আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

প্রস্তাবিত বাজেট পুরোটাই গরিবের জন্য : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পুরোটাই গরিব মানুষের জন্য বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত 'বাজেটোত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে' তিনি এ মন্তব্য করেন।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আপনারাই আগে বলতেন এ দেশে মিডিল ইনকাম জনসংখ্যার হার বেশি, কিন্তু তারা ট্যাক্স দেয় না। এরা সবাই যদি ট্যাক্স দিতে তাহলে অন্যদের ভাগে কম ট্যাক্স দিতে হত। আমি মনে করি, এখন সময় এসেছে সবাইকে ট্যাক্স পেমেন্ট করতে হবে।

আরও পড়ুন>> যারাই অন্যায় করে, তাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি দুই কোটি মানুষের চাকরি ব্যবস্থার জন্য বলেছিলাম। আমরা ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষকে চাকরি দিয়েছি। এটা খারাপ না, আমাদের ভালোই অর্জন। আস্তে আস্তে আমাদের কর্মসংস্থান বাড়ছে এবং কর্মসংস্থানের পরিধিও বেড়ে গেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, আমি চাকরির ব্যাপারে যেসব কমিটমেন্ট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাজেটে করেছিলাম সেগুলো দিয়েছি। আমরা মেইড ইন বাংলাদেশ কালচারটা জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছি। এ দেশে যা জিনিস তৈরি হবে, তা দিয়ে আমাদের প্রয়োজন মিটবে। এর মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর স‌ঙ্গে উপস্থিত আছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, বা‌জিণ‌্যমন্ত্রী টিপু মুন‌শি, ‌শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব ফা‌তেমা ইয়াস‌মিন প্রমুখ।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বা‌জে‌টে আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।


আরও খবর



বিএনপির শীর্ষ আইনজীবীদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করায় আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবীকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য রোববার (২৫ আগস্ট) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

গত ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ  করার ঘটনায় তলবে আপিল বিভাগে হাজির হয়েছিলেন বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতা। এই ৭ শীর্ষ আইনজীবী নেতা হলেন,জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল। সেদিন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানির জন্য আজকের নির্ধারণ করা হয়।

সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

গত ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে তলব করেন আপিল বিভাগ। ১৫ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

একইসঙ্গে তাদেরকে সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালত অঙ্গনে কোনো ধরনের মিছিল সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। ২০০৫ সালে বিচারপতি আব্দুল মতিন ও বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের মিছিল সমাবেশ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই রায় কঠোরভাবে আপিল বিভাগ আইনজীবীদের মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।

গত ৩০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণসহ দেশের সব আদালতে কোনো ধরনের মিছিল-সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীসহ বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি ১৯ অক্টোবর দিন ঠিক করেন আদালত।

গত ২৯ আগস্ট আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন দায়ের করা হয়। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি এ আবেদন দায়ের করেন।

১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়ায় আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে আসছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এছাড়া ওই দুজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। মিছিল সমাবেশও করে আসছে।

গত ১৫ আগস্ট শোক দিবসের আলোচনা সভায় বিচারপতি শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, এ সংবিধান হলো আমাদের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর যে রাষ্ট্র-দর্শন, রাজনৈতিক দর্শন, সামাজিক দর্শন-সব দর্শনের প্রতিফলন ঘটেছে এই সংবিধানে।

তিনি বলেন, ইদানীং সুষ্ঠু নির্বাচন, বিদেশি প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত-এসব নিয়ে তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, গণতন্ত্র চাই। বঙ্গবন্ধুর শোষিতের গণতন্ত্র কী? শুধু ভোট দেওয়াই একমাত্র গণতন্ত্র নয়। ভোট দিয়ে রাজা ও মন্ত্রীর পরিবর্তনই গণতন্ত্র নয়। যে গণতন্ত্র মানুষের ভাতের নিশ্চয়তা, বেকারের চাকরির সংস্থান ও দেশের মানুষের সার্বিক মুক্তি ঘটাতে না পারে-বঙ্গবন্ধু সে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আরও বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত হবে না, যে ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির উন্মেষ ঘটে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমন হবে না, শুধু ভোট দিয়েই এখানে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। সংবিধান রক্ষার যে শপথ নিয়েছি, সে অবস্থায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের আবহ ও প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সবকিছু মাথায় নিয়ে বিচারিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, ‌সারা বিশ্বে নির্বাচন হয় কেউ তাকিয়েও দেখে না, নির্বাচন ঘিরে সব নজর বাংলাদেশের দিকে কেন?


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৭ লাখ মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলমান বন্যায় ১১ জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) এ সংখ্যা ছিল ২০ জন। সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় পর্যন্ত সময়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্যায় ৫৭ লাখ এক হাজার ২০৪ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়।। রোববার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫২ লাখ।

এর আগে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান জানান, বন্যায় নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে ১১ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হচ্ছে না এবং হওয়ার আশঙ্কা নেই।

এদিকে, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যাকবলিত জায়গায় দ্রুত সময়ে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য পরিচালনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ২০ কোটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) দেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও পরবর্তী কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্স সভায় এ বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় টাস্কফোর্স সভা তার কার্যালয় যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্যা দুর্গত মানুষের কষ্ট লাঘবে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, উদ্ধার ও তাৎক্ষণিক ত্রাণকার্য পরিচালনার ব্যয়ভার মেটানোর জন্য ২০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বন্যায় পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারে এবং জরুরি চিকিৎসা প্রদানসহ তাদের প্রয়োজনীয় সব সহায়তা প্রদানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।


আরও খবর



জামালপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান: ২০ হাজার টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ অভিযানে শহরের মিঞাপাড়ায় একজন অবসর প্রাপ্ত মেডিক্যাল এসিষ্ট্যান্ট এর চেম্বারে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানে অবৈধ ভাবে সুন্নতে খাৎনা (মুসলমানি) করার অভিযোগে চেম্বার মালিক ফকরুল ইসরাম জুয়েলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ওই চেম্বারে সুন্নতে খাৎনা (মুসলমানি) বন্ধ করার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী আশিক বাহার।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের মিঞাপাড়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী আশিক বাহার বলেন, অভিযুক্ত ফখরুল ইসলাম জুয়েল ডাক্তার না হয়েও চেম্বার খুলে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে সুন্নতে খাৎনা (মুসলমানি) করে আসছিলো। কোন প্রকার এনেস্থেসিয়ান ও অপারেশন থিয়েটার ছাড়াই মুসলমানি সম্পন্ন করেন যা বাচ্চাদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। এসব অভিযোগে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও সুন্নতে খাৎনা (মুসলমানি) বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে তিনি যদি কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, জামালপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ উত্তম কুমার সরকার, ডাঃ নুরুজ্জামান মুরাদ, ডাঃ সানজিদা হোসাইন প্রাপ্তি।

এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ ফজলুল হক।

নিউজ ট্যাগ: জামালপুর

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




জুলাই আন্দোলনে ৫ সাংবাদিক নিহত, আহত কয়েক ডজন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জুলাই আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে পুলিশের গুলিতে পাঁচ সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা। এতে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের সময় নিহতের পাশাপাশি অন্তত কয়েক ডজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জাতিংঘের মানবাধিকার কমিশন এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো আহ্বান জানিয়েছে আন্দোলনে সাংবাদিকদের ওপর হামলার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে।

৫ই আগস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন হয়। বিশাল এক গণবিক্ষোভের তোপে ক্ষমতা ত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন হাসিনা। তার আগে আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর চড়াও হয় নিরাপত্তাবাহিনী এবং হাসিনার দলীয় নেতা-কর্মীরা। এতে কয়েকশ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। যারমধ্যে পাঁচ সাংবাদিক রয়েছে বলে জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা।

গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্দোলনের সময় পেশাগত দায়িত্বপালনের সময় হামলার শিকার হয়েছে গণমাধ্যমকর্মীরা।

তাদের অনেককে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় এবং কাজের সময় তাদের হাত থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এছাড়া অনেক সাংবাদিকের ডিভাইস থেকে আন্দোলনের বিভিন্ন সহিংসতার ছবি বা ভিডিও মুছে ফেলতে বাধ্য করা হয়। হসিনা-বিরোধী দলগুলো থেকেও এখনও অব্যাহতভাবে হুমকি পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনও একই আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি জুলাই আন্দোলনে সাংবাদিকদের হতাহতের সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে। যেকোনো ধরনের ভয়-ভীতি ছাড়াই যেন গণমাধ্যম কাজ করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে বলে জোর দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন।

জুলাই আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো গুলিতে পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। পুলিশের গুলিতে ১৮ জুলাই হাসান মেহেদী নামের এক সাংবাদিক নিহত হন। তিনি ঢাকা টাইমস নামের একটি নিউজ পোর্টালে কর্মরত ছিলেন। ঢাকার যাত্রাবাড়িতে খবর সংগ্রহের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। একই দিনে ভোরের আওয়াজ নামের একটি দৈনিক সংবাদপত্রের প্রতিবেদক শাকিল হোসাইন নিহত হন। ওই দিন দৈনিক নয়াদিগন্তের সিলেটে প্রতিনিধি আবু তাহের মুহাম্মদ তুরাব নামের আরেক সাংবাদিক পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান। ২ আগস্ট তাহির জামান প্রিয়ো নামের আরেক ফ্রিল্যান্স ভিডিও সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হন। এর দুই দিন পর ৫ আগস্ট সিরাজগঞ্জে দৈনিক খবরপত্রের সাংবাদিক প্রদীপ কুমার ভৌমিক প্রাণ হারান। নিহত সাংবাদিকের সকলেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন।

নিউজ ট্যাগ: সাংবাদিক নিহত

আরও খবর



হাতিরঝিল থেকে জি-টিভির নিউজরুম এডিটরের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানী হাতিরঝিলের লেকের পানিতে ডুবে মারা গেছেন রাহানুমা সারাহ (৩২) নামে এক নারী। নিহত রাহানুমা জি-টিভির নিউজরুম এডিটর বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় দ্রুত ওই নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রাহানুমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী মো. সাগর জানান, হাতিরঝিল লেকের পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পাই ওই নারীকে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, রাহানুমার বাড়ি কল্যাণপুরে। তার বাবার নাম বখতিয়ার শিকদার।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।


আরও খবর