আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

প্রতীকসহ নিবন্ধন পেল সাবেক ভিপি নুরের দল

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দল বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ। দলটি ট্রাক প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে।

গত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে নিজেদের মধ্যে দলীয় কোন্দল ও বিভক্তির জেরে নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ে গণঅধিকার পরিষদ। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গত বুধবার নিবন্ধনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে একটি চিঠি দেয় দলটি।

চিঠিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১১ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের কার্যকারিতা এবং অন্যান্য বিষয়-সংক্রান্ত তথ্য পুনঃযাচাইয়ের জন্য উপসচিব (আইন) ও রাজনৈতিক দলের তথ্য পুনঃযাচাই কমিটির আহ্বায়ক মো. আব্দুছ সালামের নেতৃত্বে চার সদস্য দলীয় কার্যালয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১ জুলাই দলের জরুরি সভায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আহ্বায়ককে অপসারণের ফলে বর্ণিত আহ্বায়ক কমিটি অস্তিত্বহীন এবং অকার্যকর। বর্ণিত কাগজপত্র ও গঠনতন্ত্র পর্যালোচনায় ওই দলের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়াকে অপসারণের প্রক্রিয়াটি নিয়মতান্ত্রিক ও গঠনতান্ত্রিক ছিল এবং ১০ জুলাই দলের জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠনতান্ত্রিক ও কার্যকর মর্মে কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়।

নুর তার চিঠিতে লেখেন, এরপর ওই বছরের ১৬ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের নবনির্বাচিত পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও সংশোধিত গঠনতন্ত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নির্বাচন কমিশনে দাখিল করি। সব শর্ত পূরণ সত্ত্বেও গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন না দেওয়ায় ওই বছরের ২৫ জুলাই নিবন্ধন পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করি। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং জাতীয় কাউন্সিলসহ এরই মধ্যে জমাদানকৃত কাগজপত্রাদি বিবেচনা করে গণঅধিকার পরিষদকে রাজনৈতিক দল হিসেবে সাত দিনের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য জোর দারি জানাচ্ছি।


আরও খবর



মামলা হলেই যত্রতত্র গ্রেফতার নয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মামলা হওয়ার অর্থ যত্রতত্র গ্রেফতার নয় জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার সব দুষ্কৃতকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান চালাবে এবং দল-মত নির্বিশেষে আইনি ব্যবস্থা নেবে। সরকারের পক্ষ থেকে তল্লাশি ও মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন যথাযথভাবে মেনে চলা হবে এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করতে চায়, মামলা হওয়া মানেই যত্রতত্র গ্রেফতার নয়। এ সকল মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন হলে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। গণঅভ্যুত্থান দমন করতে পতিত সরকার নিষ্ঠুর বলপ্রয়োগ করলে বহু প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিনের দুঃশাসনে বহু মানুষ অপহরণ, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ফলে বিদায়ী সরকারের প্রতি জনমনে প্রচণ্ড ক্ষোভ বিরাজমান। অন্তর্বর্তী সরকার এসব নিপীড়নের বিচার করতে বদ্ধপরিকর।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সরকার যখন বিচারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে জাতিসংঘকে সত্য অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, ঠিক সেই সময়ে কিছু অতি উৎসাহী এবং স্বার্থান্বেষী মহল আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবাদের নামে প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ, আদালতে আসামিকে আক্রমণ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী এসব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার সব দুষ্কৃতিকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান চালাবে এবং দল-মত নির্বিশেষে আইনি ব্যবস্থা নেবে।

সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দপ্তরে জানাতে হবে, কোনোভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান ঘেরাও বা কোনো রকম সহিংস আচরণ করা যাবে না। সরকারের পক্ষ থেকে তল্লাশি ও মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন যথাযথভাবে মেনে চলা হবে এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



শ্রমিক ভিসায় গিয়ে ব্যবসা, মালয়েশিয়ায় ৭ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

মালয়েশিয়ায় উৎপাদন খাতের শ্রমিক ভিসায় গিয়ে মুদি দোকানের ব্যবসা করার অভিযোগে ৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭ জন বাংলাদেশি। বাকি দুইজনের একজন নেপাল ও অপরজন মিয়ানমারের নাগরিক।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির পেনাং রাজ্যের লেবুহ সুঙ্গাই পিনাং, মিনডেন হাইট ও গেলুগরের তিনটি চত্বরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পেনাং ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট ডিভিশন।

অভিবাসন বিভাগ জানায়, স্থানীয়দের অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, ওই ৯ জন উৎপাদন খাতের শ্রমিক ভিসায় এসে অবৈধভাবে খুচরা দোকানের ব্যবসা করছিলেন।

এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের এ অভিযানের সময় স্থানীয় কোনো মালিকের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। আটক ৯ জনকে অধিকতর তদন্তের জন্য সবাইকে স্থানীয় ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অভিবাসন বিভাগ বলছে, আটকদের নিয়োগকর্তা ও আবাসন মালিকদের বিষয়ে তদন্ত করা হবে এবং আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে মুদি দোকানি আবু সায়েদ নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকি আল ফারাবী আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ১৩ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা এস এম আমির হামজা শাতিল। সচেতন নাগরিক হিসেবে একজন নিরীহ নাগরিককে হত্যার বিচার চেয়ে তিনি মামলাটি করেছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনাসহ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি (ডিএমপি) প্রধান হারুন অর রশীদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার মো. বিপ্লব কুমার সরকার।

কোটা সংস্কার ও ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এটিই প্রথম মামলা। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল সমাবেশ করে। ওইসব শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। বহু ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হন। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বসিলার ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।

মামলার বাদী বলেন, নিহত সায়েদকে তার গ্রামের বাড়িতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নতুন বস্তি প্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তার মা, স্ত্রী, ছেলে সন্তান সেখানেই থাকেন। এ কারণে তারা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ। এ জন্য বিবেকের তাড়নায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি এই মামলা করেছেন।

অভিযোগে বাদী আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করার বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্থ পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালায়। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কাজেই এর বিচার হওয়া প্রয়োজন।

এ মামলার শুনানির পর ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর বক্তব্য রেকর্ড করেন এবং মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের উত্তর প্রদেশে এক নারীর মাথাবিহীন বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্যের কানপুরের গুজাইনির ন্যাশনাল হাইওয়ে থেকে গতকাল সকালে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির। 

সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এরপর হত্যার পর লাশ হাইওয়েতে ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ এখন পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় বের করতে পারেনি।

পুলিশ ওই নারীর পরিচয় চিহ্নিত করতে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করেছে। ওই হাইওয়ের পাশের এক হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, লাশ পাওয়ার আগে একই গঠনের এক নারী হেঁটে যাচ্ছিলেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গতকাল সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে প্রথম ওই লাশ দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে ওই নারীর লাশ পাওয়া গেছে সেখানো কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। তবে ঘটনাস্থল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজে এক নারীকে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।

মৃত্যুর কারণ জানতে ইতোমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত নারী নিখোঁজের অভিযোগ পায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ঘটনাস্থল ফরেনসিক টিম পরিদর্শন করেছে এবং দাঁত ও হাড়ের নমুনা সংগ্রহ করেছে। পুরো এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।


আরও খবর



এবারের দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ পাঠাবে না বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে এবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনো ইলিশ মাছ যাবে না। এছাড়া আমরা কোনো মাংস আমদানি করতে চাচ্ছি না। এখন লাখ লাখ খামারি গবাদিপশু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, কিছু অর্থলোভী ব্যবসায়ী মাংস আমদানির পাঁয়তারা করছে। ওই চক্রের তৎপরতা থেমে নেই। প্রান্তিক খামারিদের বাঁচাতে সরকারিভাবে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে আমরা মাংস আমদানি করব না।

উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে মাংসের দাম কমানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা ফরিদা বলেন, নতুন করে হিমায়িত গরুর মাংস আমদানির পক্ষে একটি পক্ষ তৎপরতা শুরু করেছে। আমরা কোনো মাংস আমদানি করতে চাচ্ছি না। এ দেশে এখন লাখ লাখ খামারি গবাদিপশু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত। প্রতি বছর কোরবানির ঈদে ২০-২৫ লাখ পশু অবিক্রীত থেকে যায়। এমন পরিস্থিতিতে দাম বৃদ্ধির অজুহাত তুলে মাংস আমদানি করলে মাংসের চাবিকাঠি চলে যেতে পারে অন্য দেশের কাছে।

হিমায়িত মাংসের পুষ্টিগুণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফরিদা আখতার বলেন, বিদেশ থেকে এসব মাংস এসে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগবে। সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না করার কারণে অনেক ক্ষেত্রে গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। ফলে এসব খাবারে নানা রোগ-ব্যাধি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

তিনি বলেন, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে মাংসের দাম কমানোর বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা সচেতন আছি, জনগণ যেন স্বল্প ও ন্যায্যমূল্যে মাংস খেতে পারে এবং খামারিরা টিকে থাকতে পারে।


আরও খবর