আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

প্রতিদিন মুড়ি খাওয়া কি ভালো

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মেঘলা দিনে বাইরে টিপ টিপ বৃষ্টি, বিকালে বা সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে আয়েশ করে গরম গরম চায়ের সঙ্গে অনেকেই মুড়ি খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার চানাচুর-মুড়ি একসঙ্গে মেখেও খান। এ তো গেলে বিশেষ দিনের পছন্দের খাবার। তবে দুপুরে লাঞ্চের বদলে হালকা পেট ভরাতে মুড়ি খাওয়াটা নাগরিক জীবনে দিনকে দিন বাড়ছে। ডায়েট হিসাবে মুড়ি বেছে নিচ্ছেন কেউ কেউ। কিন্তু প্রতিদিন মুড়ি খাওয়া কী স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তাহলে জেনি নিন।

মুড়ি খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে পারে। নিয়মিত মুড়ি খেলে পেটে অ্যাসিডের ক্ষরণে ভারসাম্য আসে। বাড়াবাড়ি রকমের অ্যাসিড হলে, মুড়ি পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন। এতে দ্রুত অ্যাসিডের সমস্যা কমবে।

মুড়িতে ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে। এটি হাড় শক্ত করে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মুড়ি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কিছুটা হলেও বাড়তে পারে। তাই যাদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে, তারা এড়িয়ে চলুন।

মুড়িতে ক্যালরির মাত্রা তুলনামূলক কম। অল্প খিদে পেলে মুড়ি খেলে পেট ভরে যায়। ক্যালরির মাত্রা কম বলে মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে না। যারা হালকা খাবার হিসাবে নিয়মিত মুড়ি খান, তাদের পক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ। সাধারণত এক কাপ মুড়িতে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্যালরি থাকে।

ভাত বা রুটির বদলেও মুড়ি খাওয়া যায়। কারণ, এটি শর্করাজাতীয় খাবার। তবে মুড়িতে লবণের পরিমাণ বেশি থকায় উচ্চ রক্তচাপ এবং হাইপার টেনশনের সমস্যা থাকলে পরিহার করা উচিত। চিনি দিয়ে ভেজে খাওয়া যায়, আবার মুড়ি মাখিয়েও খাওয়া যায়। তবে চানাচুরের বদলে ছোলা বা মটরশুঁটি দিয়ে মাখিয়ে খাওয়াটা তুলনামূলক বেশি ভালো।

আজকাল ইউরিয়া-মিশ্রিত মুড়ি পাওয়া যায়, এগুলো না খাওয়াই উচিত। মুড়িতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। এ কারণে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের মুড়ি না খাওয়াই উচিত।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




দীর্ঘ ৪ দিন পর ভেসে উঠল মরদেহ, সঙ্গে ৫ কেজি স্বর্ণ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের শার্শার গোগা সীমান্তে ইছামতি নদীর খলিসাখালি খাল এলাকা থেকে বুধবার সকালে মশিয়ার রহমান নামে এক সোনা চোরাকারবারির মরদেহ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ।

মরদেহের শরীরে ৫ কেজি ২শ গ্রাম ওজনের ৪০টি স্বর্ণের বার বাঁধা ছিল।

নিহত মশিয়ার গোগা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের বুদো মড়লের ছেলে। খুলনা ২১ বিজিবির সিও লে. কর্নেল খুরসিদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ১০মার্চ বিকেলে একটি স্বর্ণের চালান নিয়ে ইছামতি নদী দিয়ে ভারতের পিপলি সীমান্তে প্রবেশকালে নদীতে ডুবে যান মশিয়ার। গত ৩ দিন ধরে সীমান্তের ইছামতি নদীতে তাঁর মরদেহ উদ্ধারে বিজিবি, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) চেষ্টা চালায়। তবে ভারত অংশে প্রবেশে বিএসএফ বাধা দেওয়ার ডুবুরিরা মরদেহ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। অবশেষে দীর্ঘ ৪ দিন পর আজ সকালে ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে খলসিখাল এলাকায় মরদেহটি ভেসে ওঠে।

স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়। এদিন দুপুরে বিজিবি সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

জামাল ও রহিম বক্স নামে দুজন চোরাকারবারি মশিয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিযে গিয়েছিল বলে জানায় স্বজনেরা। তাঁরা হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তবিবর রহমান বলেন, নদীতে ভেসে থাকা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হবে। ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ ও যশোর ডিবি পুলিশ চেষ্টা করছে।

উদ্ধার স্বর্ণ যশোর ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হবে জানান ওসি মনিরুজ্জামান।


আরও খবর



তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত থাকছে না প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চালু হওয়া নতুন শিক্ষা কারিকুলামে এখন থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো কোনো পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক- এটি আর থাকবে না। মূল্যায়নের পদ্ধতি ভিন্ন হবে, যেহেতু ধারাবাহিক মূল্যায়ন। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।

গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো।


আরও খবর



ভোরে কাজে বেরিয়ে সড়কে প্রাণ গেল শ্রমিকের, আহত ৬

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

জীবিকার তাগিদে ভোরে রাজমিস্ত্রীর কাজে বের হয়েছিলেন লোকমানসহ কয়েকজন শ্রমিক। নছিমনে কাজের উদ্দেশ্যে কিছুদূর এগিয়ে অন্য সহকর্মীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। হঠাৎ করেই একটি কাভার্ড ভ্যান এসে থামিয়ে রাখা নছিমনটির সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই লোকমান শেখ মারা যায়। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় আরও ৬ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আমিন বাজার গ্রামের মোল্লা বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লোকমান শেখ (৩৮) সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নান শেখের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত নছিমনটিতে যারা ছিলেন, তারা সবাই রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। মঙ্গলবার ভোরে নড়িয়া উপজেলার গোলার বাজার এলাকার দিনারা গ্রামে কাজে যাওয়ার জন্য প্রথমে ৭ জন শ্রমিক আমিন বাজার থেকে নছিমনে চড়ে একটু এগিয়ে মোল্লা বাড়ির সামনে অন্য আরও ২ শ্রমিকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় মনোহর বাজার এলাকা থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে রাখা নছিমনটির সঙ্গে জোড়ে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই লোকমান শেখের মৃত্যু হয়। আহত হন তার সঙ্গে থাকা ৬ জন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

আহতরা হলেন- বাদল সরদার, মিরাজ খান, শাহ আলম হাওলাদার, শাহাদাত সরদার, মোস্তফা ছৈয়াল। তাদের মধ্যে বাদল সরদারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত সবাই রুদ্রকর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

নিহত লোকমান শেখের মামা জয়নাল হাওলাদার বলেন, সংসারে জয়নালই সবার বড়। তার উপার্জনেই সংসার খরচ চলত। স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে তার। এই বয়সে এসে এমন মুত্যু মেনে নেওয়ার মতো নয়। আমরা এঘটনায় বিচার দাবি করছি।

রাজমিস্ত্রী শ্রমিক দলটির সরদার মো. কালু বয়াতি বলেন, আজ নড়িয়াতে ঢালাইয়ের কাজ করব বলে নছিমন যোগে শ্রমিকরা রওনা করেছিল। কিন্তু চাঁদপুর গামী একটি কাভার্ড ভ্যান এসে সব কিছু তছনছ করে দিলো। আমার একজন শ্রমিক মারা গেছে। বড়দের সঙ্গে কথা বলে মামলা হবে কি না, তার সিদ্ধান্ত নেব।

পালং মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী আব্দুর রহিম বলেন, ভোরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। তার সঙ্গে থাকা অন্যরা আহত হয়েছেন। মরেদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কার্ভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে৷ এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিউজ ট্যাগ: শরীয়তপুর

আরও খবর



জিম্মি জাহাজের অদূরে ইইউ নেভির যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদে হাতে ছিনতাই বাংলাদেশি জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভাল ফোর্সের একটি যুদ্ধজাহাজ। এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে চক্কর দিচ্ছে ইইউ নেভির হেলিকপ্টার। সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যু দমনে অপারেশন আটলান্টা নামে কার্যক্রম কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় গভীর রাতে অপারেশন আটলান্টা তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) বাংলাদেশি পতাকাবাহী পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ঘিরে তাদের কার্যক্রমের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছে।

এসব ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, ইইউ নেভাল ফোর্সের অপারেশন আটলান্টার মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি থেকে বাংলাদেশের জিম্মি জাহাজটিকে দেখা যাচ্ছে। ইইউ নেভাল ফোর্সের দুই সদস্য জাহাজটির দিকে তাকিয়ে আছেন। যা যুদ্ধজাহাজটি থেকে এমভি আবদুল্লাহর খুব কম দূরত্বই নির্দেশ করে। অপর দুটি ছবি ও একটি ভিডিওতে যুদ্ধজাহাজ থেকে ইইউ নেভাল ফোর্সের একটি হেলিকপ্টার জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ওপর দিয়ে উড়ে যেতে দেখা যায়।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজটি গত তিনদিন ধরে সোমালিয়ার গোদবজিরান উপকূলের দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে। এর আগে গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। দস্যুদের কাছে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।

পরে ১৪ মার্চ এক বিবৃতিতে ইইউ নেভাল ফোর্স জানায়, অপারেশন আটলান্টার আওতায় তাদের একটি যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছে। তারা বাংলাদেশ ও সোমালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

১৮ মার্চ রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধারে দেশটির পুলিশ ও বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা মিলে সোমবার (১৮ মার্চ) অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ বাহিনীর বরাতে তারা এ তথ্য জানায়।

এদিকে ইইউ নৌবাহিনীকে অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত রাখতে জিম্মি নাবিকদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে জলদস্যুরা।

দেশের সিনিয়র নাবিক ক্যাপ্টেন আতিক ইউএ খান জানান, ইইউ নৌবাহিনীর চাপে নাবিকদের এখন ২৪ ঘণ্টাই জাহাজের ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ (ওয়াকি-টকি) ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে।

তবে জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ এবং সরকার, নাবিকদের নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই এর আগে ইইউ নেভাল ফোর্স জিম্মি জাহাজটি উদ্ধারে অভিযানের কথা জানালেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মতি দেওয়া হয়নি।

এছাড়া ছিনতাই হওয়া জাহাজ ও জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল জাহাজের মালিক কবির গ্রুপ। সর্বশেষ বুধবার প্রথমবারের মতো জলদস্যুরা জাহাজের মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানান কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

বাংলাদেশি মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী বলেন, সোমালিয়া কোস্ট লাইনের ভেতরে এমন অভিযান খুব ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সোমালিয়া কোস্টের ভেতর যতগুলো জাহাজ ছিল আজ পর্যন্ত কোনো জাহাজ পিসফুল নেগোসিয়েশন ছাড়া মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। মাল্টিজ জাহাজ রুয়েন, যেটি ভারতীয় বাহিনী উদ্ধার করেছে, সেটিও যদি তাদের কোস্ট থেকে বের না হতো, তবে উদ্ধার করা সম্ভব হতো না।

অপারেশন আটলান্টা তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত জলদস্যুতার ঝুঁকি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ২৪ নভেম্বর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৫টি নৌযানে ছিনতাই ও ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছে দস্যুরা। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছোট নৌযান। বাণিজ্যিক জাহাজ রয়েছে তিনটি। তবে সর্বশেষ শুধু বাংলাদেশি জাহাজটিই এখন সোমালিয়ার দস্যুদের কাছে জিম্মি রয়েছে।


আরও খবর



ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের দুয়ার খুলছে কিয়ারার

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ডন সিরিজ মানেই যেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান থাকবেন এতে। কিন্তু ডন ৩-তে থাকছেন না তিনি। এতে নতুন মুখ হয়ে ফিরছেন কিয়ারা ও রণবীর সিং। কিয়ারা নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন এই সিনেমা দিয়ে।

ডন সিরিজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র রোমা। ডনডন ২ সিনেমাতে রোমার চরিত্রে অভিনয় করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এবার তাকে দেখা যাবে না। ক্যামেরায় রোমা হয়ে ফিরবেন কিয়ারা আদভানি। তবে এই চরিত্রের জন্য ক্যারিয়ারের রেকর্ড ব্রেক হচ্ছে তার। সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পেতে যাচ্ছেন কিয়ারা।

প্রাথমিকভাবে শোনা যাচ্ছে, ডন ৩-এর জন্য বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ২৭৫ কোটি রুপি। এরমধ্যে নায়িকা কিয়ারা পাবেন প্রায় ১৩ কোটি রুপি। তবে কিয়ারা এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।

পরিচালক ফারহানের অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি ডন। ২০০৬ সালে ডন এবং তারপর ২০১১ সালে মুক্তি পায় ডন ২। এই দুই ছবির মাধ্যমে বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসাও অর্জন করেছিলেন ফারহান। ১৯৭৮ সালে ডন হিসেবে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছিলেন অমিতাভ।


আরও খবর