আজঃ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

প্রশ্নপত্র ফাঁস: ১০ আসামি কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ জুলাই ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
আদালত প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ গত ১২ বছরে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম, পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা ১৭ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এর মধ্যে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সাইম হোসেন এবং লিটন সরকারকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বাকি ১০ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।

এদিকে ১০ আসামির পক্ষে ফারুক আহাম্মদ, কাওসার আহমেদসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ, সাত আসামি ঢাকার পৃথক চার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন।

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গত ৮ জুলাই রাতে সিআইডির পক্ষ থেকে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করা হয়। মামলায় ৩১ আসামির নাম উল্লেখ করে অর্ধশতাধিক অজ্ঞাত নামে আসামি করা হয়েছে।


আরও খবর



আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সিলেটের কৃষকরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিলেটের কৃষকরা। এরমধ্যে চারাসহ জমি প্রস্তুতের কাজ চলছে পুরোদমে। আগাম সবজি চাষে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব সেই দিক বিবেচনা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আর এসব সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে নতুন করে অনেক কৃষকের।

জানা যায়, গত কয়েক বছর থেকে সিলেট অঞ্চলে বেড়েছে আগাম শীতকালীন সবজির চাষ। আর এসব চাষাবাদ করে বাড়তি টাকাও আয় করা সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা থেকেই বেশি আবাদ করা সম্ভব। গত বছরের মতো আবহাওয়া থাকলে এ বছরেও লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি অর্জিত হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে চলতি মৌসুমে বন্যায় এ অঞ্চলের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেসব কাটিয়ে উঠতে জেলার গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, জৈন্তাপুরসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকরা আগাম সবজি চাষ করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রতিদিন এসব জমিতে পরিচর্যা করছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাও এলাকায় গেলে কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগাম জাতের সবজির উৎপাদন ভালো হবে। এসব জমি প্রস্তুত করা হচ্ছে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধা কপিসহ শীতকালীন শাকসবজি রোপণের জন্য। শীতের আগেই যদি এসব সবজি আবাদ করা যায় তাহলে বাজারের দর বেশি পাওয়া যায়। সেই চিন্তা মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছেন কৃষকরা।

গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাও এলাকার কৃষক হাসনাত ইসলাম বলেন, গত বছর চার বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছিলাম। প্রতি বিঘা জমির সবজি বিক্রি করে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। তাই এ বছর আরও দুই বিঘা বেশি জমিতে চাষাবাদ করব। প্রতি বিঘা জমিতে টমেটোর চারা থেকে শুরু করতে ফসল আসার আগ পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। আগাম সবজি চাষ করতে তুলনামূলক একটু বেশি খরচ হয় বলে তিনি জানান।

আরেক কৃষক জামাল আহমেদ বলেন, আগাম সবজি চাষ করলে বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়। এজন্যে গত কয়েক বছর থেকে প্রতিনিয়ত এ অঞ্চলের কৃষকরা আগাম সবজি চাষে ঝুকছেন। এতে লাভবান হচ্ছেন অনেকে। এসব সবজি চাষে যত্ন অনেক বেশি নিতে হয়। তাছাড়া এসব সবজিত চারা, গাছ বিভিন্ন রোগ আক্রান্ত হয়, সেসময় বিভিন্ন কীটনাশক সবজিতে দিতে হয়। সেক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা তাদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে থাকেন বলে তিনি জানান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের অতিরিক্ত উপপরিচালক মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান বলেন, এ বছর সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি, এ সপ্তাহের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে। তবে গত বছরের মতোই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর শাক-সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১ হাজার ৫২০ হেক্টর আর আবাদ হয় ৫৪ হাজার ২৭৩ হেক্টরে।

তিন দফা বন্যায় সিলেটের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কোন প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৌসুমের রোপা আমনের ৪ হাজার ৮শ জন কৃষককে প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, সিলেটের কৃষকরা আগাম সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। গত বছর টমেটো, ফুলকপি, আলুসহ শীতকালীন শাক-সবজি চাষ করে অনেকে লাভবান হয়েছেন, ফলে কৃষকরা এসব চাষে ঝুঁকছেন। আমরাও মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সকল উপজেলার মাঠ পর্যায় কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে তারা যেন এসব চাষাবাদ নজরদারি করেন। তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার জন্য। কোনো সবজি যেন রোগাক্রান্ত না হয়। আমরা জেলা কর্মকর্তারাও নিয়মিত এসব কার্যক্রম তদারকি করছি।

তিনি বলেন, বন্যার মতো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা আগাম সবজি চাষে লাভবান হবেন। গত বছরের ন্যায় এ বছরও আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করছি।

নিউজ ট্যাগ: শীতকালীন সবজি

আরও খবর
তিন উপকূলীয় এলাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




থাই রাজার সমর্থন পেলেন সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে গত শুক্রবার থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ৩৭ বছর বয়সি পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। তার দুদিন পর আজ রোববার তাকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন থাই রাজা। ফলে আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিসভা গঠনের পথে হাঁটবেন তিনি।

এর আগে, গত দুই দশক ধরে থাইল্যান্ডে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কেন্দ্রবিন্দু সাংবিধানিক আদালত, সাংবিধানিক আদালত কর্তৃক মিত্র স্রেথা থাভিসিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরখাস্ত করা হয়। পরে পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়ে। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৫টি। ফলে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কন্যা।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রোববার থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের অনুমোদন, ব্যাংককে একটি অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি পরিষদের সচিব আপাত সুখানন্দ পড়ে শোনান। পরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য রাজাকে ধন্যবাদ জানান পেতংতার্ন।

এ সময় তিনি বলেন, নির্বাহী শাখার প্রধান হিসাবে, আমি বিধায়কদের সঙ্গে খোলা হৃদয়ে আমার দায়িত্ব পালন করব। আমি সবার মতামত শুনব। যাতে একসঙ্গে আমরা স্থিতিশীলতার সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিতে পারি।

রাজকীয় অনুমোদন গ্রহণ করার পর, পেতংতার্ন তার বাবা থাকসিন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জড়িয়ে ধরেন। এর আগে পেতংতার্ন তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার, অবৈধ ওষুধ মোকাবিলা, দেশের সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নতি এবং লিঙ্গ বৈচিত্র্যের প্রচারসহ তার পূর্বসূরি স্রেথার সব নীতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে জানান, তার বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিনকে কোনো সরকারি পদে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নেই তার। তবে তার পরামর্শ নেবেন তিনি।


আরও খবর
মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা শিথিল করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জুলাই মাসের অভ্যুত্থান ও পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকদের বিশেষভাবে সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার সেই সতর্কতায় কিছুটা শিথিলতা এনেছে ওয়াশিংটন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত জুলাইয়ের ভ্রমণ সতর্কতার আপডেট প্রকাশ করা হয়েছে এতে।

এতে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ভ্রমণে এর আগে লেভেল ফোরের (চতুর্থ ধাপ) সতর্কতা কমিয়ে লেভেল থ্রিতে (তৃতীয় ধাপ) নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে এখন মার্কিন নাগরিকরা চাইলে কিছু পরামর্শ মেনে বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকদের সব ধরনের জমায়েত বিশেষ করে রাজনৈতিক জমায়েতগুলো এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

তবে এখনও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। এক্ষেত্রে সতর্কতার লেভেল ফোরেই আছে।

এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, অপরাধ, সন্ত্রাস, অপহরণ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবান পার্বত্য অঞ্চলের জেলাগুলোতে ভ্রমণ না করতে বলা হয়েছে। 

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, অস্থিরতা, অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশে ভ্রমণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন। কিছু এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে। বিক্ষোভ এবং রাজনৈতিক সমাবেশ এড়িয়ে চলুন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। ব্রেকিং ইভেন্টগুলোর জন্য স্থানীয় মিডিয়ায় নজর রাখুন।

এতে আরও বলা হয়, কোনো ডাকাতির প্রচেষ্টাকে শারীরিকভাবে প্রতিহত করবেন না। একটি নিরাপদ এলাকায় যান এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অপরাধমূলক ঘটনা রিপোর্ট করুন। কনস্যুলার পরিষেবাগুলোর আপডেটসহ সতর্কবার্তা পেতে স্মার্ট ট্র্যাভেলার এনরোলমেন্ট প্রোগ্রামে নথিভুক্ত করুন।

নির্দেশনায় বলা হয়, ফেসবুক ও এক্সে স্টেট ডিপার্টমেন্ট অনুসরণ করুন। বাংলাদেশের জন্য কান্ট্রি সিকিউরিটি রিপোর্ট পর্যালোচনা করুন। জরুরি পরিস্থিতির জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখুন। অনুগ্রহ করে ট্রাভেলার্স চেকলিস্ট পর্যালোচনা করুন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ভ্রমণে নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্রমণ সংক্রান্ত একটি এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা তালিকায় বাংলাদেশকে লেভেল-ফোর (ভ্রমণ নিষিদ্ধ) অবস্থানে দেখা গেছে। 

গত ৪ সেপ্টেম্বর সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ এবং তা এখনও লাল তালিকায় রয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশসহ রয়েছে ২১টি দেশ। 

ওই পোস্টে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ ২১টি দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করে চতুর্থ ধাপের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ভ্রমণ সতর্কতা। মার্কিন নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব দেশ ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

এই তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, বেলারুশ, বুরনিকা ফাসো, মিয়ানমার, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, হাইতি, ইরান, ইরাক, লেবানন, লিবিয়া, মালি, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া, ইউক্রেন, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন।


আরও খবর



বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রবিবার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী রবিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আদেশ জারি হয়েছে।

আদেশটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে।

উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এ আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা দিয়েছেন। তার প্রেক্ষিতে আগামী রবিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিয়ে কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এ নিয়ে সৃষ্ট সহিংসতার জেরে গত ১৬ জুলাই থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।


আরও খবর
ইউজিসিতে দুই সদস্য নিয়োগ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




যুদ্ধের আড়ালে যেভাবে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির মধ্যে ফিলিস্তিনের বাত্তির একটি। সেখানকার জলপাই বাগান ও আঙুরক্ষেতের জন্য পরিচিত এই গ্রাম। এখানে প্রাকৃতিক ঝর্ণার পানি ব্যবহার করা হয় সেচের কাজে। কয়েক শতাব্দী ধরে এইভাবেই জীবন বয়ে চলেছে সেখানে। প্রকৃতির কোলঘেঁষা এই গ্রামই অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক বা পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি স্থাপনের সর্বশেষ ফ্ল্যাশপয়েন্টে পরিণত হয়েছে।

ইসরায়েল এখানে একটা নতুন ইহুদি বসতি স্থাপন বা সেটলমেন্ট-এর অনুমোদন দিয়েছে। এই নতুন বসতির জন্য কেড়ে নেওয়া হয়েছে বহু মানুষের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি। শুধু তাই নয়, অনুমোদন ছাড়াই নতুন ইসরায়েলি ফাঁড়িও স্থাপন করা হয়েছে।

যাদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি এই নতুন বসতি স্থাপনের জন্য কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাদের তালিকায় রয়েছে ঘাসান ওলিয়ান। তিনি বলেন, নিজেদের স্বপ্ন গড়তে আমাদের জমি চুরি করছে ওরা।

ইউনেস্কো জানিয়েছে বাত্তিরকে ঘিরে বসতি স্থাপনকারীদের পরিকল্পনা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তবে এই গ্রাম কিন্তু একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ জাতীয় সেটলমেন্টকে অবৈধ হিসেবে দেখা হয়। যদিও এই বিষয়ে ইসরায়েল সহমত পোষণ করে না।

ওরা আন্তর্জাতিক আইন, স্থানীয় আইন, এমন কী ঈশ্বরের আইনকেও তোয়াক্কা করে না, আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন ওলিয়ান।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা প্রধান রোনেন বার মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে এক চিঠি লিখে তাদের সতর্ক করেছিলেন। সেই চিঠিতে রোনেন বার উল্লেখ করেছিলেন পশ্চিম তীরের ইহুদি চরমপন্থীরা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কাজ চালাচ্ছে এবং দেশের অবর্ণনীয় ক্ষতি করছে।

গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই কিন্তু অধিকৃত পশ্চিম তীরে দ্রুত বসতি স্থাপন হচ্ছে। ইসরায়েল সরকারের থাকা চরমপন্থীরা অবশ্য গর্ব করে বলেন এই পরিবর্তন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে বাধা দেবে।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিজেদের লক্ষ্য পূরণের জন্য গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাইছে এই চরমপন্থীরা। বসতি স্থাপনের বিষয়ে পর্যবেক্ষণকারী ইসরায়েলি সংস্থা পিস নাও-এর ইয়োনাতান মিজরাহি বলেছেন, ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের চরমপন্থী ইহুদিরা ইতিমধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসান ঘটানোর বিষয়টাকেও কঠিন করেছে।

তার মতে ৭ অক্টোবরের হামলা পর ইসরায়েলি সমাজে ক্রোধ ও ভয়ের মিশ্রণ রয়েছে। ওই হামলার পর থেকে জমি দখল করে বসতি স্থাপনের ক্ষেত্রে গতি এসেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার কারণ যারা জমি দখল করছেন, তাদের প্রশ্ন করার কেউ নেই।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের জুন মাসের একটা সমীক্ষা বলছে ৪০% ইসরায়েলের মানুষ বিশ্বাস করেন যে এই বসতি স্থাপন তাদের দেশকে নিরাপদ করেছে। ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৭%।

অন্যদিকে জুন মাসের ওই জরিপে অংশ নেওয়া ৩৫ শতাংশ মানুষ আবার মনে করেন, বসতি স্থাপনের কারণে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগের জরিপে ওই পরিসংখ্যান ছিল ৪২%।

মিজরাহি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, পশ্চিম তীরের ইহুদি চরমপন্থীরা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসান ঘটানোর বিষয়টাকেও আগের চেয়ে কঠিন করে তুলছে।

আমি মনে করি এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ঘৃণা বাড়ছে, বলেছেন তিনি।

এই জাতীয় ঘটনায় বৃদ্ধি আগেই দেখা গিয়েছিল। কিন্তু গত ১০ মাসে এমন ১২৭০টা হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮৫৬।

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বেটসেলেমের তথ্য অনুযায়ী, একই সময়ে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের কারণে অন্তত পশ্চিম তীরের ১৮টা গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েল ও জর্ডনের মধ্যবর্তী এই ফিলিস্তিনি অঞ্চল ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে সময় দখল করেছিল ইসরায়েল। তখন থেকে এই অংশ তাদের দখলেই রয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের আগস্ট মাসের মধ্যে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ৫৮৯ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৫৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে ইসরায়েলির বাহিনীর হাতে এবং অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বসতি স্থাপনকারীদের হাতে।

জাতিসংঘের মতে, এদের মধ্যে কেউ কেউ হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা গিয়েছে, আবার এই তালিকায় নিরস্ত্র বেসামরিক লোকজনও রয়েছে।

আবার অন্যদিকে, ওই একই সময়ে ফিলিস্তিনিরা পাঁচজন সেটলার বা বসতি স্থাপনকারী ও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর নয়জন সদস্যকে হত্যা করেছে।

চলতি সপ্তাহে বেথেলহেমের কাছে ওয়াদি আল-রাহেলে বসতি স্থাপনকারী ও ইসরায়েলি সেনারা প্রবেশ করে। সেখানে ৪০ বছরের এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এর আগেও কাছাকাছি থাকা একটা ইসরায়েলি গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়েছিল।

গত মাসে জিট গ্রামে জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে ঢুকে পড়া কয়েক ডজন লোক তাণ্ডব চালালে ২২ বছরের এক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক স্তরে নিন্দা করা হয়।

ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছ। তাদের পক্ষ থেকে একে মারাত্মক সন্ত্রাসী ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

কিন্তু এই পদক্ষেপ দায়মুক্ত করার জন্য বলেই মনে করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। ইসরায়েলি নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী 'ইয়েশ দিন' এর তথ্য বলছে ২০০৫ থেকে ২০২৩ সালে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্তের পর মাত্র ৩% দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়া রোনেন বারের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল লঘু আইনি পদক্ষেপই চরমপন্থী দখলদারদের উৎসাহ দিয়েছিল।

পশ্চিম তীরের কিছু অংশে একচেটিয়াভাবে প্রতিষ্ঠিত ইহুদি সম্প্রদায়ের মাঝেই বাস করছে এই নতুন বসতি স্থাপনকারীরা। এর মধ্যে অনেক বসতিতেই ইসরায়েলি সরকারের আইনি সমর্থন রয়েছে। অন্য বসতি যা আউট পোস্ট বা ফাঁড়ি হিসেবে পরিচিত সেগুলো বেশিরভাগই কাফেলা এবং লোহার তৈরী ছাউনির মতো সাধারণ।

এগুলো কিন্তু ইসরায়েলের আইনের চোখেও অবৈধ। কিন্তু চরমপন্থীরা আরও বেশি জমি দখলের করার উদ্দেশ নিয়ে এগুলো তৈরি করে।

জুলাই মাসে, যখন জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত প্রথমবার জানতে পারে পূর্ব জেরুজালেম-সহ পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখল অবৈধ, তখন ওই দেশকে বসতি স্থাপন সংক্রান্ত সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ এবং যত দ্রুত সম্ভব সেনা প্রত্যাহার করতে কথা বলা হয়।

ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা কিন্তু বারবার এই বসতি স্থাপনকে শান্তি আনার পথে অন্তরায় বলে আখ্যা দিয়ে এসেছে। ইসরায়েল অবশ্য এই নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দেয় ইহুদিরা তাদের নিজেদের জমিতে কোনও ভাবেই দখলদার নয়।

এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের এই পদক্ষেপকে যাতে কোনও ভাবেই বন্ধ না করা যায়, তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে চরমপন্থীরা।

ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে উগ্র ডানপন্থী সরকারের সমর্থন পেয়ে ওই অঞ্চলে দ্রুত তাদের নিয়ন্ত্রণ বিস্তার করেছে। পশ্চিম তীরে সংযুক্তির পরিকল্পনাকে আরও মজবুত করছে এই চরমপন্থীরা। শুধু তাই নয়, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে গাজায় বসতি স্থাপনের জন্য প্রকাশ্যে আহ্বানও জানাচ্ছে।

নতুন বসতি স্থাপনকারীদের অনেকেই এখন ইসরায়েল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত।

এক দিকে পশ্চিম তীরে এই বসতি স্থাপনের বিরোধিতাকারী বিশ্বনেতারা দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য নতুন করে উৎসাহ দিচ্ছেন, শান্তি আনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা বলছেন।

আর অন্য দিকে ইসরায়েলের জাতীয়তাবাদীরা যারা বিশ্বাস করে এই পুরো জমি তাদের (ইসরায়েলের) মালিকানাধীন, তারা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্নকে অসম্ভব করে তুলতে সচেষ্ট।

বিশ্লেষকরা মনে করেন এই কারণেই কিছু রাজনীতিবিদ যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানতে নারাজ।

টাইমস অফ ইসরায়েলের রাজনৈতিক সংবাদদাতা টাল স্নাইডার বলেন, তারা সংঘাতের অবসান ঘটাতে চায় না বা জিম্মি চুক্তিতে যেতে চায় না কারণ তারা বিশ্বাস করে যে ইসরায়েলের লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত যতক্ষণ না তারা গাজার ভিতরে থাকতে পারে।

তারা দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা পোষণ করেন এবং মনে করে তাদের মতাদর্শ বেশি ন্যায়সঙ্গত। এটা অবশ্য তাদের নিজস্ব যুক্তি।

ইতিমধ্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পাঁচটা নতুন বসতির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে বাত্তিরের বসতি এবং রাষ্ট্রের জন্য কমপক্ষে ২৩ বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্র।

এর অর্থ হলো ইসরায়েল এই জমিকে তাদের নিজেদের বলে মনে করে, তা সে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলেই হোক বা ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন হোক কিংবা দুটোই।

স্থলভাগে তথ্য পরিবর্তন করে এই দখলদাররা বিপুল সংখ্যক ইসরায়েলিদের ওই জমিতে স্থানান্তরিত করতে চায় যাতে তাদের উপস্থিতির জানান দেওয়া যেতে পারে। এবং দীর্ঘমেয়াদে এই ভূখণ্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা দখল করবে।

এদিকে, রাষ্ট্র অনুমোদিত ভূমি দখলের বাইরে চরমপন্থীরাও কিন্তু ওই অঞ্চলে দ্রুত বসতি স্থাপন করেছে।

হেবরনের উত্তরে আল-কানুবের একটা স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর কয়েক মাসের মধ্যে নতুন কাফেলা এবং রাস্তা নজরে এসেছে। ইতিমধ্যে ওই অঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

পাঁচ দশকেরও বেশি সময় আগে জর্ডনের কাছ থেকে পশ্চিম তীর দখল করার পরপরই সেখানে বসতি স্থাপন শুরু করে ইসরায়েল। তারপর থেকে ক্ষমতায় আসা প্রতিটা সরকারই সেখানে ক্রমবর্ধমান বসতি সম্প্রসারণের অনুমতি দিয়েছে।

বর্তমানে সেখানে (ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম বাদে) আনুমানিক ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি ৫ লাখ ইহুদি ইসরায়েলির সঙ্গে ১৩০টারও বেশি বসতিতে থাকে। তবে ২০২২ সালে দায়িত্ব নেওয়া একজন সুপরিচিত উগ্র ডানপন্থী সরকারি নেতা এই সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

উগ্র ডানপন্থী নেতা বেজালেল স্মোট্রিচ বিশ্বাস করেন যে এই জমিগুলোতে ইহুদিদের ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার রয়েছে। তিনি দুটো উগ্র ডানপন্থী বসতি স্থাপনকারী দলের মধ্যে একটার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০২২ সালের নির্বাচনের পরে তাকে ক্ষমতায় আনেন।

স্মোট্রিচ অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও তিনি একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদাধিকারী, যা তাকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনার সুযোগ করে দিয়েছে।

নতুন রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো-সহ এই বসতিগুলোতে রাষ্ট্রের অর্থ থেকে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন তিনি। দ্রুত বসতি নির্মাণের জন্য নতুন আমলাতন্ত্রও তৈরী করেছেন। গোপনে রেকর্ড করা কথোপকথনে তাকে সমর্থকদের কাছে গর্ব করে বলতে শোনা গিয়েছে যে তিনি সিস্টেমের ডিএনএ পরিবর্তন করেছেন এবং পশ্চিম তীরে সংযুক্তির জন্য তার যে পদক্ষেপ তা আন্তর্জাতিক এবং আইনি প্রেক্ষাপটে নিরিখে কার্যকর।


আরও খবর
মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪