আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

রাজশাহীতে আজকের দর্পণ পত্রিকার ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর 20২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ সেপ্টেম্বর 20২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজশাহী থেকে ওদুদুজ্জামান:

রাজশাহীতে বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে উৎসবমুখর পরিবেশে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার ব্যুরো প্রধান ও রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ওদুদুজ্জামান সুবাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও  চ্যানেল আই স্টাফ রিপোর্টার আবু সালেহ মোঃ ফাত্তাহ, দৈনিক রাজশাহীর আলো'র প্রকাশক-সম্পাদক আজিবার রহমান, রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের সভাপতি ও এশিয়ান টিভি রাজশাহী প্রতিনিধি আবু কাওসার মাখন, সিনিয়র সহঃ সভাপতি ও আনন্দ টিভি প্রতিনিধি শামসুল ইসলাম, সহ সভাপতি ও দৈনিক বাংলাদেশের আলোর ব্যুরো প্রধান ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক গণকণ্ঠর স্টাফ রিপোর্টার রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বদেশ প্রতিদিনের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান আল আমিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুক্ত খবরের রাজশাহী প্রতিনিধি লিয়াকত হোসেন, গণমুক্তি পত্রিকার রাজশাহী ব্যুরো প্রধান মাজহারুল ইসলাম চপল, দেশ বাংলার রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি রিদয় খান, ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি মোহনপুর প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।


আরও খবর



চূড়ান্ত হলো বিশ্বকাপের বাকি সাত ভেন্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

কিছুদিন আগেই ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি ভেন্যু চূড়ান্ত করেছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এবারে চূড়ান্ত হলো যৌথ আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাত ভেন্যু। সেই সুবাদে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১০ ভেন্যুই চূড়ান্ত হলো।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে চূড়ান্ত হওয়া ভেন্যুগুলো হলো অ্যান্টিগা, বার্বাডোজ, ডমিনিকা, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট ও ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগো। শনিবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।

সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস ভেন্যু চূড়ান্তের ব্যাপারে জানান, আমরা আনন্দের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপের জন্য সাতটি ক্যারিবিয়ান ভেন্যুর নাম ঘোষণা করছি। সবগুলো ভেন্যুই জনপ্রিয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজে এটা তৃতীয় আইসিসি ইভেন্ট, এই বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো সমর্থকদের ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ক্রিকেট উপভোগের অন্য রকম অভিজ্ঞতা দেবে।

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশ্বকাপের সুপার এইট ও ফাইনাল আয়োজনে এগিয়ে আছে বার্বাডোজ এবং ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগো। ফাইনাল হতে পারে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে কিংবা বার্বাডোজের কেনিংটন ওভালে।

এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপ ও ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারে তারা ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চলেছে। ইতোমধ্যেই ১৫টি দল চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।

দুই আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও গেল আসরের সেরা আট দল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকার সুবাদে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানও সরাসরি খেলবে আসন্ন আসরে।

এছাড়া ইউরোপীয় বাছাইয়ের সেরা স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড এবং পূর্ব এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের বাছাইয়ের বিজয়ী পাপুয়া নিউগিনি যুক্ত হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।


আরও খবর



এশিয়া কাপ

শ্রীলংকার বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ক্যান্ডি-লাহোর হয়ে এবার কলম্বো। সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে এ ম্যাচে টাইগারদের জয়ের বিকল্প নেই বললেই চলে। আজ (শনিবার) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় খেলা শুরু হবে।

বাংলাদেশের একাদশে আজ এক পরিবর্তন রয়েছে। মিডল অর্ডার ব্যাটার আফিফ হোসেনের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন স্পিনার নাসুম আহমেদ।

বাংলাদেশ একাদশ

নাঈম শেখ, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারী, মুশফিকুর রহিম, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।


আরও খবর



‘পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল দক্ষিণের মানুষের জন্য যুগান্তকারী পরিবর্তন’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পদ্মা সেতুতে রেল যোগাযোগ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনে যুগান্তকারী পরিবর্তন বয়ে আনবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা সেতুতে চলাচলকারী পরীক্ষামূলক ট্রেনে ওঠার আগে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

রেলমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-ভাঙ্গা রেল যোগাযোগ উদ্বোধনের পর যোগাযোগব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে। এর সুফল সারাদেশের মানুষ পাবে। এর আগে আজ সকাল ১০টা ৭ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পরীক্ষামূলক ট্রেনযাত্রার উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। 

আরও পড়ুন>> কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গায় ছুটলো ট্রেন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।

জানা গেছে, পদ্মা সেতু হয়ে আগামী অক্টোবরেই ঢাকা থেকে ট্রেন যাবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত। আগামী ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্পের ট্রেন চলাচল। উদ্বোধনের দিন সুধীসমাবেশও হওয়ার কথা রয়েছে।


আরও খবর



গ্রিন-ক্লিন-সেভ বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে খুবিতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রায় ছয় হাজার মানুষের এ ক্যাম্পাসে কোথাও দুর্গন্ধ নেই, নেই কোথাও ময়লার স্তূপ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যেকোনো মানুষকেই মুগ্ধ করে। তেমনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে এখন চোখে পড়বে পরিচ্ছন্ন, ময়লা-আবর্জনাবিহীন ক্যাম্পাস।

গ্রিন-ক্লিন-সেভ বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণের অংশ হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ করা হয়েছে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অর্থায়নে গত বছরের ২৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের তেত্রিশতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

প্ল্যান্টে নিয়ে যাওয়া বর্জ্যকে তিন স্তরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয়। অজৈব ও দাহ্য বর্জ্যগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন ধোঁয়া ৪০ ফুট উঁচু চিমনি বেয়ে ওপরে চলে যায়। ফলে পরিবেশের ক্ষতি হয় না। অজৈব ও অদাহ্য বর্জগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আর জৈব বর্জ্যগুলো দিয়ে প্ল্যান্টের এক পাশে উন্নত মানের সার উৎপন্ন করা হয়। মাটিতে জৈব সারের পরিমান পাঁচ শতাংশ থাকা আদর্শ, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই কম যার পরিমাণ এক শতাংশ থেকে দুই শতাংশ। পচনশীল বর্জ্য দিয়ে জৈব সার তৈরি করা হয়। আর অপচনশীল দ্রব্যের মধ্য থেকে প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য আলাদা করে বাইরে বিক্রি করা হয়।

প্রতিদিন দক্ষ প্ল্যান্ট কর্মীরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সঠিক নির্দেশনা মোতাবেক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি হল ও ক্যাম্পাসজুড়ে প্রায় শতাধিক (শুকনা ময়লা ব্যবহারিত) হলুদ, ও (ভিজা ময়লা ব্যবহারিত) সবুজ ডাস্টবিন নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ বার এ বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে দৈনিক প্রায় ২৫০ কেজি পচনশীল ও ২০০ কেজি অপচনশীল বর্জ্য পাওয়া যায়। যে ময়লা-আবর্জনা নিচে বা ক্যাম্পাসের আশেপাশে পড়ে থাকে, প্ল্যান্টের কর্মীরা সেগুলো সংগ্রহ করেন এবং প্ল্যান্টে নিয়ে যান।

সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্টের তত্ত্বাবধায়ক মো. আজমুল হুদা আজাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য সংগ্রহ করে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করা হয়। পরে পচনশীল বর্জ্য দিয়ে জৈব সার তৈরি করা হয়। আর অপচনশীল দ্রব্যের মধ্য থেকে প্লাস্টিক-জাতীয় দ্রব্য আলাদা করে বাইরে বিক্রি করা হয়। আর অন্য দ্রব্য চুল্লিতে পোড়ানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্ল্যান্টটি যেমন পরিবেশের ওপর ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে, ঠিক তেমনি প্ল্যান্ট থেকে বৃহৎ পরিসরে সার উৎপাদন করা গেলে আগামীতে কৃষি খাতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

গবেষকরা বলছেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এভাবে নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট তৈরি করতে পারলে খুলনা নগরে ৪০ শতাংশ বর্জ্য কমে আসবে। যা পরিবেশের জন্য খুবই ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



শিগগিরই উদ্বোধন রেলের চার প্রকল্পের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী দুই মাসের মধ্যে চারটি প্রকল্প উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পদ্মা রেল সংযোগ, আখাউড়া-আগরতলা, কক্সবাজার-দোহাজারী ও খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্প উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবর বা কাছাকাছি সময়ে পদ্মা সেতু দিয়ে চলবে ট্রেন। এ জন্য ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের রেললাইনে (ট্রায়াল রান) পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর।

রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এখনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। তবে আশা করছি, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মধ্যে হয়ে যেতে পারে।

জানা গেছে, পদ্মা রেল সংযোগ উদ্বোধনের ফলে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা রেললাইন চালু হবে। এ জন্য প্রথমে ঢাকা, মাওয়া, পদ্মা, শিবচর এবং ভাঙ্গা রেলস্টেশন খুলে দেওয়া হতে পারে। উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর থেকে শুরুতে এক জোড়া ট্রেন চালানোর কথা রয়েছে। এক মাস পর ট্রেন এবং স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া তিন মাসের মধ্যে সব স্টেশনের কাজ এবং সিগন্যালিংয়ের কাজও শেষ হয়ে যাবে। তখন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। অর্থাৎ ঢাকা থেকে ভাঙ্গা রেললাইন উদ্বোধন হলেও পুরোপুরি অপারেশনে যেতে তিন মাস সময় লাগবে। 

আরও পড়ুন>> দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড় হতে পারে

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন বসানো এবং স্টেশন ও অন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের জুনে আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে। জিটুজি পদ্ধতিতে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি)। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট (সিএসসি), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পদ্মা সেতু রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন হতে পারে। এই রেলপথটিকে দুটি ভাগে ভাগ করে কাজ করছে ঠিকাদার। দোহাজারী থেকে চকরিয়া অংশের কাজ করছে সিআরইসি এবং তমা কনস্ট্রাকশন। আর চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অংশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসিইসিসি এবং ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল প্রকল্পটি ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত হয়। ২০১০ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে। এ রেলপথটি চালু হলে ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাওয়া সম্ভব হবে।

চলতি মাসে খুলনা-মোংলা রেললাইনের উদ্বোধন হতে পারে। প্রকল্পটি ২০১০ সালে একনেক সভায় অনুমোদন হয়েছিল। সে সময় প্রাথমিকভাবে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজের অগ্রগতি না হওয়াই পঞ্চম ধাপে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে। সর্বশেষ মেয়াদ বেড়ে খুলনা-মোংলা রেললাইনের কাজ শেষ করার মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। তবে নির্মাণকাজ শেষ করার মেয়াদ হলো চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বাকি এক বছর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের ডিফেক্ট লাইবেলিটি পিরিয়ড হিসেবে ধরা আছে। 

আরও পড়ুন>> চাঁদের বুকে ঘুমিয়ে পড়েছে ‘বিক্রম’, আর জাগবে কি

চলতি মাসে চালু হতে যাচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন। তবে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সময়ের অপেক্ষায় আছে রেলপথ কর্তৃপক্ষ। আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছিল একনেক। এরপর প্রকল্প সংশোধনে সময় বাড়ে ২০২২ সালের জুন নাগাদ। চতুর্থবারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। মোট প্রকল্প ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।


আরও খবর