নামজারি বা জমা খারিজ না মঞ্জুরের ভয় দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে সার্ভেয়ার মো. হাদিউল ইসলামের বিরুদ্ধে। তিনি নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) উপজেলা ভূমি সহকারি কমিশনার (এসিল্যান্ড) বরাবরে এমন অভিযোগ আনেন উপজেলার বন্দেরপাড়া (খলিশাউড়) গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মোশায়েত হোসেন রিপন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারীর বড় ভাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুজ্জামান রতন। তিনি গত ডিসেম্বরের ২০ তারিখ খলিশাউড় মৌজায় খতিয়ান নম্বর ৭৯১ এর ৫৫৭১ নম্বর দাগে ৪২ শতাংশ জমি ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি ৩০১ নম্বর দলিলমূলে জমি ক্রয় করেন। জমিটির জমা খারিজের জন্য অনলাইনে আবেদন করা হয়। ৩১৯৫ (৯-১) ২০২৩-২৪ মোকাদ্দমা নম্বরের আবেদনটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে প্রস্তাবনা পাঠানোর পর সার্ভেয়ার মো. হাদিউল ইসলাম মুঠোফোনে অভিযোগকারীকে দেখা করতে বলেন। অভিযোগকারী দেখা করলে সার্ভেয়ার জানায় ওই দাগে খাস জমি রয়েছে এবং এর অনুকূলে প্রতিবেদনের জন্য ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। এই টাকা না দিলে আবেদনটি বাতিল ও জীবনেও জমা খারিজ হবে না বলে হুমকী দেন সার্ভেয়ার।
সার্ভেয়ার মো. হাদিউল ইসলাম এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। পরে অভিযোগকারীর পরিচয় দিলে তাকে চিনেন না এবং অভিযোগের বিষয়টি সঠিক না বলে জানান তিনি।
পূর্বধলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজনীন আখতার বলেন, বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা পেল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।