আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাজধানীতে গ্যাসের জন্য হাহাকার, দিনে জ্বলছে না চুলা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
দৈনিক প্রায় ৪১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস চাহিদার বিপরীতে সব বিতরণ কোম্পানিগুলো মিলে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ করছে ২৫০-২৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস।

রাজধানীসহ সারাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। সরবরাহ গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে। ফলে দিনের সিংহভাগ সময়ে পাইপলাইনে সংযুক্ত গ্যাসের চুলা একদম জ্বলছে না কিংবা নিভু নিভু জ্বলছে। শিল্পকারখানায় উৎপাদন অর্ধেক কমে গেছে। দৈনিক প্রায় ৪১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস চাহিদার বিপরীতে সব বিতরণ কোম্পানিগুলো মিলে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ করছে ২৫০-২৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। অর্থাৎ চাহিদার এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি সরবরাহ ঘাটতি থাকছে।

চাহিদা বৃদ্ধির বিপরীতে স্থানীয় উৎপাদন না বাড়া, এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি কমে যাওয়া এবং গ্রিড পাইপলাইন থেকে গ্যাস চুরি হওয়ায় ঘাটতি-সংকট বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, শিগগিরই এ ঘাটতি দূর হবে না। কারণ-বিদ্যমান মজুদ হওয়া গ্যাস থেকে দৈনিক উৎপাদন কিছুটা বাড়ানো সম্ভব হলেও খুব বেশি বৃদ্ধি করা যাবে না। স্থানীয় গ্যাস পাওয়ার অনেক সম্ভাবনা থাকলেও তা অনুসন্ধান করে উৎপাদনে নিয়ে আসতে তিন বছর লেগে যাবে। আর ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমতে থাকায় অর্থনীতিতে সংকট তৈরি হয়েছে। তাই বর্তমানে যে হারে বা পরিমাণে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি এলএনজি আগামী এক বছরে আমদানি করা কঠিন হবে। সব মিলিয়ে ২০২৬ সাল নাগাদ গ্যাস ঘাটতি থাকবে। তবে চলতি বছরের শেষ ভাগ বা আগামী বছর থেকে ধাপে ধাপে ঘাটতির পরিমাণ কমবে বলে আশা করছেন তারা।

বিদ্যমান গ্যাস ঘাটতি বিষয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বর্তমান গ্যাস সংকট সাময়িক। ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বর্তমানে যে গ্যাস সংকট চলছে, আগামী মার্চে রোজার আগেই তা কমবে।

তিনি বলেন, আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের একটা টাইমলাইন ঠিক করে ফেলেছি। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ থাকবে। এখন আমরা মাত্র ২০ শতাংশ গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করি। ৮০ শতাংশ নিজস্ব গ্যাস ব্যবহার করছি। এই হারটা ধরে রাখতে চাই। আমদানির গ্যাসের অবস্থাটা খুব বেশি বড় করতে চাই না।

পেট্রোবাংলার এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, শীতে সাধারণত বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়। তখন গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ কমিয়ে আবাসিক ও শিল্পে বাড়ানো হয়। দেশজ উৎপাদন এবং এলএনজি আমদানি কমে যাওয়ায় এ বছর সেটি সম্ভব হচ্ছে না। দুইটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে একটি এখন বন্ধ আছে। বন্ধ থাকাটিতে পরিচালন শুরু হওয়ার পরে বর্তমানে চালু থাকাটি আবার কিছু সময় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরবরাহ বন্ধ রাখবে। তবে রমজানের আগে দুটিই চালু থাকবে।

ঢাকার কয়েকটি এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট প্রসঙ্গে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, কিছু এলাকায় গ্যাস চুরি হচ্ছে। আর কিছু এলাকায় পুরনো পাইপলাইনের কারণে গ্যাসের উপজাত জমে লাইন সরু হয়ে গেছে। আবার কম সরবরাহের কারণে বিতরণ এলাকার শেষ দিকের বা লেজের গ্রাহকরাও সরবরাহ কম পাচ্ছেন। তাই নির্দিষ্ট কিছু এলাকাতে সংকট প্রকট।

সাভারে পোশাক কারখানার এক মালিক জানান, গ্যাস সংকটের কারণে তার একটি কারখানা পুরোপুরি বন্ধ। আরেক কারখানায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমেছে। নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানার মহাব্যবস্থাপক জানান, গ্যাস সংকটে তাদের উৎপাদন তিন ভাগের এক ভাগ কমে গেছে। কিছু কারখানা অসদুপায়ে গ্যাস নেওয়ায় অনেকে ন্যায্য গ্যাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আশুলিয়ার এক কারখানা মালিক জানান, গ্যাস সংকটের কারণে কার্যাদেশ কমে গেছে। তিনি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কর্মী ছাঁটাই করেছেন গত এক বছরে।

এদিকে রাজধানীর রমনায় সিদ্ধেশ্বরীর বাসিন্দা ফারজানা জামান জানান, তার বাসায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। বিকাল থেকে ভোর পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ থাকলেও চাপ কম থাকে। জুরাইনের মুরাদপুরে সোহেল আরমান জানান, তার এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত কম চাপে গ্যাস থাকে। নিভু নিভু আগুনে রান্নার কাজ করতে হয়। অনেক সময় তা-ও হয় না। ফলে ইলেক্ট্রিক চুলায় রান্না করতে হয় প্রতিদিনই। এতে বাড়তি খরচ যোগ হয়েছে, সংসারে যা তার জন্য চাপ তৈরি করেছে। গ্যাস বিল দিয়েও গ্যাস না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।


আরও খবর



টুঙ্গিপাড়ার পথে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিনের সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে তিনি ঢাকা থেকে রওনা করেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু ও অপর শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে। তিনি টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপদেষ্টা সদস্য। সমিতিটি আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত। তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে এ সমিতির উপকারভোগীদের মধ্যে কৃষি উপকরণ ও নগদ সহায়তা দেবেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর নিরাপদ ও সফল করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সার্বিক সমন্বয়মূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর সফরটি সুন্দর, নিরাপদ ও সফল হবে।

টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজ্জাম্মেল হক টুটুল জানান, টুঙ্গিপাড়ায় এটি প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সফর। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়ার দাড়িয়ারকুল সমবায় সমিতির উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এ সময় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাদের শিক্ষা ও কৃষি উপকরণ এবং নগদ অর্থ প্রদান করবেন। কর্মসূচি পালন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুক্রবারই ঢাকায় ফিরবেন।


আরও খবর



পুলিশের অভিযানে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, পাহাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল মো রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ অপহৃত দুই জনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক (ঢালা) দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা।

অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫১) উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, নয়াপাড়ার মৃত মোঃ শফি মোহাম্মদ রফিক (৩২)।

অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কের ঢালার নামক স্থানে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিএনজি (অটোরিকশা) চালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।


আরও খবর



বিশ্বকাপে পাকিস্তানি উগ্রবাদীদের সন্ত্রাসী হামলার হুমকি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে এক মাসও বাকি নেই। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এর মধ্যেই দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। বিশ্বকাপ চলাকালীন জঙ্গি হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জানা গেছে বিশ্বকাপ চলাকালে হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন।

বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এনিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ। তাদের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই হুমকি দিয়েছে উত্তর পাকিস্তানের একটি জঙ্গি সংগঠন প্রো-ইসলামিক স্টেট (দাইশ)।

পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনটি দাবি করেছে, বিশ্বকাপ চলাকালীন নাশকতা করা হবে। যে গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে মূলত সেটি ইসলামিক স্টেট সংগঠন মালিকানাধীন।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, প্রো-ইসলামিক স্টেট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও প্রকাশ করছে। বিভিন্ন সময়ে খেলার মাঠে ঘটে যাওয়া সব নাশকতার ভিডিও সেগুলো।

এ ধরনের ভিডিও প্রকাশের পাশাপাশি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের তাদের লড়াইয়ে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠনটি। এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রতিটি দেশের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ এবং দর্শকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

ক্যারিবিয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, এ বিষয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যে মাঠগুলোতে বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে ও টিম হোটেলে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সব দেশকে জানানো হচ্ছে যে, ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ ও দর্শকদের নিরাপত্তা তাদের প্রধান লক্ষ্য।

চলতি বছর জুনের শুরুতে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে আয়োজন করছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের নবম আসর। প্রথমবারের মতো আইসিসির বৈশ্বিক আসরে অংশ নেবে ২০টি দল।


আরও খবর



জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর



কত টাকা দরে কেনা হবে ধান চাল, জানালেন মন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকার চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার ধান ও চাল কিনবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। রাজধানীর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানান তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, আতপ চাল এক লাখ টন এবং ৫০ হাজার টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা, আতপ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৪ টাকা। আগের বছর ২০২৩ সালে ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল যথাক্রমে ধান ৩০ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা ও গম ৩৫ টাকা।

তিনি বলেন, বোরো মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ নিয়ে কোনো কৃষক অপমানিত হলে, হয়রানির শিকার হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, এ পর্যন্ত হাওড়ে ৯৮ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। রংপুর, দিনাজপুর অঞ্চল ১০ ভাগ এবং সব মিলেয়ে ৬৬ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে।

মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের বস্তার গায়ে জাতের নাম লেখা শুরু হয়েছে। মিলার ও চাল ব্যবসায়ীরা যত দ্রুত জাতের নাম লিখবে তত ভালো। নিয়ম লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর