কুড়িগ্রামের রৌমারীতে শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবু মিয়া (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে রৌমারী থানা পুলিশ। রবিবার রাতে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের টাপুরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে রৌমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত ওই যুবক দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের টাপুরচর গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে
জানা যায়, টাপুরচর গ্রামের শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী ১৬ বছরের এক কিশোরী সে নিজে একা
চলাফেরা, খাওয়া দাওয়া ও পোশাক পরতে পারে না। বাবা মার পাশের কক্ষে তাকে একা রাখা হতো।
এরই সুবাদে ওই যুবক তাকে মাঝে মধ্যেই একা পেয়ে এসে ধর্ষণ করত। প্রতিদিনের মত শুক্রবার
সকাল ১০টার দিকে ফাঁকা বাড়িতে ধর্ষণ করা অবস্থায় দেখে ফেলেন ওই কিশোরীর মা। এসময় তাকে
আটকের চেষ্টা করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় বাবু মিয়া। ঘটনা জানাজানি হলে বিষয়টি
ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালায় একটি চক্র। পরে কিশোরীর মা বাদী হয়ে রৌমারী থানায়
মামলা করলে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে অভিযুক্ত
যুবক বাবু মিয়া ঘটনা অস্বীকার করে জানায়, আমি কখনো ওই বাড়িতে যাইনি। আমার স্ত্রী সন্তান
রয়েছে। প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে ধর্ষণের প্রশ্নই আসে না। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়ে
দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রৌমারী
থানার ওসি রুপ কুমার সরকার মামলা করার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার বিরুদ্ধে
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দিয়ে সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা
হয়।