আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

প্রেমিকার কোলেই মারা যান সিদ্ধার্থ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বলিউডের তরুণ মডেল ও অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা মারা গেছেন। মাত্র ৪০ বছরেই জীবনের ইতি টানলেন তিনি। তার এই আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না বলিউডপ্রেমীরা। তবে সবচেয়ে বেশি যিনি আঘাত পেয়েছেন, ভেঙে পড়েছেন, তিনি শেহনাজ গিল, সিদ্ধার্থের প্রেমিকা।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে সিদ্ধার্থের বাড়িতেই ছিলেন শেহনাজ গিল। এদিন সন্ধ্যারাত থেকেই অস্বস্তি বোধ করছিলেন অভিনেতা। তখন শেহনাজ ও সিদ্ধার্থের মা রিতা শুক্লা ছিলেন পাশে। তারা সিদ্ধার্থকে লেবু পানি ও আইসক্রিম খাওয়ান। যাতে তার অস্বস্তি কাটে।

রাত দেড়টার দিকে শেহনাজের কোলে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েন সিদ্ধার্থ। ঘুমিয়ে যান শেহনাজও। সকালে শেহনাজ ঘুম থেকে উঠে দেখেন সিদ্ধার্থ নড়াচড়া করছেন না। এরপর পরিবারের অন্যদের ডাকেন। তাৎক্ষনিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে চিরতরে না ফেরার দেশে চলে গেছেন অভিনেতা। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রেমিকের মৃত্যুতে একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন শেহনাজ। গণমাধ্যমের সঙ্গে পর্যন্ত কথা বলছেন না। তার বাবা সন্তোষ সিং সুখ বলেন, ও কথা বলতে পারছে না ঠিকমতো। শুধু একটা কথাই বারবার বলছে- বাবা, আমার হাতে ও পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। আমি এবার কীভাবে বাঁচব?


আরও খবর



দিনাজপুরে বাঁশের ফুল থেকে চাল, হচ্ছে ভাত-পোলাও পায়েস

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

নানা ধরনের সুগন্ধি চাল উৎপাদনের জন্য দিনাজপুরের নামডাক দেশজুড়ে। এ জেলায় উৎপাদিত ধান-চাল দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হয়ে থাকে। এবার দিনাজপুরেই পাওয়া যাচ্ছে বাঁশফুলের চাল (দানা)। শুনতে অবাক মনে হলেও এই চাল থেকেই তৈরি হচ্ছে ভাত, পোলাও, পায়েস। এমনকি চালের আটা দিয়ে মুখরোচক পিঠাপুলিও বানানো হচ্ছে।

প্রতিবেশী এক বৃদ্ধের কাছে গল্প শুনে বাঁশফুলের বীজ থেকে এই দানা (চাল) সংগ্রহ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের পাকাপান গ্রামের যুবক সাঞ্জু রায়।

ধান থেকে উৎপাদিত চালের মতোই দেখতে বাঁশফুলের এই চাল। তুলনামূলক কম উৎপাদন আর চাহিদা বেশি থাকায় গ্রাহকদের চাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সাঞ্জু রায়।

সাঞ্জু রায় জানান, স্থানীয় এক বৃদ্ধের কাছ থেকে বাঁশফুল থেকে চাল উৎপাদনের ধারণা পান তিনি। যুদ্ধের সময় যখন চাল কিংবা ভাত অপ্রতুল ছিল, তখন স্থানীয়রা এই বাঁশের ফুল থেকে চাল ফলিয়ে রান্না করে খেতেন। সম্প্রতি এক বৃদ্ধ সাঞ্জু রায়ের এলাকায় বাঁশ ফুল দেখে চাল উৎপাদনের কথা বলেন। তার প্রেরণায়ই সাঞ্জু চাল উৎপাদনের পরিকল্পনা করেন।

প্রথমে বাঁশফুল সংগ্রহ করেন সাঞ্জু। লম্বা হওয়ায় বাঁশের ওপরের অংশ থেকে ফুল সংগ্রহ করা বেশ কষ্টকর। সংগৃহীত ফুল পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। সেই ফুল রোদে শুকিয়ে মেশিনের সাহায্যে ছোট-ছোট করে চালের মতো ভাঙানো হয়।

স্থানীয়রা জানান, বাঁশফুল থেকে চাল উৎপাদনের বিষয়টি সাঞ্জু রায়ের কাছ থেকে প্রথম দিকে শুনে বিশ্বাস হচ্ছিল না। তবে যখন সত্যিই তিনি চাল উৎপাদন করলেন, তখন সবাই অবাক হয়েছেন।

৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাঁশফুলের চাল। অনেকে চালের বিনিময়েও বাঁশফুলের চাল কিনছেন। এই চাল থেকে তৈরি পোলাও, ভাত কিংবা পায়েস বেশ সুস্বাদু বলেও জানান তারা।

বেড়ুয়া বাঁশ বা কাটা বাঁশের ফুল থেকে এই চাল উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব বাঁশের বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছর বলে জানা গেছে।


আরও খবর



‘আকুতি করেও খোলেনি গেট, দেরিতে আসায় দেওয়া হলো না পরীক্ষা’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জ সদরের মিরকাদিম পৌরসভার প্রকাশ মণ্ডলের (২৯) ইচ্ছে ছিলো শিক্ষক হওয়ার। সে স্বপ্ন পূরণে শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে উপস্থিত হন মুন্সিগঞ্জের টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) কেন্দ্রে। তবে আসার পথে বিলম্ব হয়। সকাল ৯টা ৩০মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রে থাকার কথা থাকলেও ৯টা ৩৫মিনিট উপস্থিত হওয়ায় প্রবেশাধিকার মেলেনি। এসময় বারবার চেষ্টা করে বিভিন্ন আকুতি করলেও গেট খোলা হয়নি।

শুধু প্রকাশই নয় শুক্রবার পিটিআই কেন্দ্রে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বিলম্বে উপস্থিত হওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেনি অনেক পরীক্ষার্থী।

শহরের দেওভোগ থেকে ৯টা ৪০মিনিটে উপস্থিত হওয়া সাজ্জাদ হোসেন (২৭), চরকেওয়ার ইউনিয়ন থেকে ৯টা ৪৫ মিনিটে আসা মো. রফিকুল ইসলাম, লৌহজং থেকে আসা সুমনসহ (৩০) বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গেটে আকুতি করতে দেখা যায়। এসময় পরীক্ষা দিতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন কেউ কেউ। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কয়েকজন অভিভাবকদেরও আকুতি করতে দেখা যায়।

পরীক্ষার্থী প্রকাশ মণ্ডল বলেন, রাস্তায় গাড়ির কারণে মাত্র পাঁচ মিনিট দেরিতে পৌঁছেছি। আমাকে সুযোগটি দিতে পারতো। গেটে অনেকবার আকুতি করলেও কারো সাড়া পেলাম না।

১০ মিনিট বিলম্বে ৯টা ৪০মিনিটে উপস্থিত হওয়া রনী ঘোষ (৩০) বলেন, এটি আমার চাকরি পাওয়ার শেষ বছর। তাই শেষ চেষ্টা করার জন্য এসেছিলাম। পথে পাঁচ মিনিট দেরি হয়ে যায়। এজন্য আর হলে ঢুকতে পারলাম না।

আরও কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান, নানা কারণেই তাদের কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে এমন হবে জানলে আরও আগেই উপস্থিত হতাম।

এবিষয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (শিক্ষা শাখা ও আইসিটি শাখা) মুনতাসির মাহফুজ জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিলো সকাল ৮টা ৩০মিনিটে পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণ ও সকাল সাড়ে ৯টায় প্রবেশাধিকার বন্ধের। নির্দেশনা অনুযায়ী ৯টা ৩০মিনিটে গেট বন্ধ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষক পদ একটি দায়িত্বশীল জায়গা। যারা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে তাদের সময়ের গুরুত্ব অনুধাবন করা উচিত। সময়মত কেন্দ্রে প্রবেশের বিষয়টিও একটি পরীক্ষা ছিলো। তাই বিশৃঙ্খলা এড়াতেই নির্ধারিত সময়ের পর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, এবার মুন্সিগঞ্জ জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ছয় হাজার ৫৭ পরীক্ষার্থী ছিলো। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলার ৯ কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ভিজলেন মেয়র আতিক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বৈশাখের গরমে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে বৈশাখের দাবদাহে। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরমে বিমর্ষ প্রাণ প্রকৃতি। এ অবস্থায় বায়ুদূষণ ও তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে নিজেদের আওতাধীন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি ছেটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। পাশাপাশি ২৫০টি ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করাচ্ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণি সড়কে সাজিয়ে রাখা হয় ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের গাড়ি। পাশাপাশি খাবার পানির বিশেষ ভ্যান গাড়িও রাখা হয়। সেখানে আসবেন মেয়র, কার্যক্রমগুলো করবেন পরিদর্শন, দেবেন নির্দেশনা।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। এদিকে এমন সব স্প্রে ক্যানন এবং ব্রাউজারের গাড়ি দেখে আশপাশের এলাকার শিশু কিশোররা আগেই জোড় হয়েছিল সেখানে। মেয়রের আসা দেখে চালিয়ে দেওয়া হলো স্প্রে ক্যানন। চারিদিকে ঝর্ণার মত ছিটতে থাকলো পানি। এ পানিতে হইহুল্লোড় করে ভিজতে শুরু করলো উপস্থিত শিশু কিশোররা। যা দেখে মেয়র আতিকও যুক্ত হলেন শিশু কিশোরদের সঙ্গে, নিজেকে ভিজিয়ে নিলেন তিনিও।

পরে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যানন এবং ১০টি ব্রাউজারের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টা স্প্রে করতে পারে। এটি বায়ুদূষণ রোধের পাশাপাশি তাপ কমাতেও ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি প্রতি ওয়ার্ডে ৩ টি বিশেষ ভ্যানগাড়ির মাধ্যমে পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থার ভ্যান।


আরও খবর



ডেমরায় দাঁড়িয়ে থাকা সাতটি ভলভো বাসে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি বাসে আগুন লেগেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।

আজ সোমবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের সিদ্দিক বাজার স্টেশনের ৫টি ইউনিট।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন।

তিনি বলেন, ডেমরার ধার্মিকপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা অন্তত ৭টি ভলভো বাসে আগুন লেগেছে বলে জানান তিনি।

রাজধানীর ডেমরায় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট।

সোমবার (১ এপ্রিল) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ডেমরার ধার্মিক পাড়ায় আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ দিন খালিদ।

তিনি জানান, ডেমরার কোনাপাড়ার ধার্মিকপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ভলভো বাসে আগুন লাগার খবর আসে। খবর পেয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে ডেমরা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ও পরে সিদ্দিকবাজার থেকে আরও চারটি ইউনিট যোগ দেয়।

তবে প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



ঈদযাত্রায় চলন্ত ট্রেনে সন্তান জন্ম দিলেন প্রসূতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী জংশন অতিক্রম করার সময় ট্রেনের মধ্যেই সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেনে সন্তান জন্ম দেন ওই নারী। পরে মা ও নবজাতককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রসূতি স্বর্ণা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের ইয়াসিন আরাফাতের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সোয়া ৯টার দিকে দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ওই প্রসূতি তার পরিবারসহ নম্বর বগিতে ওঠেন। ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টার দিকে ভেড়ামারা রেলস্টেশনে এলে ওই নারীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেনে কোনো চিকিৎসক আছেন কি না জানতে চেয়ে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা শুনে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজনীন আক্তার দ্রুত নম্বর বগিতে এসে নিজের পরিচয় দেন। পরে তার সহযোগিতায় ১১টা ৪০ মিনিটে একটি ছেলেসন্তান জন্ম দেন ওই প্রসূতি।

এ বিষয়ে ডা. নাজনীন আক্তার জানান, তিনি ট্রেনে আলমডাঙ্গা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। মাইকিং শুনে বগিতে ছুটে যান। সেখানে কাপড় টাঙিয়ে তিন সিটের একটি চেয়ারে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়।

জন্ম প্রসবে কোনো সমস্যা হয়নি, তাই বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।

এ প্রসঙ্গে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে মা ও শিশু সুস্থ আছেন।


আরও খবর