ইউক্রেন সীমান্তবর্তী
হাঙ্গেরির বেরেগসুরনি গ্রামের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে গাদাগাদি করে আশ্রয় নিয়েছে
প্রায় ২৪টি পরিবার। মেঝেতে খেলছে ছোট শিশুরা। মায়ের কোল ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে
আরও ছোটরা। আর অপেক্ষাকৃত বড়রা খেলছে স্থানীয়দের দেওয়া খেলনা দিয়ে। কয়েক মুহূর্তের
জন্য হলেও ইউক্রেনে চলা যুদ্ধ যেন ভুলে গেছে তারা।
হলরুমের বাইরে গ্রামের আঙিনায় পৌঁছালো সীমান্ত থেকে আসা আরেকটি মিনিবাস। গত শুক্রবার থেকে এভাবে প্রায় ৮৪ হাজার ৫৭১ জন ইউক্রেনীয় হাঙ্গেরি পৌঁছেছে। সাত বছর আগে হাজার হাজার আশ্রয়প্রার্থীর জন্য খুব কম কিছু করতে পারা হাঙ্গেরির বাসিন্দারা এবার হৃদয় উজাড় করে দিয়েছে।
আশ্রয় নেওয়া
বহু নারীর মধ্যে কেবল জুলিয়াই তার স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পেরেছেন। তার বেলারুশের
নাগরিকত্ব রয়েছে।
এই যুগল সীমান্ত
ক্রসিংয়ে গিয়ে ভয়ে ছিলেন যে, তাদের হয়তো ফেরত পাঠানো হবে। তাদের ঠিক সামনেই ইউক্রেনীয়
এক পুরুষকে দেশ ছাড়তে দেওয়া হয়নি। যদিও তার সঙ্গে ১৩ বছরের মেয়ে ছিল। জুলিয়া বলেন,
‘তাদের
সঙ্গে কি হয়েছিল তা জানা নেই।’
জুলিয়া এবং
তার স্বামীর পালা যখন আসে তখন শুল্ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সামান্য বিবাদে জড়ান তারা।
পরে শুল্ক কর্মকর্তারা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের যেতে দেন। তারা তাদের বিড়ালটাকেও সঙ্গে
নিতে পেরেছেন।
জুলিয়া বলেন, ‘জীবনটাকে একটু স্যুটকেসে ভরে ফেলা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল।’ খারকিভের আরেক বাসিন্দা আন্না বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন তার দেশ আবারও সুখী হবে। তবে ত্রাণকর্মীদের আশঙ্কা পরিস্থিতি ভালো হয়ে ওঠার আগে আরও বেশি খারাপ হবে।