আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

প্রধানমন্ত্রীর সফলতা ও জাতীয় উন্নয়ন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

Image

কত দিন পেরিয়ে এলাম তেমন বুঝতেই পারলাম না মহান স্রষ্টা রাব্বুল আল আমিনের সৃষ্টি কৌশল। যাকে কোলে নিয়েছি, কাঁখে নিয়েছি তারা দাদা-দাদি, নানা-নানি, তাঐ-মাঐ। অথচ কখনো মনেই হয় না এই তো সেদিন আমি গ্রামের ধুলোপথে ছুটোছুটি করছি। কিন্তু কীভাবে সময় বয়ে চলেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনা ২ সেপ্টেম্বর শের-ই-বাংলা নগর, পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেছেন। সবকিছুই বেশ ভালো হয়েছে। ঢাকার দিক থেকে এক্সপ্রেসওয়ে প্রথম ব্যবহার করেছি ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সাল। গিয়েছিলাম গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির সভায়।

সময় লেগেছিল সাড়ে ৭ মিনিট। আবার ৯ সেপ্টেম্বর একই জায়গায় গিয়েছিলাম। আগের দিন ধীরে গেছি। কিন্তু ৯ তারিখ চালককে বলেছিলাম, তুমি ৯০ কিলোমিটারে যাও।

দরকার পড়লে আরও বেশি। এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে দেখলাম প্রায় সবাই আমাদের পিছে ফেলে যাচ্ছে। গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার। কিন্তু মুখ্য প্রস্তাবে ৮০ কিলোমিটার ছিল। ৬০ কিলোমিটার হলে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা তাতে নিশ্চয়ই ১০ কিলোমিটার রেয়াত পেতে পারি।

বীরউত্তম খেতাব পেয়েছি তাতেও ১০ কিলোমিটার। সবার আগে একমাত্র কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে দেশের পিতার পায়ের কাছে লাখ লাখ অস্ত্র বিছিয়ে দিয়েছি। তার জন্যেও তো ২-৪-১০ কিলোমিটার রেয়াত হতে পারে। তাই গতি বাড়াতে কোনো আপত্তি ছিল না। রাস্তাটা ভালো থাকলে ৬০ তো দূরের কথা ১২০ কিলোমিটারেও ছোট গাড়ি চললে সমস্যা হবে না।

এর আগে গত বছর ২৫ জুন পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। খুব গুরুত্বপূর্ণ দাওয়াতপত্র দেওয়া হয় ঠিকই কিন্তু কোনো রাষ্ট্রাচার নেই। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্যরাও সামনের সিট দখল করে বসে থাকে। কে একজন একেবারেই পশ্চিমের শেষ আসনে আমাকে বসিয়ে ছিলেন। বামে হুইলচেয়ারে ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, পেছনেই ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রমকুমার দোরাইস্বামী, এরপর ডানদিকে কয়েক মন্ত্রী, হুইপ, ৫ বা ৬ জনের পর বহুদিন পর পুতুলকে দেখেছিলাম। কিন্তু ও যেমন ওঠে এসে বলেনি, মামা কেমন আছ? আমিও কেন যেন ওঠে যাইনি। পরে মনে হয়েছে ভুলটা আমারই হয়েছে। আমি কখনো অমন করি না। সেই অনুষ্ঠানে পদ্মার উল্টা পাড়ে ১০ লাখ লোকের জমায়েত করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু তা হয়নি। তবে সম্মানজনক উপস্থিতি ছিল। আমার যা চোখে বাধে তা বলি। আমার বন্ধু যেমন আছে, শত্রুও আছে অনেক। কারণ এখনো বহু লোক পাকিস্তানের জন্য কাঁদে। কারণ পশ্চিমাদের গলগ্রহই তাদের সম্বল। আমরা পরাজিত হলে বঙ্গবন্ধুর যেমন ফাঁসি হতো, যেভাবে অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম আমাকেও চুমা খেত না। ফাঁসির কড়কড়ে দড়িতে ঝুলাত। তাই রক্ত দিয়ে অর্জন করা দেশের জন্য বড় বেশি লাগে।

বহু জায়গায় বহুবার বলেছি, আজও বলছি রাজনীতিতে না এলে বঙ্গবন্ধুকে না পেলে দেশকে চিনতাম না, জননী জন্মভূমি স্বর্গাদপি গরীয়সী শুধু শুনতাম হৃদয়ে লালন করতে পারতাম না। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ প্রেম। জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর এসবই হতো কথার কথা, হৃদয়ের কথা হতো না। বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর কারণে রাজনীতিতে এসেছিলাম। রাজনীতিতে এসেই বঙ্গবন্ধুর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছিলাম। তার ভালোবাসা ¯ন্ডেœহ মমতায় দেশকে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। আজ আমার কাছে আমার মায়ের সান্নিধ্য সন্তান-সন্ততির উত্তাপ, সহধর্মিণীর আগলে রাখার মতো আমার মাতৃভূমি। গাছপালা, তরুলতা, কীটপতঙ্গ, পশুপাখি সবকিছুকে আল্লাহর দান হিসেবে বুকের মধ্যে আপনা-আপনি স্থান করে নিয়েছেন। ৩-৪ বছর আগে আমার কুশি ১০০ টাকা দিয়ে কারও কাছ থেকে একটা বিড়াল এনেছিল। বাইরের বিড়ালরা প্রায় সব সময় মারপিট করে। ছোট বলে মার খেয়ে ঘরে ফিরত। আস্তে আস্তে বড় হয়েছে। আমি খেতে বসলেই আমার চেয়ার অথবা পায়ের ওপর সামনের দুপা উঁচু করে তাকিমাকি করে। সে আজ কদিন হাসপাতালে। আমি অবাক হয়েছি আমাদের বাড়ির পাশের এক মহিলা জাফরিন জান্নাত পশু ডাক্তার। তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে, অপারেশন করেছে। প্রায় ১৫ দিন বিড়ালটি বাড়ি নেই। মাঝেমধ্যেই দেখতে ইচ্ছা করে। কেন বিড়ালকে দেখতে ইচ্ছা করে আমি তার জবাব দিতে পারব না, কিন্তু করে। পরিবারের সমাজের একেবারে অপদার্থ সন্তান আমি। আল্লাহর দয়ায় এতদূর এসেছি। কত মানুষ হাত চেপে ধরে, কত মানুষ দোয়া কামনা করে, কত মানুষ দোয়া করে। তাই মনের ভিতরের কোনো কান্না চেপে রাখি না, চেপে রাখতে পারি না। অন্তরাত্মা হৃদয় যখন যা বলে তার বাইরে যাই না। ইদানীং আমাকে গুলি করে মেরে ফেলা যত সহজ, মতের বাইরে কথা বলানো তত সহজ নয়। খুবই সত্য দুই যুগ আওয়ামী লীগ ছেড়েছি। আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক কর্মকান্ডের সঙ্গে আমার দ্বিমত আছে। কিন্তু এক মুহূর্তের জন্য পিতাকে ছাড়িনি, বঙ্গবন্ধুকে ছাড়িনি, আমৃত্যু ছাড়বও না। বঙ্গবন্ধুই আমার আদর্শ, আমার দলের আদর্শ, আমাদের নেতা, দলের নেতা। এটা কেউ যদি না বুঝে বা বুঝতে না চায় তাহলে আমার কিছু করার নেই। ভবিষ্যতে কোনো দিন বোন হাসিনার সফলতা ব্যর্থতা নিয়ে যখন চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নেবেন তখন পদ্মা সেতু নির্মাণ বোন শেখ হাসিনার জন্য অন্যতম প্রধান কীর্তি হিসেবে পরিগণিত হবে। সম্রাট শাজাহান যেমন তাজমহলের জন্য অমর হয়ে আছেন, ঠিক তেমনি পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য আমার বোন বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ইতিহাসে একজন প্রধানতম ব্যক্তি হিসেবে আলোচিত হবেন অথবা প্রতিষ্ঠা পাবেন। পদ্মা সেতু শুভ উদ্বোধনে যাকে নিয়ে এত কথাবার্তা উলোটপালট সেই সৈয়দ আবুল হোসেনকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনা পাশে নিয়েছিলেন। এটা শুধু সৈয়দ আবুল হোসেনকে সম্মান নয়, এটা তার কর্মকে সম্মান, সমগ্র জাতিকে সম্মান। এক্সপ্রেসওয়েরও শুরুর দিকে সৈয়দ আবুল হোসেন ছিলেন। সূচনার সময় প্রস্তরফলক উন্মোচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে যেহেতু তিনি ছিলেন সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও তাকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হলে মঞ্চে ডেকে নিলে দেশবাসীর সামনে দুকথা বলবার সুযোগ দিলে যারা অনুষ্ঠান করেছেন তারা লাভবান হতেন। এ সম্মান শুধু সৈয়দ আবুল হোসেনের হতো না, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ আমাদের সবার হতো। ওই দিনের অনুষ্ঠানে মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আসন পাচ্ছিলেন না। আমার খুব খারাপ লেগেছে। তিনি এখন এক নম্বর মন্ত্রী। বোনের পরেই তার স্থান। একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যদি মর্যাদা না পান তাহলে রাষ্ট্রাচার কোথায় গিয়ে ঠেকেছে একটু তো ভাবতেই হবে।

ভারতে ছিলাম ১৬ বছর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, এমনকি অনেক জাতীয় অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ অতিথি হিসেবে গেছি। সেখানে প্রবীণদের যে অসাধারণ সম্মান দেখেছি গুরুত্ব দেখেছি তা ভাবা যায় না। আজ যিনি মন্ত্রী, কাল নাও থাকতে পারেন। নতুন এমপি হতে পারেন, নতুন মন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু তিনি যদি যথার্থ নেতা হন, তার জায়গা মন্ত্রী থাকতে যা, মন্ত্রিত্ব না থাকতেও তাই থাকা দরকার। আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে লক্ষ্য করেছিলাম, জননেতা তোফায়েল আহমেদ বাঁশের বেড়ার বাইরে দর্শকের আসনে বসেছিলেন আর মঞ্চে ছিলেন নূহ-উল আলম লেনিন। তিনি তখন খুব সম্ভবত প্রেসিডিয়ামের সদস্য। ৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকে বেরিয়ে ছিলেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতির পক্ষ থেকে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদের মাধ্যমে শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু খেতাবে ভূষিত করা হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি আর ২৪ মার্চ মাত্র এক মাসের মধ্যে কোনো দিন ঢাকা পল্টন ময়দানে কোনো এক জনসভায় এই নূহ-উল আলম লেনিন তারস্বরে বলেছিলেন, এই তোফায়েল, তগোর বঙ্গবন্ধু না চঙ্গবন্ধু এই তাকে টুকরো টুকরো করলাম। বলেই তার হাতে থাকা বঙ্গবন্ধুর নামের বেশ কয়েকটি লিফলেট ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে উড়িয়ে দেওয়ার ছবি আজও আমার চোখে ভাসে, কানের ভিতর অনুরণন সৃষ্টি করে। তাই না বলে থাকতে পারি না। আমি ইন্টারনেটের কিছু বুঝি না। মোবাইলের তেমন কোনো সুবিধা নিতে পারি না। কিন্তু তবু হঠাৎ হঠাৎ চোখের সামনে কিছু ভেসে উঠলে তা এড়িয়ে যেতে পারি না। মনে হয় অল্পবয়সী কারও স্ট্যাটাস দেখলাম। তিনি বলেছেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম মাঝেসাজে বলেন ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী মতিয়া চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর পিঠের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছেন, জুতা বানাতে চেয়েছেন। অন্য কোনো কোনো নেতা নাকি বলেছেন, তোমাদের জাতির পিতা আমাদের জুতার ফিতা। কিন্তু অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করে গুগল, ইউটিউবে কোনো প্রমাণ বের করতে পারলাম না। ছোট্ট বন্ধুটিকে কী বলব? এর আবার প্রমাণ! আপনি এখনই পাকিস্তান হোম মিনিস্ট্রিতে চিঠি লিখুন। আইবি, ডিআইবি রিপোর্টে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কর্মকান্ড সব পেয়ে যাবেন। বোন মতিয়া চৌধুরী আমার থেকে ৫-৬ বছরের বড়। উনি আওয়ামী লীগে এসেছেন ৮৩ সালে। আমাদের পিতাকে হত্যা করা হয়েছে ৭৫ সালে। খুব সম্ভবত ৭৬ থেকে ৭৮-৭৯ সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করার কাজ হয়েছে। সেখানে মতিয়া চৌধুরী তার দল নিয়ে সাধারণ অংশগ্রহণকারীদের উদ্বুদ্ধ করতে না হলেও ১০-১২ বার গেছেন। আমরা তখন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধে সীমান্তে ছিলাম। সেখানে তার বক্তৃতার স্বকণ্ঠ রেকর্ড এখনো আছে। আর শুধু রেকর্ড লাগবে কেন, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা নালিতাবাড়ীর বাদশা, যদিও সে মারা গেছে। মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীতে প্রচুর ভূমিকা রেখেছে। যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হলে নিশ্চয়ই আরও অনেক ভালো কাজ করত, বিরাট নাম করত। বর্তমান কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক তখনো ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন। মনে হয় তাকে জিজ্ঞেস করলেও তিনি কিছু না কিছু অবশ্যই বলতে পারবেন। এ ছাড়া ছাত্রনেতা প্রদীপ আমেরিকায় আছে। খোঁজ নিয়ে দেখা যেতে পারে। তা যাক। এসব নিয়ে আজ তেমন আলোচনা করতে চাইনি। তবু এসে গেল তাই দুকথা লিখলাম। স্বাধীনতার পর পল্টনে চারজন নারী হরণকারী লুটেরাকে সভায় উপস্থিত দুই-আড়াই লাখ জনগণের নির্দেশে কাদেরিয়া বাহিনী মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। সে নিয়ে কত তোলপাড়। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল কাদের সিদ্দিকীর নামে। এ আমার ভাগ্য না দুর্ভাগ্য বলতে পারি না। দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন বাংলাদেশের পিতা আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র নিতে টাঙ্গাইল গিয়েছিলেন ৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি। ৭২ সালের ২৩ দিন আর ৭১ সালের ১৬ দিন। স্বাধীনতার ৩৯ দিন যেতে না যেতেই আমরা আমাদের পিতার পায়ের কাছে অস্ত্র বিছিয়ে দিয়েছিলাম। তিনি সেখানে বলেছিলেন, কাদের পল্টনে এরকম চারজনকে গুলি করে শাস্তি দিয়েছে। যারা নারীর সম্মানহানী করে লুটতরাজ করে অশান্তি সৃষ্টি করে তাদের আরও এক হাজার জনকে কাদের যদি শাস্তি দিত তাহলেও সে আমার ধন্যবাদ পেত। আজ তো আর বঙ্গবন্ধু নেই, আমার আশ্রয় কোথায়? কে বলবে কাদের সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করেছে, দেশকে ভালোবেসেছে, মানুষকে ভালোবেসেছে, কখনো ক্ষমতার দাপট দেখায়নি। এসব বলার কেউ নেই কিছু নেই।

আসলে শুধু পদ্মা সেতু নয়, ২ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনা যে এক্সপ্রেসওয়ের শুভ উদ্বোধন করেছেন সেটাও এক সফলতা। আমার আলোচনা অনেকের চোখে লাগে। বিপক্ষদের তো শরীর জ্বালা করে। কিন্তু আমি আমার ভুল স্বীকার করতেও এক মুহূর্ত বিলম্ব করি না। যেটা চোখে দেখি কাকের মতো ঠোঁট পোছে চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না। সেদিন প্রথম যখন এক্সপ্রেসওয়েতে গেলাম মনে হয় দুপাশে প্রটেক্টর বা গার্ডার, মাঝখানে ডিভাইডারের ওপরটা খুব একটা সমান হয়নি। ১১ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েতে মনে হয় তিন এগারো তেত্রিশ কোটি খরচ করে প্লাস্টার করলে বিশ্রী উঁচুনিচু দেখা যেত না। কোনো কোনো জায়গা কিন্তু একেবারে শিল্পীর হাতের তুলি দিয়ে আঁকার মতো সুন্দর হয়েছে। সেদিন ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে গিয়েছিলাম। ফিরতে ৩ ঘণ্টা লেগেছে। এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার পরই সে যে কি ভোগান্তির মুখে পড়েছিলাম বলে শেষ করা যাবে না, লিখে তো একেবারেই নয়। টঙ্গী কলেজের পর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত লাঞ্ছনার শেষ নেই। একবার উঠছে, একবার নামছে। প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে উড়ালসড়ক করেছে। পৃথিবীর কোথাও রাস্তার মাঝে কোনো স্টপেজ নেই। কিন্তু টঙ্গী টু গাজীপুর না হলেও ১০-১২টা স্টপেজ রাস্তার মাঝে। গাড়ি থেকে নেমে যাত্রীরা যখন দুপাশে যেতে থাকবে প্রত্যেক দিনই প্রত্যেক স্টপেজে কেউ না কেউ দুর্ঘটনায় পড়বে। এখন বিশেষ করে রাস্তাঘাটের পরিকল্পনা সবই বিদেশিরা ড্রয়িং ডিজাইন করে। পাকিস্তান আমলে টাঙ্গাইলের জেলা শহর হওয়ার সময় আমেরিকান ডিজাইনারের কারণে এখনো সবকটি দালানে প্রবল বৃষ্টিতে পানি ঢুকে। আমাদের দেশের জলবায়ুর কারণে আমরা দক্ষিণমুখী ঘরের দরজা করি। দক্ষিণ দুয়ারী ঘরের রাজা, পুব দুয়ারী তাহার প্রজা, পশ্চিম দুয়ারীর মুখে ছাই, উত্তর দুয়ারীর খাজনা নাই। কিন্তু আমেরিকান আর্কিটেক্ট সব উত্তরমুখী করেছে। আমার মনে পড়ে এক সময়ের সড়ক সচিব রেজাউল হায়াত। ভদ্রলোক খুবই সজ্জন মানুষ। ৮৯ সালে তার সঙ্গে আমার ইংল্যান্ডে প্রথম দেখা হয়েছিল। তারপর সব সময় কাছাকাছি ছিলেন।

ঢাকা-টাঙ্গাইল রাস্তায় বিদেশি ডিজাইন অনুসারে লিয়াকৈর-গোড়াইর-ধেরুয়া-দেউহাটা-মির্জাপুর-ধল্যা-শুভুল্যা-নাটিয়াপাড়া-করাতিপাড়া-ক্ষুদিরামপুর-বাইপাস-এলেঙ্গা এ রকম ১২-১৫ জায়গায় নানা রকমের ডিভাইডার বাইপাস নানা নকশা করেছিলেন। যে কারণে প্রতিদিন ধেরুয়া রেলক্রসিংয়ের কাছে ১-২টি গাড়ি উল্টেপাল্টে ধ্বংস হয়ে যেত। লোক মারা যেত ১০-৫০ জন। সব থেকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটত ধেরুয়া-দেউহাটা-ক্ষুদিরামপুর-নাটিয়াপাড়া-নগর জলপাই এসব জায়গায়। সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলাম। তখন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ছিলেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। সড়ক ও জনপদ প্রধান প্রকৌশলীসহ ২০-২৫ জন প্রকৌশলী নিয়ে রেজাউল হায়াত যমুনার বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত গিয়েছিলেন। দুদিন পর সেই নকশা ডিভাইডার আইল্যান্ড উঠিয়ে দিয়েছিলেন। সে তো প্রায় ২৫ বছরের কম নয়। এই ২৫ বছরে সেসব জায়গায় বড়সড় ২৫টা দুর্ঘটনা ঘটেনি, ২৫ জনের জীবনহানি হয়নি। অথচ বিদেশি ওইসব নকশা থাকলে এতদিনে আরও ২৫ হাজার নিরীহ মানুষ মারা যেত। গাজীপুর-টঙ্গী সড়কে ঠিক তেমন হবে। আমি ততদিন বেঁচে থাকব কি না জানি না। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা যদি মিথ্যা হয় তাহলে মরণোত্তর শাস্তি দিলেও কোনো কিছু মনে করব না। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৫০০-৭০০ মিটার বা এক কিলোমিটার উড়াল পুল করা হয়েছে। ৯ তারিখ ফিরবার সময়ই দেখলাম একেবারে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত ওপর নিচে সব জায়গায় যানজট। গাজীপুরে দেখলাম চৌরাস্তাকে পার হতে ৭০-৮০ ফুট ওপর দিয়ে ময়মনসিংহের দিক থেকে উড়ালসড়ক করা হয়েছে। সড়কের পাশ হবে বড়জোর ২৮-৩০ ফুট। ৭ বাই ৭ এক কলামের ওপর দাঁড়ানো। দুই কলাম করে ৪৫-৫০ ফুট করলে বা ৬০ ফুট করলে চার লেন করা যেত। দুই লেনে দুর্ঘটনা ঘটবে। সব সময় ভূমিকম্প হচ্ছে এবং হবে। মেনেই নিলাম যে ভূমিকম্পে এসব কনস্ট্রাকশন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কিন্তু ৬ রিখটার স্কেলের ওপরে ভূমিকম্প হলেই ৭০-৮০ ফুট ওপরে উড়ালসড়ক থেকে গাড়ি-ঘোড়া যে ছিটকে পড়বে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে? সাধারণ মানুষ হয়তো সামনে ২-৪-৫ বছর ভাবতে পারে না। কিন্তু এত বিদ্বান বিদেশি স্থপতিদের শত শত বছর পরে কী হবে তা তো ভাবা উচিত। এক্সপ্রেসওয়েতে সেদিন মহাখালীতে এসে নেমেছিলাম। গতিসীমা মান্য করিনি, প্রায় কোনো গাড়িই করেনি। ৮০ টাকার টোল দিতে সময় লেগেছে ৫ মিনিট। সেখান থেকে মহাখালী এসে টাঙ্গাইলের বাসস্ট্যান্ডের কাছে নামতে লেগেছে ৬ মিনিট। এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নেমে মহাখালীর রাস্তায় ডিভাইডার দিয়ে আটকানো। আবার উত্তরে এক-দেড় কিলোমিটার গিয়ে মহাখালী ওভারব্রিজের নিচ দিয়ে ইউটার্ন নিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের মুখ পর্যন্ত যেতে আসতে প্রায় ৫০ মিনিট লেগেছে। ইঞ্জিনিয়ার বাবারা যদি মহাখালীর ওখানে শুধু ২০-২৫ ফুট রাস্তা খুলে দিতেন তাহলে সময় লাগত এক মিনিট। গ্যাস বা পেট্রল-অকটেন-ডিজেলের এক লিটারের ১০ ভাগের এক ভাগ খরচ হতো। তেলের দাম বাঁচত, সময় বাঁচত, পরিবেশ দূষণ কমত। চোখ এবং জ্ঞান না থাকায় সবক্ষেত্রে এমন হয়। শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনা একা দেখলেই চলবে না, সবার চোখ থাকা দরকার। সেদিন ঢাকা-ভাঙ্গা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে সরাসরি রেল যাতায়াত করেছে। সেতু পার হতে সময় লেগেছে ৮ মিনিট। সেতু পার হতে ৮ মিনিট আর সে সময় অন্যদিক থেকে গাড়ি আসার জন্য কমবেশি আরও ৫ মিনিট। মোটামুটি ১৫ মিনিট যদি একটা গাড়ির জন্য সময় নির্ধারণ করা হয় বা প্রয়োজন হয় তাহলে ঘণ্টায় গাড়ি পারাপার হবে ৪টা। রাতদিন ২৪ ঘণ্টায় ৯৬টা। কিন্তু ১০ বছর পর এমন সময় আসবে দিনরাতে ৪০০-৫০০ গাড়ি পারাপার করার দরকার হবে। কারণ পদ্মা সেতু শুধু আমাদের জন্য নয়, পদ্মা সেতু আন্তর্জাতিক সেতু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। পৃথিবীর বহু দেশের রেল আগামী ১০-২০ বছরের মধ্যে ছোটাছুটি শুরু করবে। সেতুর ভিতর একটা লাইন না বসিয়ে অন্তত ৩টা লাইন বসানো যেত। খুব সম্ভবত ৬৩ ফুট সেতুর পাশ। ঠিক আছে ৩টা না হলে ২টা লাইন বসলেও যাওয়া আসার জন্য গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো না। পন্ডিতেরা বেশি বুঝেন তাদের বুঝাবে কে? যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতুর কয়েক শ গজ উত্তর দিয়ে প্রায় পদ্মার মতোই একটি রেলসেতু হচ্ছে। তাতে কিন্তু ডাবল লাইনই বসানো হয়েছে। আমি বলেছিলাম একটু বিবেচনা করে সেতুর ওপরেও একটা সড়ক সেতু বানিয়ে রাখা যায়। কখনো প্রচন্ড দুর্যোগ দুর্বিপাক দেখা দিলে জরুরি অবস্থার সৃষ্টি হলে কিংবা যুদ্ধবিগ্রহ লাগলে রাস্তাটা ব্যবহার করা যেত। শুধু কংক্রিটের ছাড়া খুব বেশি একটা খরচ লাগত না। তাতে রেলসেতুর ইস্টিমেটেড কস্টের চাইতে হয়তো ২৫ শতাংশ, ৩০ শতাংশ বা ৩৫ শতাংশ বেশি খরচ হতো না। কে শুনে কার কথা। কেউ কেউ মনে করেন, এসব টাকা-পয়সা বাপ-দাদার জমিদারি। আসলে কিন্তু তা নয়। সব উন্নয়নের অর্থের দায় সাধারণ মানুষের। আমাদের এখন মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ লাখ টাকার কয়েক হাজার বেশি। যে সন্তানটি মায়ের পেটে এখনো ভূমিষ্ঠ হয়নি তাকেও কিন্তু এই বিপুল ঋণ মাথায় নিয়ে পৃথিবীর আলোতে আসতে হবে। আমার বড় বিপদ। কোনো কথা বললেই দল বেঁধে আমার প্রিয় বোনের কান ভারী করার চেষ্টা করে। সব কানকথা যে তিনি শোনেন তা নয়। অত চাপের মধ্যে আমাদের প্রয়োজনীয় মর্যাদা রক্ষা করে চলা সব সময় সম্ভব হয়না ব্যাপারটা যে বুঝি না তা নয়। খুব কঠিন সমস্যায় আছি। সেদিন জি২০ সম্মেলনে যোগ দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন। যে যাই বলুন, জি২০ সম্মেলনে যোগ দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন নিজের মর্যাদা ও গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছেন তেমনি দেশেরও সম্ভাবনা ও মর্যাদা অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তবে এটা সত্য, তিনি যদি বিপুল ভোটারের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর নির্বাচন করতে না পারেন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। নির্বাচনে কে এলো কে এলো না, কোন বড় রাষ্ট্র কাকে সমর্থন করল সেটাও খুব একটা বিবেচ্য নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা-চীন-সৌদি আরবসহ বিশ্বের বহু দেশ আমাদের সরাসরি বিপক্ষে ছিল। হ্যাঁ এটা সত্য, আমাদের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক সফলতায় বিশ্বের সব দেশের জনসাধারণের সমর্থন আমরা পেয়েছিলাম। বর্তমানে অনেকটা সেই রকম। তাই মানুষকে গুরুত্ব দিতে হবে, মানুষের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে, ভোটারকে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে এ কথা সত্য, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির হাতে দেশের শাসনক্ষমতা যাক এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কেউ মেনে নিতে পারে না। সফল ভারত সফরের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে তেত্রিশ বছর পর ফ্রান্সের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বাংলাদেশে তার ঝটিকা সফর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনার বিশ্বরাজনীতিতে তার উচ্চতার পরম স্বাক্ষর। মহান ফ্রান্সের মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এ জন্য প্রাণঢালা শুভ কামনা।


আরও খবর



যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান বিভ্রান্তিমূলক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের ঈদযাত্রায় ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন ও এক হাজার ৩৯৮ জন মানুষ আহত হয়েছেন এমন একটি তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল (শনিবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এই তথ্য প্রকাশ করেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) হতাহতের সংখ্যা কম প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। এদিকে, তাদের এই তথ্যকে বিভ্রান্তিমূলক বলে মন্তব্য করেছে বিআরটিএ।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বনানীর বিআরটিএর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

তিনি বলেন, এবারের ঈদযাত্রার ১৭ দিনে সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ঘটা এসব সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, পরিতাপের বিষয় একটি বেসরকারি সংগঠন (যাত্রী কল্যাণ সমিতি) আমাদের প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে আমাদের পরিসংখ্যানগত কোনো গরমিল প্রসঙ্গে অবহিত না করে ৪-১৮ এপ্রিল অর্থাৎ ১৫ দিনের সড়ক দুর্ঘটনার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে নিহতের সংখ্যা বিআরটিএর তথ্য থেকে শতাধিক বেশি। যা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে এ তথ্য বিভ্রান্তিমূলক।

এদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০২৩ সালে সারা বছর দেশের বড় সাতটি মেডিকেল কলেজের রেকর্ড বইয়ের তথ্য বলছে, ওই বছর সারা দেশে প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই বছর বিআরটিএ বলল মাত্র সাত হাজার কি সাড়ে সাত হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আমরা তাদের কাছে এটার ব্যাখ্যা চেয়েছি। কিন্তু তারা এটার কোনো ব্যাখ্যা আমাদের দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, অন্যজনকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যর কথা বলতে হলে আপনাকে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত ১১টির বেশি রিপোর্ট বিআরটিএকে দিয়েছি। এখন আমরা বিআরটিএ রিপোর্ট যাচাই করতে চাই। কারণ কোন রিপোর্ট আমাদের খাতায় আছে, কিন্তু তাদের খাতায় নেই?

তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা কম দেখানো মানে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা। কারণ সরকার তাদের রিপোর্টকেই প্রায়োরিটি দেয়। সরকার তাদের রিপোর্টকে প্রায়োরিটি দেওয়ার কারণে মনে করেন দুর্ঘটনা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না, অর্থাৎ কম হচ্ছে। ফলে সরকার এটিতে কম মনোযোগ দেয়। বিআরটিএ কম সংখ্যা প্রকাশ করে আত্মতুষ্টিতে ভোগার মধ্য দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করছে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার দায় তাদেরই নিতে হবে।

মূলত বিআরটিএ সারা দেশে তাদের থাকা সার্কেল অফিসের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে।


আরও খবর



শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে গেছে, বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে হঠাৎ মৌলভীবাজার জেলা দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। এতে জেলা সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে বয়ে যায় আধা ঘণ্টার কালবৈশাখী ঝড়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়া আখাউড়া-সিলেট রেলপথের একাধিক স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা।

কমলগঞ্জের ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার কবির আহমেদ বলেন, ঝড়ে সিলেট-শ্রীমঙ্গলের মাঝে রেললাইনের ওপর কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে। এতে বিকেল থেকে সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, শ্রীমঙ্গল স্টেশনে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে আটকে আছে ও ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশনে ৫টা ৩৭ মিনিট থেকে আটকে আছে। গাছ অপসারণের কাজ চলছে। শিগগিরই ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ-বাঁশ ঘরের ওপরে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল শহরে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন দোকানের চাল উড়ে গেছে। উপড়ে গেছে অসংখ্য বড় বড় গাছ।

উল্লেখ্য, সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে রাত ১ টার মধ্যে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের পক্ষে আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিকেল ৩টা থেকে দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলেরে উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



পহেলা বৈশাখে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রমনা পার্কে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এতথ্য জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির অসম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। সেজন্য এটার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। সহিংস হামলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট হামলার শঙ্কা আমার কাছে নেই।

তিনি বলেন, রমনা বটমূলে আগামীকাল বিকেল ৫টার পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এরপর আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও সন্ধ্যার আগে সবাইকে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, রমনায় টুরিস্টদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য টুরিস্ট পুলিশ বুথ রয়েছে। লেক এলাকা নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশের টহল রয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সাময়িক মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। রক্তদানের ব্যবস্থার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সুপেয় পানি বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, দূষণের শীর্ষে কাঠমান্ডু

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের সঙ্গে বাড়ছে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ। মাঝে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হলেও কিছুদিন যাবত বৃষ্টি না হওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে।

আজ শনিবার সকাল ১০ টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৬১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর

দূষিত শহরের তালিকায় ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু; ১৬৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়, ১৬৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এ ছাড়া ১৫৫ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে চীনের বেইজিং।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বায়ু। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে দিনের পর দিন ঢাকায় বায়ু দূষণ বেড়েই চলেছে। এর তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বিশ্বে বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে।

নিউজ ট্যাগ: বায়ুদূষণ

আরও খবর



আজকের রাশিফল: শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আজ নতুন কী ঘটতে চলেছে? আজ কি আপনার জন্য ভাল কিছু অপেক্ষা করে আছে? কেমন থাকবে আপনার আর্থিক অবস্থা? নাকি খারাপ কিছুর অপেক্ষা করে আছে আপনার ভাগ্যে। বিখ্যাত জ্যোতিষীর দ্বারা বিশ্লেষণের পর আজকের দিন নিয়ে ভবিষ্যত গণনা জানুন আপনার আজকের রাশিফলে।

মেষ : বন্ধু বা আত্মীয়কে ঋণ দিতে পারেন। অন্যকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে আপনার দিনের প্রথম ভাগটি কাটবে। কঠিন সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। বড়দের পরামর্শ নেওয়া ভাল। স্বল্প সময়ের জন্য হলেও কারোর থেকে দূরে সরে যেতে পারেন।

বৃষ : দিনের শুরুতেই চাকরি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের সাথে প্রতিযোগিতায় জয়লাভ। প্রেমের দিক থেকেও দিনটি ভাল। ঘরে সুখ ও শান্তির পরিবেশ। সারাদিনে মিশ্র ফললাভ।

মিথুন : আজ অন্যের অনুভূতি বুঝে কাজ করলে ভাল হবে এবং মনে সন্তোষ থাকবে। মাঝে মাঝে অন্যের মতে চললে কোন ক্ষতি নেই। অফিসে দলগত প্রচেষ্টায় কঠিন সমস্যার সমাধান।

কর্কট : আজ নিজেকে প্রমাণ করার অনেক সুযোগ থাকবে। এগুলি চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কাজ করা আপনার দায়িত্ব। এছাড়াও যে সুযোগগুলি বার বার আসছে সেগুলো নিয়েও ভাবুন। চাকরি নিয়ে চাপ নেওয়ার দরকার নেই। বন্ধুদের সাথে দিনটি আনন্দে কাটান।

সিংহ : আজকের দিনটি পূর্ণ আনন্দে কাটবে। বিতর্কে জয়লাভ। ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত কারও সাথে পরামর্শ করার দরকার হতে পারে। প্রতিটি নতুন কাজের আইনি সমস্যা গুলি অতিক্রম করা আপনার পক্ষে সহজ হবে।

কন্যা : আজকে আপনাকে অনেক বেশি দায়িত্ব বহন করতে হবে। বাড়ির পুরানো আটকে থাকা কাজ শেষ করার সুযোগ পাবেন। দিনের দ্বিতীয় ভাগে প্রিয়জনের সাথে ঘুরতে যাবার পরিকল্পনা করতে পারেন। ব্যবসায় কোনও ধরণের ঝুঁকি নেবেন না।

তুলা : আজ পুরানো বকেয়া মেটাতে পারেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কিনতে হতে পারে। পকেটের বিশেষ যত্ন নিন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনবেন না। ব্যবসায় বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে নেওয়া পরামর্শ কার্যকর হতে পারে।

বৃশ্চিক : সারাদিন খুব ব্যস্ত থাকবেন। দিনের প্রথমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফোন কল এবং ইমেলের উত্তর দেওয়া প্রয়োজন। কোনও পুরানো বন্ধুর সাথে হঠাৎ দেখা হতে পারে। সে যদি আপনার থেকে ধার চায় তবে সঞ্চয়ের কথা ভেবে তারপর ধার দিন।

ধনু : অফিসে নতুন দায়িত্ব পেতে পারেন। সৃজনশীল কাজেও আগ্রহ বাড়বে। সন্ধ্যায় জিনিসপত্র ক্রয়। বাড়ির প্রবীণদের সাথে তর্ক না করাই ভাল। তাদের মতামত শুনুন, পরে তা কার্যকরী হতে পারে।

মকর : আজ নতুন কোনো পরিকল্পনাকে কেন্দ্র আপনার নতুন শক্তির উন্মেষ হবে। প্রেম সম্পর্কে খুব উত্তেজিত থাকবেন। মনের কথা বলার এটি সেরা সময়। অফিসে পদোন্নতি বা বেতন বাড়ার সম্ভাবনা। আপনার প্রত্যাশার উপর নজর রাখুন।

কুম্ভ : সকালের দিকে স্বল্প ধনপ্রাপ্তি। তবে কোন কাজই ছোট বা বড় নয়। একবার কাজের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলেই দুনিয়া আপনার হাতের মুঠোয় আসবে। আজকের সন্ধ্যা পরিবারের সাথে আনন্দে কাটবে।

মীন : আজ আপনি নিজের কাজ উপভোগ করবেন। প্রতিপক্ষের সমালোচনার দিকে মনোযোগ না দিয়ে নিজের কাজ চালিয়ে যান। সাফল্য একদিন আপনার পদতলে হবেই। আপনার সামাজিক পরিচিতি বাড়াতে সক্ষম হবেন। সাথে সম্মানও বাড়বে। আটকে থাকা কাজগুলোও যদি চেষ্টা করেন তবে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪