রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির পুতিনের ‘পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এজন্যই পুতিন
রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্রের সাহায্য নেওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার ওয়াশিংটন
ডিসিতে একটি ব্যবসায়িক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বিশ্বাস
করেন, রাশিয়া নতুন একটি ‘অতর্কিত হামলা’ চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। খবর বিবিসির
বাইডেন বলেন, এখানে একটি বিষয় সামনে আসছে, ইউক্রেনেরও জৈবিক ও রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে। তাই এটি স্পষ্ট, আমরা এই দুটি ব্যবহারের বিষয়ে বিবেচনা করছি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা বারবার বলে এসেছে, রাশিয়া এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারে এগিয়ে এলে এর পরিণতি ভালো হবে না।
মার্চের শুরুতে
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারিকে
সতর্ক করে বলেছিলেন, মস্কো যদি ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্র মোতায়েন করে, তাহলে
পরিণতি ভোগ করবে।
এদিকে সোমবার
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন, জার্মানির
চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন
জো বাইডেন। চলতি সপ্তাহে ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন তিনি। এর আগে এই অঞ্চলের দেশগুলোর নেতাদের
সঙ্গে কথা বললেন।
টেলিফোন আলাপের
পর একটি বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে ‘নৃশংস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এই বিবৃতিতে।
সোমবার ইউক্রেনের
মারিউপোল শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেয় মস্কো।
কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে কিয়েভ বলে, শেষ সৈন্য বেঁচে থাকা পর্যন্ত লড়াই চলবে।
শহরটিতে তাদের
পরাজয় হলে সেটি হবে রাশিয়ার জন্য কৌশলগত বিজয়। সেখান থেকে ক্রিমিয়ায় সরাসরি যোগাযোগ
করতে পারবেন রুশ সেনারা। মারিউপোলে আটকে পড়া বাসিন্দারা বলছেন, তাদের শহরটি এখন কার্যত
পৃথিবীর বুকে এক নরক।
মারিউপোল আজভ
সাগরের তীরে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর। প্রথমত, সেখানে পরাজয় হলে আজভ সাগরের সঙ্গে
একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ইউক্রেন। দ্বিতীয়ত, এটি যুদ্ধে রাশিয়াকে শক্তিশালী অবস্থানে
নিয়ে যাবে।
ক্রিমিয়ায় পানি
সরবরাহের যে খালের মুখে ইউক্রেন বাঁধ দিয়েছে, সেটি খুলে দিতে পারবে রাশিয়া। যে কারণে
এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে থাকা দেশগুলোর নজর এখন মারিউপোলের দিকে।