আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

‘রাজনীতিতে গণতন্ত্রের পথে বাধাই হচ্ছে বিএনপি’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অর্জনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপিসহ অনেকেই তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে শহীদ শেখ জামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ও পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র এবং প্রগতির পথে বাধাই হচ্ছে বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা এবং পরবর্তীতে দেশের রাজনীতিতে কর্মসম্পর্কের যে অলংঘনীয় দেয়াল তা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ওবায়দুল কাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব গণতন্ত্র দেশপ্রেমিক শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলার মাটি থেকে চিরতরে বন্ধ করে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

গত কয়েকদিনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সরকারবিরোধী বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশকে ধ্বংস করে গেছে, তাই তারা এখন শুধু ধ্বংসই দেখে এবং এটাই তারা বুঝিয়ে  দিচ্ছে এখনো ধ্বংসই চায় বিএনপি।

বিএনপির জাতীয় সরকারের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের জাতীয় সরকারের নামে গতবার লেজেগোবরে অবস্থা ছিলো, এবারও বিএনপির জাতীয় সরকার কী হবে তা তাদের রাজনীতি থেকেই বোঝা যায়।


আরও খবর



এবার ধানমন্ডির কেয়ারি ক্রিসেন্ট সিলগালা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর সাত মসজিদ রোডের কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। অভিযান চালিয়ে ভবনটি থেকে তিনজনকে পুলিশ হেফাজতেও নেওয়া হয়েছে।

আজ (সোমবার) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি দল ভবনটিতে অভিযান চালানোর পর তা সিলগালা করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

এর আগে, এই ভবনে অভিযান চালানো হবে এমন খবরে নোটিশ টানিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ভবনটির সব রেস্টুরেন্ট।

ভবনের মূল গেটের সামনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় নোটিশ। নোটিশে লেখা ছিল, সকল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং খাবার হোটেল বন্ধ থাকবে। শুধু দ্বিতীয় তলার মার্কেট এবং নিচ তলার দোকানগুলো খোলা থাকবে। আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন>> ধানমন্ডির টুইন পিক টাওয়ারের ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা

পরে সেখানে অভিযান শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। অভিযান শেষ হওয়ার পর ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

অভিযানের সময় ভবনটির দ্বিতীয় তলা থেকে ওপরের দিকের সব রেস্টুরেন্ট তালা লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। কথা বলার জন্য ভবন সংশ্লিষ্টদের ডাকা হলেও তারা কেউ আসেননি। বাধ্য হয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠেন অভিযান সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের জন্য বাঘিনীদের লক্ষ্য ২১৪

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

অস্ট্রেলিয়া নারী দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ নারী দল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা অজিরা নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করেছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

বাংলাদেশ বোলারদের তোপে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা অজিরা শুরুতে ধুঁকতে থাকে। সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তারের তোপে ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। ওপেনার অ্যালিসা হিলি হাল ধরার চেষ্টা করলেও তাকে ২৪ রানে ফেরান মারুফা আক্তার। আর ফাহিমা খাতুনে ২৫ রানে কাঁটা পড়েন বেথ মুনি।

তবে শেষের ব্যাটাররা অস্ট্রেলিয়াকে ধস থেকে বাঁচান। নাহিদা অ্যাশলে গার্ডনারকে বিদায় করলেও এই ব্যাটা ৩৮ বলে ৩২ রান করেন। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করে যান অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৭৬ বলে ৫টি চারে ৫৮ রান করেন।

অষ্টম উইকেট জুটিতে সাদারল্যান্ড অ্যালান কিংয়ের সঙ্গে ৫৬ বলে ৬৭ রানে ঝড়ো পার্টনারশিপ গড়েন। তবে এতে কিং একাই ৪৬ রান তুলেছেন। যেখানে ফাহিমার শেষ ওভারেই ৪টি ছক্কা ও একটি চারে ২৮ রান করেন। এই ওভারেই মূলত দলটি ২০০ রান পেরিয়ে যায়। কিং মাত্র ৩১ বলে ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪৬ রানেই অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।

বাঘিনীদের বোলারদের মধ্যে সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তার ২টি করে উইকেট পান।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৬ সদস্যের দুর্ধর্ষ ‘কিলার গ্রুপ’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয় ১৬ সদস্যের দুর্ধর্ষ কিলার গ্রুপ। যারা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং, অপহরণ, মাদক ও অস্ত্র সরবরাহ করত। একই সঙ্গে অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জামও নানা উপায়ে সংগ্রহ করত। যা দিয়ে নাশকতার পাশাপাশি পুরো ক্যাম্পের অপরাধ কার্যক্রম চালানো হতো।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার করিম উল্লাহসহ ৪ জনকে গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি এলজি, ৭টি ককটেল, ৫ রাউন্ড এ্যামুনিশন এবং ১২ বোর ১ রাউন্ড গুলি।

উখিয়ার ঘোনারপাড়াস্থ ২০ নম্বর বর্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ নম্বর ব্লকে অভিযানে গ্রেফতারের মধ্যে রয়েছে বালুখালীর ২০ নম্বর ক্যাম্পের হোসেন আহমেদের ছেলে বর্তমানে বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার ও অর্থ বিভাগের প্রধান মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহ (৩২), কুতুপালং এর ৭ নম্বর ক্যাম্পের মৃত মো. কায়সারের ছেলে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী মো. আকিজ (২৭), ১৩ নম্বর ক্যাম্পের আবুল হোসেনের ছেলে আরসার অর্থ বিভাগের সহযোগী মোহাম্মদ জুবায়ের (২৯), ২২ নম্বর ক্যাম্পের মৃত হাসমত উল্লাহর ছেলে আরসার গান গ্রুপের সদস্য সাবের হোসেন প্রকাশ মৌলভী সাবের (৩৫)।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন সংবাদ পেয়ে উখিয়ার ২০ নম্বর ক্যাম্পে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় র‌্যাবের অবস্থান টের পেয়ে আরসা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে চাইলে তাদেরকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করা হয়। আর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও ককটেল।

তিনি জানান, গ্রেফতার আরসার এই ৪ সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, অস্ত্র ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে হামলা করাসহ ৮টির অধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা করে ৪ জনকে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহর ব্যাপারে র‌্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেফতার মো. করিম উল্লাহ প্রকাশ মাস্টার কলিম উল্লাহ স্বপরিবারে ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় রাস্তার পাশে বসবাস শুরু করে। পরবর্তীতে স্বপরিবারে ক্যাম্প-১২ তে গিয়ে বসতি নির্মাণ করে অস্থায়ীভাবে বসবাস এবং সেখান থেকে ক্যাম্প-২০ এ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তিনি ক্যাম্প-২০ এ বসবাসের সুবাদে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ক্যাম্প-২০ এর আরসা জিম্মাদার মৌলভী ইয়াসিনের মাধ্যমে আরসায় যোগদান এবং আরসার সাথী সদস্য হিসেবে কাজ করতে থাকে। তিনি ২০২০ সালে পার্শ্ববর্তী দেশে আরসার প্রশিক্ষণ শেষ করে বাংলাদেশে পুনরায় প্রবেশের পর ক্যাম্প-২০ এর এম/৩৩ ব্লকের জিম্মাদার এবং আরসার হয়ে হত্যা ও চাঁদাবাজি সহকারে নানান ধরনের অপকর্মের ফলশ্রুতিতে তাকে ক্যাম্প-২০ এর হেড জিম্মাদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ফলে তিনি ক্যাম্পে আরসার সদস্য বৃদ্ধি সহকারে তার নিজের প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। তার নেতৃত্বে ১৬ সদস্যদের একটি অস্ত্রধারী গান গ্রুপ পরিচালনা করতো। আরসার অস্ত্রধারী গান গ্রুপের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তারকাটার বাইরে বাংলাদেশের পাহাড়ে অবস্থান করে থাকে। রাতের আঁধারে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘঠিত করে আরসা সন্ত্রাসীরা সকাল ৭/৮ টার আগেই ক্যাম্প ত্যাগ করে পুনরায় পাহাড়ে অবস্থান নিতো।

জিজ্ঞাসাবাদে মো. করিম উল্লাহ জানান, আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির নির্দেশে মিয়ানমার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ টেকনাফের খারাংখালী এবং উনচিপ্রাং সীমান্ত হয়ে গ্রেফতার হওয়া মাস্টার কলিম উল্লাহর কাছে আসতো। পরবর্তীতে সকল ক্যাম্পের জন্য বরাদ্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ তিনি নিজেই আরসা ক্যাম্প কমান্ডারদের কাছে হস্তান্তর করতো। অতঃপর ক্যাম্প কমান্ডাররা অস্ত্র-গোলাবারুদ আরসা কিলার গ্রুপের মাঝে সরবরাহ করতো। এছাড়াও মাস্টার কলিম উল্লাহ বিভিন্ন মাধ্যম হয়ে কক্সবাজারের মহেশখালী ও সদরের ভারুয়াখালী এলাকা এবং টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেশীয় অস্ত্র বিক্রেতাদের কাছ থেকে নগদ অর্থের বিনিময়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ ক্রয় করতো।

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, মো. করিম উল্লাহ নানা কৌশল অবলম্বন করে মাইন ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আরসার গোপন আস্তানা ও গহীন পাহাড়ে নিয়ে যেতো। পরবর্তীতে মাইন ও বিস্ফোরক তৈরির পারদর্শী আরসা সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধরনের মাইন, বোমা ও বিস্ফোরক তৈরি করতো। তৈরি করা এ সকল বিস্ফোরক রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন স্থানে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য ব্যবহার করা হতো। মো. করিম উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ৮টি মামলা রয়েছে।

মো. আকিজের ব্যাপারে র‌্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গ্রেফতার মো. আকিজ ২০১৭ সালের প্রথম দিকে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে উনচিপ্রাং সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ এবং ক্যাম্প-৭ এ বসবাস শুরু করেন। তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে ক্যাম্পে বসবাস করতেন। তিনি আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির অন্যতম দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেন। তাছাড়া তিনি আরসার অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আরসা প্রধানের পক্ষ থেকে বিশেষ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করতো। পরবর্তীতে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে চট্টগ্রামে বসবাসকালে তিনি আরসা নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতো এবং চট্টগ্রাম থেকে আরসার জন্য লজিস্টিক সামগ্রী সহকারে বিভিন্ন মালামাল পাঠাতো। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ১টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, মোহাম্মদ জুবায়ের বাংলাদেশে আরসার প্রধান কমান্ডার ও অর্থ শাখার প্রধান মাস্টার কলিম উল্লাহ তার আপন চাচাতো ভাই। সেই সুবাদে মো. করিম উল্লাহর একান্ত সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। এই সময়ে তিনি মাস্টার কলিম উল্লাহর নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড, চাঁদাবাজি, অগ্নি সংযোগ সহকারে বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে সরাসরি অংশগ্রহণ করতেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় ১টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার সাবের হোসেন প্রকাশ মৌলভী ২০১৭ সালে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ক্যাম্প-২২ এ বসবাস করেন। এরপর ক্যাম্পের ইবনে আব্বাস মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। তিনি আরসার নেট গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তিনি আরসার সন্ত্রাসীদের পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করতো এবং আরসার সদস্যদের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আরসার গান গ্রুপের ক্যাম্পে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতো বলেও জানায় র‌্যাব অধিনায়ক।

র‌্যাব জানায়, এখন পর্যন্ত র‌্যাব-১৫ সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সামরিক কমান্ডার, গান গ্রুপ কমান্ডার, অর্থ সম্পাদক, আরসা প্রধান আতাউল্লাহর একান্ত সহকারী ও নানা বিভাগের প্রধানসহ ১০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে ১০টি বিদেশি অস্ত্র, ৫২টি দেশীয় অস্ত্র, ১৪৪ রাউন্ড গুলি/কার্তুজ, ৬৭ রাউন্ড খালি খোসা, ৫০.২১ কেজি বিস্ফোরক, ২৮ টি ককটেল, ৪টি আইইডি, ১.৫ কেজি মার্কারী (পারদ) এবং ৪টি হাত বোমা উদ্ধার করা হয়।


আরও খবর



নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প ব্যবস্থা নেই: কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের পরিবর্তন চাইলে আরেকটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা আরাম আয়েশ করে সময় কাটাচ্ছেন। কর্মীদের আশা দিয়ে মাঠে নামিয়েছিল, সেই কর্মীরা এখন হতাশ। বিএনপিকর্মীরা নেতাদের ডাকে আন্দোলন করবে সেই অবস্থা নেই। এক কথায় বলব, বিএনপি এখন আন্দোলন করার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে।

তিনি বলেন, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই, জনগণের আন্দোলনে নেই, জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল। তার সততা, নেতৃত্ব এদেশের মানুষ মেনে নিয়েছে। ৭৫ এর পর দেশে সৎ, পরিশ্রমী, দক্ষ একজন নেতাও জন্ম হয়নি। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিব্রতকর কোনো বক্তব্য যে-ই দেবেন দায়িত্বশীল যারা, তাদের দায়িত্ব নিয়েই কথা বলা সমীচীন। সরকারের জন্য বিব্রতকর এমন বক্তব্য থেকে আমাদের সব দায়িত্বশীলদের বিরত থাকা উচিত।

এ সময়  উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।


আরও খবর