রাজশাহীতে দ্বিতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এ সময় আজও শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) কোনো রুটে বাস ছেড়ে যায়নি। একই সঙ্গে বাইরের কোনো বাসও রাজশাহীতে প্রবেশ করেনি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
এর আগে, গত শনিবার নাটোরে বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভায় ১০ দফা দাবি আদায়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।
১০ দফা দাবিগুলো হলো, জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাস করতে হবে, করোনাকালে গাড়ি চলাচল না করায় সে সময়ে ট্যাক্স মওকুফ করতে হবে, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করতে হবে, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়ক বা আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইত্যাদি) চলাচল বন্ধ করতে হবে, সব ধরনের সরকারি পাওনাদির (ট্যাক্স-টোকেন, ফিটনেস) অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স-সংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতা নিরসন করতে হবে, পরিবহনের যাবতীয় কাগজ হালনাগাদ বা সঠিক থাকার পরও নানাবিধ পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে, উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসি চলাচল দ্রুত বন্ধ করতে হবে, যাত্রী ওঠানামার জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রত্যেক জেলায় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ও ট্রাক ওভারলোড বন্ধ করতে হবে, মহাসড়কে হাটবাজার আয়োজন বা পরিচালনা করা যাবে না এবং চলমান হাটবাজার অতি দ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে রাজশাহী মহানগরী থেকে বিভাগের সব জেলায় যাত্রীবাহী ও পণ্য পরিবহনের সব বাস-ট্রাক চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। সকাল থেকে জেলা কিংবা দূরপাল্লার বাসগুলো ছেড়ে যায়নি। এ কারণে জেলা ও দূরে যাওয়া সাধারণ যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।
রাজশাহী পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক জানান, মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটির মতো অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ হয়নি। এ কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এ ধর্মঘটের আওতায় থাকবে সব যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন।