আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই ৬৬ লক্ষ টাকা উত্তোলন

প্রকাশিত:সোমবার ২১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত জুন মাসের ৩০ তারিখে। এখনও শুরু করাই হয়নি কাজ। অথচ বিল ভাউচার বানিয়ে কাজের পুরো ৬৬ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৩৩ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে এ অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে।

তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম। যোগাযোগ করা হলে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে আর কোনো তথ্য দেননি। এমনকি মোবাইল ফোনে কল করা হলেও ফোন ধরেননি মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

তথ্যে জানা যায়, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এ উপজেলার ৩৩ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাইনর মেরামত বাবদ ২ লক্ষ করে মোট ৬৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাজ বাস্তবায়নের শেষ তারিখ ছিলো গত ৩০ জুন। এখনো শুরু করাই হয়নি প্রকল্পের কাজ। ফেরতও দেয়া হয়নি টাকা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধর্মপুর ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে মেরামতের কোনো দৃশ্য চোখে পড়েনি। কথা হয় প্রধান শিক্ষক মো. আজহারুল ইসলামের সাথে। ২লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, প্লান ও আবেদন এখনো কিছুই করা হয়নি।

বোয়ালি ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা মিলেনি প্রধান শিক্ষক মো. আনিছুর রহমানের সাথে। সহকারী শিক্ষকদের সহায়তায় মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দেয়ার পর কথা হয় তাঁর সাথে। চা খেতে বাহির আছেন তিনি। তাঁর স্কুলে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ আছে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, টাকা বা চেক চাচ্ছি কিন্তু দিচ্ছেন না। না দিলে কিভাবে কাজ শুরু করবো। মাষ্টারদের তো আর এক্সট্রা টাকা থাকে না যে সে টাকা দিয়ে কাজ করবো। চেক বা টাকা পেলেই কাজ শুরু করবেন বলেও জানান এ প্রধান শিক্ষক।

কথা হয় বামনজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ দিনারা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, টাকা না পেলে কাজ করবো কিভাবে। তবে গত বৃহস্পতিবার ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন আশা করছি সপ্তাহখানেক পরে কাজ শুরু করতে পারবো।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উপজেলা সভাপতি ও বোয়ালী ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, রেজুলেশন করে চাহিদা জমা দিয়েছি গত ২ আগস্ট। চেক পেলেই কাজ শুরু করবেন তিনি।

টাকা আছে নাকি ফেরত গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ফেরত যায়নি এখনো টাকা আছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ না করেও টাকা ফেরত যায়নি এর কারণ জানতে চাইলে কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি প্রধান শিক্ষক মো. জাহেদুল ইসলাম। কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৩০ জুন। এখনো শুরুই করতে পারিনি। এটা চরম অনিয়ম বলেও স্বীকার করেন এ শিক্ষক নেতা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন-অর-রশিদ এ বিষয়ে কোনো পরিষ্কার ধারণা না দিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম বলেন, বিষয়টি শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে দেখি। কেনো তাঁরা কাজ করেননি। আর না করে থাকলে বরাদ্দকৃত অর্থই বা তারা কি করেছে। এ ছাড়া অন্য কোনো বিষয় আছে কি না। খোঁজ নিয়ে জানাবো।


আরও খবর



ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক নেহাল আহমেদের অভোগকৃত অবসরউত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর মেয়াদে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।

মাউশিতে অধ্যাপক নেহাল আহমেদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় গত ১৩ এপ্রিল। ওই দিন ঈদের ছুটি থাকার কারণে তিনি শেষ অফিস করেন ৯ এপ্রিল। এরপর থেকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।

এর আগে গত ১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে গ্রেড-১ এ পদোন্নতি দিয়ে মাউশির মহাপরিচালক পদে পদায়ন করা হয়।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। তিনি ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ ছিলেন। মাউশির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।


আরও খবর



১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোটগ্রহণ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৮টি জেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হচ্ছে আজ। নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় নির্ধারিত সময়ে ভোট শুরু হয়েছে, যা একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

যেসব ইউনিয়ন পরিষদে ভোট চলছে সেগুলো হলো- লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখা, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ; দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়ার পুঠিয়া; পটুয়াখালী সদরের কমলাপুর ও ভুরিয়া; বরগুনার আমতলীর আমতলী; সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর; বাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, ঈদগাঁও এবং পোকখালী।

২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বাকি ইউপির ভোট হচ্ছে সময়ে সময়ে।

রবিবার একই সময়ে পৌরসভায় ৯টি পদে, দুটি জেলা পরিষদে এবং ৬৫টি ইউপির বিভিন্ন শূন্য পদে উপনির্বাচন হচ্ছে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এ সেল নির্বাচন ভবন থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাদের নিয়ে এ সেল কাজ করে।


আরও খবর



মুম্বাইয়ে নয় জনের সঙ্গে একঘরে রাত কাটিয়েছেন নোরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিগ বস-এ তার উপস্থিতির মাধ্যমে রাতারাতি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন নোরা ফাতেহি। এরপর একের পর এক ছবি, মিউজিক ভিডিওর হাত ধরে এখন বিশ্বব্যাপী এক ঘরোয়া নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। সম্প্রতি মাডগাঁও এক্সপ্রেস ছবিতে তার অভিনীত চরিত্রের জন্য সকলের মন জয় করেছেন নোরা। কিন্তু, একটা সময় বলিউডে পা রেখেই নোরা বুঝেছিলেন সফরটা এতোটা সহজ নয়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে, নোরা তার স্বপ্নের শহর মুম্বাইতে এসে কঠিন সময়ের অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করেছেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরোক্কান নৃত্যশিল্পী নোরা ফাতেহিকে মুম্বাই শহরে এসে ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, প্রথম যখন এখানে এসেছিলেন নয় জনের সঙ্গে একটি ঘর শেয়ার করে থাকতেন। নোরা এই রুমমেটদের সাইকোপ্যাথ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, আমি তিন বিএইচকে অ্যাপার্টমেন্টে নয়জন সাইকোপ্যাথের সাথে থাকতাম যেখানে আমি অন্য দুই মেয়ের সাথে ঘরটি ভাগ করে নিতাম। সেখানে থাকাকালীন আমি ভাবতাম, আমি কীসের মধ্যে পড়েছি? আমি এখনও সেই ট্রমার মধ্যে আছি।

সাক্ষাৎকারে নোরা বলেন, হিন্দি শিখতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু অডিশনের সময় ভয়ানক অবস্থা হতো আমার। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতাম না। নিজেকে খুব বোকা বলে মনে হত। কিন্তু কিছু মানুষ তো ক্ষমা করেন না। সামনাসামনি হাসাহাসি করতেন তারা। বলতেন, আমি সার্কাস থেকে এসেছি। খুব অসম্মানজনক বলে মনে হয়েছে আমার। বাড়ি ফেরার সময় কাঁদতাম।

এছাড়া নোরা এজেন্সিগুলির হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে যে শোষণের সম্মুখীন হয়, তাও তুলে ধরেছিলেন। তাকে সামান্য বেতন দিত সেই এজেন্সি। সেই সময়ে ডিম-পাউরুটি খেয়ে বেঁচে ছিলেন বলে জানান নোরা।

বিগ বস ৯ সিজনে অংশগ্রহণ করেছিলেন নোরা। সে সময় প্রিন্স নারুলার সঙ্গে তার রোম্যান্টিক লিঙ্ক আপ আলোচিত হয়েছিল। বিগ বসের বাড়িতে তাদের প্রেম শিরোনাম তৈরি করতো।

বিগ বসের পর তাকে দেখা যায় ব্লকবাস্টার বাহুবলী ছবির একটি নাচের দৃশ্যে। ক্যারিয়ার শুরু হয় সেই থেকে। ঠিক মতো হিন্দি বলতে পারতেন না অভিনেত্রী। অনেক হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন নোরা। ধীরে ধীরে বলিউডের অন্দরমহলে নিজের জায়গা করেছেন তিনি।


আরও খবর



ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছ। রাজধানীবাসীদের মধ্যে অনেকে নানা কারণে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে যেতে পারেননি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঈদের দিনে ঢাকা ছাড়ছেন। কমলাপুর স্টেশনে সকাল থেকেই ছিলো যাত্রীর চাপ। সড়কের পাশাপাশি ভোর থেকেই রেলপথে যাত্রীর দেখা মেলে কমলাপুর স্টেশনে।

মূলত ঈদে যাত্রাপথের ভোগান্তি এড়াতেই ঈদের পরদিন গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন বলে জানান যাত্রীরা। আবার টানা ছুটির কারনে যাত্রার জন্য অনেকেই বেছে নিয়েছেন ঈদের পরদিনকে। ময়মনসিংহ,চট্টগ্রাম,সিলেটের ট্রেনগলো কমলাপুর থেকে যাত্রা করে যথাসময়েই। ঢাকায় ছাড়ার পথে যাত্রীর চাপ থাকলেই ঢাকামুখি মানুষের সংখ্যা ছিলো অনেকটাই কম।

নিউজ ট্যাগ: কমলাপুর স্টেশন

আরও খবর



জয়পুরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই সমর্থককে কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের দুই সমর্থকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের বারইল নলপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বারইল নলপুকুর গ্রামের মৃত বাদেশ সাখিদারের ছেলে পলাশ সাখিদার (৩৮) এবং একই গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন (৩২)। তারা দুজনই চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বারইল নলপুকুর গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে এশার নামাজ চলাকালীন সময় প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী তাইফুল ইসলাম তালুকদার ও বকুল মণ্ডলের লোকজন পটকা ফাটায়। এ নিয়ে দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক পলাশ তাদের নিষেধ করলে তারা পলাশকে মারধর করে। পরে পলাশ তার বাড়ির সামনে গিয়ে তাদের উপর আঘাত করতে চাইলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জখম করে।

এ সময় নাসির হোসেন নামে আরও একজন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার বলেন, আমি আহতদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারকে কয়েকবার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আমি হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের খোঁজখবর নিয়ে নিজে ঘটনাস্থলে এসেছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।


আরও খবর