আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে কোনো আলোচনায় বসবে না ইরান

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর পরমাণু বিষয়ক চুক্তি থেকে বের করে নেওয়ার ঘোষণা দিলে চুক্তিটির বিষয়ে স্থবিরতা দেখা দেয়

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে অনানুষ্ঠানিক কোনো আলোচনায় বসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ইরান। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে আগে তাদের দেওয়া একপক্ষীয় সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবিত আলোচনায় বসার উপযুক্ত সময় নয়। ইরানের এমন অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট হলেও তারা অর্থবহ কূটনৈতিক উপায়ে আলাপ-আলোচনা শুরুর বিষয়ে আগ্রহী বলে জানিয়ে রেখেছে।

২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর পরমাণু বিষয়ক চুক্তি থেকে বের করে নেওয়ার ঘোষণা দিলে চুক্তিটির বিষয়ে স্থবিরতা দেখা দেয়। ট্রাম্প সেসময় ইরানের ওপর কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখন ২০১৫ সালের সেই চুক্তিতে ফিরতে চাইছেন। ওয়াশিংটন বলছে, তেহরানকে অবশ্যই চুক্তির পূর্ণাঙ্গ মেনে চলা শুরু করতে হবে। উল্টোদিকে তেহরান বলছে, এটা একমাত্র তখনই সম্ভব যখন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর জারি করা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।

ইরানি সংবাদমাধ্যমকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খাতিবজাদেহ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিন ক্ষমতাধর দেশের (যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স) কর্মকাণ্ড ও কথাবার্তা বিবেচনায় ইরান ইইউ পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধানের প্রস্তাবিত অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসার সময় এখনও এসেছে বলে মনে করছে না।

পরমাণু প্রযুক্তির প্রসার ও ব্যবহার নিয়ে ২০১৫ সালের অক্টোবরে ইরান জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য দেশযুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। ছয়টি দেশ আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের সঙ্গে ওই চুক্তিতে সাক্ষর করে। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হয়। ২০১৮ সালে এসে ট্রাম্প জয়েন্ট কম্প্রিহেন্সিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জিসিপিওএ) নামের ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে ইরানের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।


আরও খবর



লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

লেবানন থেকে ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দেশটি প্রায় ১০০টি রকেট হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের জাতীয় সংবাদমাধ্যম সেনাবাহিনীর বরাতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে মঙ্গলবার সকালে লেবানন থেকে ব্যাপক রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের আপার গ্যালিলি অঞ্চল ও অধিকৃত গোলানকে নিশানা করে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়েছে। তবে এসব রকেট ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী দ্বারা ভূপাতিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকিগুলো খোলা জায়গায় পতিত হয়েছে।

ইসরায়েলি আর্মি রেডিওসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লেবানন থেকে গোলানকে নিশানা করে ৩০টির বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে প্রায় ১০০টি রকেট ছোড়া হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলার পর থেকে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে আসছে।

এর আগে গত ১০ মার্চ আলজাজিরা জানায়, লেবাননে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে। দেশটির সেনাদের এ হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও অন্তত ৯ জন। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের চারজন রয়েছেন।


আরও খবর



বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না : কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি এদেশের সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে বাহাদুর শাহ পার্কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না।  তাদের চেতনা ও হৃদয়ে পাকিস্তান।

বিএনপি-জামায়াত বাঙালি সংস্কৃতি চেতনার, মুক্তিযুদ্ধের শত্রু উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আজকে কোনো রাখঢাক নেই, আজকে যারা সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক সে বিএনপি-জামায়াত হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতি চেতনার, মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। এই শত্রুকে আসুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাঙালির ঐতিহ্যবাহী চেতনায় আমরা প্রতিহত করি, পরাজিত করি।

কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে শিশু আজও সমুদ্রের মুখ দেখেনি, যে শিশু অকালে ঝরে যায়, বনফুলের মতো ফুটে, বনফুলের মতো অদৃশ্য হয়ে যায়, কমলা রঙের অপরাহ্ণের রৌদ দুহাতে গালে মাখে, সে শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা নির্মাণ করবো।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।


আরও খবর



গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় বাইডেন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি।

যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।

তিনি শুক্রবার বলেন, আমরা নিজেদের রক্ষা করা থেকে কখনও বিরত থাকব না। হেগ আদালতের সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি পদক্ষেপের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।’


আরও খবর



শিল্পী সমিতির নির্বাচন: দুই প্যানেলে লড়বেন যারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আগামী ১৯ এপ্রিল বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। ঈদের পর নির্বাচনের শেষ সময়ে প্রচার-প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে এফডিসি।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলে আছেন মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। আরেক প্যানেলে আছেন সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

নির্বাচনে লড়ছেন যারা

মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলে প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন- সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো.সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।

মিশা-ডিপজল পরিষদে সহ-সভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল, সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন, ফিরোজ মিয়া।


আরও খবর



সোমবার ঢাকা আসবেন কাতারের আমির, সই হবে ৬ চুক্তি ও ৫ স্মারক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানি। এদিন বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি কাতারের আমির শেখ তামিমকে অভ্যর্থনা জানাবেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে তার কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই নেতার বৈঠক হবে এবং এরপর আরও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

পরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির। সেখানে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর শেষে আমির মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীর একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কের নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কাতারের আমির।

নির্বাচিত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে একান্ত একটি বৈঠকও করবেন দেশটির আমির। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।

সরকার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে কাতারের আমিরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাকে স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। সফর উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের ছবি দিয়ে ঢাকার কয়েকটি রাস্তা সাজানো হয়েছে।

প্রায় ১৯ বছর পর বন্ধুপ্রতীম দেশ কাতারের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো ব্যক্তি ঢাকা সফরে আসছেন। ২০০৫ সালের এপ্রিলে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আলে সানি বাংলাদেশ সফর করেন।


আরও খবর