করোনাভাইরাসের
কারণে সারা দেশে সপ্তাহব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। এরমধ্যে ঢাকা ছেড়েছে অর্ধকোটি মানুষ।
ফলে পুরান ঢাকা আগের তুলনায় কিছুটা ফাঁকা। হাতেগোনা দুই একটা স্থায়ী দোকান ছাড়া প্যান্ডেলে
শামিয়ানা টানিয়ে এবার অস্থায়ী কোনো ইফতারের দোকান বসেনি পুরান ঢাকায়। যে কারণে নেই
ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাক।
বিশেষ করে সমগ্র
ঢাকার মানুষেরাই পুরান ঢাকার ইফতারের আলাদা একটা কদর করেন। আর এ এলাকার মানুষের ‘বড় বাপের পোলায়
খায়’ ছাড়া ইফতার যেন জমেই না। তবে এবার করোনা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের দেওয়া লকডাউনে পুরান ঢাকার চকবাজারে বসেনি ইফতারের বাজার।
করোনা মহামারির
কারণে গতবছরের ন্যায় এবারও ফুটপাতে বসেনি ইফতারের পসরা। শুধু মাত্র স্বল্প পরিসরে হোটেলে
বিক্রি হচ্ছে ইফতার। ফুটপাতে কোনো ইফতারি বিক্রি হচ্ছে না।
প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ইফতারের জন্য ফুটপাতের দোকানগুলোর ওপর নির্ভরশীল ছিল। নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে একেবারে নিম্ন আয়ের ভাসমান মানুষ ফুটপাত থেকে ইফতার ক্রয় করতেন। দুই বছর করোনার কারণে মৌসুমী ইফতার সামগ্রী বিক্রেতারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত তেমনি সাধারণ ক্রেতারাও ফুটপাত থেকে ইফতার সামগ্রী ক্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।