রাত পোহালে সোমবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের
৬৯৬ টি বুথে পুনঃনির্বাচন হবে। সকাল সাতটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
ভোট নেওয়া হবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে।
গত ৮ জুলাই রাজ্যটির ২২টি জেলার মধ্যে
২০টি জেলায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত (গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ) ভোট হয়।
বাকি দুই জেলা- দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত (গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত
সমিতি) ভোট হয়। কিন্তু ওই নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা দেখা যায় অধিকাংশ জেলায়।
ছাপ্পা ভোট, ভোট লুট, ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়া, ভোটারদের প্রভাবিত করা, ভয় দেখানো,
মারধর, বোমা, গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটে। কেবল ভোটের দিনই মৃত্যু হয় ভোট সহিংসতায়
মৃত্যু হয় ১৫ জনের। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন<< কাঁঠাল খেয়ে বেঁচে আছে ‘লাখ লাখ মানুষ’
রবিবার রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে
দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী মুর্শিদাবাদ জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৭৫ টি বুথে ভোট নেওয়া
হবে। এছাড়া মালদহে (১০৯), নদীয়া (৮৯), কোচবিহার (৫৩) উত্তর চব্বিশ পরগনা (৪৬), উত্তর
দিনাজপুর (৪২), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৩৬), পূর্ব মেদিনীপুর (৩১), হুগলি (২৯), দক্ষিণ দিনাজপুর
(১৮), জলপাইগুড়ি (১৪), বীরভূম (১৪), পশ্চিম মেদিনীপুর (১০), বাঁকুড়া (৮), হাওড়া
(৮), পশ্চিম বর্ধমান (৬), পুরুলিয়া (৪), পূর্ব বর্ধমান (৩), এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়
১ টি মাত্র বুথে পুনরায় ভোট নেওয়া হবে। প্রতিটি
বুথে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চারজন জওয়ান।
উল্লেখ্য, শেষবার ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত
নির্বাচনেকে ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা দেখেছিল রাজ্যবাসী। মৃত্যু হয়েছিল ২৩ জনের। এছাড়া
ভোট লুট, ছাপ্পা ভোট, ভোটারদের প্রভাবিত করা, ভয় দেখানোসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সেই
পরিপ্রেক্ষিতেই ওই বছর ৫৭৪টি বুথে পুনঃনির্বাচন নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন<< চীনের মধ্যাঞ্চলে ভূমিধস, নিখোঁজ ৯
কিন্তু পাঁচ বছর আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে
ঘিরে রাজ্যে ভোট কেন্দ্রিক যে সহিংসতা কিংবা মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল তাকে ছাপিয়ে যায়
এবার। চলতি বছরের গত ৮ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে গত এক মাস
ধরে নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতায় সেই মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁয়েছে ৩২ এ।