আজঃ বুধবার ২২ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাজধানীতে পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার ৫৮

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৫ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তারসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৫ হাজার ২৪১ পিস ইয়াবা, ২০০ গ্রাম ১২০ পুরিয়া হেরোইন ও ২০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪৩টি মামলা রুজু হয়েছে বলে জানায় ডিএমপি।


আরও খবর



ওপারের গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত আছে। নিজেদের নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখতে দু'পক্ষ সব ধরনের আক্রমণ চালাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ও সাবরাং সীমান্তসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ওপারের মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ এবং মর্টারশেলের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। গোলার শব্দের স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।

টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ব্যাপক গোলার শব্দে এপার কেঁপে উঠছে। দীর্ঘদিন এই এলাকায় গোলার শব্দ শোনা না গেলেও আজ ভোর থেকে বড় ধরনের গোলার শব্দ পাচ্ছি। মনে হচ্ছে বোমা এসে এপারে পড়ছে।

সকাল থেকে ভারী গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলার মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, রাখাইনের চলমান যুদ্ধে এপারে ভারী গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ ধরনের গোলার আওয়াজে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।

হ্নীলা সীমান্তের আব্দুর গফুর বলেন, ওপার থেকে সকালে ভয়ংকর কয়েকটি শব্দ শুনেছি। মনে হয়েছে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ। দিনের বিভিন্ন সময়ে বড় ধরনের কয়েকটি বিকট শব্দ শোনা গেছে।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুস সালাম বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গোলাগুলির শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। সীমান্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এদিকে, মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপ দখল করে নেয় বলে খবর পাওয়া গেছে। টিকতে না পেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি সদস্যরা দলে দলে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। গত দুই দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে শতাধিক মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য এপারে আশ্রয় নিয়েছে।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তাহসিন রহমান বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৮৮ বিজিপিকে আমরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর কাছে হস্তান্তর করেছি। সীমান্তে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই দিনে নাফ নদ পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে নৌকায় করে ১০০ বিজিপি সদস্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টেকনাফ কোস্টগার্ড সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেওয়া হয়।

এদিকে, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার এলাকায় নাফ নদে বিজিবি এবং কোস্টগার্ড টহল বৃদ্ধি করেছে। সেটি চলমান এবং যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সবসময় প্রস্তুত কোস্টগার্ড ও বিজিবি।

এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, রাখাইনে সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর জের ধরে যাতে রোহিঙ্গা বা অন্য কোনও গোষ্ঠী বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।'


আরও খবর



ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সিলেটে ব্যস্ত খামারিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু প্রস্তুতে ব্যস্ত সিলেট বিভাগের খামারিরা। গো-খাদ্য, ওষুধসহ বিদ্যুতের বাড়তি দামে খরচ বেড়েছে খামারীদের। গেল বছরের তুলনায় প্রতিটি গরু লালন-পালনে খরচ বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। গো-খাদ্যের এ বাড়তি দামে খরচ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা খামারিদের।

খামারিরা জানিয়েছেন গো খাদ্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেড়েছে ব্যয়। ফলে দাম বেড়েছে পশুর। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু আসা নিয়ে লোকসানের মুখে পড়ায় শঙ্কায় রয়েছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে।

অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, এক বছরের ব্যবধানে সিলেটে কোরবানীর পশু বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। সিলেটে এবার কোরবানী যোগ্য পশুর কোন ঘাটতি নেই বরং উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩৬ হাজার ১৪৬টি পশু।

অথচ গেল বছর ঈদুল আজহায় সিলেট বিভাগে কোরবানীযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮১৯ টি। আর চাহিদা ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৯৩টি। গত বছর যেখানে বিভাগে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭৪টি পশুর ঘাটতি ছিল, সেখানে এ বছর বিভাগে কোরবানীর পশু ১ লাখ ৯৫ হাজার ৬৭৪টি বেড়ে উদ্বৃত্ত থাকছে ৩৬ হাজারের বেশী।

প্রাণিসম্পদ ও খামারি সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের সময়ের ভয়াবহ বন্যা, নিত্যপণ্য ও পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গেল বছর খামারিদের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় কমে ছিল পশুর উৎপাদন। প্রাণিসম্পদের নানা উদ্যোগ, প্রণোদনা ও স্বাবলম্বীকরণ প্রজেক্টের কারণে এবার বিভাগে খামারিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে বেড়েছে উৎপাদিত পশুর সংখ্যা। এক বছরে বিভাগে ষাড়-বলদ-গাভী ও মহিষের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ১৬০টি এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৫টি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আযহায় সিলেট বিভাগে কোরবানী যোগ্য পশুর চাহিদা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১টি। এর মধ্যে সিলেট বিভাগে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত আছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭টি। উদ্বৃত থাকা ৩৬ হাজার ১৪৬ পশু দেশের অন্যান্য জেলায় রপ্তানী করা যাবে।

বিভাগের ৪ জেলার বিভিন্ন খামারে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ গবাদি পশু। গত কয়েক বছরের মধ্য এবার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়ে চাহিদা মিটানো সম্ভব। বিভাগে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২২ হাজার ৫৭৬ টি খামারে দিন রাত প্রাকৃতিক উপায়ে চলছে পশু হৃষ্টপুষ্ট করণ কাজ। প্রতিটি খামারে ছোট, মাঝারি ও বড় সব ধরণের কুরবানির পশু রয়েছে। এরমধ্যে সিলেট জেলার ৬ হাজার ৮৫৮ টি, সুনামগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৪৫৮ টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৫ হাজার ৩৬৯টি ও হবিগঞ্জ জেলায় ৬ হাজার ৫১৯ টি খামার রয়েছে।

এদিকে প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামারিকে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে উপজেলা পর্যায়ে উঠান বৈঠক করে খামারিকে হাতে কলমে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

সিলেটের একাধিক খামারিদের সাথে আলাপকালে তারা জানান- এমনিতেই সবধরণের পশুখাদ্যের দাম বাড়তি এরমধ্যে তীব্র গরমের কারণে পশুর জন্য বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে আইপিএস দিয়ে ফ্যান চালাতে হচ্ছে। দিনে দুবার গোসল করাতে হচ্ছে। পশুকে ২৪ ঘণ্টা বাতাসের মধ্যে রাখতে হয়। খাবারের সঙ্গে সোডা দিতে হয়। প্রতিনিয়ত শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করতে হয়। আবার ফসলের মৌসুম হওয়ায় শ্রমিকের মজুরি বেশি দিতে হচ্ছে।

দেশে প্রচলিত পশুখাদ্যের উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে সয়াবিন খৈল, গমের ভূসি, রাইস পলিশ, মসুর ভূসি, সরিষার খৈল, ভুট্টা, মুগ ভূসি ও মটর ভূসি। এসব উপাদানের দাম এবার ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

অনেক ব্যাপারী শুধু কোরবানির জন্যই কয়েক মাস আগে পশু কিনে ব্যবসা করেন। তাদের মতো একজন শহীন। তিনি বলেন, ৬৫ হাজার টাকায় গরু কিনেছি। ২০ হাজার টাকার খাবার খাওয়ানো হয়েছে। এখন যদি ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দাম না পাই তাহলে পোষাবে না।

সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর সিলেট বিভাগে কুরবানী হবে প্রায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১টি পশু। অথচ প্রস্তুত আছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭ টি পশু। এরমধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৮০ টি ষাড়, ৪৯ হাজার ১০৩ টি বলদ, ৩৩ হাজার ৩৭৫টি গাভী, ৪ হাজার ৫৩৩টি মহিষ, ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৩টি ছাগল, ৭০ হাজার ৯৫৩টি ভেড়া ও ১১০ টি অন্যান্য পশু রয়েছে।

সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিসের পরিচালক ডা. মারুফ হাসান আলাপকালে জানান, এবার সিলেট বিভাগে কোরবানী যোগ্য পশুর কোন ঘাটতি নেই বরং উদ্বৃত্ত আছে ৩৬ হাজার ১৪৬টি পশু। তাই এবার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে পশু আসার কোন দরকার নেই। গো খাদ্য ও সব জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারিদের ব্যয় বেড়েছে। সিলেটে আগে ঘরোয়াভাবে কোরবানীযোগ্য পশু পালন হতো। সেটা এখন কমে গেছে। তাই খামারিদের পশু দিয়েই কোরবানীর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।


আরও খবর



অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা খেলেন প্রধান শিক্ষক, গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল (৫০) পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে মধ্যরাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি।

সোমবার রাতে এ-সংক্রান্ত ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গণধোলাইয়ের শিকার গোলাম রব্বানী বকুল ওই ইউনিয়নের আরাজি দহবন্দ গ্রামের নিয়ামতুল্লাহ সরকারের ছেলে ও দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের বড় ভাই।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী আলেমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুলের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রায় রাতেই তিনি ওই নারীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার গভীর রাতেও ওই নারীর সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে যান গোলাম রব্বানী বকুল। তাদেরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে ওই নারীর ছেলে গোলাম রব্বানীকে আটক করে স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়রা এসে তাকে গণধোলাই দিয়ে বাড়ির পাশে একটি সুপারি গাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন।

পরে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানীর ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবুসহ তার কয়েকজন আত্মীয় এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল ও তার ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

তবে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবু বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা গোলাম রব্বানী বকুলকে সুপারি গাছে বেঁধে রেখেছেন। পরে তার ছোট ভাই গোলাম কবির মুকুল ও ভাতিজারা এসে নিয়ে যান।’

তিনি এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে এ ইউপি সদস্য জানান।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) মো. আশিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার ক্লাস্টারের আওতাভুক্ত ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে আমাদেরকে বিষয়টি এখনও কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল আলম সরকার রেজা বলেন, এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার সময় গোলাম রব্বানী বকুলকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়েছেন বিষয়টি শুনেছি।’

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরও খবর



নিউইয়র্কে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বাফেলোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যানা যায়নি। এছাড়াও কী কারণে তাদেরকে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হলো সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

প্রশাসনের বরাত দিয়ে মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, হান্ড্রেট জেনার স্ট্রিটে দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। এই ঘটনায় গোটা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাফেলো পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।


আরও খবর



মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটি।

সোমবার (২০ মে) দিবাগত রাতে ইউনাইটেড স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ ঘটনার পর নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক এই সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি আল জাজিরায় অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান নামক একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল। তার সাথে এই নিষেধাজ্ঞা সম্পৃক্ত ওতোপ্রতোভাবে। অভিযোগ দুইটা একই, কিন্তু এখানে বিস্তারিত বলা হয়নি।

প্রথম অভিযোগ হল- আমি আমার ভাইকে বাংলাদেশের যে আইন আছে, তার (ভাই) অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে সে যেন এড়িয়ে চলতে পারে; সেজন্য আমি আমার পদ-পদবি ব্যবহার করে তাকে সহযোগিতা করে আমি করাপসন করেছি। এর উত্তর হলো- আমার সেই ভাই, আমি জেনারেল হওয়ার অনেক আগেই বিদেশে গেছে। সে নিশ্চয়ই বৈধ পাসপোর্ট নিয়েই বিদেশে গেছে। তার চলে যাওয়া বা দেশের প্রচলিত আইন ফাঁকি দেয়ার ব্যাপারে আমি আমার পদ-পদবি ব্যবহার করেছি এই অভিযোগটা আমি মেনে নিচ্ছি না। মেনে নিতে পারি না, এটা সঠিক নয়।

দ্বিতীয়ত, আমি আমার ভাইকে সামরিক কন্ট্রাক্ট দিয়ে আমি ঘুষ নিয়েছি। আমি আরেকটা দুর্নীতি করেছি। এখানে যে ইকুয়েপ্টের কথা বলা হচ্ছে, আমি এটা পরে বলতে চাই, আমি চার বছর বিজিবি থাকাকালীন এবং তিন বছর সেনাপ্রধান থাকাকালীন কেউ যদি একটা প্রমাণ দিতে পারে যে, আমি আমার কোনো ভাইকে বা কোনো আত্মীয়কে বিজিবি বা সেনাবাহিনীতে কোনো কন্ট্রাক্ট দিয়েছি। তাহলে আমি যেকোনো কনসেকুয়েন্স মেনে নিতে প্রস্তুত আছি। আমি দেইনি। আমার উত্তর আমি দেইনি।

সাবেক এই সেনাপ্রধান আর বলেন, আমার কোনো ভাইকে সেনাবাহিনী বা বিজিবিতে ঠিকাদারি করার জন্য কোনো ধরনের লাইসেন্স আছে কিনা আপনারা খুঁজে বের করুন। আমি যে আমার ভাইদের কন্ট্রাক্ট দিয়েছি, তার প্রমাণ তারা (যুক্তরাষ্ট্র) দিক। আমি মেনে নেব। তথ্য প্রমাণ ছাড়া তো এটা প্রমাণিত না। আমি জোড় দিয়ে বলছি, আমি তাদের কোনো কন্ট্রাক্ট দেইনি।


আরও খবর