একটি পুকুরে
মাছ মরে ভেসে যাওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যহারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল
মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণডহর-বামুনখালি সড়কের নারায়ণডহর এলাকায় গ্রামবাসীরা এই মানববন্ধন
করেন।
মানববন্ধন চলাকালে
মুঠোফোনে বক্তব্য দেন পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, সরাসরি
উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন, পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মঞ্জুরুল হক, স্থানীয় বাসিন্দা
জয়নাল আবেদিন, নুরুল আমিন, সালেমা খাতুন, হাসেন আলী, রুহুল মিয়া, ভুক্তভোগী শহিদ মিয়া
প্রমুখ।
স্থানীয় বাসিন্দা
ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে লাউজান এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল
কবিরের একটি বড় পুকুরে কিছু মাছ মরে ভেসে ওঠে। পুকুরটির অবস্থান নারায়ণডহর এলাকার শহিদ
মিয়ার বাড়ির পাশে। মাছ মরে যাওয়ার ঘটনায় আশরাফুল শহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি
পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছেন। এরপর আশরাফুল ওই দিন থানায়
শহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে
পাঠায়। বর্তমানে শহিদ মিয়া জামিনে রয়েছেন। মামলা থেকে মুক্তি পেতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে
শহিদ মিয়ার পক্ষে মানববন্ধন করে স্থানীয়রা। শহিদ মিয়া বলেন, আমি গরিব মানুষ। গত বছর
আমার খেতের জায়গা দখল করে আশরাফুল পুকুরের দক্ষিণপাড় নির্মাণ করেন। আমি বাধা দেওয়ায় তারা নানাভাবে আমাকে হয়রানি করছে। এখন পুকুরে কিছু
মাছ মরে যাওয়ার ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেল খাটিয়েছে। তার লোকজন দিয়ে ভয়ভীতি
দেখাচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘শহিদ মিয়া নিরীহ মানুষ। তিনি বাড়ির পাশে একটি ছোট দোকান দিয়ে সংসার চালান।
পুকুরে মাছ মরে যাওয়ার ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া
হয়েছে। আমরা চাই পুলিশ নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে
জানতে চাইলে আশরাফুল কবিরের মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে সালিশ হয়েছে।
এরপর থানায় মামলাও করা হয়েছে। এটি আইনগত ভাবেই মিশাংসা হবে।
পূর্বধলা থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম (ওসি) বলেন, মামলার পর শহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা
হয়। তিনি এখন জামিনে রয়েছেন। বিষয়টি এখন আদালত দেখবেন। তবে তাকে যদি কেউ ভয়ভীতি দেখায়
তবে লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।