আজঃ বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রাজশাহীতে আরও ৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়ে চারজন ও উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া তিনজন রাজশাহীর ও পাঁচজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মৃতদের মধ্যে তিনজন করোনা পজিটিভ, রাজশাহীর মৃত তিনজনের মধ্যে দুজনের করোনা পজিটিভ ছিল।

শনিবার (৫ জুন) সকাল পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২২৪ জন রোগী। এদের মধ্যে ১১১ জন পজিটিভ এবং বাকিরা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

গেল ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে রাজশাহীর দশজন, চাঁপাই এর পাঁচজন ও নওগাঁর একজন। বর্তমানে আইসিইউতে আছে ১৬ জন রোগী।

হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৮ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। 

তবে হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে শয্যা সংকটের কারণে হাসপাতালে অনেক রোগীকে ট্রলির ওপরে শুয়ে দেখা গেছে। শয্যা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদের। এতে রোগীর স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বাড়ছে।

আর হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলছেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া জরুরি ছাড়া অন্য রোগী ভর্তি না হলেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




চেক ডিজঅনার কেন হয়, টাকা পেতে যা করবেন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ব্যবসায়িক লেনদেন ছাড়াও নানা সময়ে চেকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। সেই চেক ব্যাংকে জমা দিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা যায়। আবার কেউ চাইলে চেকের বিপরীতে নগদ টাকাও ব্যাংক থেকে নিতে পারেন। চেক ইস্যুর তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ব্যাংকে জমা দিয়ে এই টাকা উত্তোলন করতে পারেন গ্রহীতা।

তবে অনেক সময় চেকের বিপরীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। মূলত চেকে নামের মিল না থাকা, অ্যাকাউন্টধারীর অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, চেকে অ্যাকাউন্টধারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা কিংবা চেকে টাকার পরিমাণ অঙ্কে ও কথায় মিল না থাকার মতো কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এটিকেই চেক ডিজঅনার বলা হয়ে থাকে।

অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে যদি চেক ডিজঅনার হয়, সেক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ দেন। আর চেক ডিজঅনার হলে ১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা অনুযায়ী মামলা করতে হয়। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত টাকার ৩ গুণ অর্থ জরিমানা হতে পারে।

চেক ডিজঅনার হলে মামলার বিষয়ে ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান জানান, আইনে তিন গুণ জরিমানার কথা থাকলেও বাস্তবে সাধারণত আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা করেন না। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই দোষীকে জরিমানা করেন আদালত। আবার বিবাদী যদি স্বেচ্ছায় জরিমানার টাকা না দেয় তবে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে টাকা আদায় করা যেতে পারে।

চেক ডিজঅনার হলে মামলার ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে প্রথমেই স্লিপ নিতে হবে। এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে হবে। বিবাদী ওই নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।

এক্ষেত্রে মামলার সময় বাদীকে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি করে জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে মামলার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি মামলার আবেদনের সঙ্গে প্রসেস ফি জমা দিতে হবে।

চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা

মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রহীতাকে উল্লেখিত টাকা দিতে চান, সেক্ষেত্রে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ দেবেন।

চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর ও ৬ মাসের আগে গ্রহীতাকে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ করতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার সঙ্গে সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ অর্থ গ্রহীতাকে দিতে হবে।

মামলা হওয়ার ৬ মাস পর ও এক বছরের আগে যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রহীতাকে টাকা দিতে চান, সেক্ষেত্রে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।

চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার এক বছর পর ও দুই বছরের আগে উল্লেখিত অর্থ গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকা ও এর তিন গুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি টাকা না দেন, তবে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা ছাড়াও প্রয়োজন মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন।


আরও খবর



একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রায় ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।

তিনি জানান, নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর একনেকের দ্বিতীয় সভা এটি। সভায় ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি অল্প ব্যয় করলে যে প্রকল্পগুলো শেষ করা যাবে সেগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখাতে ও সোলার ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।


আরও খবর



বুধবার থেকে ঈদযাত্রায় ট্রেনে ভ্রমণ শুরু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সপ্তাহব্যাপী অনলাইন যুদ্ধে যারা ট্রেনের টিকিট কাটতে পেরেছেন-তারা কাল বুধবার থেকে যাত্রা শুরু করবেন। অর্থাৎ ২৪ মার্চ যে সব যাত্রী ৩ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তারা গ্রামে পাড়ি জমাবেন। ওই দিন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোরেই ট্রেন ছাড়া শুরু করবে। ৩ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীরা ট্রেনে চড়বেন। আবার ৩ এপ্রিল থেকে ঈদ ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবে রেল। ৩ থেকে ১০ এপ্রিল অনলাইনে ফিরতি টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, এবারই প্রথম টিকিট কালোবাজারিবিহীন ঈদযাত্রা শুরু হচ্ছে। এবার টিকিট কালোবাজারির কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

তবে, ট্রেনের টিকিট সব সময়ই যেন সোনার হরিণ। এক সময় টিকিট কাউন্টার ঘিরে দুই-তিন রাত অপেক্ষা করে টিকিট সংগ্রহ করেছেন সাধারণ যাত্রীরা। গত দুই বছর ধরে এমনটা আর দেখা যায়নি। এখন শতভাগ টিকিট অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। তবে নির্ধারিত টিকিটের বিপরীতে লাখ লাখ মানুষ টিকিট কাটতে অনলাইনে ভিড় করেন। শতকরা ১ কিংবা ২ ভাগ মানুষ টিকিট কাটতে পারছেন। অর্থাৎ যাত্রীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী টিকিট নেই। ঈদ উপলক্ষ্যে ১২৫টি আন্তঃনগর ট্রেনে লক্ষাধিক টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। যার মধ্যে রাজধানী থেকে ৩৩ হাজার ৫০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে প্রতিদিন।

অগ্রিম টিকিট কাটতে পারা রাজশাহীগামী যাত্রী বিল্লাল হোসেন বলেন, ট্রেনের টিকিট নিশ্চয় সোনার হরিণ। আগে স্টেশনে রাতের পর রাত অপেক্ষা করে টিকিট কেটেছেন। এবার টানা ৫ দিন অনলাইনে থেকে ৪টি টিকিট কাটতে পেরেছেন। পরিবারের ৫ জন সদস্য অনলাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করে সফল হয়েছেন। বললেন, চাহিদা অনুযায়ী টিকিট নামে মাত্র রয়েছে। যার ভাগ্য ভালো-সে-ই কেবল টিকিট কাটতে পারছে। নিরাশ হয়েছেন প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ। বললেন, ৮ এপ্রিল পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রামে যাবেন। স্ত্রী এবং মা অসুস্থ, এ জন্য ট্রেন সবচেয়ে নিরাপদ। শিডিউল অনুযায়ী ঈদযাত্রায় ট্রেনগুলো চলবে-এমনটা প্রত্যাশা করেছেন তিনি।

ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, আমরা অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ করেছি। ৩ এপ্রিল থেকে যাত্রীরা যাত্রা শুরু করবে। যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গন্তব্যে পৌঁছাতে আমরা কাজ করছি। আমাদের এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন চালানো। বিনা টিকিটের যাত্রী রোধও একটি চ্যালেঞ্জ। স্টেশন চত্বরে ইতোমধ্যে আমরা তিন স্তরের অস্থায়ী বাঁশের বেড়া দিয়েছি। যাতে টিকিটধারী যাত্রীরা সহজে স্টেশনে প্রবেশ করতে পারেন।

রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১৬ জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনসহ শতাধিক অতিরিক্ত কোচ প্রস্তুত রয়েছে। চলমান ট্রেনের সঙ্গে ঈদযাত্রায় ঈদ স্পেশাল ট্রেন ও কোচ চালানো হবে। টিকিট ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণ না করতে অনুরোধ জানিয়ে রেলের ডিজি বলেন, বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ দণ্ডনীয় অপরাধ। স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অবস্থান করবেন। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণে শুধু যাত্রার দিন নির্ধারিত ট্রেনে ২৫ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট বিক্রি হবে। আসনবিহীন টিকিট কাটা যাত্রীরা এসি চেয়ার এবং কেবিন কোচে কোনো অবস্থাতেই চড়তে পারবে না।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় শিডিউল ঠিক রেখে ট্রেন চালাতে আপ্রাণ চেষ্টা করব।

পূর্বাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক নাজমুল হোসেন বলেন, ঈদযাত্রায় যাতে কোনো শিডিউল বিপর্যয় না হয়-সে জন্য তার অঞ্চলের ইঞ্জিন ও কোচ প্রতিনিয়ত পরীক্ষায় রাখা হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলে ১০টি ইঞ্জিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঈদ যাত্রায় চট্টগ্রাম থেকেও প্রচুর যাত্রী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদ করতে ঘরে ফেরেন।


আরও খবর



টাঙ্গাইলের এমপির ভাইয়ের বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ধরে গত দুই মাস আগে টাঙ্গাইলের সংসদ সদস্য তানভির হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের সাথে পরিচয় হয় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর। গত বৃহস্পতিবার তাদের প্রথম দেখা হয় উত্তরায়। এর একদিন পর শুক্রবার রাতে আবারো সেখানকার একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করার কথা বলে তরুণীকে ডেকে নেন বড় মনির। এরপর তুরাগ থানর প্রিয়াঙ্কা সিটিতে একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যান মেয়েটিকে।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, এই বাসাটিতেই অস্ত্রের মুখে তাকে ধর্ষণ করে বড় মনির। পরে তাকে ফেলে চলে যায় বড় মনির। এরপর ভুক্তভোগী ট্রিপল নাইনে কল করলে, তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটটিতে পরিবারসহ বড় মনিরের বেশ কিছু ছবিও পাওয়া যায়। পাসওয়ার্ড না থাকায় ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজ তাৎক্ষনিক দেখতে পারেনি পুলিশ। তবে জব্দ করা হয় ডিবিআর মেশিন।

পুলিশ বলছে, আসামী যেই হোক তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তুরাগ থানার ওসি আবু সাঈদ মিয়া বলেন, অপরাধ যে করবে তাকে সাজা পেতেই হবে। আমরা আইনগত ভাবেই এগিয়ে যাবো। এখানে বাঁধার কিছু নেই।

এর আগেও ২০২২ সালে ধর্ষণ মামলার আসামী ছিলেন টাঙ্গাইলের এই বড় মনি।
নিউজ ট্যাগ: বড় মনির

আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বিআরটি প্রকল্পের ৭ ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হলো

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) অংশের সাতটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।

আজ রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে ফ্লাইওভারগুলোর উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ফ্লাইওভারগুলোর মধ্যে আছে- এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (বাম পার্শ্ব), এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার (ডান পার্শ্ব), জসীমউদ্দিন ফ্লাইওভার, ইউ-টার্ন-১ গাজীপুর ফ্লাইওভার, ইউ-টার্ন-২ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লাইওভার, ভোগড়া ফ্লাইওভার ও চৌরাস্তা ফ্লাইওভার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‌এই সাতটি ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে। ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের জন্য এই সাতটি ফ্লাইওভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার।

তিনি বলেন, নানা ঝামেলায় এই প্রজেক্টের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন এটি শেষের পর্যায়ে। আশা করি, এ বছরেই এটি পুরোপুরি খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। এ সময় এই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হতে জুন পর্যন্ত সময় লাগবে বলেও জানান মন্ত্রী।

প্রকল্পের ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (আরএইচডি) কাজ ১৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে সাতটি ফ্লাইওভার রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় রয়েছে ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ।

সেতু কর্তৃপক্ষ উত্তরা হাউজ বিল্ডিং হতে টঙ্গী চেরাগ আলী মার্কেট পর্যন্ত এলাকার সড়কের কাজ করছে। বাকিটা হচ্ছে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে। এ ছাড়া সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক, ২৫টি বিআরটি স্টেশন, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ি এলাকায় দুটি বাস টার্মিনাল থাকছে প্রকল্পে।

বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য থাকছে ৩০টি আন্ডারপাস, নতুন সড়কের দুপাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন ও ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাতও থাকছে এ প্রকল্পের অধীনে।

২০১১ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রকল্পের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে। ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর একনেক বিআরটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এরপর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।

প্রকল্পের সবশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। শুরুতে প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ছিল চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত। কিন্তু পরে সময় বৃদ্ধি করে প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হলেও পথ ছোট করে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে কেরানীগঞ্জের পরিবর্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত করা হয়।


আরও খবর