প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে এনে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করেছেন
জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির
ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে
বের করে এনে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
গতকাল ছিল রাষ্ট্রপতির ভাষণের
ওপর আলোচনার ৭ম দিন।
গত ১৮ জানুয়ারি বছরের প্রথম
অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে ভাষণ দেন। গত ১৯ জানুয়ারি চীফ হুইপ নুর-ই-আলম
চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ
মো. আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন।
আজ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন
চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও উত্তর টেবিলে উপস্থাপন ও ৭১ বিধিতে
নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
এর পর আইন প্রণয়ন কার্যাবলী
শেষে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা শুরু হয়।
আজ আলোচনায় অংশ নেন মৎস্য
ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির
হোসেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সরকারি দলের মুজিবুল হক, এনামুল হক, বেনজির
আহমেদ, জহিরুল হক ভূইয়া মোহন, নুরুল আমিন, শেখ এ্যানি রহমান, জাতীয় পার্টির রানা মো.
সোহেল ও নাজমা আখতার।
আলোচনায় অংশ নিয়ে মৎস্য
ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের
অসংখ্য সাফল্যের মধ্যে সব চেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের
করে এনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি বলেন, এছাড়া তাঁর নেতৃত্বে
দেশে অসাংবিধানিক ধারায় ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানের
৫ম সংশোধনী বাতিল করায় সে অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখলের পথ
বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর
খুনীসহ জেল হত্যার খুনীদের বিচার নিশ্চিত করেছেন। সাথে সাথে দীর্ঘদিন পর যুধাপরাধীদের
বিচার ও তা কার্যকর করে দেশ ও জাতিকে কলংকমুক্ত করেছেন। বিচার হয়েছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড
হামলার। এভাবে তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, এ সরকারের
অসংখ্য অর্জনের মধ্যে বর্তমান সময় সবচেয়ে বড় অর্জন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ।
এ সেতু শুধু উন্নয়নের মেলবন্ধ নয়। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এ সেতু নির্মাণ
করে শেখ হাসিনা তাঁর সততা, সাহস, দৃঢ়তা, দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং দেশপ্রেমের প্রমাণ
দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী
জনগণের সংবিধানে উল্লেখিত অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এ পাঁচটি মৌলিক
অধিকারও নিশ্চিত করে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসাবে মুজিববর্ষে দেশের প্রায় ৯ লাখ গৃহহীনকে
গৃহ প্রদান করা হচ্ছে। এরমধ্যে ৭০ হাজার গৃহহীন পরিবারকে ইতোমধ্যে গৃহ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে
ডিজিটাল বাংলাদেশে এখন বাস্তব। এর সুফল দেশের জনগণ ভোগ করছে। দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের
সোনার বাংলায় পরিণত হচ্ছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি
দলের সদস্যরা বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের
সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, এ মহামারিতে যখন গোটা বিশ্ব পর্যদুস্ত তখন প্রধামন্ত্রীর
বলিষ্ট ও দক্ষ নেতৃত্ব এবং সময়োপযোগি পদক্ষেপের ফলে দেশ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
তারা বলেন, এসব পদক্ষেপ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় প্রশংসিত হয়েছে। এ জন্য বিশ্বে ৮ জন সফল নারী নেতৃত্বের তালিকায়
প্রধানমন্ত্রীর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়া আমেরিকার সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের সমীক্ষায়
বিশ্বের ১৮৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ করোনাকালের সাফল্যের দিক থেকে ২০তম স্থান অর্জন
করে।