আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পুঁজিবাজারে ফের দরপতন

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বড় উত্থানের এক দিন পর দেশের পুঁজিবাজারে আবারো দরপতন হয়েছে। সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার (২৩ মার্চ) বিমা ছাড়া ওষুধ, প্রকৌশল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব খাতেরই শেয়ারের দাম কমেছে।

এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২১ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন।

বিমা খাতের ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২০টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬টির। বিমার পাশাপাশি বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোন ও লাফার্জ হোলসিম বড় দরপতন থেকে রক্ষায় ভূমিকা রেখেছে।

দেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে সোনালী পেপার, ডেল্টা লাইফ, ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স, ইস্টার্ন ব্যাংক ও বসুন্ধরা পেপার মিলসও সূচক বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।

বুধবার ডিএসইতে ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ১৯ কোটি ৬৭ লাখ ৮৮ হাজার ১৩৬টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৬৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির।

অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান সূচক ২১ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৭৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইর অপর দুই সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৪ দশমিক ১৪ পয়েন্ট। ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ১ দশমিক ৬১ পয়েন্ট।

বুধবার ডিএসইতে ৮৬৩ কোটি ২০ লাখ ১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৫৭ কোটি ৬০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে।

ডিএসইতে এদিন বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে ছিল। এরপর ছিল বিডিকম, সোনালী পেপার, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স, প্রিমিয়ার ব্যাংক, আমরা টেকনোলজি, ওরিয়ন ফার্মা, বিএসসি ও সাইফ পাওয়ার লিমিটেড।

অপর পুঁজিবাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৭৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির দাম।

এ বাজারে ৫৬ কোটি ৮৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ২২ কোটি ৮ লাখ ১৯ হাজার ৮৭০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।


আরও খবর
লম্বা ছুটির পর আজ ব্যাংক খোলা

সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪




৭১ বছর পর এভারেস্টের চেয়ে বড় ধূমকেতুর দেখা মিলতে যাচ্ছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীর খুব কাছে আসছে মাউন্ট এভারেস্টের চেয়ে বড় একটি ধূমকেতু। দীর্ঘ ৭১ বছর পর বিরল এই ধূমকেতুর দেখা মিলতে যাচ্ছে। ধূমকেতুটির নাম ১২পি/পনসব্রুকস। এটি খালি চোখেও দেখা যেতে পারে।

১২পি/পনস-ব্রুকস ধূমকেতুটি নির্দিষ্ট সময় পরপর পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করা ধূমকেতুটি প্রতি ৭০ বছর পরপর সৌরজগতের ভেতরে চলে আসে। জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁ-লুইস পনস ১৮১২ সালে প্রথম ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন। এরপর ১৮৮৩ সালে এটি আবার দেখতে পান জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস। তাদের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।

সর্বশেষ ১৯৫৪ সালে ধূমকেতুটি সূর্যের কাছাকাছি এসেছিল। এরপর ২০৯৫ সালে এটি আবার সূর্যের কাছাকাছি আসতে পারে। একে অনেক সময় শয়তান (ডেভিল) ধূমকেতু হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।

আগামী ২১ এপ্রিল ধূমকেতুটি সূর্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছাবে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জ্যোতির্বিদেরা দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে এটি দেখতে পাচ্ছেন এবং ছবি তুলছেন। আগামী ২ জুন এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসবে। এ সময় পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে ১৪ কোটি ৪০ লাখ মাইল।

আগামী ৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রে সূর্যগ্রহণ থাকায় ওই সময় এটি সেখান থেকে দেখা যেতে পারে। অন্য ধূমকেতুর মতোই ১২পি/পনস-ব্রুকস মূলত ধূলি, বরফ ও ধাতব পদার্থের তৈরি। সূর্যের কাছাকাছি গেলে তাপে সেখান থেকে গ্যাস বের হয় এবং ধূলিকণা মিশে ধূমকেতুর বায়ুমণ্ডল সৃষ্টি করে। এ ছাড়া সৌরবায়ুর কারণে ধূমকেতুর একটি লেজ সৃষ্টি হয়।


আরও খবর



রমনায় বোমা হামলা: ২৩ বছরেও শেষ হয়নি মামলার বিচার

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মামলা ঝুলে আছে ২৩ বছর ধরে। সাক্ষী হাজির না হওয়ায় বিচারিক আদালতের গণ্ডি পেরোতে পারেনি মামলাটি। এছাড়া হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তি হলেও, হাইকোর্টে এসে আটকে গেছে। জানা গেছে, ১০ বছরে অন্তত কয়েকশো বার পিছিয়েছে শুনানি।

রাজধানীর রমনা বটমূলে ২০০১ সালে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি)। বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন অনেকে। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।

দুই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ একসঙ্গে শুরু হলেও ২৩ বছরেও বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হতে পারেনি বিস্ফোরক মামলাটি। কারণ হিসেবে সাক্ষী হাজির না হওয়া, প্রতি বছর এই একই যুক্তি দিয়ে আসছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

বিচারিক আদালত হত্যা মামলায় যে রায় দিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য সে মামলা হাইকোর্টে ঝুলে আছে। আর বিস্ফোরক আইনের মামলাটি এখনো ঢাকা মহানগর ১৫ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে রায়ের অপেক্ষায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম শেষ করা যায়নি। আর হাইকোর্টে হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি ঈদের ছুটির পরপরই শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

২০০১ সালে হামলার পর পরই ওই দিনই নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। দুই মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৪ জঙ্গিকে আসামি করা হয়।

ঘটনার প্রায় আট বছর পর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দায়রা জজ রুহুল আমিন প্রধান আসামি মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। এরপর খালাস চেয়ে উচ্চ আদালত হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। অন্যদিকে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি হাইকোর্টে যায়।

এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা থেমে আছে। হত্যা মামলাটি অবশ্য বিচারের প্রথম ধাপ পেরিয়েছে ১০ বছর আগে। এরপর হাইকোর্টে এসে আটকে গেছে। ফলে গত ১০ বছরেও আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন মেলেনি। বিভিন্ন সময়ে আদালতে উঠলেও অন্তত কয়েকশো বার পিছিয়েছে শুনানি।

এ মামলার দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ চার আসামি এখনো পলাতক। তবে হুজি নেতা মুফতি হান্নানের ফাঁসি অন্য এক মামলায় কার্যকর করা হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির বলেন, হত্যা মামলাটির আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এসেছিল। রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করেছে, তাই সময় শুরু হয়নি।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তিনটি কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। এমনকি আংশিক শুনানিও হয়েছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সময় চাওয়া হয়। ২০১৪ সালের ডেথ রেফারেন্স এটি। যার শুনানি শুরুই হয়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গত ৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, রমনার বটমূলের হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রয়েছে। আগামী মাসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ মামলার আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ওই বেঞ্চের একজন বিচারক আগে আইনজীবী হিসেবে এ মামলার কাজে ছিলেন। তাই তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ কারণে হয়ত কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এবার শুনানি হবে। আমরা প্রস্তুত আছি- বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এ আইন কর্মকর্তা।

অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।

সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যা মামলার রায় অনুযায়ী ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ফলে রমনা বটমূলের বিস্ফোরক আইনের মামলা থেকে তার নাম বাদ যায়।

এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মাওলানা তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবু বকর, হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা আকবর হোসাইন, মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ও মাওলানা শওকত ওসমান। তাদের মধ্যে তাজউদ্দিন, আবদুল হাই ও জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছেন।

২০২২ সালের ২১ মার্চ বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্য শোনেন আদালত। ওই বছরের ৩ এপ্রিল আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন সাত আসামি। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি।

ওইদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ওই বছরের ১১ অগাস্ট দিন ধার্য করেন বিচারক। কিন্তু তার আগেই ২৮ জুলাই ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল মামলাটি মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ফেরত পাঠায়।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুলাহ আবু বলেন, সাক্ষীরা একবার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরে ওই সাক্ষীদের সহজে পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচারকাজ শেষ হওয়া উচিত।

প্রায় দুই যুগ ধরে চলা এই হামলার বিচার শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ জানান শিল্পীরা। সঙ্গীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, আমাদের দেশের কিছু লোক আছেন, যারা বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁকা চোখে দেখেন। তবে এ ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ রায় যেন পাই, সে প্রত্যাশা করি।


আরও খবর



প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করেন? জেনে নিন কী হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রায় সব নারীরই সাজের অন্যতম অংশ হলো লিপস্টিক। পোশাক, অন্যান্য অনুষঙ্গ, ব্যক্তিত্ব আর রুচি অনুযায়ী নারীরা লিপস্টিকের রং নির্বাচন করেন। যারা লিপস্টিক পছন্দ করেন তাদের একটি বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। তা হলো, নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের অভ্যাস আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কীভাবে? লিপস্টিকে বেশ কিছু বিপজ্জনক উপাদান রয়েছে যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

আপনি কি জানেন যে খাবার খাওয়ার সময় লিপস্টিক শরীরে প্রবেশ করে? কেউ লিপস্টিক ব্যবহার করে ভুলবশত তা গিলে ফেললে অ্যালুমিনিয়াম, ক্রোমিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো বিপজ্জনক পদার্থও পেটে চলে যায়। তাই আপনার লিপস্টিকটি এই ধরনের বিপজ্জনক উপাদান মুক্ত কি না তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের ৩টি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন-

শুষ্ক এবং ফাটা ঠোঁট : লিপস্টিক ঠোঁট শুকিয়ে ফেলতে পারে এবং ঠোঁট ফাটার কারণ হতে পারে। এটি উদ্বেগের বিষয়। এক্সফোলিয়েশন এবং ময়েশ্চারাইজেশনের মতো নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নেওয়া জরুরি। এগুলো লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে তৈরি শুষ্কতা রোধ করতে সাহায্য করে।

অ্যালার্জি : কোনো কোনো লিপস্টিক হতে পারে ব্যবহারকারীর অ্যালার্জির কারণ। বিশেষ করে সস্তা এবং নন ব্র্যান্ডেড লিপস্টিক ব্যবহার করলে এ ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। স্বনামধন্য প্রসাধনী সংস্থাগুলি কঠোর নিরাপত্তা অনুসরণ করে তাদের পণ্যগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার পর বাজারে আনে। তাই সেগুলো ব্যবহারে অ্যালার্জির ভয় কম।

পিগমেন্টেশন : লিপস্টিক পরলে কারও কারও ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ পরিবর্তন হতে পারে। তবে জেনেটিক্স এবং ইউভি এক্সপোজার ঠোঁটের পিগমেন্টেশন নির্ধারণে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। লিপস্টিক ব্যবহার করার পাশাপাশি ভালো মানের সানস্ক্রিন ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।


আরও খবর
কেমন হবে বৈশাখের সাজ

শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪




ঈদুল ফিতরে যেভাবে মিলবে টানা ১০ দিনের ছুটি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি কর্মচারী এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটির সঙ্গে দুই দিনের ছুটি নিলেই তার টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সুযোগ কাজে লাগাতে অনেকেই ২ দিনের ছুটির আবেদনও প্রস্তুত করছেন। সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সরকারি ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুসারে ৫ ও ৬ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ৭ এপ্রিল পবিত্র শবে কদরের সরকারি ছুটি। সে ক্ষেত্রে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুই দিনের ছুটি নিলেই ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগের সুযোগ রয়েছে। কারণ ১০, ১১ এবং ১২ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি। আবার ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ। অর্থাৎ, মাত্র দুই দিনের ছুটি নিলেই একসঙ্গে ১০ দিন ছুটি কাটাতে পারবেন কর্মচারীরা।

আবার যদি রোজা ২৯টি হয় তাহলে ৯, ১০ এবং ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি থাকবে। সেক্ষেত্রে ৮ এপ্রিল মাত্র ১ দিনের ছুটি নিলেই টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা। কারণ ১২ এবং ১৩ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পর দিন ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার নির্বাহী আদেশে ছুটির ফাইল উঠার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। কারণ সরকারি ছুটির পরিমাণ অনেক বেশি।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা দুই দিনের আগাম ছুটির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দু-এক দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন জমা দেবেন। অনেকে আবার ঈদের ছুটিতে বিদেশ সফর করবেন। তবে সেক্ষেত্রে অধিকাংশ উচ্চপর্যায়ের কর্মচারী চিকিৎসা সেবা নিতে বিদেশ সফরের আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



পাহাড়ে সন্ত্রাস নির্মূলে যে ব্যবস্থা নিচ্ছে র‌্যাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) আগামীতে আরও বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের নির্মূলে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, নিজেদের কৌশল অবলম্বন করে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় বান্দরবান জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

ব্যাংক ম্যানেজারের ল্যাপটপ ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা সাইবার হামলার চালাতে চেয়েছিল বলেও জানান তিনি।

খন্দকার আল মঈন বলেন, র‌্যাবের নিজস্ব কৌশলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় রুমা থেকে অক্ষত অবস্থায় ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের পর পাহাড় ও ঝিরি পথে দীর্ঘক্ষণ হেঁটে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় অভিযানে নামে র‌্যাব। একটানা ৩০ ঘণ্টা অভিযানের পর কেএনএফ সন্ত্রাসীরা র‌্যাবের পাতা ফাঁদে পা দেয় এবং অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মোটরসাইকেলে করে রুমার একটি জায়গায় রেখে চলে যায়। সেখান থেকে র‌্যাব তাকে উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ম্যানেজারকে জীবিত উদ্ধারের কারণে আমরা হার্ড লাইনে যাইনি। তবে আজকে থেকে আমরা সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করব বিভিন্ন বাহিনীর সহযোগিতায়।

তিনি বলেন, কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো তারা আরও বড় ধরনের হামলা করতে পারে। সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না, সিসিটিভি ফুটেজ শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।


আরও খবর