আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পুঁজিবাজারে সূচকের মিশ্র প্রবণতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজারে সূচকের মিশ্র প্রবণতার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার  ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ২৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১৫৮১ ও ২৬৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে এক হাজার ৮৫২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে ২৯৮ কোটি টাকার লেনদেন কমেছে। আগের দিন ডিএসইতে দুই হাজার ১৫০ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল। 

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৭৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৫টি কোম্পানি কমেছে ১৮৫টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।

বৃহস্পতিবার লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, অরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, ডেল্টা লাইফ, এসএস স্টিল, আলিফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ম্যাকসন স্পিনিং,  একটিভ ফাইন ও সাইফ পাওয়ার।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২১ হাজার ১৪৬ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ৩১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে

১১৫টির, কমেছে ১৭৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির কোম্পানির শেয়ার দর।

বৃহস্পতিবার সিএসইতে ৫০ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১২ কোটি টাকার লেনদেন কমেছে। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার।


আরও খবর



আজকের রাশিফল: শনিবার ৯ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আজ ০৯ মার্চ ২০২৪, শনিবার। আজকের তারিখে জন্মগ্রহণ করায় রাশিচক্রে আপনি মীন রাশির জাতক-জাতিকা। চলুন জেনে নেয়া যাক আপনার রাশিতে আজকের পূর্বাভাস-

মেষ রাশি

বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীদের সহযোগিতা লাভ করবেন। চাকরিজীবীদের পদোন্নতিতে বাধা উৎপন্ন হতে পারে। সমস্ত ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী থাকবে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কে মধুর সম্পর্ক বজায় রাখুন।

বৃষ রাশি

আজ আপনাদের আয় ভালো হবে। দাম্পত্য সুখ লাভ করবেন। সীমানার মধ্যে কাজ করুন। রোম্যান্টিক ও ভালোবাসাপূর্ণ দিন থাকবে। কেরিয়ারে নতুন সুযোগ পাবেন। আপনার সঙ্গী নিজেকে উপেক্ষিত মনে করতে পারেন। প্রেমীর সঙ্গে জীবনে অগ্রসর হবেন।

মিথুন রাশি

গভীর চিন্তাভাবনা ও বিচক্ষণতার সাহায্যে বরিষ্ঠ সদস্য ও আধিকারিকদের সঙ্গে সম্পর্ক মধুর করবেন। ভালোবাসা ও রোম্যান্সকে গুরুত্ব দেবেন। হাসিঠাট্টায় ভরপুর সম্পর্ক গড়ে তুলবেন। সঙ্গী আপনার স্বাধীনতা ও স্বনির্ভরতার প্রশংসা করবে। ভালোবাসা ও রোম্যান্সের আদর্শে অনড় থাকবেন।

কর্কট রাশি

কখনও কখনও সঠিক সময়ে পদক্ষেপ না-করার মনোভব প্রবল হতে পারে। আলস্য থাকবে। সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার করার মতো আত্মবিশ্বাস থাকবে না। জীবনে বিরোধিতাপূর্ণ পরিবেশ থাকবে। ভবিষ্যতের বিকাশ ও উন্নতির জন্য চিন্তিত থাকবেন। অন্য দিকে বিশ্রাম করার ইচ্ছা থাকবে আপনার মনে। প্রেম জীবনে সামঞ্জস্য বজায় রাখার চেষ্টা করবেন।

সিংহ রাশি

বন্ধু ও আত্মীয়দের সহযোগিতা লাভ করবেন। সওদা করার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় এটি। চুক্তি ও আপোসের দ্বারা লাভান্বিত হবেন। আয় বৃদ্ধির যোগ রয়েছে। আনন্দ, পার্টি করবেন ও প্রিয় মানুষের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন। সময়ের সদ্ব্যবহার করুন।

কন্যা রাশি

কন্যা রাশির জাতকরা নিজের বিচক্ষণতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারদর্শীতার কারণে সম্মান লাভ করবেন। কল্পনাশক্তি প্রবল হবে। নতুন উদ্যোগে সাফল্য লাভ করবেন। অন্যান্যরা আপনার সৃজনশীল অনুভূতিরকে সম্মান জানাবে। সম্পর্ককে প্রাথমিকতা প্রদান করুন। প্রেম ও দাম্পত্য জীবনে রোম্যান্স থাকবে।

তুলা রাশি

আজ আয়ের নতুন উৎস লাভ করবেন। ব্যয় বাড়বে, তবে ভালো পরিমাণে আয় বৃদ্ধি হবে। সময়ের সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। উৎসাহে ভরপুর থাকবেন। তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। সম্পর্ক সমৃদ্ধ করবেন। সকলের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক বৃদ্ধি হবে। ভাগ্যের জোরে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক আপনার পক্ষে থাকবে।

বৃশ্চিক রাশি

বৃশ্চিক রাশির ব্যবসায়ী জাতকদের ব্যবসায়ে পরিবর্তন হবে। এর লাভ উপভোগ করুন। আর্থিক লাভের পাশাপাশি সম্মানিত হতে পারেন। বেকার যুবকরা গুরুত্বপূর্ণ কল পাবেন। কোনো যাত্রায় যেতে পারেন। পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে যেতে পারেন।

ধনু রাশি

ধনুর জাতকরা নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ভাই-বোন সমৃদ্ধ হবে। কেরিয়ারে সাফল্য লাভ করবেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান ও তাঁদের ইচ্ছা ও চাহিদাকে প্রাধান্য দিন। নিজের বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য ও চাতুর্যের সাহায্যে পারিবারিক সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টা করবেন।

মকর রাশি

আজ ব্যবসায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লাভ হবে। আজ যে যাত্রা করবেন, তা কেরিয়ারের জন্য উপযুক্ত ও লাভজনক হবে। পরিবারের সকল সদস্য ও প্রেম জীবনে উন্নতির জন্য চিন্তিত থাকবেন। সম্পর্কে সমস্যা উৎপন্ন হলে ধৈর্য ধরে চাতুর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করুন।

কুম্ভ রাশি

প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। দৈনন্দিন কাজ পুরো করার জন্য অসাধারণ শক্তি থাকবে আপনার মধ্যে। আর্থিক দিক দিয়ে দিন খুব ভালো। পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে। সম্পর্ক উন্নত করার জন্য ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করুন।

মীন রাশি

মীন রাশির জাতকদের আত্মবিশ্বাস তাদের অজেয় করে তুলবে। বুদ্ধির জোরে শিগগিরই সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীদের সাহায্য লাভ করবেন। নিজের মনের কথা ব্যক্ত করার সময় এটি। প্রেম নিবেদন করতে পারেন। ব্যস্ততা ও অবসাদের মধ্যে নিজের জন্য কিছু সময় বের করুন। এর ফলে সম্পর্ক মজবুত হবে।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ না নেয়া দুঃখজনক: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, সারাবিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, কিন্তু তা বন্ধে কেউ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এটি খুবই দুঃখজনক।

রোববার গণভবনে ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের (শাসক দল) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন তিনি।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে নীরব অবস্থানের জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি এক ধরনের ভন্ডামি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং এটি করা উচিত মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের জন্য।

শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে গাজায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যাসহ ইসরায়েলি বাহিনীর হাসপাতালে হামলার নিন্দা করেন। তিনি গাজায় মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে মিশরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য দুই দফা ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। আমি যেখানেই সুযোগ পেয়েছি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় আওয়াজ তুলেছি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



হাইতির দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গ্যাং সহিংসতা বাড়ার কারণে হাইতি থেকে দূতাবাসের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের বিমানযোগে দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

রবিবার (১০ মার্চ) এক বিবৃতিতে ইউএস সাউদার্ন কমান্ড জানিয়েছে, রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্স এবং ক্যারিবিয়ান দেশ জুড়ে সহিংসতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাইতিতে মার্কিন দূতাবাস থেকে বিমানযোগে আমেরিকান কর্মীদের সরিয়ে নিতে শনিবার থেকে রবিবার রাতভর অভিযান চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। অভিযানের অংশ হিসেবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও কর্মকর্তারা জানান।

রবিবার সকালে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মার্কিন সাউদার্ন কমান্ড জানিয়েছে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের অনুরোধে মার্কিন সামরিক বাহিনী পোর্ট-অব-প্রিন্সে মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়াতে একটি অপারেশন পরিচালনা করে এবং দূতাবাসের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড বলেছেন, এই মুহূর্তে দূতাবাসে যেসব কর্মীদের খুব একটা প্রয়োজন নেই, তাদেরকে বিমানে করে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তবে দূতাবাস খোলা থাকবে। দূতাবাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, দূতাবাস চত্বর ও বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকায় সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায়, নিরাপত্তা বিবেচনায় অতিরিক্ত কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উদ্বেগজনকভাবে বাংলাদেশ দূষণ ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। যা তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক পুরুষ ও নারীদের। বছরে দূষণের কারণে দেশে অকাল মৃত্যু হচ্ছে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষের। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রনমেন্ট অ্যানালাইসিস নামে প্রকাশিত এ প্রতিবেদন অনুযায়ী বায়ু দূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণ বেশি অকাল মৃত্যুর কারণ। পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ঘর ও বাইরের বায়ু দূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবিলা একই সঙ্গে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। আমরা পৃথিবীর নানা দেশে দেখেছি, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কাঠের জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ু দূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই রিপোর্টের সহ-প্রণেতা আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।


আরও খবর



স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান : শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

স্বাধীনতার এতদিনেও দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাবই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বধীন সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার মূল লক্ষ্য ছিল ধনী-দরিদ্রের বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সে পথেই বাংলাদেশকে পরিচালিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু নিরলস চেষ্টা করতে থাকেন। কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে ছোট-বড় রাজনীতিবিদ যেই হোক না কেন দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশ দীর্ঘদিন পেছনের দিকে হাঁটতে থাকে। সব ধরনের উন্নয়ন থমকে যায়। সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার ঘটতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণা করার পরিবর্তে পশ্চাৎপদ হতে থাকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন হওয়ার পর ফের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ফিরে এসেছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে লাল-সবুজ পতাকার যে অভিষ্ট লক্ষ্য, তা পূরণ হওয়ার পথে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি পরপর ক্ষমতায় থাকার কারণে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমিয়ে বড় ধরনের সফলতা এসেছে। এই সফলতা পূর্ণাঙ্গতা পাবে যদি আমরা সুশাসন দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তি দমন করে আরও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে পারি। তবেই আমরা স্বাধীনতার পরিপূর্ণ সাফল্য পাবো।

সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারাই স্বাধীনতার ঘাটতি মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের অর্জন আকাশসম। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে যেতে পারছি। কিন্তু দুর্নীতি, অনিয়ম স্বমূলে উৎপাটন করতে পারিনি। স্বাধীনতার এত বছরেও রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি রয়েছে। দুর্নীতি স্বমূলে উৎপাটন করতে না পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে আমি মনে করি, কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে ছোট-বড় রাজনীতিবিদ যেই হোক না কেন দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। স্বাধীনতার প্রত্যয় হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া।

সুশাসনের স্বার্থেই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। জনগণ যেন তার সব স্তরের প্রতিনিধি বেছে নিতে পারে। এটিকে নিশ্চিত করা দরকার। কারণ মুক্তিযুদ্ধের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল জনগণ তার পছন্দের ব্যক্তিকে প্রতিনিধি হিসেবে বাছাই করতে পারবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক দুর্নীতিবাজের সাজা হচ্ছে। কিন্তু সুকৌশলে দুর্নীতির ফের বিস্তার ঘটছে। দুর্নীতি কমছে না এটিই আমাদের জাতি হিসেবে লজ্জার।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর