আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আইন কর্মকর্তাদের প্রতিবাদ সমাবেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম জেলা সরকারি আইন কর্মকর্তাদের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জেলা পিপি এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সভাপিত্বে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (২৪ মে) আদালত ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ মিন্টু, মহানগর পিপি আব্দুর রশিদ, অতিরিক্ত জিপি ফখরুদ্দীন জাবেদ, পিপি নিখিল কান্তিনাথ, অতিরিক্ত পিপি মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট আজাহারুল হক, সকল আইন কর্মকর্তা ও আইনজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, দেশে আইনের শাসন বলবৎ থাকা অবস্থায় গণতান্ত্রিক দেশে দেশের প্রধান মন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়া গভীর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ।  যে হুমকি দিয়েছে সে খুনের পরিকল্পনাকারীদের প্রতিনিধি। এই ষড়যন্ত্রের হোতা ও মদদদাতাদের সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় এনে বিচার নিষ্পত্তির দাবী জানায়।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: কিশোরগঞ্জে চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা

সভায় বক্তাগণ বলেন, ৭৫ আর ২০২০ এক নয়। আজ আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা শক্তিশালী এবং সংঘবদ্ধ। যেকোনো ষড়যন্ত্র চক্রান্তের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে। যেখানে ষড়যন্ত্র হবে সেখানে প্রতিরোধ হবে কোন অশুভ শক্তিকে ছাড় দেয়া হবে না।


আরও খবর



সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

পবিত্র রমজানের ইবাদতের মধ্যে সদকাতুল ফিতর আদায় করা অন্যতম একটি ইবাদত। রমজানের সিয়াম সাধনা শেষে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং এ আনন্দে যেন মুসলিম জাতির প্রতিটি সদস্য শরিক হতে পারে এ জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে সদকাতুল ফিতর। রমজানের রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিপূর্ণতার জন্যই আবশ্যক করা হয়েছে এটি।

ইমাম ওয়াকি ইবনুল জাররাহ বলেন, রমজান মাসের জাকাতুল ফিতর নামাজের সিজদায়ে সাহুর সমতুল্য। অর্থাৎ নামাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে যেমন সিজদায়ে সাহু দিলে এটা পূর্ণ হয়ে যায় তেমনি রোজার মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সাদকাতুল ফিতর দিয়ে এর প্রতিকার হয়। তাছাড়া ধনী-গরিব উভয়ে যেন অন্তত ঈদের দিন উত্তম পোশাক ও উন্নতমানের খাবার খেতে পারে এ জন্যই ফিতরার ব্যবস্থা।

ফিতরার নিসাব

যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ঋণ  ছাড়া সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা কিংবা এর সমমূল্য কোন সম্পদ বা টাকা থাকে, তাহলে তার ওপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব।

সদকাতুল ফিতর উত্তম হলো ঈদের নামাজের আগে আদায় করে দেয়া। কেননা রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর দিতে হবে। একজন দরিদ্র মানুষকে একাধিক ফিতর দেওয়া যেমন জায়েজ, তেমনি একটি ফিতরা বণ্টন করে একাধিক মানুষকে দেয়াও জায়েজ।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুলুল্লাহ (সা.) সদকাতুল ফিতর আদায় করাকে আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি :  ১৫১২)।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা পালনকারীর জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় অপরিহার্য করে দিয়েছেন, যা রোজা পালনকারীর অনর্থক, অশ্লীল কথা ও কাজ পরিশুদ্ধকারী এবং অভাবী মানুষের জন্য আহারের ব্যবস্থা। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে এটা আদায় করবে, তা সদকাতুল ফিতর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে ঈদের সালাতের পর আদায় করবে তা অপরাপর (নফল) সদকা হিসেবে গৃহীত হবে। (আবু দাউদ : ১৬০৯)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য, যব, বা খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির বা কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করতাম ৷ (বোখারি : ১৫০৬)।

হাদিস শরিফে এ পাঁচটি দ্রব্যের যে কোনো একটি দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে ৷ যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী আদায় করতে পারে তবে সবার জন্য সবচেয়ে কম দামের দ্রব্য দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করা অনুচিত; বরং যে ব্যক্তি খেজুর, কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করার সামর্থ রাখে, সে তা দিয়েই আদায় করবে ৷

সদকায়ে ফিতর যাদের উপর ওয়াজিব

ঈদের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে সাড়ে ৫২ তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সমমূল্য পরিমান সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।

ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় এ পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। যে শিশু-সন্তানটি ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে ভূমিষ্ট হবে, তার ফিতরাও আদায় করতে হবে।

অর্থাৎ পরিবারের যতজন সদস্য ততটি ফিতরা হিসেবে) সকলের ফিতরা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী তার নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করবেন।

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ

ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি  : ১৫১২)।

ইবনে আব্বাস (রা.) একবার রমজানের শেষ দিকে বসরায় খুতবা প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, তোমাদের রোজার সদকা আদায় করো। লোকেরা যেন ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি।

তখন ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, এখানে মদিনার কে আছে দাঁড়াও। তোমাদের ভাইদেরকে বলো, তারা তো জানে না। বলো যে, রাসূল (সা.) এই সদকা আবশ্যক করেছেন। এক সা খেজুর বা যব অথবা আধা সা গম প্রত্যেক স্বাধীন-দাস, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সবার ওপর ওয়াজিব।  (আবু দাউদ: ১৬২২)।

যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর প্রদান করতে হবে। জাকাতের জন্য সম্পদের বর্ষপূর্তি শর্ত হলেও ফিতরায় এ শর্ত নেই। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নিজের পক্ষ থেকে, নিজের প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে এবং নিজের সেবক-সেবিকাদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করতে হবে। সন্তান বা অধীনস্থরা অমুসলিম হলেও তাদের ফিতরা আদায় করা আবশ্যক।

গম বা আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির- এ পাঁচটি জিনিস বা তার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। সামর্থ্যানুসারে সবার উচিত উৎকৃষ্ট জিনিস সদকা করা। রাসূল (সা.)-এর সময়ে সামর্থ্যানুযায়ী সবাই উত্তম পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতেন।

সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি। (বোখারি : ১৯৭৪)।

এ বছরের সদকাতুল ফিতরের নির্ধারিত পরিমাণ‌

ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ' এর অনুকরণে নিম্নে এবছরের (১৪৪৫ হিজরী/২০২৪ইং) এর সদকাতুল ফিতরের বাজার মূল্য তুলে ধরা হলো:

১. উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।

২. যবের ক্ষেত্রে (এক সা) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

৩. খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা

৪. কিসমিসের ক্ষেত্রে  ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে।

৫. পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা অদ্ভুত মানসিকতার পরিচয় দেই। আমাদের দেশে সাধারণত সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্ধ সা গম এর মূল্য হিসেবে জনপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে সবাই আদায় করতে চান।

কোটিপতি হতে মধ্যবর্তী সবাই সর্বনিম্ন টাকা দিয়েই দায়মুক্ত হতে চান। সবচেয়ে কম মূল্যের গমের হিসাবে সবাই সাদকা করার প্রবণতা খুব বেশি। বিষয়টি রাসূল (সা.)-এর শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।  বরং এটা তো সর্বনিম্ন সম্পদের মালিকের জন্য চলে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে তাওফিক দিয়েছেন, তাদের অন্যান্য দ্রব্য দিয়ে সর্বোচ্চ সদকায়ে ফিতর আদায় করা উচিত। তাই সামর্থ্যানুযায়ী বেশি মূল্যের পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




মস্কোয় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত বেড়ে ১১৫, আটক ১১

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কনসার্ট হলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রুশ তদন্ত কমিটি।

হামলার স্থানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকারী বাহিনী। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

এই হামলায় ইউক্রেন যুক্ত বলে দাবি করেছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী এফবিএস। তাদের ধারণা, ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়েই রাশিয়ায় ঢুকেছে হামলাকারীরা। তবে এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।

এর আগে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে একটি শপিংমলে ঢুকে এলোপাতাড়ি হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী। অনেকে আহত হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে রুশ তদন্ত কমিটি।

রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, পাঁচজন বন্দুকধারী এই হামলা চালায়। প্রথমে গুলিবর্ষণের পর সেখানে গ্রেনেড বা বোমা নিক্ষেপ করা হয়। তাতে হলটিতে আগুন ধরে যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রোকাস সিটির শপিংমলের কনসার্ট হল, রেস্টুরেন্ট, একুরিয়াম এবং বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় একযোগে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে একদল অস্ত্রধারী। পরে শপিংমলের বিভিন্ন জায়গায় বহু মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।


আরও খবর



ওপার বাংলায় ফেলুবক্সীর লাবণ্য হয়ে আসছেন পরীমনি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টির প্রতি দারুণ অনুরাগী ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। রাবিন্দ্রিক সাজে প্রায়ই ফেসবুকে দেখা দেন তিনি। কখনও-সখনও পোস্ট করেন কবিগুরুর কবিতা বা গানের লাইন। তার সাহিত্যের চরিত্রে কাজ করতেও আগ্রহী পরী। হয়তো কোনো দিন রবিঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস শেষের কবিতার নায়িকা লাবণ্য হিসেবে পরীমনিকে দেখা যাবে।

তবে আপাতত তিনি বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত দুই গোয়েন্দা ফেলুদা আর ব্যোমকেশ বক্সীর মিশ্রণে নির্মিতব্য সিনেমায় লাবণ্য হয়ে আসছেন। কলকাতার সিনেমায় কাজ করছেন পরী সে খবর বেশ পুরোনো। ছবির নাম ফেলুবক্সী’। সম্প্রতি প্রকাশ হলো সে সিনেমায় পরীর লাবণ্য চরিত্রের ফার্স্ট লুক।

ফেসবুকে নিজেই সেই লুকের ছবি পোস্ট করে সবার সঙ্গে ফেলুবক্সীর লাবণ্যকে পরিচয় করিয়ে দিলেন বাংলা সিনেমার ডানাকাটা পরী। দেবরাজ সিনহা পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, মধুমিতা সরকারদের সঙ্গে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। এতে কাজ করা প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, লাবণ্য চরিত্রটা যখন পড়লাম, তখন থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, এই চরিত্রটা সঠিকভাবেই ফুটিয়ে তুলতে পারব। এবার কতটা ভালো পেরেছি, সেটা দর্শক বলবেন।’

ছবিতে সব রহস্য পরীমনির চরিত্রটা কেন্দ্র করেই ঘনীভূত হবে। তবে পরিচালক বললেন, এখানে প্রোটাগনিস্ট সোহম। এই চরিত্রটা মজাদার, টেক স্যাভি, বিশ্বের নিত্যনতুন টেকনোলজির বিষয়ে নিজেকে আপডেট রাখে। এমনিতেই বাঙালির প্যাশান খাওয়াদাওয়া আর রহস্য সমাধান জমিয়ে রেসিপি পড়ার মতো করে রহস্যের কিনারা করে সে। ফেলুবক্সী নামটা শুনেই নিশ্চয় দর্শকরা বুঝতে পারছেন বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি চরিত্রের প্রভাব রয়েছেন তার মধ্যে। তবে আবার নাম শুনেই এ সিনেমা নিয়ে দর্শককে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বারণ করলেন নির্মাতা। কারণ চিত্রনাট্যের মজা নিতে ছবিটা দেখতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।


আরও খবর



আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান আজও অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৯টা ৯ মিনিটে ১৮৭ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে শহরটি।

ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ২১২, ১৮১ ও ১৬৮ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




বরিশাল মেডিকেলের প্রিজন সেলে আসামিকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার আসামি পিটিয়ে অপর এক আসামিকে হত্যা করেছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে ওই বৃদ্ধ আসামিকে পেটানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর একটার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক জানিয়েছেন।

নিহত মো. মোতাহার (৬০) বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে। পিটুনিতে আহত অপর আসামি অজিত মন্ডল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি।

হামলাকারী তরিকুল ইসলামের (২৫) গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে। সে পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী তরিকুল অপর দুই আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছে। এতে দুইজন গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারব না।

নাম প্রকাশ করার না শর্তে হাসপাতালের একজন জানিয়েছে, প্রিজন সেলের দায়িত্বে এক নায়েক ও দুই কনস্টেবল ছিলেন। মানসিক রোগীসহ তিনজন প্রিজন সেলের একটি কক্ষে ছিলেন। সকালে আকস্মিকভাবে ওই ব্যক্তি অপর দুই আসামিকে স্ট্যান্ড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। এতে মোতাহার মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত পায়। অজিত আঘাত পেলেও গুরেুতর আহত হয়নি। ঘটনার সময় সেলের তালার চাবি নিয়ে একজন বাইরে নাস্তা করতে গিয়েছিল। তাই দায়িত্বরতরা দ্রুত সময়ে প্রিজন সেলে ঢুকতে পারেনি। স্যালাইনের স্ট্যান্ড দিয়ে মানসিক রোগী দুইজনকে এলোপাতারিভাবে পিটিয়েছে।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্মা রায় বলেন, কি ঘটনা ঘটেছে তদন্ত না করে বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারবো।

দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ জেল সুপার।


আরও খবর