চুয়াডাঙ্গার
ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী দশম শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষা
চলাকালে কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষককে চড়-থাপ্পর মেরে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা
জেলা প্রশাসক ও ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি
ড. কিসিঞ্জার চাকমা চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) শারমিন আক্তারকে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন
দিতে বলা হয়েছে। পরে এই ঘটনায় আজ সোমবার সকাল ১১ টায় শিক্ষার্থীরা মানবন্ধন করে ওই
শিক্ষার্থীর বিরোদ্ধে।
চুয়াডাঙ্গার
ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সফিয়ার রহমান জানান,
গত রবিবার সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের ১১২ নং কক্ষে দশম শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষা
চলছিল। ওই কক্ষে দায়িত্বরত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (বাংলা) হাফিজুর রহমান।
পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার হলে বিশৃংখলা ও অসধুপায় অবলম্বন করে এক ছাত্র। দায়িত্বরত
শিক্ষক ওই ছাত্রের খাতা নিয়ে নিলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ছাত্র দায়িত্বরত শিক্ষককে চড়-থাপ্পর
মেরে পরীক্ষার হল থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্র বিদ্যালয়ে থাকা তার মোটরসাইকেল
নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আজ
সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষরা কর্মবিরতি
পালন করেন। শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে মর্নিং শিফটের তিনটি ক্লাস নেননি। পরে এই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
শহরে মানববন্ধন করে ও বিক্ষোভ করে। পরিক্ষার
হলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনায় ছাত্র দ্বারা শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় প্রতিবাদি মানবন্ধন
করা হয়। এসময় মানবন্ধন আয়োজন করেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মানবন্ধনে অংশগ্রহণকারি
সকল শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষক একটি জাতির গৌরব। আর শিক্ষকের হাতে কলমে একটি শিক্ষার্থী
প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে। কিন্তু এখানে ওই শিক্ষার্থী শিক্ষকের ওপর হামলা ও পরিক্ষা চলাকালিন
সময়ে যে ঘটনা ঘটিয়েছি। এর তীব্র নিন্দা জানায় ওই শিক্ষার্থীর বিরোদ্ধে। তাই পরবর্তিতে
যেন এই রকম আর কোনো শিক্ষক যেন শিক্ষার্থীর কাছে লাঞ্ছিত না হয়। সেজন্য ওই শিক্ষার্থীর
শাস্তির দাবি জানায়। একই সাথে প্রশাসন ও বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে ওই শিক্ষার্থীর
শাস্তির দাবি করছি।