আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রাজশাহীতে বাস ধর্মঘট, সব রুটের যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজশাহীর থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আকস্মিক এ বাস ধর্মঘটে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।

আগামীকাল মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ। তাই রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

তবে রাজশাহীর পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের দাবি, বাস চলাচল করলে হামলার সম্ভাবনা আছে। তাই শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তারা বাস চলাচল আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন। পরিস্থিতি বুঝে পরে তারা আবারও বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেবেন।

এবিষয়ে রাজশাহী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, যেহেতু আগামীকাল রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। এর কারণে তারা বিশৃঙ্খলা ও যানবাহনে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছেন। এ কারণে তারা সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন।

যদিও রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন দাবি করে বলেন, বগুড়ায় তাদের এক শ্রমিককে মারধর করা হয়েছে। মারধরকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

এদিকে রাজশাহী থেকে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। তারা অনেকেই কাউন্টারে এসে ফিরে যাচ্ছেন। এছাড়া বিকল্প পথে হিসেবে অন্য যানবাহনে নিজ নিজ গন্তব্যে রওয়ানা দিচ্ছেন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।


আরও খবর



কর্মী হিসেবে অফিসে আপনার আচরণ কেমন হওয়া উচিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

জীবনের তাগিদে অনেকেরই চাকরি করতে হয়। এ কারণে অফিস বা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। কর্মক্ষেত্রে থাকা সব মানুষগুলো এক ধরনের হয় না। এরপরও সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। কাজের ক্ষেত্রে মতামতে অমিল, দক্ষতায় সাম না হওয়া এবং কারও বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য অনেক সময় বিভেদের সৃষ্টি হয়। এই বিভেদ অনেকে প্রকাশ করেন, আবার কেউ কেউ প্রকাশ করেন না। কিন্তু বিভেদ প্রকাশ হোক বা হোক, মনে বিভেদ থাকলে এ থেকে কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়। ফলে এক বা দুজনের কারণে পুরো টিমে এর প্রভাব পড়ে। এমনকী ব্যক্তিজীবনেও এর প্রভাব পড়ে।

কর্মক্ষেত্রে সবসময় টিম বা অফিসের ইতিবাচক হয়, এমন চিন্তাভাবনা এবং এ উদ্দেশ্যে সবার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যেকোনো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে অগ্রসর হতে হবে। কারও সঙ্গে মতামতের মিল না হলে ভেবে দেখতে হবে, দুজনের মধ্যে কার সিদ্ধান্ত অফিসের জন্য সেরা সুফল বয়ে আনবে। কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের কেমন আচরণ ও ব্যবহার হওয়া উচিতএ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্যারিয়ারবিষয়ক পরামর্শ প্রকাশ করা ওয়েবসাইট কেটি রবার্টস।

সততা: ব্যক্তিগত কিংবা অফিশিয়াল জীবনে সততা সবার ঊর্ধ্বে। কর্মক্ষেত্রে সবসময় খোলামেলাভাবে কাজ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে গোপনীয়, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বা ক্লায়েন্টের তথ্য অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। কেউ অসৎ আচরণ বা অন্যায় করলে সেটি সহ্য বা সমর্থন করা যাবে না। এমনটা হলে নিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে হবে।

পরস্পর সম্মান: সবসময় অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রাখতে হবে, এমনকি চাপের সময়ও। নিজে কোনো কারণে কোনো কাজের জন্য চাপে বা জটিলতায় থাকা স্বাভাবিক, তাই বলে সহকর্মীদের কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, আঘাত বা অসম্মান করবেন না। হোক সে আপনার সিনিয়র বা জুনিয়র। সবসময় মৌখিক এবং লিখিতভাবে উপযুক্ত ভাষা ব্যবহার করবেন। নিজের ভুল হলে বা কখনো ভুল বোঝাবুঝি হলে ক্ষমাপ্রার্থী হতে হবে এবং অন্যের ব্যক্তিগত মতামতকেও সম্মান করতে হবে।

মিটিং: কর্মক্ষেত্রে অফিসের উন্নয়ন বা নতুন কোনো পদক্ষেপের জন্য মিটিং, আলোচনা সভার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে আগে থেকেই সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এসব মিটিংয়ে সর্বদা সময়মত পৌঁছান। মিটিংয়ে আপনার কী করতে হবে, তা আগে জেনে-বুঝে নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে রাখুন। মিটিংয়ে থাকা সবার কথাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে শুনুন এবং নিজের কোনো মতামত থাকলে তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন।

যোগাযোগ: সহকর্মীদের সঙ্গে সর্বদা স্পষ্টভাবে কথা বলুন এবং কিছুটা সময় লাগলেও এমন ভাষায় উপস্থাপন করুন, যাতে সবাই তা বুঝতে পারে। সবার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন। সহকর্মীদের সঙ্গে অফিশিয়াল ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়। অফিসের বাইরে সহকর্মীদের সঙ্গে অফিস সংক্রান্ত গসিপে জড়ানোও ঠিক নয়। সরাসরি বা মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সর্বোচ্চ শালীনতা বজায় রাখতে হবে এবং লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষা নির্বাচনে সতর্ক থাকুন।

টাইম ম্যানেজমেন্ট: অফিসে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আপনাকে দেয়া কাজটি যথাসময়ে করার চেষ্টা করুন। কখনো বিলম্ব করা ঠিক নয়। প্রয়োজনে কয়েক মিনিট আগে অফিসে পৌঁছান। কোনো কারণ দু-একদিন অফিসে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে, তবে সেটি যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়ে যায়। অফিসে গিয়ে কফি পান ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সব গুছিয়ে ঠিক সময়ে অফিসের কাজ শুরু করুন। কাজের মাঝে চা বিরতি ও দুপুরের খাবার এবং বিরতির সময়সূচি মেনে চলুন। কাজ শেষ হলে যথা সময়ে চলে যান।

অফিসের লক্ষ্য: প্রতিটি অফিসেরই নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য থাকে। সেসব বাস্তবায়নে একেকজন কর্মীর ওপর একেক ধরনের দায়িত্ব দেয়া থাকে। আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আপনি নিজে গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করুন।

দায়িত্ববান হওয়া: নিজের কাজের জন্য নিজেকেই দায়িত্ব নিতে হবে। যেটি প্রয়োজন সেটি করুন এবং নিজের কাজ অন্যের জন্য রেখে দেবেন না। কোনো কারণে নিজের কিছু ভুল হলে বা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারলে, এটি বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করার অভ্যাস করুন। এ নিয়ে অন্য সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান তৈরি করুন। এতে পরবর্তীতে কাজটি শেষ করা আপনার জন্য সহজ হবে।

টিমওয়ার্ক: কর্মক্ষেত্রে সবাইকে নির্দিষ্ট টিমের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এতে প্রায়ই এমন কিছু পরিস্থিতি হয়, যে কাজগুলো আপনার পছন্দের নয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বাদ রেখে সবার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দলগতভাবে কাজ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: কর্মক্ষেত্র

আরও খবর



ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৩

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ২ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন। এরপর ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরে অ্যাবলুম ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহতের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বেজিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তারা মোল্লার ছেলে রফিক মোল্লা (৩৫), তার স্ত্রী সুমী বেগম (২৩), দুই ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও হাবিব মোল্লা (৩) এবং শেখর ইউনিয়নের বাসিন্দা মর্জিনা বেগম। বাকিদের নাম এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। সকাল ৮টার দিকে কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। ওই পিকআপ ভ্যানটি ভাড়া করে কয়েকজন ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এতে পিকআপ ভ্যানে থাকা ১১ জন যাত্রী ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়। আরও পাঁচজন আহত রয়েছেন।

জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের তিন লাখ টাকা দেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: ফরিদপুর

আরও খবর



ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

সিয়াম সাধনার মাস রমজান ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছে। ঘনিয়ে আসছে খুশির ঈদ। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে এরই মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

দিন যত এগিয়ে আসছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও তত বাড়ছে। এতে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো। ক্যাম্পাসের চিরচেনা কোলাহলেও পড়তে শুরু করেছে ভাটা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের এক সপ্তাহ বাকি থাকতে এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। ক্যাম্পাসে এখন প্রতিদিনই শিক্ষার্থী কমছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও জিয়া হলসহ ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোর সামনে দাঁড়ালেই এখন ব্যাগ-বস্তা ও বিভিন্ন মালপত্র চোখে পড়ছে। বিশেষত সকাল ও সন্ধ্যা সময় এ দৃশ্যটা বেশি দেখা যাচ্ছে। হলগুলো থেকে বের হওয়া শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে দেখা যাচ্ছে গ্রামে ফেরার আনন্দের ঝিলিক। দীর্ঘদিন পর পরিবারের সঙ্গে দেখা হওয়ার উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ছে তাদের কথাবার্তায়ও।

বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সিয়াম কবির বের হয়েছেন ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে। পিঠে ও হাতে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন হলের গেটে রিকশার অপেক্ষায়। কথা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ক্লাস ও পরীক্ষার কারণে দীর্ঘদিন বাড়ি যাওয়া হয় না। অনেকদিন পর গ্রামে যাচ্ছি। স্বাভাবিকভাবেই খুব ভালো লাগছে। রমজানের শেষ কয়েকটা দিন আব্বা-আম্মার সঙ্গে ইফতার ও সেহরি করবো, এটা ভেবে খুব আনন্দ লাগছে।

শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থী জান্নাতুল সুলতানা বলেন, বাড়িতে সবাই অনেক অপেক্ষা করে আছে। শেষ সময়ে এখন যেন আর তর সইছে না। কতক্ষণে বাড়ি পৌঁছাবো, নিজের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করছে। পড়াশোনার কারণে পরিবার ছেড়ে দিনের পর দিন বাইরে থাকতে হয়। মাঝেমাঝে বাবা-মাকে খুব বেশি মিস করি। একে তো বাড়ি যাচ্ছি, তার ওপর ঈদ- সব আনন্দ যেন মিলেমিশে একাকার। খুব ভালো লাগছে।

তবে শিক্ষার্থীদের এই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাওয়ার আনন্দঘন দৃশ্যের বিপরীতে কিছু বেদনাঘন চিত্রও রয়েছে। কারণ, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার আগেই পরীক্ষা থাকায় অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি যাচ্ছেন না। কারও কারও বিসিএস লিখিত পরীক্ষা রয়েছে। তারাও যাচ্ছেন না। যদিও আবাসিক হলগুলোতে এ ধরনের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা এখন খুবই নয়।


আরও খবর



দুই মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকেই দেখা দিয়েছে গাড়ির দীর্ঘ সারি। এতে ঈদে ঘরমুখো হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিন দুপুরে ছুটি পেয়ে গাজীপুর থেকে লাখ লাখ গার্মেন্টস শ্রমিক ঈদযাত্রায় শামিল হয়েছেন। এত এত যাত্রীর তুলনায় পরিবহনের সংখ্যা খুবই কম। পরিবহন সংকটে পড়ে বাস, ট্রাক, পিকআপ ও ড্রাম্প ট্রাকে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেকে।

গাজীপুর ছাড়াও গাবতলী, আশুলিয়া, বাইপাল, সাভার ও নবীনগর এলাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো চন্দ্রা এলাকা পার হয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ পরিস্থিতি বাড়তে থাকলে ভুগতে হবে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষদের।

অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে স্বল্প দূরত্বের চলাচলকারী বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও পিকআপ। এসব পরিবহনগুলো দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে ইচ্ছে মতো ভাড়া হাঁকিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আজ দুপুর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

তিনি বলেন, যাত্রী উঠানামা করাতে গাড়িগুলো দাঁড়াচ্ছে, এতে সামান্য সময়ের জন্য যানজটের তৈরি হচ্ছে। গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পর মুহূর্তেই আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। মহাসড়কের মোড়ে মোড়ে যানজট কমাতে পুলিশ কাজ করছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখন পর্যন্ত এই পথে গাজীপুর অংশে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে চীনা নাগরিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় পাওয়ার প্ল্যান্টের ভবন থেকে নিচে পড়ে ঝাং জি বিন (৫৫) নামের এক চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি কোম্পানির ইলেক্টিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফতুল্লার পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

টিবিইএ কোম্পানি লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির দোভাষী মো. সেলিম জানান, তারা পঞ্চবটি বিসিক এলাকায় একটি পাঁচ তলা ভবনে বিদ্যুৎ পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির কাজ করেন। সেখানকার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ওই চীনা নাগরিক। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ওখানে কাজ করছেন। আজ সকালে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ফ্লোরে বিদ্যুতের তার সঞ্চালনার ফাঁকা জায়গায় একটি কাঠ পেতে তার ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন ওই চীনা নাগরিক। হঠাৎ সেই কাঠটি ভেঙে ফাঁকা জায়গা দিয়ে বেসমেন্ট পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি।

পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে এক চীনা নাগরিককে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।


আরও খবর