নরসিংদীর
রায়পুরায় পাঁচ বছর প্রেম করে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে করেন প্রেমিক স্বজলকে। বিয়ের
পর সামি নামের আরেক প্রেমিকের সঙ্গেও চার বছর ধরে চালিয়ে যান সম্পর্ক। গত শনিবার (৩
সেপ্টেম্বর) স্বামীর ঘর ছেড়ে বিয়ের দাবিতে সামির অবস্থান নেন ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী।
এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যান তাঁর স্বজনেরা।
সামির বাড়িতে অবস্থান নিয়ে ব্যর্থ হয়ে সোমবার বিকেলে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই তরুণী। এরপর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করেন স্বজনেরা। ওই তরুণীর চাচাতো ভাই এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে প্রেমিক সামি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
স্থানীয়দের
সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত তিন মাস আগে উভয় পরিবারের সম্মতিতে একই গ্রামের স্বজল
নামে ছেলের সঙ্গে বিয়ে ওই তরুণীর। কিন্তু স্থানীয় স্কুলে পড়ার সময় চার বছর আগে সামির
সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই তরুণীর। বিয়ের পরও স্বামীর অনুপস্থিতিতে মোবাইলে
ওই প্রেমিকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। এ নিয়ে কয়েক দফায় গ্রাম্য সালিসি হয়।
গত পাঁচ
দিন আগে সালিসি মীমাংসায় স্বামীর সংসার করবে না বলে তালাক দিয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার
বাড়ি চলে আসেন তিনি। এরপর শনিবার সকালে বাবার বাড়ি থেকে ওই প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান
নেন। প্রেমিকের পরিবার এ ঘটনার পর ঘরে তালাবদ্ধ করে অন্যত্র চলে যায়। অন্যদিকে প্রেমিকও
উধাও হন। প্রেমিককে না পেয়ে বিয়ের দাবিতে সামির বাড়িতে অবস্থান করেন। পরে পরিবারের
সদস্যরা তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর সোমবার তিনি সামিকে না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা
করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ নিয়ে
গত শনিবার ওই তরুণী জানান, স্বজলের সঙ্গে তাঁর পাঁচ বছরের প্রেম ছিল। আর সামির সঙ্গে
ছিল চার বছরের প্রেম। কিন্তু পরিবারের সম্মতিতে স্বজলকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর সামির
সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো তাঁর। সামি তাঁকে মোবাইলে নিয়মিত টাকা তুলে দিতেন। অনশনের আগে
তিনি স্বামী স্বজলকে তালাক দিয়েছেন। কয়েক দিনের মধ্যে তালাকের কাগজ আসবে বলে জানান
তিনি।
এদিকে
এ নিয়ে জানতে চাইলে ওই তরুণীর মা বলেন, মেয়েকে বারবার বোঝাচ্ছি, মেয়ের যেটা ইচ্ছে সেটাই
হোক। শত হলেও তো মেয়েকে ফেলে দিতে পারি না। বিষয়টি সমাধানে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে
রায়পুরা থানার পরিদর্শক তদন্ত গোবিন্দ সরকার বলেন, ‘অনশনের
পর ওই দিন ওই তরুণী বাবার বাড়ি চলে যায় এতটুকুই জানা। আজকের ঘটনায় অবগত নই। লিখিত অভিযোগ
না পেলে পুলিশের কিছুই করার নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।