আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রাজাপুরে আশ্রয়ণের ঘর বিতরণে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাঈম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ঘর দেওয়ার নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ সুমন মীর, ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাদশা বেপারী এবং ৪.৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াছমিন মুন্নির বিরুদ্ধে।

রাজাপুর উপজেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী মুজিববর্ষে গৃহহীন উপকারভোগী প্রথম পর্যায়ে রাজাপুর উপজেলায় ৩৩৩টি। দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজাপুর উপজেলায় ৩৭টি। তৃতীয় পর্যায়ে রাজাপুর উপজেলায় ১৪১টি। চতুর্থ পর্যায়ে রাজাপুর উপজেলায় ৮০টি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় গণ্যমান্য একাধিক ব্যক্তিবর্গ জানান, যখন রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোক্তার হোসেন এবং উপজেলা সহকারী (ভূমি) অফিসার আনুজা মন্ডল দায়িত্বে ছিলেন তখন তারা সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৩৩৩টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩৭টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছিল তখন ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে এসব অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ ছিলো না।

এরপরে যখন রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান এবং উপজেলা সহকারী (ভূমি) অফিসার আফরোজ ববি মিতু দায়িত্বে থেকে সঠিকভাবে যাচাই বাছাই না করে তৃতীয় পর্যায়ে ১৪১টি এবং চতুর্থ পর্যায়ে ৮০টি ঘর হস্তান্তর করা শুরু করছেন তখন থেকেই ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে উপকারভোগীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এমন কি রাত সাড়ে ৮ অথবা সাড়ে ৯টার সময় আশ্রয়ণ প্রকল্পে এসে উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করেছেন ইউএনও (এসিল্যান্ড)। তখন এলাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হয় দিনের বেলায় ঘর হস্তান্তর না করে রাতের বেলায় কেনো করেন। এর পর থেকে জানাজানি শুরু হয় লেনদেনের মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়া যায়।

কৈবর্ত খালী গ্রামের এক পরিবারের কাছ থেকে ইউপি সদস্য সৈয়দ সুমন মীর এবং নাজমিন ইয়াসমিন মুন্নি ২০হাজার টাকার মাধ্যমে আশ্রয়ণের ঘর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কৈবর্ত খালী গ্রামের আরেক পরিবারের কাছ থেকে ইউপি সদস্য বাদশা বেপারী ১৫ হাজার টাকার মাধ্যমে আশ্রয়ণের ঘর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সুবিধাভুগি পরিবার গুলো ঘুষ নেওয়ার কথা শিকার করে জানান, আমরা অনেক অসহায় থাকার মতো জায়গা নেই। টাকা ছাড়া নাকি ঘর পাওয়া যায় না তাই মেম্বারদের কাছে যাবার পরে তারা বলে ১৫-২০ হাজার টাকা দিতে হবে নয়তো ঘর পাওয়া যাবে না তাই দার দেন করে টাকা দিয়ে ঘর পেয়েছি। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অশিকার করে ইউপি সদস্যরা জানান, সুমন মেম্বার বলেন, কারো কাছ থেকে ঘুষ গ্রহনের বিষয়ে আমার কোনো রেকর্ড নাই। যারা অভিযোগ করেছে তারা প্রমান করতে পারবেনা।

বাদশা মেম্বার বলেন, ঘুষ নেয়ার সুযোগ নাই। স্পষ্ট যাচাই বাচাই করো ঘর দেয়া হয়। কিছু সুপারিশ কারী আছে যারা এই মিথ্যে অভিযোগ করেছে।

মুন্নি মেম্বার বলেন, আমিতো ঘর বিতরণ কমিটির সদস্যই না। আমাকে কেনো টাকা দিবে। আমিতো সুপারিশও করিনাই। নির্বাচনী প্রতিপক্ষরা এসব মিথ্যে রটাচ্ছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজ ববি মিতু বলেন, অত্যন্ত নিরপেক্ষ ভাবে কয়েক দফায় যাচাই বাচাই করে ঘর বিতরন করা হয়। মেম্বারদের টাকা দিয়ে ঘর পাওয়ার সুযোগ নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর বিতরণ যথেষ্ঠ নিখুত ভাবে বাছাই করে ভুমিহীন ও গৃহহীনদেরকে দেয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যানের দেয়া তালিকা ধরে বাছাই করা হয়। অনেক আবেদন বাতিলও করা হয়। তবুও কোনো ইউপি সদস্য বা চেয়ারম্যান যদি ঘর দেয়ার নাম করে অর্থ গ্রহন করে সেবিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এখনো এধরনের কোনো অভিযোগ কেউ দেয়নি।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে ব্যাংক ও বাসার নিরাপত্তায় সিএমপির নির্দেশনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে নগর ছেড়ে অনেকে যাচ্ছেন গ্রামে। এসময় ফাঁকা থাকবে বাসা। পাশাপাশি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকছে। আর এই সুযোগই নেয় অপরাধীরা। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় ১২টি নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) স্পিনা রানী প্রামাণিক জানান, বাসার নিরাপত্তায় দরজায় অধিক তালার ব্যবহার করা, নগদ অর্থ বা স্বর্ণালংকার ফাঁকা বাসায় রেখে না যাওয়া, সিসিটিভি ক্যামেরা ও অ্যালার্ম সিস্টেমের মতো প্রতিরোধমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া, আবাসিক এলাকায় রাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা, নতুন নিয়োগ দেওয়া নিরাপত্তাকর্মীদের এনআইডি কার্ড ও ছবি সংরক্ষণ করা, সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি ঘোরাফেরা করলে তাৎক্ষণিক স্থানীয় থানাকে জানানো ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি সংক্রান্ত কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুত জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভল্টের নিরাপত্তা জোরদারসহ পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা যাতে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন সে বিষয়টি তদারক করা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরের জন্য নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে পালাক্রমে নিয়োজিত রাখা, ব্যাংকের ভল্টের চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরার কাভারেজ নিশ্চিত করা এবং সন্দেহজনক কোনো বিষয় নজরে এলে তা কাছের থানায় জানানো এবং ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভালোভাবে কাজ করছে কি-না তা নিশ্চিত করা।

ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ছাদ ছিদ্র করে, সিঁধ কেটে চুরি ও ডাকাতি যাতে না হয়, সে জন্য স্বর্ণের দোকানের ওপরে ও আশপাশের এলাকায় যারা বসবাস করেন, তাদের ওপর বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

এ সময় দৃশ্যমান পুলিশিং নিশ্চিত করা এবং প্রতিদিন এলাকা ও স্থান পরিবর্তন করে তল্লাশি চৌকি পরিচালনা করা হবে। একসঙ্গে তিনজন আরোহী নিয়ে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। ট্রাফিক ও অপরাধ বিভাগ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবে। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের চালকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শুরু মহা-সাংগ্রাই উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বর্ষবরণকে ঘিরে এখন বর্ণিল সাজে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। পাহাড়ে তিন সম্প্রদায়ের বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। জেলায় বসবাসরত ১২টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন উৎসবমূখর পরিবেশ। এর মধ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে আজ।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান শহরের ঐহিত্যবাহী রাজারমাঠ এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরাসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ বাঙালিরাও। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী ও ৩০০ নং আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসি।

এ সময় তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষ ও সাংগ্রাই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বান্দরবানে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব সব কিছুই আছে। তাই পরিবেশ এর প্রশ্ন তোলার কোনো প্রয়োজন নেই।

শান্তি সম্প্রীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বান্দরবানবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-নেতৃত্বের কারণেই আজকে পার্বত্য অঞ্চলে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি বজায় রয়েছে। আগামীতে সকল দল মতের মানুষ শান্তিতে এগিয়ে যাবে।

পরে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বয়স্ক পূজার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সন্মান জানানো হয়।

আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সাঙ্গু নদীর তীরে বৌদ্ধমূর্তি স্নান এবং সোম ও মঙ্গলবার স্থানীয় রাজার মাঠে সাংগ্রাইয়ের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা উৎসবে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মৈত্রীর বন্ধন অটুট রাখা এবং পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে ফেলাই হচ্ছে এ জলকেলির মূল উদ্দেশ্য।

নানা আয়োজনে চলবে মারমা সম্প্রদায়ের এই সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন। ১৬ এপিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ৪ দিনের এই সাংগ্রাই উৎসবের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী, বান্দরবান পৌর মেয়র মো. শামসুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ প্রমূখ।


আরও খবর



ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা শুরু হয়েছে। আজ বিক্রি করা হবে আগামী ৩ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেয়া কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি। আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট ভোগান্তিবিহীন কিনতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। দুইটি শিফটে এই টিকিট বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টায় বিক্রি হবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট এবং দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে (২৪ মার্চ) থেকে; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



এক বছরে চাষাবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ কৃষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে খাদ্যের উৎপাদন বাড়ছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে দেশ। তবে দেশের খাদ্যের জোগানদাতা কৃষকই এখন সবচেয়ে বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে কৃষির ওপর নির্ভরশীল ২৬.৫ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবেও সামনে আসছে কৃষি। এরই মধ্যে বিভিন্ন কারণে গত এক বছরে কৃষি পেশা ছেড়ে দিয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ মানুষ।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের কৃষকরা উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য উৎপাদন করলেও নিজের জন্য কিছুই রাখতে পারেন না। এমনকি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উৎপাদিত ফসল মাঠেই বিক্রি করতে বাধ্য হন। পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে কৃষক নিজে যে খাদ্য ফলান, একটি পর্যায়ে গিয়ে তিনি তা-ই বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিবিএসের খাদ্য নিরাপত্তা পরিসংখ্যান ২০২৩-এ বলা হয়েছে, পেশাগত জায়গায় শুধু কৃষির ওপর নির্ভরশীল পরিবারের মধ্যে গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২৬.৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক-চতুর্থাংশেরও বেশি কৃষক পরিবার নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সংকটে রয়েছেন। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, অন্য পেশাগুলোর ক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা কৃষির ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর চেয়ে অনেক কম। যারা শিল্প খাতে কাজ করেন তাদের খাবারের বিপদ সব পেশার মধ্যে সবচেয়ে কম।

শিল্পের ওপর নির্ভরশীল পরিবারের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ১৬.৬৪ শতাংশ। সেবা খাতের ওপর নির্ভরশীলদের ক্ষেত্রে তা ২০.২৮ শতাংশ, প্রবাসী আয় গ্রহণকারী পরিবারের ২০.০৩ শতাংশ, অন্য পেশার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২১.৫৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশের গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ২১.৯২ শতাংশ। আর চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ০.৮৩ শতাংশ।

বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপের ডিসেম্বরের হালনাগাদ তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কৃষিকাজ ছেড়েছেন ১৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।

বিভিন্ন হতাশার কারণে তারা এ পেশাই ছেড়ে দিয়েছেন। সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, আয়ের বৈষম্য, যান্ত্রিকীকরণের কারণে কাজের ক্ষেত্র কমে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণে কৃষি পেশা ছাড়ছে মানুষ। অনেক কৃষকই এখন নিজের দেশে চাষ করার বদলে বিদেশে গিয়ে অন্যের জন্য ফসল ফলাচ্ছে। বর্তমানে বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যাওয়া কর্মীদের মধ্যে ৪৯ শতাংশই যাচ্ছেন কৃষিকাজে।

শ্রমশক্তি জরিপ (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তথ্য অনুযায়ী, কৃষি পেশায় যুক্ত কর্মী তিন কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের শেষেও সংখ্যাটি ছিল তিন কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার।

কৃষকদের নিজের পেশা ছেড়ে দেওয়ার প্রভাব পড়েছে দেশের মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে। বিবিএস এখন জিডিপির হিসাব প্রতি প্রান্তিকেই দিয়ে থাকে। সর্বশেষ চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে দেশের জিডিপি দাঁড়ায় ৬.০৭ শতাংশ। এ প্রান্তিকে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি এতটা কমেছে যে দেশের খাদ্য উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ০.৮৪ শতাংশ। অথচ এর আগের অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই প্রান্তিকে দেশের কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ২.০৭ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কৃষির প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.৯৬ শতাংশ। অর্থাৎ কয়েক বছর ধরে প্রতিবছরই ধারাবাহিকভাবে কৃষি খাতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমছে। ফলে খাদ্যপণ্যের আমদানিনির্ভরতা আরো বাড়ছে।

কৃষকদের এত বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষকরা বিশেষ করে এখন যে উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য এসেছে সেগুলো উৎপাদন করে বিক্রি করে ফেলেন। তারা নিজের খাবারের জন্য যা রাখেন সেগুলো খুবই সামান্য, অপুষ্টিকর। কাজেই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা তাদেরই বেশি হবে। যেমনতারা দুধ বিক্রি করে ফেলেন, নিজের জন্য রাখেন না। দুধ পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় খাবার হওয়া সত্ত্বেও নিজের জন্য রাখেন না। তারা দুধ বিক্রি করে খাদ্য, কাপড়সহ অন্য কিছু কেনেন।

খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষির ওপর নির্ভরশীল মানুষের আয় কম। সে হিসাবে তারা মাছ-মাংস কিনে খেতে পারেন না। তারা যেসব শাক-সবজি খান সেগুলোও একেবারেই নিম্নমানের, সব বিক্রি করার পর যা থাকে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পুষ্টি নিয়ে তাদের শিক্ষা বা সচেতনতা কম। সে জন্যও তাদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বেশি।

দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা যে রয়েছে তা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ নিজে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফসল সংগ্রহের পর বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ফসল ও খাদ্য নষ্ট এবং অপচয় হয়। খাদ্য নষ্ট হওয়া ও অপচয় কমাতে পারলে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী হবে।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ মাটি, আগুনে পুড়ে ছাই ৩০ দোকান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

ঈদের নামাজ চলাকালে শরীয়তপুরের একটি বাজারে আগুন লেগে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝির ঘাট বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাজারের ইউনুস খানের মুদির দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুদির দোকানটির আশেপাশে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের কয়েকটি দোকান থাকায় দ্রুত আগুন অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি আগুনে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঈদের সকালে এমন ভয়াবহ আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সালমান ফারসী বলেন, আমার দোকানে মুদি মালামাল ও ভোজ্য তেলের পাশাপাশি কাঁচা মালসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সকালে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় শুনি আমার দোকানে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই আমার সারাজীবনের পুঁজি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে আমার।

ঈদের সকালের এই আগুনে রাসেল মাতবরের ৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার চারটি দোকান ছিল, যা ভাড়া দিয়ে আমি আয় করে থাকি। ঈদের দিন এমন ক্ষতি হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি। ঈদের আনন্দ পুড়ে শেষ হয়ে গেছে আমার।

মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারটি পদ্মা নদীর কাছাকাছি এলাকায়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর শংকর বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে।


আরও খবর