আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

পূর্বধলায় মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

একটি পুকুরে মাছ মরে ভেসে যাওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলা প্রত্যহারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণডহর-বামুনখালি সড়কের নারায়ণডহর এলাকায় গ্রামবাসীরা এই মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধন চলাকালে মুঠোফোনে বক্তব্য দেন পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, সরাসরি উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন, পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মঞ্জুরুল হক, স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন, নুরুল আমিন, সালেমা খাতুন, হাসেন আলী, রুহুল মিয়া, ভুক্তভোগী শহিদ মিয়া প্রমুখ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে লাউজান এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল কবিরের একটি বড় পুকুরে কিছু মাছ মরে ভেসে ওঠে। পুকুরটির অবস্থান নারায়ণডহর এলাকার শহিদ মিয়ার বাড়ির পাশে। মাছ মরে যাওয়ার ঘটনায় আশরাফুল শহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করেছেন। এরপর আশরাফুল ওই দিন থানায় শহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। বর্তমানে শহিদ মিয়া জামিনে রয়েছেন। মামলা থেকে মুক্তি পেতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহিদ মিয়ার পক্ষে মানববন্ধন করে স্থানীয়রা। শহিদ মিয়া বলেন, আমি গরিব মানুষ। গত বছর আমার খেতের জায়গা দখল করে আশরাফুল পুকুরের দক্ষিণপাড় নির্মাণ করেন। আমি বাধা দেওয়ায়  তারা নানাভাবে আমাকে হয়রানি করছে। এখন পুকুরে কিছু মাছ মরে যাওয়ার ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেল খাটিয়েছে। তার লোকজন দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শহিদ মিয়া নিরীহ মানুষ। তিনি বাড়ির পাশে একটি ছোট দোকান দিয়ে সংসার চালান। পুকুরে মাছ মরে যাওয়ার ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই পুলিশ নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি তদন্ত করে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আশরাফুল কবিরের মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে সালিশ হয়েছে। এরপর থানায় মামলাও করা হয়েছে। এটি আইনগত ভাবেই মিশাংসা হবে।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম (ওসি) বলেন, মামলার পর শহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন জামিনে রয়েছেন। বিষয়টি এখন আদালত দেখবেন। তবে তাকে যদি কেউ ভয়ভীতি দেখায় তবে লিখিত অভিযোগ পেলে পুলিশ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

নিউজ ট্যাগ: নেত্রকোনা

আরও খবর



ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ওপর বিদেশ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতিমালা জারি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কেউ ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হলে তার বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সুবিধায় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে বিদেশে ভ্রমণ, ট্রেড লাইসেন্স ও কোম্পানি নিবন্ধনের মতো নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন ঋণখেলাপিরা। এছাড়া কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননার জন্য যোগ্য হবেন না এসব ব্যক্তি। এ ধরনের ঋণখেলাপি শনাক্তে ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয়ে পৃথক ইউনিট খুলতে হবে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানির আলোকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমে আসবে। পাশাপাশি ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ব্যাংকিং খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

সার্কুলারে বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের (আরজেএসসি) কাছে কোম্পানি নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থায় এ ধরনের খেলাপির তালিকা পাঠাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া গাড়ি, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদির নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হবে। তালিকার আলোকে এসব সংস্থা বিদ্যমান আইনের আওতায় যথাযথ কার্যব্যবস্থা নিতে পারবে। এছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মাননা পাবে না। আবার কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় কারও নাম এলে ঋণ পরিশোধ করে তালিকা থেকে অব্যহতির ৫ বছরের মধ্যে কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। আর যদি কোনো পরিচালক ইচ্ছাকৃত খেলাপি হয়ে পড়েন তবে তার পরিচালক পদ বাতিল হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি ত্রৈমাসিকে ব্যাংকের অডিট কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির আরোপিত বা অনারোপিত কোনো সুদ মওকুফ করা যাবে না এবং পুনঃতফসিলও করা যাবে না। আবার ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতার ঋণ হিসাবটি অন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া ঋণ সম্পূর্ণ আদায় বা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। কেউ ইচ্ছাকৃত খেলাপি হওয়ার পর তালিকার বিরুদ্ধে আপিল না করলে বা আপিল করার পর না মঞ্জুর হলে তাকে ২ মাসের মধ্যে অর্থ পরিশোধের জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ক্রমে খেলাপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবে ব্যাংক। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ঋণ, অগ্রিম বা পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না।

যারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি বিবেচিত হবেন: কোনো খেলাপি ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি নিজের, তার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির অনুকূলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা আরোপিত সুদ বা মুনাফা তার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিশোধ না করলে তিনি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন। এছাড়া জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে বা যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে সে সে উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করলে অথবা অন্য কোনো ব্যাংকের জামানতকৃত সম্পদ অনুমতি ছাড়া নতুন ঋণে জামানত হিসেবে দেখালে তাকে ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের চিহ্নিত করতে ব্যাংকের এমডি ও সিইওর দুই ধাপ নিচের কর্মকর্তার অধীনে প্রধান কার্যলয়ে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ নামে একটি পৃথক ইউনিট আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে গঠন করতে হবে। তারা ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কারা ইচ্ছাকৃত খেলাপি তা শনাক্ত করবেন। ইচ্ছাকৃত খেলাপি শনাক্ত হওয়ার পর শনাক্তকরণের কারণ উল্লেখ করে ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে তার বক্তব্য প্রদানের জন্য ১৪ কর্মদিবস সময় দিতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অথবা তার বক্তব্য যথাযথ বিবেচিত না হলে ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ ইউনিট’ কর্তৃক এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা হিসেবে চূড়ান্তকরণের পর সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতাকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।

কোনো ব্যাংক এসব নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা এবং অনধিক ১ কোটি টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে। যদি উক্ত লঙ্ঘন অব্যহত থাকে, তাহলে প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব ১ লাখ টাকা জরিমানা আরোপিত হবে।


আরও খবর



পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির বিপক্ষে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দেওয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

আজ রবিবার (১০ মার্চ) ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকা ওয়াসার ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বিল কালেকশন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ওই অনুষ্ঠানে তিনটি বেসরকারি ব্যাংক ও তিনটি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।

এ সময় পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ব্যবস্থার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মানুষের আয় বৃদ্ধির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে, যাতে মানুষ বিদ্যুৎ এবং পানি নিজের টাকায় কিনে খরচ করতে পারে।

একসময় কৃষিতে ভর্তুকি তুলে দিতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষিক্ষেত্রে আমাদের কৃষক এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিপণন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ক্ষেত্রেও আমাদের ভর্তুকি দিতে না হয়।

সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে তাজুল ইসলাম বলেন, টেকসই ও উন্নতসেবা প্রদান করার জন্য সেবা সরবরাহকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে সেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি দেওয়া হলেও তা দীর্ঘমেয়াদী কার্যকরী কোনো সমাধান নয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই ধীরে ধীরে নিজের সক্ষমতা তৈরি করে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের যে পথনকশা তৈরি করেছেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গেলে এছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা ওয়াসার বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার বালা।


আরও খবর



আম্বানি পুত্রবধূ রাধিকার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

হাজার কোটি টাকা খরচ করে ছেলের প্রাক বিয়ের জমকালো অনুষ্ঠানে বিশ্বের মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানি। কেউ বাদ যায়নি এই জমকালো বিয়ের আসরে। এই আসরে সবার নজর ছিল আম্বানি পুত্রবধূ রাধিকা মার্চেন্টের দিকে। এবার তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠেছে।

গুজরাটের জামনগরে আয়োজিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী জমকালো অনুষ্ঠান। সেই আয়োজনের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছে। তবে এর মধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

গুজরাটের জামনগরে জমকালো প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে হবু স্বামী অনন্ত আম্বানিকে উদ্দেশ্য করে আবেগঘন এক বক্তব্য দেন আম্বানি পুত্রবধূ রাধিকা মার্চেন্ট।

অনন্ত আম্বানির উদ্দেশে রাধিকা বলেন, ‍‍`একবার আমাকে একজন জিজ্ঞেস করেছিল, ‍‍`একজন সঙ্গীর মধ্যে আমি আসলে কী খুঁজি, কী পেলে আমরা মনে করি যে সঙ্গী খুঁজে পেয়েছি?

জীবনসঙ্গীর মধ্যে আপনি আসলে আপনার জীবনের একজন সাক্ষী খুঁজে পান। এই পৃথিবীতে এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ আছে। কিন্তু কখন বুঝবেন যে আপনি জীবনসঙ্গী পেয়েছেন? যখন আপনি এমন কাউকে খুঁজে পাবেন যে সবকিছু দেখাশোনা করার প্রতিশ্রুতি দেয়ভালো, খারাপ, সুন্দর, সাহসের, দুঃখের সবকিছুর যত্ন নেবে বলে অনুভব করায় তখনই আপনি আপনার সঙ্গী খুঁজে পান। আপনি তখনই বলে উঠেন, "আমি জীবনের প্রতিটি দিন তোমাকে দেখব। তোমার জীবন কখনোই অগোচরে থাকবে না, কারণ আমি এটি প্রত্যক্ষ করব। আমি সারাজীবন তোমার জীবনের সাক্ষী হয়ে থাকব।"

ভালোবাসা ও বন্ধন নিয়ে তার কথাগুলো মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। তবে অনুষ্ঠানের কয়েকদিন পরেই সামনে আসে নতুন তথ্য।

ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‍‍শ্যাল উই ড্যান্স‍  সিনেমায় জীবনসঙ্গী নিয়ে হুবুহু একই বক্তব্য দিয়েছিলেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী সুজ্যান স্যারান্ডন। সেই সংলাপটিই হুবুহু নকল করেছেন রাধিকা।

রাধিকার বক্তৃতা ও সুজ্যান স্যারান্ডনের সংলাপকে পাশাপাশি বসিয়ে বানানো একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‍‍তারা অন্তত আমাকে ফোন করে বলতে পারতো, কয়েক কোটি টাকা দিলেই আমি বাক্যগুলো পরিবর্তন করে দিতাম!

৩ দিন ব্যাপি প্রি ওয়েডিং অনুষ্ঠান চলে। অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ে হবে অবশ্য জুলাই মাসে। তবে তার আগে প্রাক বিবাহ আসর বসেছিল গুজরাটের জামনগরে।

এতে দেখা যায় বিশ্বের সব হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব। সারা বিশ্ব থেকে অতিথিরা আসে। ছিলেন মার্ক জাকারবার্গ থেকে বিল গেটস, ইভাঙ্কা ট্রাম্পের মতো অতিথিরাও। এছাড়াও সচীন থেকে ধোনি, শাহরুখ থেকে সালমান-আমির, রণবীর থেকে দীপিকা-আলিয়া সবাই হাজির হয়েছিলেন। তবে হাতে গোনা কিছু তারকা বাদ গিয়েছিলেন এতে। এসেছিলেন পপ স্টার রিহানাও।


আরও খবর
বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মানিকগঞ্জে কাঁচামাল ব্যবসায়ী মাজম আলী বেপারী হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুর নাথ সরকার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ চর মকিমপুর গ্রামের মো. সোহাগ, একই গ্রামের হাবিয়া বেগম, শাহিনুর ইসলাম ওরফে নেরন, নাধন ও মত্ত ঢাকুয়াপাড়া গ্রামের মো. আলমগীর। এদিকে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মো. খলিল, আলী আকবর ও টুটুল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাত ১০টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামি সোহাগ কাঁচামাল ব্যবসায়ী মাজমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ৪ আগস্ট সকাল ৬টার দিকে মাজমের লাশ সোহাগের চৌচালা টিনের ঘরের উত্তর-পশ্চিম পাশে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জেলেকা বেগম ৮ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৯ জুন মানিকগঞ্জ সদর থানার তৎকালীন ওসি মো. আমিনুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া শেষে এই রায় দেন। হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ায় সন্তোষ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মথুর নাথ সরকার।

তবে রায়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বাদশা, খলিলুর রহমান খলিল ও মো. শাহজাহান। তারা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।


আরও খবর



অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে আপত্তি ক্রিস্টেন স্টুয়ার্টের

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

টোয়াইলাইট সিনেমায় বেলা সোয়ান হয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট। এরপর যত দিন গেছে, নতুন নতুন চরিত্র আর গল্পে জয় করেছেন দর্শকের মন। গতকাল লাভ লাইস ব্লিডিং নামের নতুন সিনেমা নিয়ে এসেছেন ক্রিস্টেন। এ সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী আঙুল তুলেছেন হলিউডের অন্যান্য সিনেমায় দেখানো অন্তরঙ্গ দৃশ্যের দিকে।

ক্রিস্টেনের মতে, হলিউডের বেশির ভাগ সিনেমায় যেভাবে অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখানো হয়, সেখানে বাস্তবতার খুব অভাব। এসব দৃশ্য তাঁর কাছে মেকি ও যান্ত্রিক মনে হয় বলেও জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট বলেন, হলিউডের সিনেমায় অন্তরঙ্গ দৃশ্য যেভাবে ধারণ করা হয়, সেটা খুব আরোপিত। বাস্তবে মানুষ এভাবে সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হয় না। এসব দেখে মাঝে মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার মনে হয় সিনেমার গল্প থেকে শুরু করে প্রতিটি দৃশ্যই বাস্তবসম্মত হওয়া উচিত। এ কারণেই লাভ লাইস ব্লিডিং সিনেমায় ক্রিস্টেন চেষ্টা করেছেন এমনভাবে অন্তরঙ্গ দৃশ্য তুলে আনতে, যা হবে বাস্তবঘনিষ্ঠ। লাভ লাইস ব্লিডিং সে দিক থেকে হলিউডের অন্যান্য সিনেমার চেয়ে আলাদা বলে দাবি করেছেন অভিনেত্রী।

আশির দশকের প্রেক্ষাপটে তৈরি রোমান্টিক থ্রিলার লাভ লাইস ব্লিডিং পরিচালনা করেছেন অস্কারে মনোনয়ন পাওয়া নারী নির্মাতা রোজ গ্লাস। ক্রিস্টেনের সঙ্গে এতে অভিনয় করেছেন কেটি ওব্রায়ান। এ সিনেমায় ক্রিস্টেনের চরিত্রটি এক জিম ম্যানেজারের, যার নাম লু। অন্যদিকে জ্যাকি নামের এক বডিবিল্ডার নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে লাস ভেগাসে আসে। একপর্যায়ে তারা প্রেমে পড়ে। এই সম্পর্ক তাদের নিয়ে যায় অপরাধ জগতে। ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট জানিয়েছেন, তিনি এ সিনেমায় অভিনয়ে আগ্রহী হয়েছিলেন, কারণ এতে সম্পর্কের অন্ধকার দিকটি ভিন্নভাবে দেখানো হয়েছে।

লাভ লাইস ব্লিডিং সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে গতকাল। এর আগে জানুয়ারিতে সানডান্স চলচ্চিত্র উৎসব ও ফেব্রুয়ারিতে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমার প্রিমিয়ার হয়।


আরও খবর
বাংলাদেশে আসছেন আতিফ আসলাম

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪