কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ষষ্ঠম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ছেলের বউয়ের কোলো চড়ে ভোট দিতে এলেন মতিজন বেওয়া(১৫০) নামের এক বৃদ্ধা। তিনি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ফলেমারী ঠকেরহাট গ্রামের মৃত আয়োজুদ্দিনের স্ত্রী।
মতিজন বেওয়া চিলমারী উপজেলার থানা হাট ইউনিয়নের বজরা তবকপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন। কিন্তু ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর ও ছবি ঠিক থাকলেও হাতের ছাপ না মেলায় ভোট দেয়া হলো না মতিজন বেওয়ার।
মতিজন
বেওয়া ছেলের বউ আমেনা বেগম বলেন, আমার শ্বাশুড়ি অনেক বয়স হয়েছে তিনি হাঁটতে পারে না।
তাই কোলে করে ভোট দিতে নিয়ে আসলাম। অনেকক্ষন চেষ্টা করার পরেও হাতের ছাপে মিল না। তাই
চলে যাচ্ছি পরে আসতে বলছে।
বজরাতবকপুর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব থাকা প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, ইভিএম মেশিনে ভোট হচ্ছে। মতিজন বেওয়ার ছবি স্কীনে দেখা গেলেও হাতের ছাপ না থাকায় আপাতত ভোট নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা উনাকে ৩টার দিকে ডাকলাম। শুধু হাতের আঙ্গুলের রেখার ছাপ মিলছে না এমন দু একজন আছে তাদের ভোট নিতে ঘন্টাখানেক পরে ডেকেছি। ওরা আসতে চাইছে।
উল্লেখ্য কুড়িগ্রামে ৬ষ্ঠ ধাপে চিলমারী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে উৎসব মুখর পরিবেশে ইভিএম এ মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল থেকে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি।
এদিকে দুর্গম চরাঞ্চলের এবারই প্রথম ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হওয়ায় ভোট গ্রহণে চলছে ধীর গতিতে।
নির্বাচনে চিলমারী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যানপদে ৩২ জন এবং ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ৩ ইউনিয়নে চেয়ারম্যানপদে ১৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন।
এই ৮ ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে এক লাখ ৬০হাজার ৬শ জন। এখন পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।