আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রাজাপুরে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাঈম, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান ময়লা-আবর্জনায় ভাগারে পরিণত হয়েছে। ডাষ্টবিন না থাকায় যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলা সদরের বসবাসরত এলাকাবাসী।

ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে রাজাপুর উপজেলা শহর এখন আবর্জনার শহরে পরিনত হচ্ছে। কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না করায় দুর্গন্ধে বাতাস দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া টানা বৃষ্টির পানিতে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা ভেসে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দুর্গন্ধে পথচারী, বসবাসরত আবাসিক এলাকার মানুষ, শিক্ষার্থী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অফিসগামী মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, রাজাপুর উপজেলার সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পাশে টিএন্ডটি অফিসের (পশ্চিম-দক্ষিণ) দুই পাশে, বাগরী বাজারের খালে, রাজাপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে সরকারি পুকুরের পাড়ে, বাজার ব্রিজ এর নিচে ও মন্দিরের পাশের খালে, বাইপাশ মোড়ে ও বাইপাশ খালে, ফায়ারসার্ভিসের উত্তর পাশে মহাসড়কের পাশে,পুরাতন জেলখানার পশ্চিম পাশে মহাসড়কের পাশে মেডিকেল মোড়েসহ সদরের মূল স্থানগুলোতে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ একাকার। উপজেলা শহরের কোথাও ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থান ও ডাষ্টবিন না থাকায় শহরবাসী পলিথিনে ভরে যেখানে সেখানে ফেলে রাখছেন ময়লা-আবর্জনা।

দিনের পর দিন ময়লা পড়ে থাকার ফলে বৃষ্টির পানিতে এসব ময়লার স্তূপ যেখানে সেখানে ছড়িয়ে পড়ছে। সৃষ্টি হচ্ছে ডেঙ্গু মশা ও মাছির আবাসস্থল। দিন দিন এ ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা শহর জুড়েই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ফলে অলিগলিতে পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ, এ কারনে পথচারীরা স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারেনা। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

এছাড়াও বাঘড়ী হাটের ময়লা, বাজারের ময়লা, হোটেল রেস্টুরেন্ট এর ময়লা, দধির হাঁড়ি, অগণিত পলিথিন সব খালে ও বিভিন্ন রাস্তার পাশে, ডোবায় ফেলা হচ্ছে, ফলে খালগুলি দ্রুত ভরে যাচ্ছে ও রাস্তায় চলাচল করতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। উপজেলা শহরের সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ২ টি পুকুরে পলিথিনসহ ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে ২টি পুকুরে মাছ চাষের অনুপযোগী হয়ে গেছে।

শহরের বসবাসকারী মাহিন, সাইফুলসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, আবর্জনার দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। রাস্তা-ঘাটে যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ ও দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। উপজেলা শহরের কোথায়ও ময়লা ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থান ও ডাষ্টবিন না থাকায় বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলছে এলাকাবাসী। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছে সাধারন পথচারীরা।

উপজেলার ব্যবসায়ি এম মুরাদ, নয়ন তালুকদার, আরিফ, মিজান, আমিনুল সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, শহরের আবাসীক বসতবাড়ি, দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কনফেকশনারি, কয়েকটি ক্লিনিক, হাট বাজারের ইজারা এবং ট্রেড লাইসেন্স থেকে ইউনিয়ন পরিষদ বছরে অনেক টাকা নিলেও তাদের থেকে সেবা পাচ্ছেনা জন-সাধারণ ও ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলার ৩নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন তালুকদার বলেন, আমরা সবার সাথে এবিষয় কথা বলেছি। সবাই একত্রে বসে আলোচনা করে খুব শীঘ্রই দুইজন লোক রেখে নির্দিষ্ট একটা স্থান ঠিক করবো এবং সেখানে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।

এবিষয়ে "পরিছন্ন বাংলাদেশের স্বপ্ন" বিডি ক্লিন এর ঝালকাঠি শাখার সদস্য রাহাত মাহমুদ জিবন বলেন, আমরা মানুষদের সচেতন করার জন্য বিভিন্ন সময় সচেতনতা মূলক লিফটে বিতরণ করেছি। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেছি। তারপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। এরকম যদি যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলতে থাকে তাহলে পরিবেশ দূষণ হবে এবং পানি জমে ডেঙ্গু মশা তৈরি হবে।

এবিষয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ ঝালকাঠি শাখার প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মোঃ আককাস সিকদার বলেন, ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিস্ট স্থান নির্ধারণ, ডাস্টবিন স্থাপন এবং ময়লা অপসারণের দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের। রাজাপুর উপজেলা সদরে উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদ মিলে ময়লা অপসারণ এবং ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নিতে পারে।

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ ফারহান তানভীর তানু বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় যেখানে সেখানে ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে এবং পানি জমে ডেঙ্গু মশা জন্ম নিচ্ছে। এতে উপজেলা বাসী ঝুঁকিতে আছে। সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৫৩জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, পৌরসভা না থাকায় সরকারি কোন কর্মচারী এবং সরকারি কোন অর্থ বরাদ্দ নেই। তাই এই বিষয়ে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদসহ সবার সাথে আলোচনা করবো এবং স্থায়ী ভাবে সমাধানের জন্য চেষ্টা করবো।


আরও খবর



সমুদ্রপথ নিরাপদ করার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যাতে বিভিন্ন সংকটের সময়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌসংস্থার (আইএমও) নির্বাচিত সি ক্যাটাগরির সদস্য। ১৭৪টি দেশ আইএমওর সদস্য। কীভাবে সমুদ্রপথ  নিরাপদ করা যায় সেলক্ষ্যে আমরা একটি প্রস্তাব তৈরির কাজ করছি।

রবিবার (১৫ এপ্রিল) ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শিগগিরই সেটি (প্রস্তাব) আইএমওতে পাঠানো হবে। কারণ বাণিজ্যিক জাহাজগুলো যদি সংকটের সময়ে চলাচল করতে না পারে তাহলে বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়, অস্থিরতা বেড়ে যায়।

ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ২৩ জন নাবিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা। এবং সেটি সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় এ বিষয়ে সজাগ ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, আন্তর্জাতিক নৌ উইংগুলো কাজ করেছে। দ্রুত আমরা নাবিকদের মুক্ত করতে পেরেছি। এ ক্রেডিট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

ব্যাগে করে মুক্তিপণ দেওয়ার ছবি দেখা গেছে-দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। ‌ এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কিভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না।

তিনি বলেন, জানতাম পরিত্যক্ত জিনিস পানিতে ফেলে। এত দামি জিনিস পানিতে ফেলে জানা ছিল না।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি এখন দুবাইয়ের উদ্দশে যাচ্ছে জানিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, সেটি ১৯ বা ২০ এপ্রিল দুবাইয়ে পৌঁছাবে। এরপরের পুরো বিষয়টি জাহাজ এবং নাবিকদের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়। নাবিকরা কত দিনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে, সেই চুক্তি তারা বহাল রাখবে, না কি তারা ফিরে আসবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, তবে মালিকরা গতকালকে খুব ভালো একটি কথা বলেছে। আমি শুনেছি, তারা যদি চায় বাংলাদেশে ফিরে আসবে। তাদেরকে বিমানযোগে বাংলাদেশের নিয়ে আসা হবে। সেখানে তাদের রিপ্লেস যারা হবে। সেটা নিয়েও হয়তো তারা কাজ করছে।

ঈদের দিন ঢাকার সদরঘাট লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সার্ভেয়ারদের দুর্বলতা থাকলে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।  অভ্যন্তরীণ নৌপথে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সেটা সদরঘাট হোক, ভোলায় হোক, চাঁদপুরে হোক, বরিশালে হোক, মাঝ নদীতেই হোক না কেন- প্রত্যেকটার আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন ধরনের পানিশমেন্টগুলো হয়।

তিনি বলেন, ঈদের দিন আমরা উৎসবমুখর ছিলাম। ‌ সেখানে এই ধরনের একটি ঘটনা ঈদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। জাহাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল অনেকে কিন্তু পালিয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। একটা মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এই জায়গাটায় খুবই শক্ত আছি। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক লঞ্চ গতি ও শক্তি নিয়ে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে। এটা সব লঞ্চ করে, ব্যাপারটা তা নয়। বিশেষ বিশেষ কিছু লঞ্চ করে, শক্তিশালী কোন মালিক থাকলে তাহলে এটা করে। আমরা সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এই জায়গাটায় আমাদের জিরো টলারেন্স।


আরও খবর



বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে: ছাত্রলীগ সভাপতি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বুয়েটের রাজনৈতিক কাঠামো বুয়েট ঠিক করবে, তবে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। রোববার (৩১ মার্চ) বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফেরাতে শহিদ মিনারে ছাত্রলীগের সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নাটক বন্ধ করতে হবে। কোন ক্যাম্পাসে যাওয়াটা মৌলিক অধিকার। অনুমতি নেয়ার দরকার নেই। কোথাও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নিয়ম নেই। থাকলেও তা সংবিধান বিরোধী। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। ছাত্র সংসদ নিবাচন দিতে হবে। বুয়েটে ইতিয়াজ রাব্বির সিট ফিরিয়ে দিতে হবে।

রোববার সকাল ১১ টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় বেলা ১২ টায়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালো ছায়া থেকে মুক্ত করে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিতে এবং বুয়েট কর্তৃক গৃহীত সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার পরিপন্থী শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করছে ছাত্রলীগ।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হন।

এ সময় নেতাকর্মীদের মৌলবাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, শিবিরের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, জায়ামাত-শিবির-রাজাকার, তাড়াতাড়ি বাংলা ছাড়, শিবিরে আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টা ০৮ মিনিটের দিকে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার এবং ১৯ বার গান স্যালুট দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডের মিনিস্টার ইন অ্যাটেনডেন্স পুয়াংপেত চুনলাইয়েদ, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


আরও খবর



উখিয়ায় বনবিট কর্মকর্তাকে পিষে মারল বনদস্যুদের ডাম্পট্রাক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের উখিয়ায় সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছিল বনদস্যুরা। খবর পেয়ে তা ঠেকাতে গিয়ে পাচারকারীদের ডাম্প ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন বনবিভাগের এক কর্মকর্তা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন, বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭)।

রোববার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম।

নিহত মো. সাজ্জাদুজ্জামান (৩০) কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজরিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শফিউল বলেন, শনিবার গভীর রাতে হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মিনি ট্রাকে করে মাটি পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে মোটরসাইকেলে বনরক্ষীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সাজ্জাদুজ্জামান।

স্থানীয়রা আহত বনরক্ষীকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারোয়ার আলম বলেন, বন রক্ষা করতে গিয়ে সাজ্জাদ নিজের জীবন দিয়েছেন। তার নির্মম মৃত্যুতে আমরা একজন দক্ষ ও পরিশ্রমী বন কর্মকর্তাকে হারালাম।

পাহাড়-বন ধ্বংসকারীদের প্রতিরোধে এই মুহূর্তে সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়ে সারোয়ার আলম আরও বলেন, না হয় অচিরেই বন ধ্বংস হয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে পরিবেশ-প্রকৃতি।

উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করছে।


আরও খবর



কার্ভাডভ্যানের পেছনে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, নিহত ২

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলে কার্ভাডভ্যানের পেছনে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছে। রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পৌর শহরের আশেকপুর বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- প্রাইভেটকার চালক বরগুনা সদরের সোনাখালী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৩৫) ও যাত্রী সিরাজগঞ্জের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে শাহ আলম (৪৫)।

এ ব্যাপারে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর সাজেদুল রহমান বলেন, সকালে তিন যাত্রী নিয়ে প্রাইভেটকারের চালক উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছিলেন। আশেকপুর এলাকায় পৌঁছালে কার্ভাড ভ্যানের পেছনে প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারের সামনের অংশ ধুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক নিহত হয়।

আহত অবস্থায় তিনজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। বাকি আহত দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতরা হলেন-সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৃত দারুজ্জামান তালুকদারের ছেলে আনিছুর রহমান (৫৫), সিরাজগঞ্জ সদরের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান আলাল (৫৩)।


আরও খবর