আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

‘প্রধানমন্ত্রীর তদারকিতে দেশে আজ মাছ-মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ’

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশ আজ মাছ ও মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ দেশের মাছ এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্র অর্জনসহ মাংস বিদেশে রপ্তানী করা হচ্ছে যা বাংলাদেশের ইতিহাসের রেকর্ড। আর এ সব সম্ভব হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও তদারকির।

বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উদ্যোগে শেখ রাসেল ষ্টেডিয়ামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাক্তার সঞ্জীব দাশের সভাপতিত্বে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশকে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসাবে গড়ে তুলতে কাজ করছেন। তাই তিনি নিজেও অবসরে চাষাবাদে নিয়োজিত থাকেন। তাই আমাদেরকে দেশ ও নিজেকে আত্মনির্ভরশীল করতে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু পালনসহ মাছের চাষ বাড়াতে হবে

পরে মৎস্য অফিসের উদ্যোগে মন্ত্রী উপজেলার ৩ নিখোঁজ ও মৃত জেলেদের প্রতি পরিবারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এ ছাড়া অসহায় ও দুঃস্থ ৮০ জেলেদের ২০ জনকে প্রত্যেককে একটি করে গরু, ২০ জনকে প্রত্যেককে ২টি করে উন্নত জাতের ছাগল এবং ৪০ জেলেকে জালসহ গরু-ছাগলের খাবার প্রদান করা হয়। এ ছাড়া একই দিন সকালে মন্ত্রী উপজেলা পরিষদের স্বাধীনতা মঞ্চে উপজেলার ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫২ জোড়া বেঞ্চ প্রদান করেন। ওই প্রদর্শনীতে উপজেলার প্রায় শতাধিক গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী ও পাখির ষ্টলের মধ্যে প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪টি ক্যাটাগরিতে ১২ জন খামারীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ওই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের বরিশাল বিভাগীয় পরিচালক ডাক্তার মো. আব্দুস সবুর, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার তরুন কুমার সিকদার, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।


আরও খবর



চীনে সুড়ঙ্গের প্রাচীরে বাসের ধাক্কায় নিহত ১৪

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীনে একটি যাত্রীবাহী বাস সুড়ঙ্গের প্রাচীরের সঙ্গে লেগে ১৪ জন নিহত এবং ৩৭ জন আহত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি নিউজ এ খবর জানিয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর ২টা ৩৭ মিনিটে শানসি প্রদেশের হুবেই এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় আহত অনেক লোককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে আরেকটি পৃথক দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) পূর্ব চীনে তিনজন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছে। ঝেজিয়াং প্রদেশে অবস্থিত একটি ভোকেশনাল স্কুলে ভিড়ের মধ্যে একটি গাড়ি ধাক্কা দিলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। সিনহুয়া নিউজের বরাত দিয়ে স্থানীয় জননিরাপত্তা ব্যুরো এ খবর জানিয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সকাল ১১ টা ২০ মিনিটে তাইজৌ ভোকেশনাল অ্যান্ড টেকনিক্যাল কলেজে। আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।


আরও খবর



ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ভবনটিকে তিনবার নোটিশ দেয়া হয়: মহাপরিচালক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় তিনবার নোটিশ দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে বেইলি রোডের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

মাইন উদ্দিন বলেন, এই ভবনকে পূর্বে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ভবনের মালিককে তিনবার নোটিশ পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, এই ভবনে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। এ কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে মাইন উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা নিচতলার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের ২ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে পুলিশ, আনসার, র‌্যাব ও এনএসআই।

এদিকে আজ সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দ্বগ্ধ চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও শঙ্কামুক্ত নন।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন ভর্তি আছেন। তাদের প্রত্যেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আহতদের চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার সরকার বহন করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বেইলি রোডের আগুনে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



আমদানির খবরে হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) হিলির বিভিন্ন বাজারে আগের চেয়ে অন্তত ১০টাকা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।

দুপুরে বাংলাহিলি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুদিন আগে দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ টাকা থেকে ১০৫ কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা হামিদুল হোসেন বলেন, দুদিন আগে আমি পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি দরে। আজকে আধা কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ৪৫ টাকা দিয়ে।

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা তারেক হোসেন বলেন, দুদিন আগে পাইকারি বাজার থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯৪-৯৫ টাকা দরে কিনে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে পাইকারি বাজার থেকে ৮৭ থেকে ৮৮ টাকা দরে কিনে খুচরা ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি করছি।

তিনি আরও বলেন, চার দিন আগে মোকামে পেয়াঁজ সকালে এক দামে কিনলে বিকালে আরেক দাম ওঠে। এভাবে দাম ওঠানামা করলে আমরা পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বিপাকে পড়ে যাই। আর কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা আমাদের লোকসান গুনতে হয়। আমরা স্থানীয় পাইকারি বাজারে চার দিন আগে যে পেঁয়াজ কিনেছি ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে, সেই পেঁয়াজ আমরা খুচরা পর্যায়ে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। আগে ক্রয় করা পেঁয়াজ এখনও বিক্রি করে শেষ করতে পারিনি। রবিবার থেকে মোকামে দাম কমায় আমাদের আগের কেনা পেঁয়াজ ৫ থেকে ১০ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে।

হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, বর্তমানে মোকামে পেয়াঁজ প্রকারভেদে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। আবার পরিবহন ভাড়া আছে। সব খরচ মিলে মোকামেই পেয়াঁজের ক্রয় খরচ পড়ছে কেজিপ্রতি ৯৩ টাকা ৫০ পয়সা।


আরও খবর



জবির হোস্টেল ছেড়েও রেহাই পাননি অবন্তিকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানের যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের গালমন্দ থেকে রক্ষা পেতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হোস্টেল ছেড়েছিলেন আত্মহত্যা করা আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা।

কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় করা মামলার এজাহারে এমনটিই দাবি করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম। এজাহারে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে থাকা শুরু করলে অবন্তিকার সঙ্গে আম্মান আরও বেশি কুরুচিমূলক আচরণ শুরু করে। এরপরই গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাসায় ফেরত যান।

গতকাল শনিবার রাতে তাহমিনা বেগমের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে জবির সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে।

এজাহারে তাহমিনা বেগম উল্লেখ করেছেন, ফাইরুজ অবন্তিকা (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল। আমার মেয়ে মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে সিট পায়। অবন্তিকা আমাকে জানায় যে, তাঁর ক্লাসমেট রায়হান সিদ্দিক আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন দেয় ও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এজন্য আমার মেয়ে হোস্টেলে থাকাটা নিরাপদ মনে না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করে।

কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত দুজন ক্ষান্ত হননি। তারা অবন্তিকার কয়েকজন ক্লাসমেটের মাধ্যমে তাঁর চলা ফেরার প্রতি নজর রাখতে শুরু করে। তাদের মাধ্যমেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লার বাসায় চলে আসে। অন্যমনস্ক অবন্তিকা আমাকে জানায়, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে উঠেছিল সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। অর্থাৎ বিবাদী রায়হান সিদ্দিক আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে আমার মেয়ের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে।

তাহমিনা বেগম দাবি করেন, সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে ৬ থেকে ৭ বার অফিসে ডেকে অপদস্থ করেন। মেয়ে কুমিল্লা চলে আসলেও তাঁকে খারাপ মেয়ে হিসেবে প্রচার করবে, যেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে আমার মেয়ে কুমিল্লা নগরীর বাঁগিচাগাও বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।


আরও খবর



ত্রিশালে তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আসামি ছিনতাই

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোমিন তালুকদার, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের ৩ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় ত্রিশালের ধানিখলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ কর্মকর্তারা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন এসআই ইসমাইল হোসেন (৩০), এএসআই গোলাম রসুল (৩৫) ও এএসআই রাকিব (৩৯)। তারা প্রত্যেকেই ত্রিশাল থানায় কর্মরত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

তিনি জানান, এএসআই রাকিবের পেটে কোপ লেগেছে। তিনি অপারেশন থিয়েটারে রয়েছেন। এ ছাড়া এসআই ইসমাইলের পিঠে ও এএসআই রসুলের কনুইয়ের ওপরে কোপানোর আঘাত রয়েছে। শুরুতে রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। আহতদের বেডে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রাকিবের অবস্থা কিছুটা গুরুতর।

ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, বেদেনা নামে এক ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে ধানিখোলা ইউনিয়নের শিমুলিয়াপাড়া এলাকায় যায় পুলিশ। বেদেনাকে বাড়িতে পেয়ে গ্রেপ্তার করতে চাইলে তার ছেলে নাইম ও হারুন এলোপাতাড়ি তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে মাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে, মূল আসামি বেদেনাসহ অন্যরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


আরও খবর