রাজধানীর মুগদার
গোলাপবাগ এলাকার একটি বাসায় অপরাজিতা দাস (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীর গলায় ফাঁস দিয়ে
আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (৭ জানুয়ারি)
বিকেল ৪টার দিকে মুগদা হাসপাতাল থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে মুগদা থানার
পুলিশ।
পরে ময়নাতদন্তের
জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক
(এসআই) নগেন্দ্র কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিকেলে খবর পেয়ে মুগদা
হাসপাতাল থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, ওই
ছাত্রীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে দুপুরে সবার অগোচরে তার কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে
ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় ওই ছাত্রী। পরে বাসার লোকজন দেখতে পেয়ে দ্রুত মুগদা জেনারেল
হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আত্মহত্যার কারণ জানাতে
পারেনি ওই ছাত্রীর পারিবার।
মৃত ছাত্রীর বাবা
অজয় কুমার দাস জানান, মুগদা গোলাপবাগ ঋষিপাড়ায় নিজেদের চারতলা বাসার দ্বিতীয় তলায়
থাকেন। অপরাজিতা স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন আদর্শ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে
উঠেছিল। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে অপরাজিতা ছিল বড়।
তিনি আরও জানান,
আমি অফিসে ছিলাম। অপরাজিতা ও তার মা বৃত্তি রানী দাস বাসায় ছিল। অপরাজিতাকে রুমে রেখে
গোসল করতে যায় তার মা। গোসল সেরে ঘরে ঢুকে দেখে অপরাজিতা ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলছে।
পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় মুগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায়। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা
করেছে, তা বলতে পারেনি পরিবার।