ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার প্রশাসন থাকলে এমনটা কখনোই ঘটতো না। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার রাতে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর ফক্স নিউজকে তিনি একথা বলেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। ফোনে ট্রাম্প বলেন, পুতিন ‘প্রাথমিকভাবে এমনটা করতে চাননি’ বলেই তার বিশ্বাস।
“আমার ধারণা তিনি কিছু একটা করতে চেয়েছিলেন, তারপর মধ্যস্থতা; এটা খারাপ
থেকে আরও খারাপ হয়েছে, তারপর তিনি দুর্বলতা দেখতে পেয়েছেন,” বলেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের যে ‘দুর্বলতা’ প্রকাশিত হয়েছে, রাশিয়ার ইউক্রেইনে আক্রমণের পেছনে সেটাও অংশত দায়ী বলে মনে করেন ট্রাম্প। ট্রাম্প আগের দিনই ইউক্রেইনের দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের সেখানে রুশ সেনা পাঠানোর ঘোষণাকে ‘জিনিয়াস’ অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন।
“গতকাল এক জায়গায় ছিলাম, সেখানে একটি টিভি স্ক্রিন ছিল, আমি বলেছিলাম
‘এটা
জিনিয়াস।’ পুতিন ইউক্রেইনের একটি বড় অংশকে, ইউক্রেইনের, পুতিন একে স্বাধীন ঘোষণা
করলেন। ওহ, খুবই চমৎকার,” ট্রাম্প ‘দ্য ক্লে ট্রাভিস অ্যান্ড বাক সেক্সটন শো’তে এমনটাই বলেছিলেন।
সাবেক এই মার্কিন
প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, “পুতিন এখন বলছেন, ‘এটা স্বাধীন।’ ইউক্রেইনের বিশাল অংশ। আমি বললাম, “কত স্মার্ট এটা?’ তিনি সেখানে সেনা পাঠাবেন, শান্তি রক্ষা করবেন। তাদের শক্তিশালী শান্তিরক্ষা
বাহিনী। এটা আমরা দক্ষিণ সীমান্তে ব্যবহার করতে পারতাম। সেটা হতো আমার দেখা সবচেয়ে
শক্তিশালী শান্তিরক্ষা বাহিনী।
“এখানে একজন আছেন তিনি (পুতিন) খুবই বুদ্ধিমান। আমি তাকে ভালো করেই চিনি। খুব, খুব ভালো করে চিনি।” মঙ্গলবার মার্কিন রক্ষণশীলদের এক রেডিও অনুষ্ঠানে দেওয়া ট্রাম্পের এ বক্তব্যকে ক্রেমলিন স্বাগত জানিয়েছিল।
অবশ্য ট্রাম্প
যে পুতিনের প্রশংসাই করবেন, তা খুব একটা আশ্চর্যের নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
থাকাকালেও তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের গুণগানই গেয়েছেন। মস্কো ২০১৬ সালের নির্বাচনে তাকে
জেতাতে হস্তক্ষেপ করেছিল বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভাষ্যকে পায়ে দলে তিনি হেলসিংকি
সম্মেলনে পুতিনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।