আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পূর্বধলায় ৭৯ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

নেত্রকোনার পূর্বধলায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)র তথ্যের ভিত্তিতে ৭৯ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটায় উপজেলার পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের পূর্বধলা পাট বাজারে শৈলেশের গোডাউন থেকে কালোবাজারের চিনির বস্তা জব্দ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স।

আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে সেফটি ট্যাংকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

সূত্রে জানা গেছে, পূর্বধলা পাট বাজারে ব্যবসায়ী শৈলেশ কালোবাজারের ভারতীয় চিনি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তার গোডাউনে মজুদ করে। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)র তথ্যের ভিত্তিতে পূর্বধলা থানা ও এনএসআইর একটি টিমসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স ওই শৈলেশের গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করে ৭৯ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়। কালোবাজারি ব্যবসায়ী শৈলেশকে আটকের ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স জানান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)র তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ৭৯ বস্তা কালোবাজারের চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলার বিএনপি নেতা বাবু গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা সৃষ্টির মামলায় অভিযুক্ত পলাতক আসামি মোঃ ইয়াহিয়া ওরফে কাজী বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৩।

র‍্যাব এক বিবৃতিতে জানায়, রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন খিলগাঁও এলাকায় ২০১২ সালে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে ব্যাপক নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালায়। উক্ত ঘটনায় রাজধানীর সবুজবাগ থানায় দায়েরকৃত নাশকতা মামলার ২০১২ সাল থেকে পলাতক এজাহার নামীয় কুখ্যাত আসামী রাজধানীর সবুজবাগ থানার দক্ষিণ বাসাবো এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ এর ছেলে মোঃ ইয়াহিয়া ওরফে কাজী বাবু (৫২)-কে গ্রেফতার করা হয়।

বিবৃতিতে আরো জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা একত্র হয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রাস্তা অবরোধ করে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালায়। উক্ত সময় সেখানে বিআরটিসির একটি দোতলা বাস আসলে রাস্তা অবরোধ করে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা গাড়ি থামিয়ে লাঠি-সোটা, ইট-পাটকেল দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে এবং গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার এবং গাড়ির যাত্রীদের এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেখে গাড়ির যাত্রী এবং এলাকার সাধারণ লোকজন উক্ত স্থান থেকে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের লাঠি ও ইট-পাটকেলের আঘাতে কিছুসংখ্যক সাধারণ লোকজন গুরুতর আহত হয়। গাড়ী ভাংচুরের শিকার ড্রাইভার বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী ১৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।

গ্রেফতারকৃত কাজী বাবু ২০১২ সালে রাজধানীর সবুজবাগ থানার ৪নং ওয়ার্ড এর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ছিল। উক্ত সময়ে তার নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা একাধিক নাশকতা কার্যক্রম চালায়। সে ২০১৩ সালের নাশকতা মামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে ২০ দিন জেল খেটে  জামিনে মুক্তি পায়। জামিনে মুক্তির পর থেকেই ধৃত আসামী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পলাতক জীবন যাপন করে আসছে। উক্ত মামলায় কাজী বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য পলাতক সকল আসামিদের গ্রেফতারের জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। উল্লেখ্য গ্রেফতারকৃত কাজী বাবুর বিরুদ্ধে সবুজবাগ থানায় ০৩ টি নাশকতা মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‍্যাব।


আরও খবর
শিশু হাসপাতালে আগুন নিয়ন্ত্রণে

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

পবিত্র রমজানের ইবাদতের মধ্যে সদকাতুল ফিতর আদায় করা অন্যতম একটি ইবাদত। রমজানের সিয়াম সাধনা শেষে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং এ আনন্দে যেন মুসলিম জাতির প্রতিটি সদস্য শরিক হতে পারে এ জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে সদকাতুল ফিতর। রমজানের রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিপূর্ণতার জন্যই আবশ্যক করা হয়েছে এটি।

ইমাম ওয়াকি ইবনুল জাররাহ বলেন, রমজান মাসের জাকাতুল ফিতর নামাজের সিজদায়ে সাহুর সমতুল্য। অর্থাৎ নামাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে যেমন সিজদায়ে সাহু দিলে এটা পূর্ণ হয়ে যায় তেমনি রোজার মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সাদকাতুল ফিতর দিয়ে এর প্রতিকার হয়। তাছাড়া ধনী-গরিব উভয়ে যেন অন্তত ঈদের দিন উত্তম পোশাক ও উন্নতমানের খাবার খেতে পারে এ জন্যই ফিতরার ব্যবস্থা।

ফিতরার নিসাব

যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ঋণ  ছাড়া সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা কিংবা এর সমমূল্য কোন সম্পদ বা টাকা থাকে, তাহলে তার ওপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব।

সদকাতুল ফিতর উত্তম হলো ঈদের নামাজের আগে আদায় করে দেয়া। কেননা রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর দিতে হবে। একজন দরিদ্র মানুষকে একাধিক ফিতর দেওয়া যেমন জায়েজ, তেমনি একটি ফিতরা বণ্টন করে একাধিক মানুষকে দেয়াও জায়েজ।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুলুল্লাহ (সা.) সদকাতুল ফিতর আদায় করাকে আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি :  ১৫১২)।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা পালনকারীর জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় অপরিহার্য করে দিয়েছেন, যা রোজা পালনকারীর অনর্থক, অশ্লীল কথা ও কাজ পরিশুদ্ধকারী এবং অভাবী মানুষের জন্য আহারের ব্যবস্থা। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে এটা আদায় করবে, তা সদকাতুল ফিতর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে ঈদের সালাতের পর আদায় করবে তা অপরাপর (নফল) সদকা হিসেবে গৃহীত হবে। (আবু দাউদ : ১৬০৯)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য, যব, বা খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির বা কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করতাম ৷ (বোখারি : ১৫০৬)।

হাদিস শরিফে এ পাঁচটি দ্রব্যের যে কোনো একটি দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে ৷ যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী আদায় করতে পারে তবে সবার জন্য সবচেয়ে কম দামের দ্রব্য দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করা অনুচিত; বরং যে ব্যক্তি খেজুর, কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করার সামর্থ রাখে, সে তা দিয়েই আদায় করবে ৷

সদকায়ে ফিতর যাদের উপর ওয়াজিব

ঈদের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে সাড়ে ৫২ তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সমমূল্য পরিমান সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।

ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় এ পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। যে শিশু-সন্তানটি ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে ভূমিষ্ট হবে, তার ফিতরাও আদায় করতে হবে।

অর্থাৎ পরিবারের যতজন সদস্য ততটি ফিতরা হিসেবে) সকলের ফিতরা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী তার নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করবেন।

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ

ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি  : ১৫১২)।

ইবনে আব্বাস (রা.) একবার রমজানের শেষ দিকে বসরায় খুতবা প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, তোমাদের রোজার সদকা আদায় করো। লোকেরা যেন ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি।

তখন ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, এখানে মদিনার কে আছে দাঁড়াও। তোমাদের ভাইদেরকে বলো, তারা তো জানে না। বলো যে, রাসূল (সা.) এই সদকা আবশ্যক করেছেন। এক সা খেজুর বা যব অথবা আধা সা গম প্রত্যেক স্বাধীন-দাস, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সবার ওপর ওয়াজিব।  (আবু দাউদ: ১৬২২)।

যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর প্রদান করতে হবে। জাকাতের জন্য সম্পদের বর্ষপূর্তি শর্ত হলেও ফিতরায় এ শর্ত নেই। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নিজের পক্ষ থেকে, নিজের প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে এবং নিজের সেবক-সেবিকাদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করতে হবে। সন্তান বা অধীনস্থরা অমুসলিম হলেও তাদের ফিতরা আদায় করা আবশ্যক।

গম বা আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির- এ পাঁচটি জিনিস বা তার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। সামর্থ্যানুসারে সবার উচিত উৎকৃষ্ট জিনিস সদকা করা। রাসূল (সা.)-এর সময়ে সামর্থ্যানুযায়ী সবাই উত্তম পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতেন।

সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি। (বোখারি : ১৯৭৪)।

এ বছরের সদকাতুল ফিতরের নির্ধারিত পরিমাণ‌

ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ' এর অনুকরণে নিম্নে এবছরের (১৪৪৫ হিজরী/২০২৪ইং) এর সদকাতুল ফিতরের বাজার মূল্য তুলে ধরা হলো:

১. উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।

২. যবের ক্ষেত্রে (এক সা) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

৩. খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা

৪. কিসমিসের ক্ষেত্রে  ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে।

৫. পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা অদ্ভুত মানসিকতার পরিচয় দেই। আমাদের দেশে সাধারণত সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্ধ সা গম এর মূল্য হিসেবে জনপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে সবাই আদায় করতে চান।

কোটিপতি হতে মধ্যবর্তী সবাই সর্বনিম্ন টাকা দিয়েই দায়মুক্ত হতে চান। সবচেয়ে কম মূল্যের গমের হিসাবে সবাই সাদকা করার প্রবণতা খুব বেশি। বিষয়টি রাসূল (সা.)-এর শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।  বরং এটা তো সর্বনিম্ন সম্পদের মালিকের জন্য চলে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে তাওফিক দিয়েছেন, তাদের অন্যান্য দ্রব্য দিয়ে সর্বোচ্চ সদকায়ে ফিতর আদায় করা উচিত। তাই সামর্থ্যানুযায়ী বেশি মূল্যের পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




৭ ঘণ্টায়ও নেভেনি মুন্সীগঞ্জের সুপার বোর্ড কারখানার আগুন

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দীর সিকিরগাঁওয়ে সুপার বোর্ড কারখানায় লাগা ভয়াবহ আগুন এখনো নেভেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ছাড়াও দুটি জাহাজ চেষ্টা করেও আগুন নেভাতে পারেনি।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৩ সালে এই ফ্যাক্টরিতে লাগা আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লেগেছিল ৫ দিন। অপরদিকে, আগুনের কারণ উদঘাটনে জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার ইনচার্জ রিফাত মল্লিক জানান, দুপুর ১টার দিকে ওই কারখানায় আগুন লাগে। রাত ৮টা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে ওই কারখানায় কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। দুপুর ১টার দিকে কারখানায় আগুন দেখা যায়। এ সময় শ্রমিক ও স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কারখানার পাশেই নদীতে পাটখড়ি বোঝাই তিনটি ট্রলার ছিল। এক পর্যায়ে কারখানার আগুনে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার তিনটি পুড়ে যায়।

প্রতিষ্ঠানের কর্মী আবুল কাসেম বলেন, কারখানার ভেতরে প্রচুর পাটখড়ি ও কাঠের গুড়া ছিল। সকালে কাজ করেছিলাম। প্রতিষ্ঠানের এক পাশে সামান্য আগুন দেখা যায়। পরে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পাটখড়িতে লাগা আগুন মুহূর্তেই সম্পূর্ণ কারখানায় ছড়িয়ে যায়। পরে প্রতিষ্ঠান ভেতর আমরা যারা ছিলাম, তারা নিরাপদে বেরিয়ে আসি।

হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না। এ বিষয়ে আমরা একাধিকবার তাদের সতর্ক করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।

এ বিষয়ে টিকে গ্রুপের ডিরেক্টর মো. সফিউল আতাহার তাসলিম জানান, আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হয়নি। একদিনে এ আগুন নেভানো সম্ভব হবে না বলে মনে হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার বলেন, আগুন সম্পূর্ণ বন্ধ না হলেও নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে শুরু করেছে। তবে কী কারণে, কীভাবে আগুন লেগেছে বা কতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, জানা যায়নি।


আরও খবর



কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন

তিন মাসে বাংলাদেশের দেড় লাখ ভিডিও সরিয়েছে ইউটিউব

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

নিজেদের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় বাংলাদেশের প্রায় দেড় লাখ ভিডিও মুছে ফেলেছে ইউটিউব। পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীদের মতামতও মুছে ফেলেছে ভিডিও স্ট্রিমিং সাইটটি।

গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে এসব ভিডিও সরিয়ে ফেলে ইউটিউব। এ নিয়ে ২০২৩ সালে এক বছরে বাংলাদেশের ৬ লাখ ৩৮ হাজার ভিডিও অপসারণ করেছেন তারা।

অনলাইন ভেরিফিকেশন ও মিডিয়া গবেষণা প্ল্যাটফর্ম ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে জানানো হয়, উগ্রবাদ, নগ্নতা, স্প্যাম ভিডিও প্রচার এবং শিশুবান্ধব না হওয়ার কারণে এসব ভিডিও ও মতামতগুলো মুছে ফেলা হয়েছে।

শুধু বাংলাদেশেই নয়, একই সময়ে বিশ্বের প্রায় ৯০ লাখের বেশি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের। ভিডিও সরানোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এছাড়া এ সময়ে ইউটিউব থেকে ২০ কোটিরও বেশি ইউটিউব চ্যানেলও মুছে ফেলা হয়।

যেসব কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য ভিডিও সরানো হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক কনটেন্ট। যার হার ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ। সহিংসতা ছড়ানো বা তাৎক্ষণিক ক্ষতির ঝুঁকি থাকায় কনটেন্টগুলো অপসারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয় ডিসমিল্যাবের প্রতিবেদনে।

নিউজ ট্যাগ: ইউটিউব

আরও খবর
ফের ফেসবুকে বিভ্রাট

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




চাকরি দিতে ইবি উপাচার্যকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ প্রস্তাব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

চাকরি দিলে ১০ লাখ টাকা দেবেনএমন মেসেজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছেন এক নারী।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মেসেজটি আসে উপাচার্যের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আজ দুপুরে ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন রহমান।

জিডিতে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার সকালে উপাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরিপ্রদানের অনুরোধ জানিয়ে মেসেজ দেন এক নারী। উপাচার্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে অনুরোধও করেন ওই নারী। উপাচার্য কথা বলতে না চাইলে মেসেজ পাঠান। ওই মেসেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হলে উপাচার্যের মানহানি হবে। এমন অবস্থায় এ বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে রাখার অনুরোধ করা হয়।

উপাচার্যকে পাঠানো মেসেজের স্ক্রিনশটে লেখা ছিল, স্যার, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন। এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না। আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই। প্লিজ স্যার, চাকরিটা খুব দরকার।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নারী বলেন, এরকম মেসেজ আমি দেইনি। আমার আইডিটা হয়তো হ্যাক হয়েছে। আমি গরিব মানুষ। আমাদের এত টাকা নেই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটা কুচক্রী মহলের কাজ। এখানে একটা গ্রুপ আছে। এসব করে আমাদের ট্রাপে ফালাইতে চায়। আপাতত থানায় ডায়েরি করা হয়েছে। বিষয়গুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খতিয়ে দেখবে।


আরও খবর