আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

রাজশাহীতে ধসে পড়ল চারতলা ভবন

প্রকাশিত:রবিবার ২০ জুন ২০21 | হালনাগাদ:রবিবার ২০ জুন ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
ভবনটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ ফুট। প্রস্থেও ছিল ৪০ ফুট। চারতলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল। ওপরে আরেকতলা তোলার জন্য বিম ওঠানো হয়েছিল। ধারনা করা হচ্ছে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছি। এ কারণে ভবনটি ভেঙে মাটির সাথে মিশে পড়েছে।

রাজশাহী মহানগরীতে আকস্মিক ভেঙে পড়েছে একটি চারতলা ভবন। ভবনটিতে কেউ না থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে মাটিতে ধসে পড়া ভবনের চাপে কয়েকটি প্রাইভেট কার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রবিবার (২০ জুন) বিকেল ৩টার দিকে মহানগরীর কয়েরদাঁড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ভবনটির মালিক ছিলেন মরহুম আক্তারুজ্জামান বাবলু। প্রায় এক বছর আগে তিনি মারা যান। এখন ভবনের মালিকানায় আছেন তার ছোট ভাই নুরুজ্জামান পিটার। তবে আক্তারুজ্জামান বাবলুর মৃত্যুর পর থেকে ভবনটিতে আর কাজ হয়নি।

এদিকে ধসে পড়া ভবন মালিকের ব্যবস্থাপক তোফাজ্জল হোসেন মডি দাবি করেন, ভবনটিতে ভালমানের সামগ্রীই ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ভবন আগেই নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু কেউ থাকত না। তবে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) থেকে ওই ভবনটির নির্মাণের জন্য ডিজাইন ও নঁকশার অনুমোদন নেয়া হয়েছিল কিনা তা তিনি জানেন না।

রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানান, ভবনটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ ফুট। প্রস্থেও ছিল ৪০ ফুট। চারতলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছিল। ওপরে আরেকতলা তোলার জন্য বিম ওঠানো হয়েছিল। ধারনা করা হচ্ছে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছি। এ কারণে ভবনটি ভেঙে মাটির সাথে মিশে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভবনের নকশা অনুমোদন ছিল কিনা, কোন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার হয়েছিল- এসব তারা তদন্ত করে দেখবেন।

নিউজ ট্যাগ: রাজশাহী ভবন ধস

আরও খবর



গাজায় প্রথমবার বিমান থেকে ত্রাণ ফেলল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো বিমান থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা ফেলেছে। তিনটি সামরিক বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি খাবার ফেলা হয়েছে। জর্ডানের বিমানবাহিনীর সঙ্গে মিলে যৌথভাবে এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন, এমন আরো সহায়তা তারা পাঠাবে গাজায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার ত্রাণ নিতে গিয়ে ১১২ জন নিহত হলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, সহায়তার কাজে দ্রুতগতি আনবেন। সেদিন ইসরায়েলি হামলায় আরো ৭৬০ জন আহত হয় বলে জানায় হামাস।

বিমান থেকে এই সহায়তা এমন সময় দেওয়া হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, গাজার ছয় সপ্তাহের একটা যুদ্ধবিরতি আনার সব রকম প্রস্তুতি চলমান। বাইডেন প্রশাসনের এই কর্তা শনিবার জানান, ইসরায়েল একটা নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রায় অনেকটা গ্রহণ করেছে।

নাম পরিচয় প্রকাশ না করে যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কর্তকর্তা বলেন, গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি আজ থেকেই শুরু হয়ে যাবে, যদি হামাস নির্দিষ্ট কিছু যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়...যেগুলো হলো অসুস্থ, আহত, বয়স্ক ও নারী বন্দী।’

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, শনিবার সি-১৩০ পরিবহন বিমান আকাশ থেকে ৩৮ হাজারের বেশি খাবার ফেলেছে গাজার উপকূলীয় অঞ্চলে। এতে আরো বলা হয়, এই সহায়তাগুলো গাজায় আরো বেশি সাহায্য আনার একটা প্রক্রিয়া, যার সঙ্গে যোগ হবে সড়ক পথে ও অন্যান্য পথে সহায়তা আনা।’

এর আগে অন্যান্য দেশ, যেমন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মিসর ও জর্ডান আকাশ থেকে গাজায় সহায়তা ফেলেছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র এমনটা প্রথমবার করলো।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবারের হৃদয়বিদারক ঘটনা গাজার মানবেতর পরিস্থিতির থেকে বের হয়ে আসতে এখানে আরো বেশি মানবিক সহায়তার পৌঁছানোর বিষয়টি সামনে এনেছে।’

তবে সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, এভাবে আকাশ থেকে সহায়তা ফেলা ত্রাণ বিতরণের একটি অকার্যকর উপায়। গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত মেধাত তাহের সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ত্রাণ সহায়তার এই পদ্ধতি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তিনি বলেন, এটা কি একটা স্কুলের জন্য যথেষ্ট হবে? ১০ হাজার লোক কি এতে চলতে পারবে? এভাবে প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ ফেলার চেয়ে বরং সীমান্ত দিয়ে সহায়তা আসা ভালো।’

শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে তারা আরো বেশি মানুষ, যাদের সহায়তার দরকার সেখানে পৌঁছানোর জন্য বেশি করে ট্রাক ঢুকতে দেয় ও নতুন পথ খুলে দেয়।’

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সোমবার ওয়াশিংটনে যুদ্ধকালীন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজের সঙ্গে দেখা করবেন যুদ্ধবিরতি ও অন্যান্য ইস্যু নিয়ে আলোচনায়।

বৃহস্পতিবার গাজা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে এক ত্রাণের বহর ঘিরে ভিড় করলে সেখানে ১১২ জন হত্যা করা হয় এবং ৭৬০ জনেরও বেশি আহত হয়। গাজার দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে উপকূলের রাস্তা আল-রাশিদ স্ট্রিট, যা সাম্প্রতিক সময়ে ত্রাণ বিতরণের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল, সেখানেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

হামাস বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, সেখানে সতর্কতার জন্য শুধু ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয় এবং মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যায়।

গাজা সাব অফিসে হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) বিষয়ক জাতিসংঘের সমন্বয়ক গিওর্গিওস পেত্রোপোলস বিবিসিকে বলেন, তিনি ও তার দল আল-শিফা হাসপাতালে গিয়ে প্রচুর গুলিবিদ্ধ মানুষ দেখতে পেয়েছেন।

এদিকে হামাস বলছে, ইসরায়েলি বোমার আঘাতে শনিবারও দক্ষিণ গাজার রাফাহ শিবিরে ১১ জন মারা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস এই হামলাকে জঘন্য’ বলে নিন্দা করেছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা সেখানে ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে একটা সুপরিকল্পিত ও নির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, উত্তর গাজায় একটা দুর্ভিক্ষ অতি অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠছে, সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে খুবই সামান্য সহায়তা যাচ্ছে এবং সেখানে প্রায় তিন লাখ মানুষের ভাগ্যে খুব সামান্যই খাবার ও বিশুদ্ধ পানি জুটছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীদের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫৩ জনকে বন্দি করে নেওয়ার পর গাজায় এক তীব্র মাত্রার আকাশ ও স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৩০ হাজারের ওপর মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যার মধ্যে ২১ হাজারই নারী ও শিশু। এর বাইরেও এখনো প্রায় সাত হাজার মানুষ নিখোঁজ এবং ৭০ হাজারের ওপর আহত হয়েছে।


আরও খবর



আট জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত অতিক্রমের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি জেলায় শক্তিশালী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হবে বলেও জানানো হয়েছে।

রোববার (২৪ মার্চ) রাতে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার ফেসবুক পোস্টে জানান, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে রাত ১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জেলার ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে, শনিবার রাত ২টার দিকে ঢাকায় ঘন ঘন বজ্রপাতের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এছাড়া রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গাতেও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, রাজধানীতে রাতে ঝড়-বৃষ্টির সময়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৯২ কিলোমিটার।

রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ মিলিমিটার। এই সময়ে সর্বোচ্চ ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে।

আবহাওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকাসহ বৃষ্টি হতে পারে। চলতি সপ্তাহেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝড়বৃষ্টির এমন আভাস রয়েছে।

মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দুই-তিন দিন বজ্রসহ বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ছাড়াও মাসের শেষ দিকে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।


আরও খবর
ঢাকার বায়ু আজও অস্বাস্থ্যকর

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




রাজনীতিতে পাওলি দাম, লড়বেন নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেজগতের তারকাদের বর্তমানে রাজনৈতিক ময়দানে অবাধ বিচরণ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতি আর গ্ল্যামারদুনিয়া যেন ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। পাওলি দামকেও এবার দেখা যাবে রাজনীতিকের ভূমিকায়। তবে রিয়েল লাইফে নয়, রিল লাইফে।

শুরু হচ্ছে অরিত্র সেনের নতুন ওয়েব সিরিজ জুলি’-র শুটিং। এতে পাওলি ছাড়াও অন্যান্য মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন কৌশিক সেন, শ্রুতি দাস ও গৌরব চট্টোপাধ্যায়রা। নারীর ক্ষমতায়নের কাহিনির মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে পাওলি দামকে। কালী সিজন টু’-এর সাফল্যের পর আবার অরিত্র সেনের পরিচালনায় নতুন ওয়েব সিরিজ জুলি’তে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে।

মানব পাচারচক্রে জড়িয়ে যৌনপল্লিতে ঠাঁই পাওয়া জুলি’র রাজনীতিতে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের গল্প বলবে এই সিরিজ। জুলি’র চরিত্রে অভিনয় করছেন পাওলি দাম। স্থানীয় নেতার মেয়ের বিরুদ্ধে তার লড়াই। এই চরিত্রে থাকছেন শ্রুতি দাস। এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের চরিত্রে দেখা যাবে কৌশিক সেনকে। সিবিআই অফিসারের ভূমিকায় থাকছেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও ইন্টারেস্টিং চরিত্রে রয়েছেন অর্ণ মুখোপাধ্যায় ও সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।

‘জুলি’র শুটিং শুরু হচ্ছে মার্চের শেষার্ধে। আড্ডাটাইমস’-এ এই ৭ এপিসোডের লিমিটেড সিরিজ প্রকাশ পাবে এই গ্রীষ্মেই।

পরিচালক অরিত্র সেন জানালেন, জুলি’র চোখ দিয়ে দেখা এই গল্প একটা অন্য পার্সপেক্টিভ যোগ করবে। সেই সঙ্গে প্রান্তিক মানুষদের মেনস্ট্রিম রাজনীতিতে নিজের জায়গা করে নেওয়ার যে লড়াই, সেটা দেখাতে চেয়েছি। দুর্বার’-এর সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে, ওদের কাজের সঙ্গেও যুক্ত থেকেছি। এই প্রান্তিক মানুষদের মূলস্রোতে টিকে থাকা এবং ভেসে থাকার যে প্রতিদিনকার যুদ্ধ, সেটা দেখেছি। সেখান থেকেই জুলি’র চরিত্রটা ডেভেলপ করেছি, যে কিনা আজকের দিনের দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারবে। অরিত্রর তত্ত্বাবধানে এই সিরিজের গল্প, কনসেপ্ট এবং চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন অভ্র চক্রবর্তী, শান্তনু মিত্র নিয়োগী, অনুপ্রিয়া দত্ত, আরণ্যক চট্টোপাধ্যায়।


আরও খবর



জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (২০ মার্চ)। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। অহিংস রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ, ভাষাসৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জিল্লুর রহমান দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।

এ উপলক্ষে তার পরিবার, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ নানা কর্মসূচি পালিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে- সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা প্রভৃতি।

জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামে ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জিল্লুর রহমান বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ছেষট্টির ৬ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের প্রতিটি গণআন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা পালন করেন।

১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগের কমিটিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি এবং জিল্লুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার হত্যার পর প্রায় চার বছর কারাবন্দি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ছিলেন।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি আইন জারির মধ্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন জিল্লুর রহমান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকার গঠন হলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তার সহধর্মিনী বেগম আইভি রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়ার তিন দিন পর মৃত্যুবরণ করেন।


আরও খবর



সরকারকে বিব্রত করতে বিএনপি সিন্ডিকেট করতে পারে : কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারাই (বিএনপি) সিন্ডিকেট করে সরকারকে বিব্রত করা, নির্বাচিত সরকারের যে অগ্রযাত্রা তা বাধাগ্রস্ত করার জন্য সিন্ডিকেট করতে পারে। আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির সংযোগ আছে কি না।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ যুব মহিলা লীগ এবং মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

সিন্ডিকেট কারা করে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সরকার জনগণের প্রতিনিধি। শেখ হাসিনার সরকারের সব কর্মকাণ্ড জনস্বার্থকে সমন্বিত করে। এখন রমজান মাসে সরকারকে বিব্রত করার জন্য সিন্ডিকেট থাকতে পারে। এখন আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে এসব অপকর্মের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা আছে কি না।

বিএনপি দেশে-বিদেশে নানা অপচেষ্টা করে সরকার হটাতে যখন ব্যর্থ, আন্দোলনে পারেনি, নির্বাচনেও তারা গণতান্ত্রিক নীতির বাইরে বিরোধিতা করেছে। সবকিছুতেই যখন তাদের ব্যর্থতা, আন্দোলন, নির্বাচনে, এখন একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে বিরোধী দল হিসেবেও ব্যর্থতায় পর্যবসিত যখন, তখন অনেক কিছু জড়িয়ে সরকারের বাধাগ্রস্ত করার জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর