আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: প্রতিবাদে নাজিরপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্য জনসভায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের হত্যা হুমকির প্রতিবাদ, দ্রুত সময়ের মধ্যে হুমকিদাতাকে গ্রেফতার করে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে পিরোজপুরের নাজিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, কৃষকলীগের উপজেলা শাখার আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান আতিয়ার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তুহিন হালদার তিমির, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস, সাধারণ সম্পাদক আলি আমিন প্রমূখ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামাত চক্রান্তে মেতে উঠেছে। তারা দেখেছে, নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হারানো সম্ভব নয়। তারা একাধিকবার বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি-জামাত যদি কোনভাবে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তবে তাদের শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে।

তুহিন হালদার তিমির বলেন, যে নেত্রীকে নিয়ে সারা বিশ্ব অহংকার করে তাকে বিএনপি নেতা হুমকি দেয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীর জন্ম ক্যান্টনমেন্ট থেকে হয়নি। তিনি রাজপথ থেকে নেত্রী হয়েছেন। তাকে হুমকি ধমকি দিয়ে কোন কাজ হবে না।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে সরকারের পদত্যাগ, গায়েবি মামলা ও গণ গ্রেফতার বন্ধ, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে রাজশাহীতে সমাবেশ করে বিএনপি। সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোর হুমকি দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। পরে এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে ২২ মে সোমবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়।

নিউজ ট্যাগ: আবু সাঈদ চাঁদ

আরও খবর



বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া, দূরের যাত্রায় যাত্রীদের ব্যয় কত?

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ট্রেনে ভাড়ার ক্ষেত্রে রেয়াতি ব্যবস্থা বাতিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে করে দূরের গন্তব্যের ট্রেনের ভাড়া সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে। সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়বে ১০ শতাংশ। তবে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বের ক্ষেত্রে ভাড়া অপরিবর্তনশীল থাকবে।

রেয়াতি সুবিধা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। যদিও এটাকে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে বলে মানতে রাজি নয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রেলের দাবি, শুধু একটা সুবিধা বাতিল করা হচ্ছে। নতুন করে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না।

রেলওয়ের রেয়াতি ব্যবস্থায় ট্রেনের ভাড়ায় ১০০ কিলোমিটারের পরবর্তী ১৫০ কিলোমিটার ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাৎ ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটারে মেলে ২০ শতাংশ ছাড়। এরপর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ এবং ৪০১ থেকে তদূর্ধ্ব কিলোমিটার পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।

এ ছাড়া অগ্রিম আবেদনের মাধ্যমে সংযুক্ত বাড়তি কোচ বা বাড়তি চাহিদার সময়ে সংযোজিত কোচের টিকিটে শোভন শ্রেণির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, স্নিগ্ধা ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণিতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ আরোপ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, এটাকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হবে বানানো হচ্ছে এমনটা বলা ঠিক হবে না। এত দিন কিলোমিটারের ওপর যে ছাড় দেওয়া হতো সেই সুবিধাটা বাতিল করা হচ্ছে। এতে করে নতুন ভাড়া সমন্বয় করা হবে।

কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে। কিন্তু এর মধ্যে সবগুলো স্টেশনের ভাড়া সমন্বয় করা সম্ভব না-ও হতে পারে।

সে ক্ষেত্রে আরও কয়েক দিন পেছানো হবে। সবগুলো স্টেশনের ভাড়া সমন্বয় করা শেষে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে। রেলের ভাড়ায় দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। আর ২০১৬ সালে সর্বশেষ ভাড়া বৃদ্ধি করেছিল সরকার।

যদিও সম্প্রতি রেলভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন, রেল লোকসানে রয়েছে। কিভাবে লোকসান থেকে বেরিয়ে আসা যায় সেই চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। অনেক দিন ধরে ট্রেনের টিকিটের দাম বাড়ছে না। প্রয়োজনে নতুন ভাড়া সমন্বয়ের কথা হতে পারে। কিন্তু সেটা এখনই করা হবে না। যদি ভাড়া বাড়ে তাহলে আলাপ-আলোচনা করে আপনাদের জানিয়ে ভাড়া বাড়ানো হবে।


আরও খবর



৪৫ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নেভেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলিতে এস আলম সুগার মিলের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। বুধবার (০৬ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত এস আলম সুগার মিলের ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। আগুন বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা না থাকলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সময় লাগবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এম ডি আবদুল মালেক বলেন, আগুন তেমন আর নেই। মাঝেমধ্যে ফুলকি দেখা যাচ্ছে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে।

এদিকে, চিনির কাঁচা রাসায়নিকের গলিত পোড়া বর্জ্য কারখানার ড্রেন দিয়ে যাচ্ছে কর্ণফুলিতে। এতে করে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। আর অপরিশোধিত চিনির ধোঁয়ায় উপস্থিত লোকজনের চোখ জ্বলছে, ছড়াচ্ছে গন্ধও।

কারখানার মূলফটক থেকে গুদাম পর্যন্ত পুরো রাস্তায় অপরিশোধিত চিনি গলে লালচে কালো কাদার মতো তরল ছড়িয়ে আছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটাচ্ছেন। আগুনের বিস্তার ঠেকাতে গুদামের মুখে দেওয়া হয়েছে বালি। গুদামের ছাদের বেশিরভাগ টিন কালো হয়ে বেঁকে গেছে। ধোঁয়া ছড়াচ্ছে আশপাশে। কারখানা এলাকার ভেতরের রাস্তায় জমা চিনি গলা আস্তরণ এস্কেভেটর দিয়ে সরানো হচ্ছে। অপরিশোধিত চিনির ধোঁয়ার তীব্রতায় উপস্থিত লোকজনের চোখ জ্বলছে। চিনি গলে যাওয়ার গন্ধও ছড়াচ্ছে। চিনির কাঁচামালের আগুনে পোড়া বর্জ্যগুলো কারখানার ড্রেন দিয়ে সোজা চলে যাচ্ছে কর্ণফুলি নদীতে। এতে করে নদী ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

এস আলম সুগার মিলের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হাসমত আলী জানান, কারখানার পুরো প্রসেসিং যন্ত্রপাতি এবং কারখানা নিরাপদ রয়েছে। আগুন যাতে ছড়াতে না পারে, সেজন্য গোডাউন থেকে কারখানার মূল প্ল্যান্টে আসার বেল্ট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সোমবার (০৪ মার্চ) বিকাল ৩টা ৫৩ মিনিটে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার এস আলম সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ চিনিকলে আগুন লাগে। রমজান মাস ঘিরে বিপুল পরিমাণ চিনি আমদানি করেছিল এস আলম সুপার রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত এক লাখ মেট্রিক টন চিনি রাখা ছিল ওই চিনিকলে।


আরও খবর



রাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু, আসনপ্রতি লড়ছেন ৪৪ জন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ৯টায় সি ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এ বছর তিনটি ইউনিটে কোটা বাদে তিন হাজার ৯০৪টি আসনের বিপরীতে মোট এক লাখ ৭৩ হাজার ১১৭টি আবেদন জমা পড়েছে। এ হিসাবে প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ৪৪ জন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চার শিফটের মধ্যে সকাল ৯টায় প্রথম শিফটে সি ইউনিটের প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেবে। অর্থাৎ চার শিফট মিলে মোট ৭৬ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা আছে। সি ইউনিটে বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান ও ভূবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ২৬টি বিভাগ রয়েছে।

এদিকে গতকাল থেকে ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনের মূল ফটকের সামনে সারিবদ্ধভাবে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেখা গেছে ভর্তিচ্ছুদের।

এদিকে পরীক্ষাকক্ষে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস (মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, হেডফোন, মেমোরিযুক্ত ঘড়ি ইত্যাদি) সঙ্গে রাখা যাবে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

২০২৪ সালের ২৫ মার্চের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে। ভর্তি চলবে আগামী ১০ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত। আগামী ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু। এছাড়া ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও প্রযোজ্য শর্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে জানা যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আশা করছি সকলের সার্বিক সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবেই ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারব। যেকোনো জালিয়াতি ঠেকাতে প্রক্টরিয়াল বডি সর্বদা তৎপর রয়েছে৷ এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত ৫ মার্চ সি ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা, ৬ মার্চ ইউনিট (মানবিক) ও ৭ মার্চ বি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা সকাল ৯টা থেকে ১০টা, বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা, দুপুর ১টা থেকে ২টা এবং বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মোট চার শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের এক ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ইউনিটে ৮০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতি চারটি ভুলের জন্য ১ নম্বর কাটা যাবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০।


আরও খবর



ঈদে মিলতে পারে টানা ৬ দিন ছুটি

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে সরকারি চাকরিজীবীদের টানা ৬ দিন ছুটি মিলতে পারে। ৬ দিন না হলেও, অন্তত ৫ দিন ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

১২ মার্চ (মঙ্গলবার) সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হয়েছে। এক মাস রোজা রাখার পর আসবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের দিন সাধারণ ছুটি থাকে। আর ঈদের আগের ও পরের দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ভোগ করে থাকেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এবার রমজান মাস ৩০ দিন হলে ঈদুল ফিতর হবে ১১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার)। আর ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণ করে ছুটির তালিকা করেছে সরকার।

সে হিসেবে ১০-১১-১২ (বুধবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার) ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে। পরদিন ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। এরপরের দিন ১৪ এপ্রিল (রোববার) নববর্ষের ছুটি। সে হিসেবে এবারের ঈদে অন্তত ৫ দিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

তবে, এবার রমজান মাস ২৯ দিন হলে ঈদুল ফিতর হবে ১০ এপ্রিল (বুধবার)। সেক্ষেত্রে ঈদের ছুটি শুরু হতে পারে ৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) থেকে। সেক্ষেত্রে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ছয়দিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন।

গত ১১ মার্চ (সোমবার) বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়। পরের দিন ১২ মার্চ থেকে রোজা শুরু হয়।


আরও খবর



চার দিনের ডিসি সম্মেলন শুরু আজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ। এবারের ডিসি সম্মেলনে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে আসা ৩৫৬টি উন্নয়ন ও সংস্কার প্রস্তাব উঠছে। শনিবার সচিবালয়ে ডিসি সম্মেলন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

সচিব জানান, এবারের সম্মেলনের বিশেষত্ব হলো নতুন সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নে ডিসিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেবেন।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের মতো এবারও জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতিবছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবার সম্মেলনে ৩০টি অধিবেশন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন ২৫টি। এছাড়া একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে দুটি অধিবেশন হবে। কার্য-অধিবেশনগুলোয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের মন্ত্রী/উপদেষ্টা/প্রতিমন্ত্রী/সিনিয়র সচিব/সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।

এবার সম্মেলনে ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অংশ নেবে। অন্য বছর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একটি সেশন থাকলেও এবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিদেশে থাকায় সেটি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এছাড়া সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে সেনাবাহিনীর অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিসিদের সৌজন্যে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় হবে।

এবার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৬টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোয় জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইনকানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবারের ডিসি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবরা বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। এজন্য আজ (রোববার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উন্নয়নে মাঠ প্রশাসন শীর্ষক এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

এবারের সম্মেলনে বেশি সংখ্যক প্রস্তাব সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ সংক্রান্ত। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ২২টি। এছাড়া ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন, তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসরণ, স্বাস্থ্যসেবা পরিবারকল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ এবং উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় করা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, গত বছর অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনে উত্থাপিত ২১২টি প্রস্তাবের ১৩০টি বাস্তবায়ন হয়েছে এবং ৮২টি বাস্তবায়নাধীন। বাস্তবায়নের হার ৬২ শতাংশ। বাস্তবায়ন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সন্তুষ্ট। বাস্তবতা এবং বাস্তবায়নের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে সাংবাদিকদের করা এমন সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ডিসির অধীনে এমন কাজ হতেই পারে না। তবে প্রকল্পের বিষয় হলে তা খতিয়ে দেখা হবে। এসি ল্যান্ড থেকে ভূমি মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সর্বস্তরে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা, তারপরও ভূমি নিয়ে এত সমস্যা কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে এড়িয়ে যান সচিব।

ডিসির বাংলা অর্থ জেলা প্রশাসক কেন-এমন প্রশ্নের জবাবও তার জানা নেই বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এছাড়া ডিসি সম্মেলনে কত টাকা ব্যয় হচ্ছে, তাও সচিবের এ মুহূর্তে জানা নেই বলে জানান তিনি।

এবারের সম্মেলনে সর্বাধিক প্রস্তাব এসেছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে, তাহলে দেশে সড়ক ব্যবস্থাপনার বেহাল কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, তা এখন বলা যাবে না। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সিনিয়র সচিব, সচিবরা আলোচনা করে কর্ম-অধিবেশন শেষে গণমাধ্যমকে অবহিত করবেন। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসনের অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ডিসি সম্মেলন

আরও খবর