
কুড়িগ্রামের
ভূরুঙ্গামারীতে চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমানকে (চলতি দায়িত্ব) সাময়িক বরখাস্ত করা
হয়েছে। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকার উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন)
বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়েছে, দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী বিধিমালা (শৃঙ্খলা
ও আপিল) ২(খ) ও (অ)-এর বিধি মতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব)
আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এদিকে প্রশ্নপত্র
ফাঁসের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আরো দুই
শিক্ষক এবং একজন অফিস সহায়ককে আটক করেছে থানা পুলিশ। বুধবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
থানায় নিয়ে আসা হলেও পরে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা
হলেন-ওই বিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন, পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক
হামিদুল ইসলাম ও অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের কুড়িগ্রাম আদালতে
প্রেরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা ছয়জন।
এ ঘটনায় মাধ্যমিক
ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামছুল
ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে ওই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক (বিভাগীয়) তদন্ত শুরু করেন।
তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষকদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
তিনি জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সাথে জড়িত কেউ রেহাই পাবে না। জড়িতদের বিরুদ্ধে
বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দিনাজপুর মাধ্যমিক
ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ
পরিদর্শক মো. ফারাজ উদ্দিন তালুকদারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত টিম বিকেলে ভূরুঙ্গামারী
পৌঁছেছে। তদন্ত টিমের অন্য সদস্যরা হলেন-উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উমা) প্রফেসর মো. হারুন
অর রশিদ মণ্ডল এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক
মো. আকতারুজ্জামান। তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মতবিনিময়ের পর তদন্ত শুরু করবেন।
ওসি আলমগীর হোসেন
জানান, প্রশ্ন ফাঁসের মূল হোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিবকে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
রিমান্ডের শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।