আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

রাবির ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে নয় কেন?

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল ২৯ মে থেকে৷ এতে ৩৯৩০টি আসনের বিপরীতে তিনটি ইউনিটে চূড়ান্ত পর্যায়ে আবেদন করেছেন ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী।

রাবি'র এই ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজশাহীতে প্রতিবারের ন্যায় এবারও কমপক্ষে তিন লক্ষ মানুষের আগমন ঘটতে যাচ্ছে। তবে, ছোট্ট শহর রাজশাহীতে হঠাৎ করে এতো মানুষের আগমনকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় নানাবিদ সংকট। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী-অভিভাবকের আবাসন নিয়ে পড়তে হয় মহা সংকটে। সেই সাথে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও আছে নানা ভোগান্তি। ইতোমধ্যেই, মহানগরের বেশির ভাগ হোটেল-মোটেলের কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মেস এবং আবাসিক হলগুলোতে তীব্র আবাসন সংকটের। গাদাগাদি করেও থাকার সুযোগ হয় না অনেকের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

এমতাবস্থায়, প্রশ্ন উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে আয়োজন করতে বাঁধা কোথায়?

গত বছর ভর্তি পরীক্ষার আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার জানিয়েছিলেন, শিক্ষার্থী-অভিভাবকগণের ভোগান্তি এড়াতে বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চিন্তাভাবনা আছে। তবে, এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

জানা গেছে, ক্যাম্পাসের বাইরে পরীক্ষা নিতে রাজি নন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকগণের একটি বড় অংশ। তবে গুঞ্জন আছে, রাজশাহী মহানগরের স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের একটি প্রচ্ছন্ন চাপও আছে যেন পরীক্ষা রাবি ক্যাম্পাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি প্রশ্নফাঁসের শঙ্কা, জনবল সংকট, একক ভর্তি পরীক্ষার প্রজ্ঞাপনের কারণেই বিভাগীয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না

তাঁরা বলছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এযাবৎকালে প্রশ্নফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বেশ কিছু জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেলেও, ক্যাম্পাসেই ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র থাকায় প্রশ্নের নিরাপত্তা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। ঢাবি'র মতো বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা আয়োজন করতে গেলে প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায় অনুযায়ী একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় গত ১৫ এপ্রিল। তবে, তারও আগে থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, যেহেতু সামনের বছরগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না, তাই আলাদা করে শুধু একটি শিক্ষাবর্ষের জন্য বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত থেকে অনেকটাই সরে আসে রাবি প্রশাসন।

তবে প্রশাসনের এমন দাবি মানতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কিছু শিক্ষক। এদের মধ্যে একজন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খান। এবিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যদি বিভাগীয় শহরে সফলভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারে, তবে রাবি কেন পারবে না? প্রশ্নফাঁস এড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বিধান করবে;  এবং  আমি মনে করি এই কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় লোকবল রয়েছে। বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন চাইলেই শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তি নিরসন করতে পারতো।

বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে; তবে আমাদের বুঝতে হবে যেই বলয়ের মধ্যে আমরা ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রমটি সম্পন্ন করে থাকি, সেটা যেন দুর্বল না হয়ে যায়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় অধিকাংশ শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রচ্ছন্ন চাপকেই বেশি দায়ি করছেন। তারা বলছেন, বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা না হাওয়ার পেছনে প্রশাসনের উপর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের চাপকেই বেশি দায়ি বলে মনে করছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষাকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠে রাজশাহী মহানগরীর হোটেল-মোটেল, পরিবাহন ও ম্যাস মালিকদের ব্যবসা-বাণিজ্য। জানা গেছে, শুধু এই সময়টুকুতেই হোটেলগুলো সবচেয়ে বেশি আয় করে থাকে। আবাসন সংকটকে কাজে লাগিয়ে হোটেলে রুম ভাড়া তিন থেকে চার গুণ বাড়িয়ে দেন হোটেল মালিকরা। ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে হলে এই আয় অনেকটাই কমে যাবে। গুঞ্জন আছে, মহানগরের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা ও ব্যবসায়ীদের একটি প্রচ্ছন্ন চাপও আছে বিভাগীয় শহরে যেন পরীক্ষা না হয়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, গত দুবছর ধরে দেখছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সমন্বয় সভা হয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয়ে। অথচ এটা হওয়ার কথা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান; ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় স্বাধীনভাবে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিকে পুঁজি করে একটা বড় বাণিজ্য হয় রাজশাহী শহরেএটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকট রয়েছে। এছাড়া, আগামীতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে তাও বলা যাচ্ছে না।

ইতোমধ্যেই আপনারা জেনে গেছেন, রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায় অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে। এসব বাস্তবতায় এ বছর বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই গণমাধ্যম: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গণমাধ্যমের ওপরও মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা হবে-বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের এমন বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার স্পষ্ট করে বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের ওপরই শুধু ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

রোববার বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছিলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে। এ প্রসঙ্গে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ২৪ সেপ্টেম্বর জানিয়েছেন নতুন ভিসা বিধিনিষেধে মিডিয়া ব্যক্তিত্বও অন্তর্ভুক্ত হবে এবং এই নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এ প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা গণমাধ্যমে কাজ করা একজন সাবেক সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বজায় রাখার পরিপন্থি। আপনি কি মনে করেন না, এই নিষেধাজ্ঞা যদি মিডিয়াতে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানকে দুর্বল করবে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি মনে করি আমরা (ইতোমধ্যেই) যা বলেছি এবং কার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে তা আমরা নির্দিষ্ট করে কোনো সদস্য বা নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম ঘোষণা করিনি। কারণ মার্কিন ভিসার রেকর্ডগুলো গোপনীয় তথ্য। তবে, এটি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের জন্য এই নীতি প্রযোজ্য হবে।

বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যই ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে মিলার উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো পক্ষ নেওয়ার জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়নি। বরং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতেই এ ভিসানীতি।

এ ব্রিফিংয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ইস্যুতে তার দল ৪৮ ঘণ্টার যে আলটিমেটাম দিয়েছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। তবে, এ প্রশ্নের কোনো উত্তর মিলার দেননি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নজরদারির কথা বলে মে মাসে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে এ ভিসানীতির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে কাদের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে, সে নাম প্রকাশ করা হয়নি।


আরও খবর
পাবনার মানুষ অনেক বঞ্চিত : রাষ্ট্রপতি

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বগুড়ায় পরিত্যক্ত ঘর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

Image

বগুড়ার শেরপুরে গলাকাটা যুবকের লাশ উদ্ধার করেন শেরপুর থানা পুলিশ।  মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটতে পাড়ে বলে জানান পরিবারের লোকজন।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) গভীর রাতে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর মধ্যপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। লিটন মন্ডল (৩২) নামের নিহত যুবক ওই গ্রামের মৃত জহুরুল ইসলাম খোকা মন্ডলের ছেলে বলে নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশ।

খবর পেয়ে একইদিন বেলা ১১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) সজিব শাহরিন, শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বাবু কুমার সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পরে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।

এলাকাবাসীরা জানায়, উপজেলার ঝাজর গ্রামের মৃত জহুরুল ইসলাম খোকা মন্ডলের ছেলে লিটন মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে নিজ গ্রাম সহ আশেপাশের গ্রামে মাদক সেবন ও বিক্রি করে আসছিল। মাঝে মধ্যেই তার বাড়িতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক কারবারিরা যাতায়াত করতো। এদেরই কেউ তার মাথায় বাটাম দিয়ে আঘাত করে খুন করেছে।

নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন জানান, নেশা খাওয়াকে কেন্দ্র করে তার সহযোগীদের সাথে দ্বন্দ্ব হওয়ায় এ খুন হতে পারে বলে ধারণা। নিহত লিটনের মাথায় বাটামের সজোরে আঘাত লাগায় এ মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে শেরপুর থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবনসহ বিক্রির একাধিক মামলা রয়েছে থানায়।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।


আরও খবর



তৃতীয় ওয়ানডেতে অধিনায়ক হয়ে ফিরছেন নাজমুল

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে অধিনায়ক হয়ে দলে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন। চোটের কারণে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরে এসেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আগামী মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ দিয়ে খেলায় ফিরবেন নাজমুল।

দলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম। বিশ্রামে গেছেন সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা লিটন দাস। পিঠের অস্বস্তির কারণে শেষ ম্যাচে খেলছেন না তামিমও।

লিটন জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে এশিয়া কাপে যোগ দেওয়ার পর থেকে টানা খেলার মধ্যে আছেন। কিন্তু এখনো জ্বরের ধকল থেকে পুরোপুরি সুস্থ হননি। সে জন্য প্রথম ডানহাতি এ উইকেটকিপারব্যাটসম্যান শেষ ম্যাচটি খেলতে চাননি।

চোট থেকে ফেরা তামিম গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে পিঠের অস্বস্তির কথা বলেছেন। তিনি এর মধ্যেই এক দিনের বিরতিতে দুটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। বিশ্বকাপের আগে আরও একটি ম্যাচ খেলে চোটের ঝুঁকি বাড়াতে চান না এই বাঁহাতি ওপেনার।

শেষ ওয়ানডের দলে নেই মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান, সৌম্য সরকার ও খালেদ আহমেদ। এর মধ্যে চোটের সঙ্গে লড়ছেন পেসার তানজিম। তাঁর বদলি হিসেবে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেই দলে ডাকা হয় হাসানকে। বিশ্বকাপের আগে তানজিমকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না বিসিবি।

তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের দল: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, জাকির হাসান, এনামুল হক, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন।


আরও খবর
ভারতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বরগুনায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ডেঙ্গুবাহিত এডিসের বাসস্থান

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

সারাদেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ অবস্থা। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে মারাও যাচ্ছে অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে যেন ডেঙ্গুবাহিত মশার বাসস্থান হয়ে উঠেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ডেঙ্গুমশা থেকে বাঁচতে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকগণ নানা পরামর্শ দিলেও নিজেরাই মানছেন না সেসব নিয়মকানুন। হাসপাতাল এরিয়ার মধ্যে জমে থাকা ময়লার স্তূপে ডেঙ্গুর বংশবিস্তার হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল ভবনের পেছনের ড্রেনগুলোর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। প্রতিটি ড্রেনে রয়েছে পঁচা কালো রঙের দুর্গন্ধযুক্ত পানি। যেখানে- সেখানে রয়েছে ময়লার স্তূপ ও জলাবদ্ধতা। এসব ময়লায় জন্ম নিচ্ছে মশা, সঙ্গে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধও। এছাড়াও হাসপাতাল কম্পাউন্ডের মধ্যে গজিয়ে উঠেছে কচু গাছ, নানা জাতের আগাছা, গাছগাছালি ও ঘাস। এগুলোর নিচে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে এবং ওখান থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা ও পোকা-মাকড়। ভবনের দেয়ালে ও ছাদেও নানা জাতের আগাছা গজিয়ে উঠেছে। দেয়াল বেয়ে পানি পড়ছে। এতে আয়ু কমছে ভবনের।

হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তার স্বজনরা জানান, হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিনি ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানেই যদি ডেঙ্গু মশা বিস্তারের স্থান তৈরি করা হয়, সেটা বড় কষ্টদায়ক। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তেমন ভ্রূক্ষেপ নেই বলে জানালেন একাধিক রোগী। হাসপাতালটিতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীও ইদানিং দায়সারা কাজ করেন। আবার কখনো হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকারও অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুনায়েম সাদ বলেন, আমাদের হাসপাতাল নিয়মিতই পরিষ্কার করা হয়। অপরিষ্কার হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে, রোগীরা ওষুধের প্যাকেট, খাবারের অবশিষ্ট অংশ ও নানা ময়লা আবর্জনা যেখানে-সেখানে ফেলানোর কারণে মাঝেমধ্যে আমাদের কিছুটা সমস্যা পোহাতে হয়। তবে, রোগী ও তাদের স্বজনদের একটু সচেতনতা এ সমস্যার সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তারে জলাবদ্ধতা ও আবর্জনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করব।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জে জাতীয় দৈনিক আজকের দর্পণের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সফিউদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা এবং কেক কেটে প্রতিষ্ঠানটি পালন করা হয়।

এতে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ খোকার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জ শহর সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.মকবুল হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জ জেলা নারী-শিশু আদালতে স্প্রেশাল পিপি অ্যাডভোকেট লাভলু মোল্লা, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী সাব্বির আহাম্মেদ দিপু, বর্তমান সহ-সভাপতি মো. গোলজার হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান, সাবেক সহ-সভাপতি মো. মাসুদুর রহমান, বর্তমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. রতন, দপ্তর সম্পাদক মো. মাসুদ রানা, সময়ের আলোর জেলা প্রতিনিধি জুয়েল রানা, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি ফয়সাল হোসাইন, গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি মো. হাসান জুয়েল, কবি অর্ণব মাসুদ, দৈনিক লাখো কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি শ্রীকান্ত দাস, দৈনিক রজত রেখা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক নাজির হোসেন, হাটলক্ষীগঞ্জ নূরে মোহাম্মদ (সা:) মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মো: জিন নূরাইন হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি মো: হাবিবুর রহমান হাবিব, সাধারণ সম্পাদক মো: সিপন প্রমূখ।


আরও খবর