আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত পায়রা

প্রকাশিত:সোমবার ২১ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনা মহামারির মধ্যে টুঙ্গিপাড়ার বাইরে এই প্রথম দেশের অন্যত্র সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পূরণে আসছেন পটুয়াখালির কলাপাড়ায়। ধানখালীর পায়রাতে সর্বাধুনিক আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন তিনি। পাশাপাশি এরই মধ্যদিয়ে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণাও দেবেন শেখ হাসিনা।

সোমবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে পায়রায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন এবং এর নাম ফলক উন্মোচন করবেন। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে এক হাজার ৩২০টি পায়রা ওড়ানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে পায়রায় সাজ সাজ রব। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে ২০০ নৌকা। কোল জেটিতে রঙিন পাল তোলা এসব নৌকা থেকে পতাকা নাড়িয়ে এবং সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানানো হবে।

পায়রায় কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর মধ্যদিয়ে ২০২০ সালেই বাংলাদেশ আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল ক্লাবে প্রবেশ করে। আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৩তম দেশ; এশিয়ায় সপ্তম এবং দক্ষিণ এশিয়াতে বাংলাদেশ ছাড়া শুধু ভারতে এ ধরনের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।

এশিয়ার চীন, তাইওয়ান, জাপান ও মালয়েশিয়াতে আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কেন্দ্রগুলোতে চীন ও বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো ঢাকনাযুক্ত কোল ইয়ার্ড (ডোম) ব্যবহার করে না। ডোম ব্যবহারের ফলে বাতাসের মাধ্যমে খোলা কয়লা থেকে কয়লার গুঁড়া ছড়ানোর সুযোগ কমে যায়। এটি বিশ্বের মধ্যে শুধুমাত্র চীন ও বাংলাদেশ ব্যবহার করছে।

বাংলাদেশের নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সমান অংশীদারে গঠিত বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল) বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা।

৬৬০ মেগাওয়াট করে দুই ইউনিট মিলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি উৎপাদনে আসে ২০২০ সালের মে মাসের ১৫ তারিখে। সমান ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসে একই বছরের ৮ ডিসেম্বর। তবে সঞ্চালন অবকাঠামো নির্মাণ শেষ না হওয়ায় কেন্দ্রটি হতে ক্ষমতার চেয়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও চায়না পাওয়ার কোম্পানির (বিসিপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম সাংবাদিকদের জানান, দুটি লাইনে বিদ্যুৎ সঞ্চালন হবে। একটি পায়রা-গোপালগঞ্জ-আমিনবাজার, আরেকটি পায়রা-খুলনা-যশোর। এরই মধ্যে গোপালগঞ্জ-রামপাল গ্রিড লাইন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পায়রা-গোপালগঞ্জ-আমিনবাজার লাইনটির পদ্মা রিভার ক্রসিং কাজ এখনো শেষ হয়নি। চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ এই কাজ শেষ হবে। এর পরই রাজধানীতে সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। এছাড়াও রামপালে নির্মিত সাবস্টেশনের মাধ্যমে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খুলনা অঞ্চলে সরবরাহ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের দু-তিনদিন পর থেকে ওই লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতিদিন ১৩ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা কয়লা দিয়ে এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। বর্তমানে এ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ৭০০ থেকে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী ছিল ৪৭ শতাংশ। গত ১৩ বছরে ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। ২০০৯ সালে গ্রাহক সংখ্যা ছিল এক কোটি আট লাখ। গত ১৩ বছরে তিন কোটি ১৩ লাখ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা চার কোটি ২১ লাখ। ২০০৯ সালে দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, বর্তমানে এ ক্ষমতা ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্যসহ)।

যতটা সব এলাকায় সঞ্চালন লাইন স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে সরকার। একেবারে দুর্গম এলাকাগুলোতে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

রোববার (২০ মার্চ) বিকেলে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সাংবাদিকদের বলেন, সময়ের আগে কাজ শেষ হয়ে গেছে। করোনা বাস্তবতার কারণে প্রধানমন্ত্রী এখন উদ্বোধন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করবেন। প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষে সবাইকে বিদ্যুৎ দিতে চেয়েছিলেন, দিয়ে ফেলেছি। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণসহ এ অঞ্চলের উন্নয়নে নেওয়া সরকারের অন্যান্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে এখানকার অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে এবং কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।

রোববার পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উদ্বোধনের পরই প্রধানমন্ত্রী দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন। পরিবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে কয়লা লোড-আনলোড থেকে থেকে শুরু করে সব কিছুতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির ব্যবহারসহ সব ক্ষেত্রে পরিবেশের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এদিকে পটুয়াখালীতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মধ্যে বইছে খুশির জোয়ার। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকাসহ জেলার রাস্তাঘাট, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সরকারের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন মেগা প্রকল্প এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে বাহারি রঙ, আলোকসজ্জা ও ব্যানার-ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর পটুয়াখালী সফর উপলক্ষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজল হোসেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসানসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা রোববার পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আবারও প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ যে কথা দেয়, তা রাখে। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও নতুন নতুন সঞ্চালন লাইন স্থাপন এবং একেবারে দুর্গম এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে সরকার দেশের সব মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় এনেছে। আগামীকাল (সোমবার) প্রধানমন্ত্রী শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করবেন।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।


আরও খবর



সৌদি সুন্দরী রুমি আল-কাহতানির পাঁচ অজানা তথ্য

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রথমবারের মতো বিশ্বসুন্দরী (মিস ইউনিভার্স) প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের হয়ে অংশ নিতে যাচ্ছেন সৌদি মডেল রুমি আলকাহতানি। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মেক্সিকোতে প্রতিযোগিতার এ আসর অনুষ্ঠিত হবে। ইনস্টাগ্রামে আল-কাহতানি লিখেছেন, মিস ইউনিভার্স ২০২৪-এ অংশ নিতে পেরে আমি সম্মানিত। এটি সৌদি আরবের প্রথম অংশগ্রহণ।

নাম সামনে আসার পর ইতঅমধ্যে রুমির ইনস্টাগ্রামে উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। কে এই সুন্দরী, কী তার পরিচয় তা জানতেই চলছে স্ক্রলিং। রুমি আলকাহতানির ইনস্টাগ্রাম থেকে পাওয়া গেছে পাঁচটি তথ্য।

একাধিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিজয়ী : রুমি আল-কাহতানি জন্মগ্রহণ করেছেন সৌদির রাজধানী রিয়াদে। নিজ ইনস্টাগ্রামে তার চোখ ধাঁধানো সব ছবি দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের একাধিক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মুকুট জিতেছেন রুমি। মিস আরব ওয়ার্ল্ড পিস, মিস ওমান, মিস মিডল ইস্টসহ আরও বেশ কিছু ইভেন্টে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় তার অভিজাত লুক মুগ্ধ করেছে সবাইকে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় : ইনস্টাগ্রামে রুমির রয়েছে লাখ লাখ অনুসারী। আর এক্সে (পূর্বের টুইটারে) রয়েছে দুই হাজারের বেশি অনুসারী। স্ন্যাপচ্যাটেও বেশ সক্রিয় থাকতে দেখা যায় এই সৌদি সুন্দরীকে।

ভালোবাসেন ঘুরে বেড়াতে : আরব আমিরাত, মিশর, ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করে সুন্দরী প্রতিযোগিতার মুকুট জয় করছেন তিনি। জানা গেছে, ভ্রমণ প্রীতি রয়েছে রুমি আল-কাহতানির। সম্প্রতি তার পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা গেছে, দুবাইয়ের একটি রুপটপ পুলে অবকাশ যাপন করছেন এই সুন্দরী।

ডিজাইনার জুয়েলারি সংগ্রহ করতে ভালোবাসেন : রুমি ইনস্টাগ্রামে শুধুমাত্র প্রতিযোগিতার ছবিই আপলোড করেন না। একটু ঘাঁটতেই দেখা যায়, সৌদি এই সুন্দরী নিখুঁত ও ডিজাইনার গয়না পরতে বেশ ভালোবাসেন। কার্তিয়ারের ব্রেসলেট থেকে শুরু করে বুলগেরির গয়না, সবই খুঁজে খুঁজে নিজের গয়নার বাক্সে রাখেন তিনি।

দিন শেষে পরিবারই তার সব : পারিবারিক বন্ধন যে রুমির কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সেটাও বুঝা যায় তার নিউজফিড দেখে। দুই বোন রাজান ও জেদাইয়ের সঙ্গে প্রায়ই ছবি পোস্ট করেন তিনি।


আরও খবর



সারাহ ইসলামের কিডনি নেওয়া সেই শামীমাও মারা গেলেন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত বছরের জানুয়ারি মাসে সারাহ ইসলামের মরণোত্তর অঙ্গদানের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট (ব্রেন ডেথ রোগীর অঙ্গ প্রতিস্থাপন) করা হয়। এই কার্যক্রমটি সফল প্রতিস্থাপন দাবি করা হলেও কিডনি নেওয়া দুজনেই কেউই আর বেঁচে রইলো না।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন কিডনি নেওয়া দ্বিতীয় রোগী শামীমা আক্তার (৩৪)। ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমজন ফুসফুসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এবার দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।

শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিল শামীমা। সম্প্রতি শামীমার ভাই জানায়, ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গেছে শামীমা। পরে তিন সপ্তাহ আবারও বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও কেন শুকিয়ে যাচ্ছিল সেটি ধরতে পারছিলেন না চিকিৎসকেরা। চার দিন আগে আইসিইউতে নেওয়া হয় তাকে।

মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে এই সার্জন বলেন, তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল। সে অনুযায়ী ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম আমরা। কিন্তু উন্নতি হয়নি। বাইরের হাসপাতালেও একদিন নেওয়া হয়েছিল, অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আবারও আমাদের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই আজ রাত ৯টার দিকে মারা যান তিনি।

কিডনি প্রতিস্থাপনের সময় নেতৃত্ব দেওয়া এই চিকিৎসক আরও বলেন, হেপাটাইটিস সি পজিটিভ হলে ব্লাড কাজ করে না। এজন্য বিশেষ করে রক্ত লাগে, সেটিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর রেসপন্স করেনি। বাড়িতে থাকার সময়ে অবস্থা খারাপ হলেও সময় মতো আমাদের জানানো হয়নি। অনেকটা অবহেলা ছিল। খারাপ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তাহলে হয়তো এই অবস্থা দেখতে হতো না।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে মারা যান সারাহ ইসলামের আরেক কিডনিগ্রহীতা হাসিনা আক্তার। কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিশিষ্ট কিডনি রোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হারুন আর রশিদ সে সময় জানিয়েছিলেন, হাসিনা আক্তারের শরীরে যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তা ছিল দুর্বল। তাতে দুটি টিউমার ছিল। প্রতিস্থাপনের আগে টিউমার দুটি ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবুও প্রতিস্থাপনের পর থেকে হাসিনা বারবার সংক্রমণে ভুগছিলেন। পরে কিডনি ফাউন্ডেশনে মারা যান তিনি।


আরও খবর
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪




গরম বেড়ে শুরু হতে পারে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা অনেকটাই কমে গেছে। বুধবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা বেড়ে মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আজও দেশের ৫ বিভাগের দুএক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সিলেটে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাঙ্গামাটিতে। বুধবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশ কিছুটা মেঘলা। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ছে ভ্যাপসা গরম।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পরবর্তী পাঁচদিনে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।


আরও খবর



গোপনে বিয়ে সারলেন তাপসী পান্নু

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দিন আগেই রটেছিল চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। সপ্তাহ না পেরোতেই গুঞ্জন- চুপিসারে দীর্ঘদিনের প্রেমিক ম্যাথিয়াস বোয়েকে বিয়ে করেছেন তিনি! তাদের বিয়ের আসর রাজস্থানের উদয়পুরে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গেল শনিবার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে তাপসীর। এর আগে বুধবার থেকেই শুরু হয় প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান। বিয়েতে এই যুগলের পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। শিখ পরিবারের মেয়ে তাপসী। অন্যদিকে তার স্বামী ক্যাথলিক। তাই শিখ ও খ্রিস্টান দুই রীতিতেই হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান।

তবে সাত পাক বাঁধা পরার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও বিয়ের খবরে মুখ খুলেননি তাপসী। সামনে আসেনি নবদম্পতির বিয়ের ছবিও!

প্রসঙ্গত, ম্যাথিয়াস বোয়ে ডেনমার্কের বাসিন্দা। ডেনমার্কের হয়ে অজস্র নজির গড়েছেন তিনি। ২০১২ সালের অলিম্পিকে মেনস সিঙ্গলসে রূপা জিতেছিলেন তাপসীর স্বামী। থমাস কাপ বিজয়ী ডেনমার্ক দলের সদস্যও তিনি। তবে ২০২০ সালে পেশাদার ব্যাডমিন্টনকে বিদায় জানান ম্যাথিয়াস। পরে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দলের ডবলস কোচ হিসেবে যোগ দেন।

নিউজ ট্যাগ: তাপসী পান্নু

আরও খবর



সুন্দর বাচ্চার মা হতে চান নোরা ফাতেহি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ক্যারিয়ারের লম্বা সময়ে একাধিক মানুষের সঙ্গে নাম জড়ালেও কোনো সিরিয়াস সম্পর্কে দেখা যায়নি বলিউডের বেলি ডান্স কুইন হিসেবে বর্তমানে পরিচিত নোরা ফাতেহিকে।

২০১৪ সালে রোর: টাইগার্স অফ দ্য সুন্দরবনস দিয়ে তার অভিনয়ে ডেবিউ। এরপর বেশিরভাগ ছবিতেই কাজ করেন আইটেম ডান্সার হিসেবে। মাঝে ভূজ: দ্য় প্রাইড অফ ইন্ডিয়া, স্ট্রিট ডান্সারে তাকে অভিনেয় করতে দেখা গিয়েছিল। এছাড়াও নোরাকে দেখা যায় একাধিক রিয়েলিটি শোতে বিচারকের আসনে।

অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হিসেবে সফল হলেও, বিয়ে করতে চান তিনি। কানেক্ট এফএম কানাডার সঙ্গে একটি সাক্ষাতকারের সময় নোরা তার সঙ্গী পছন্দের সময় কোন জিনিসে গুরুত্ব দেন, তা বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন।

অভিনেত্রী বলেন, আমি এমন একজন মানুষকে খুঁজছি যে ঈশ্বরকে ভয় করে এবং যার লালন-পালন খুব ভালো হয়েছে। এর পরে অর্থ এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা আসে

নোরা নিজের কথায় আরও যোগ করেন, আমার এমন একজন দরকার যে ভিতর থেকে সত্যিই ভালো, কারণ বর্তমানে চারপাশে খারাপ লোকের সংখ্যাই বেশি। যারা সুবিধাবাদী এবং আপনাকে ব্যবহার করে। মিথ্যাবাদীও আছে। কিছু লোক বছরের পর বছর আপনার সঙ্গে থাকবে এবং কিন্তু আপনাকে চাইবে না। তারা আপনার টাকা, আপনার জনপ্রিয়তা বা আপনার নেটওয়ার্ক চাইবে। চারপাশে সত্যিই অদ্ভুত মানুষ আছে। ভালো মনের কাউকে পেলে আমি খুশি হব।

নোরা জানান, পাঁচ বছর আগে থেকে তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল উচ্চতা এবং চেহারার মতো শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ওপর নজর দিয়ে নিজের জন্য জীবনসঙ্গী খোঁজা। গত কয়েক বছরের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তার ভাবনাচিন্তা বদলেছে। তাকে তার অগ্রাধিকার পুনর্বিবেচনা করতে প্ররোচিত করেছে।

এই সাক্ষাৎকারে দেখতে সুন্দর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রশ্ন করা হলে, নোরার থেকে জবাব আসে, এত কিছুর পরে আসলে সুন্দর চেহারা আসে। আমি বলতে চাইছি, আমার ভালো জেনেটিক্স দরকার কারণ আমি সুন্দর বাচ্চা পেতে চাই।

নোরা অভিনেতা অঙ্গদ বেদী এবং কোরিওগ্রাফার টেরেন্স লুইসের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন বলে শোনা যেত একসময়।মাঝে আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছিল নোরার। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তার লিঙ্কআপ পেয়ে একাধিকবার জেরা করে ইডি।

নিউজ ট্যাগ: নোরা ফাতেহি

আরও খবর