আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

পশ্চিমারা ইউক্রেনকে ছেড়ে যাবে না: বাইডেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে পশ্চিমারা ইউক্রেনকে ছেড়ে যাবে না। বুধবার ভিলনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হাজার হাজার জনতার উদ্দেশ্যে একথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ৩০০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দিল আইএমএফ

বাইডেন বলেন, আমরা এক চুলও নড়বো না। কিন্তু তার ধারণা ভূল।

ন্যাটো শীর্ষ সস্মেলনে যোগ দিতে লিথুয়ানিয়া সফরে আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনের প্রতি আমাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি থেকে আমরা সরবো না। আমরা আজ, আগামীকাল কিংবা যতদিন লাগুক ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে দাঁড়াব।

আরও পড়ুন: নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উ. কোরিয়া

স্বাধীনতা রক্ষা করা একদিন কিংবা একবছরের কাজ নয়। এটি সারাজীবনের, সর্বকালের কাজ বলে উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।


আরও খবর



গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ধ্বংস হয়ে যাওয়া গাজার ধ্বংসস্তূপ অপসারণে লাগবে অন্তত ১৪ বছর বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার একথা জানান। জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে পেহর লোধাম্মার বলেছেন, যুদ্ধের ফলে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ ওই অঞ্চলে পড়ে আছে।

তিনি বলেন, গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। তারপরও ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‌‌আমরা জানি, সাধারণত স্থল বাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত ও বিকল অবস্থায় থেকে যায়। আমরা ১০০টি ট্রাক ব্যবহার করে ১৪ বছর ধরে পরিষ্কার কাজ চালানোর কথা বলছি।

হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যাদের মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।

ধ্বংসস্তূপে দাড়িয়ে গাজার বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষ এখন গৃহহীন, ক্ষুধার্ত এবং রোগাক্রান্ত। সূত্র: রয়টার্স


আরও খবর



বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলো

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার দ্রুত কমছে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোমি পাওয়েল। ফলে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্পট মার্কেটে স্বর্ণের আউন্স ২ হাজার ৩৭৭ দশমিক ৪০ ডলারে কেনাবেচা হচ্ছে স্বর্ণ। এর আগে প্রতি আউন্স স্বর্ণ ২ হাজার ৪০০ ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মার্কিন ও কানাডিয়ান অর্থনীতি বিষয়ক এক প্যানেল আলোচনা হয়। এতে মূল্যস্ফীতির বর্তমান চিত্রে নিয়ে আস্থাহীনতায় ভোগার কথা জানান পাওয়েল।

জেরোমি পাওয়েল জানান, যতদিন মূল্যস্ফীতি চড়া থাকবে, প্রয়োজনে ততদিন বর্তমান সুদের হার ধরে রাখা হবে। বর্তমানে ৫ দশমিক ২৫ থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে যে সুদহার স্থির আছে আছে যা বিগত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

তিনি জানান, এই সুদহার সহসা কমানো হবে না, যার প্রধান কারণ চড়া মূল্যস্ফীতি। অর্থাৎ ঋণ নিতে আরও কয়েক সপ্তাহ চড়া সুদহার দিতে হবে।

জানা গেছে, সুদহারে কাটছাঁটের ধারণার ওপর এতদিন বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে ফেড চেয়ার জেরোমি পাওয়েল সুদহার কমানো নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো করতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এ সংবাদে কমছে স্বর্ণের দাম।


আরও খবর



মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৬৫, আহত ১২২৮

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত ও ১২২৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ।

একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।

মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে।

ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) মার্চ মাসে ১৩৬৯ জন সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত পঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বিজ্ঞান বলে একটি দুঘর্টনায় ১০ জন আহত হলে তার মধ্যে কেবল একজন গুরুতর আহত বা পঙ্গু হন। বাংলাদেশে ১০ হাজার সরকারি ও ছয় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে প্রতিবছর সড়ক দুঘর্টনায় আহত প্রায় তিন লাখের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগের এক শতাংশ তথ্যও প্রকাশিত হয় না বলে আমরা ঘটনার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরতে পারি না।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে— রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা এবং দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা।


আরও খবর



ইরানে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার জবাবে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধাকালীন মন্ত্রিসভা। তবে সেই হামলা কখন এবং কোন মাত্রায় হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার বিকালে ইসরায়েলের পাঁচ সদস্যের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান ও খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক ও কৌশলগতভাবে চিন্তা করার পরামর্শ দেন। এর প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্তগুলো স্থগিত রেখেছে। তবে তারা সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিসেই তা কার্যকর করতে পারবে বলে চ্যানেল ১২ এর খবরে বলা হয়েছে।

ইসরায়েল হায়ুম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বলেছেন- জবাব দেওয়া হবে।

আর এনবিসি নেট্য়ার্ক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিকল্প পন্থাগুলো উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে এবং এটা পরিষ্কার যে ইসরায়েল জবাব দেবে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ইরানের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার পক্ষে। তবে জবাবের সময় এবং মাত্রা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রয়েছে।

যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকটি হয় ইরানি হামলার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে। শনিবার রাতে ইরান নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েলে। এ সময় তারা প্রায় ৩৫০টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইসরায়েলে। ইসরায়েল দাবি করেছে, এগুলোর ৯৯ শতাংশই সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে।

বেশ কয়েকটি হিব্রু মিডিয়ায় বলা হয়েছে, এই ব্যাপক হামলার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ এবং তার ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির সহকর্মী গাদি আইজেনকট (যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার পর্যবেক্ষক) উভয়ে ইরানে পাল্টা হামলার প্রস্তাব করেন।

তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, আইডিএফ প্রধান হারজি হ্যালেভি এবং অন্যরা প্রস্তাবটির দৃঢ় বিরোধিতা করেন। তারা মনে করেন, একইসাথে এত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গেলে প্রচুর চাপের সৃষ্টি হবে।

এদিকে পৃথক একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে চ্যানেল ১২ দাবি করেছে, ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেবে না। তবে বিষয়টি তাদেরকে আগে জানাতে হবে এবং সমন্বিত হামলা চালাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য সরকারিভাবে জানিয়েছে- তারা ইরানে ইসরায়েলের কোনও পাল্টা হামলায় অংশ নেবে না।

চ্যানেল ১২ আরও দাবি করেছে, ইসরায়েল এখন সংযত থাকার বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কৌশলগত চুক্তি করতে চাচ্ছে এবং তা করতে চাচ্ছে ফিলিস্তিন ইস্যুতে কোনও ধরনের প্রতিশ্রুতি না দিয়েই।


আরও খবর



দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায়  লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মুসল্লিরা আসেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম শামসুল হক কাসেমি।

বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন।

নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম ও প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ।

রংপুর জেলা থেকে ঈদের জামাতে আসা অলিউল ইসলাম ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনে ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

জেলার খানসামা  উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমি এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানে নামাজ পড়েছি। সবাই মিলে একসঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করলাম। সবাই মিলে নামাজ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠের সমন্বয়ক, পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মাঠের সুন্দর মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ঈদগাহ মাঠের এ সমন্বয়ক।

ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল  আলম দুলাল, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমে, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর