আসন্ন পবিত্র
ঈদুল আজহায় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোরবানি দিবেন মুসলমানরা। তবে কোরবানি
দেবার কিছু নিয়ম আছে। চাইলেই যে কোনো পশু বা যে কোনো বয়সের পশু কোরবানি দেয়া যায় না।
জিলহজ মাসের দশম
দিন ঈদের নামাজ পড়ার পর থেকে জিলহজের বারো তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোরবানি
করা যাবে। তবে ঈদের নামাজের পূর্বে কোরবানি করা যাবে না। ঈদের নামাজ পড়ে এসে কোরবানি
করতে হবে।
কোরবানির জন্তু—উট,
গরু, মহিষ, দুম্বা, ভেড়া ও ছাগল দ্বারা কোরবানি করা জায়েজ। অন্য জন্তু দ্বারা কোরবানি
নাজায়েজ। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে এক বছর পূর্ণ হতে হবে, গরু-মহিষ দুই বছর পূর্ণ
হতে হবে, উট পাঁচ বছর পূর্ণ হতে হবে। (হিদায়া, খ-৪, পৃ. ১০৩)
কোরবানির পশু
হতে হবে দোষ-ত্রুটিমুক্ত। পশুর মধ্যে যেসব ত্রুটি থাকলে কোরবানি দেওয়া যাবে না সেগুলো হলো
১. দৃষ্টিশক্তি
না থাকা।
২. শ্রবণশক্তি
না থাকা।
৩. অত্যন্ত দুর্বল,
জীর্ণশীর্ণ হওয়া।
৪. এই পরিমাণ
লেংড়া যে জবাই করার স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে অক্ষম।
৫. লেজের বেশির
ভাগ কাটা।
৬. জন্মগতভাবে
কান না থাকা।
৭. কানের বেশির
ভাগ কাটা।
৮. গোড়াসহ শিং
উপড়ে যাওয়া।
৯. পাগল হওয়ার
কারণে ঘাস-পানি ঠিকমতো না খাওয়া ।
১০. বেশির ভাগ দাঁত না থাকা।
১১. রোগের কারণে
স্তনের দুধ শুকিয়ে যাওয়া।
১২. ছাগলের দুটি
দুধের যেকোনো একটি কাটা।
১৩. গরু বা মহিষের
চারটি দুধের যেকোনো দুটি কাটা।
মোটকথা, কোরবানির
পশু বড় ধরনের দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত হবে। হাদিসে এসেছে, ‘চার ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি হবে না। অন্ধ,
যার অন্ধত্ব স্পষ্ট; রোগাক্রান্ত, যার রোগ স্পষ্ট; পঙ্গু, যার পঙ্গুত্ব স্পষ্ট ও আহত,
যার কোনো অঙ্গ ভেঙে গেছে।’ ( ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১৪৪)