আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পর্তুগালে নিজ কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ প্রবাসীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পর্তুগালের কৃষি ও পর্যটন শহর বেজায়ে সোমবার বিকেলে নিজ কর্মস্থলে দুজন প্রবাসী বাংলাদেশি কনস্ট্রাকশনের কাজে কর্মরত অবস্থায় দেওয়াল ভেঙে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গেছেন। নিহতরা হলেন শাহীন আহমেদ (৪৭) ও সুহেদ আহমেদ (৩২)।

মরহুম শাহীন আহমেদ বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার সদর থানার বাসিন্দা এবং মরহুম সুহেদ সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানার লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের করগাঁও উজানপাড়ার গ্রামের বাসিন্দা।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জিএনআর পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের মরদেহ বেজার সেন্ট্রাল হাসপাতালের মর্গে লাশ পাঠানো হয়েছে।

শাহীন এবং সুহেদের মৃত্যুতে লিসবনসহ গোটা পর্তুগালের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বর্তমানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মরহুমদের লাশ দেশে পাঠানো ও জরুরি করণীয় নিয়ে মঙ্গলবার টেস্ট অব লিসবনে বাংলাদেশি কমিউনিটির আহ্বানে এক সভা আহ্বান করা হয়েছে।


আরও খবর



গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৪

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার একটি শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এতে চার শিশুসহ অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে বোমা হামলা চালালে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বর্বর এই হামলার শিকার বাড়িটি ছিল আবু ইউসুফ পরিবারের।

এর আগে, গত মাসেও গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে ১৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। নিহতদের সবাই ছিল নারী ও শিশু।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।


আরও খবর



থমথমে রুমা ও থানচি, পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

নিরাপত্তার কারণে বান্দরবানের তিন উপজেলা রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। এসব শাখার গ্রাহকরা অন্য শাখা থেকে লেনদেন করতে পারবেন। পরপর দুদিন অস্ত্রধারীদের হামলার পর বুধবার (৩ এপ্রিল) সোনালী ব্যাংকের বান্দরবান সদর শাখা ছাড়া অন্যগুলো বন্ধ ছিল।

গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখা ঘেরাও করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আনসার ও পুলিশের অস্ত্র-গুলি লুট করে। তাদের মারধর করে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করে। এরপর ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে হেঁটে হেঁটে দুর্গম পাহাড়ের ভেতরে নিয়ে চলে যায়।

এদিকে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ৩ এপ্রিল দুপুরে আবারো অস্ত্রধারী কয়েকজন সন্ত্রাসী থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা করে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর রুমা ও থানচি উপজেলায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে।

প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাংকে হামলার এমন ঘটনায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ, আর এমন পরিস্থিতিতে সকাল থেকেই নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বান্দরবানের ৭ উপজেলার মধ্যে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি সোনালী ব্যাংকের ৩ শাখার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ওই ঘটনার পর পুরো বান্দরবান জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট (কেএনএফ) এর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে পাহাড়ে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।


আরও খবর



বোনকে সামলান, সামনে পড়লে থাবড়ায়ে দেবনে: পরীমণি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দুই চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী আর পরীমণির কথার লড়াই যেন থামছেই না। গেল ২১ মার্চ শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে একটি আবেগঘন ভিডিওবার্তা দেন বুবলী। একই ধরনের ভিডিও মাস কয়েক আগে পরীও প্রকাশ করেছিলেন তার ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের জন্মদিনে। আর এই কপি’ ভিডিও নিয়েই তাদের যত ভার্চ্যুয়াল যুদ্ধ।

সম্প্রতি কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেকে বেয়াদব’ বলে মন্তব্য করেন পরীমণি। তার কথায়, সবসময় এমন হয়েই থাকতে চান তিনি। বদলাতে চান না বেয়াদবি’র তকমা।’

পরীমণির এমন বক্তব্যের পর শুক্রবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন বুবলী। যেখানে পরীর নাম না নিলেও পরোক্ষভাবে নায়িকার ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি। বুবলীর কথায়, কেউ যদি কারোর সঙ্গে অসভ্যতা করেন, কাউকে হার্ট করেন, সেটি যদি তার কাছে মনে হয় বা তিনি প্রমাণ করতে চান আমি স্পষ্টবাদী’, তাহলে তো একসময় বড়দেরও অসম্মান করা হবে।”

এটাকে বেয়াদবিও আখ্যা দেন বুবলী। যা দেখে বেজায় চটেছেন পরী। কারও নাম উল্লেখ না করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনিও বার্তা দিয়েছেন।

পরী কথায়, আপনার বড় বোনকে আগে সভ্য হতে বলেন আপা। গালিগালাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেয় কেন বিদেশ বসে। সামনে আসতে বলেন। আগে নিজে এবং নিজের পরিবারের সভ্যতা নিশ্চিত করেন। দল পাকায়েন না এত।’

তিনি আরও বলেন, আমি তাও তো আপনাকে আপা বলে কথা বলি। আপনি বলি। কারণ আমি সভ্য তাই। আপনার বোন আর আপনার মতো তুই-তোকারি গালিগালাজ তো করি নাই। সামনে পরলে এবার থাবড়ায়ে দিবনে তাইলে। বেয়াদবি না করেই এত কথা আপনার আমাকে নিয়ে। এবার এটা করলে কী যায় আসে আর।’


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন আতিফ।

ফেসবুকে মাত্র ১২ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি। আতিফের পোস্ট করার কিছুক্ষণেইর মধ্যেই ভাইরাল হয় সেই পোস্ট।

তবে সেই পোস্টে বিস্তারিত কিছু জানাননি আতিফ। কবে বাংলাদেশে আসছেন, কী প্রোগ্রামে আসছেন- কোনো কিছুই স্পষ্ট করেননি বলিউডে তারকা এই সংগীতশিল্পী।

এর আগে দুইবার ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ। ২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। পরে ২০১৬ সালে এটিএন এন্টারটেইনমেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী।

নিউজ ট্যাগ: আতিফ আসলাম

আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




পাহাড়ের বৈসাবির আয়োজন রাজধানীতে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় পাহাড়িদের বৈসাবি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর রমনাপার্ক লেকে ফুল ভাসিয়ে তিন পার্বত্য জেলার নারী-পুরুষেরা এ অনুষ্ঠান উদযাপন করেন। এর আগে সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈসাবি উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান এনডিসি। অনুষ্ঠানে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরাসহ সরকারের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি বরণ শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বৈসাবি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। বৈসাবি মূলত বর্ষবরণ ও পাহাড়িদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সম্মিলন। বৈসাবির ঐতিহ্য সমতলের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর ঢাকায় এই আয়োজন করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও আস্থা সুদৃঢ় হয়। যার মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলের শান্তি আরও সুদৃঢ় হবে। পক্ষান্তরে এটি দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এডিশনাল ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু- এই তিন সম্প্রদায়ের সমন্বয়ে বৈসাবি। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমারা ধর্মীয়ভাবে সংখ্যাধিক্য। এই তিন ধর্মাবলম্বীদের পাহাড়ের অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে ধর্মীয় ও সামাজিক জীবন-যাপনের মিল রয়েছে বিধায় পাহাড়ের সবাই মিলে এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। পাহাড়িদের যারা ঢাকায় অবস্থান করেন তারা রমনার লেকে ফুল ভাসিয়া অনুষ্ঠানটি উদযাপন করে থাকেন। অধিকাংশরা নাড়ির টানে নিজ এলাকায় চলে যান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর প্রধান উৎসব বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স হতে রমনা লেক পর্যন্ত পার্বত্য তিন জেলার পাহাড়ি ও বাঙালিদের সমন্বয়ে নানান সাজে সজ্জিত ব্যানার, ফেস্টুনসহ এক বর্ণিল শোভাযাত্রা র‍্যালির আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রা র‍্যালি শেষে রমনা লেকের জলে ফুল ভাসিয়ে বৈসাবি উৎসব পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার প্রধান তিনটি জাতি-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বৈসাবি। এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি।


আরও খবর