আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

রাজশাহীতে করোনা কেড়ে নিল আরও ৯ জনের প্রাণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ আগস্ট ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনাভাইরাসে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল করোনা ইউনিটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন করোনায় ও উপসর্গে চারজন মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বুধবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও চারজন নারী রয়েছেন। তাদের বয়স ৪১ থেকে ৬৫ বছরের ওপরে। এদের মধ্যে রাজশাহীর দুইজন, নাটোরের একজন, নওগাঁর একজন ও পাবনার পাঁচজন রয়েছেন।

একই সময়ে রামেকে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন রোগী। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ জন। বর্তমানে রামেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৪০ জন এবং সন্দেহভাজন ও উপসর্গ নিয়ে ১০৪ জন ভর্তি রয়েছেন।

 

 



আরও খবর



দেশের বাজারে ফের কমলো স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৯৯ টাকা কমানো হয়েছে। এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ক‌মে হ‌চ্ছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এর আগে দাম ছিল ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে চল‌তি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ সোনার দা‌ম বা‌ড়ি‌য়ে‌ছিল বাজুস। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল বাড়ানো হয়েছিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। এরপর দুদফায় ভরিতে ৩১৩৮ ও ২০৯৯ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলো বাজুস।

সোনার ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৪ এপ্রিল বিকেল ৪টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৩ হাজার ৪২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম হবে ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা।

সোনার দাম কমানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।


আরও খবর



চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন: ভোট শেষে গণ্ডগোলের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চলছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা নাগাদ শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে বলে ধারণা করে আসছে বিজ্ঞমহল। ভোটের দিন ৫৭০ জন ভোটারের বিপরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪০০ সদস্যকে দেখা গেছে এফডিসি প্রাঙ্গণে।

শিল্পীরা একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এরপরও ভোটকেন্দ্রে কেন এত কড়াকড়ি নিরাপত্তা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও শিল্পীদের কেউই সাংবাদিকদের এ বিষয়ে যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি। এমনকি সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ও উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতেও এবার বাড়তি সতর্কতা দেখা গেছে।

এবারের নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছে মিশা-ডিপজল ও কলি-নিপুণ প্যানেল। রয়েছে ৬ স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রকাশ্যে কোনো কাদা ছোড়াছুড়ি না হলেও সব পক্ষই বিপরীত দলকে চাপে রেখেছে। ইতোমধ্যেই ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডিপজল ও নিপুণের বিরুদ্ধে। এই নির্বাচনে মূলত ডিপজল ও নিপুণই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউই কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। দুজনের বিরুদ্ধেই ভোটারদের অর্থ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। তাই নির্বাচনের শীলত যুদ্ধ আপাতত এক-এক গোলে ড্র। কিন্তু ভোট শেষে এই সাম্য নাও থাকতে পারে। পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে যে কোনো মুহূর্তে।

সূত্রের খবর, ভোট গননার সময় ঘটতে পারে অঘটন। দুই প্যানেলের মধ্যে গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে। ফল প্রকাশ হতে মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গতরাতে ডিপজলের বিরুদ্ধে অর্থ প্রদানের অভিযোগ সামনে আসে। অন্যদিকে নিপুণও অর্থ দিয়েছেন এমন একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়। তখনই এফডিসি ও এর বাইরে অবস্থান নিয়েছিলেন অনেকেই। সরাসরি কিছু না বললেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু রয়েছেন চাপে। তবে নির্বাচন শেষে জায়েদ-নিপুণের মতো ডিপজল-নিপুণকেও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আদালতপাড়ায় যেতে হবে তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট।

এর আগে ২০১৭ সালে মধ্যরাতে ভোট গণনার সময় এফডিসিতে শাকিব এলে তার ওপরে হামলা হয়েছিল। সে সময় নিজে নির্বাচন না করলেও ওমর সানীকে সভাপতি হিসেবে সমর্থন দিয়েছিলেন শাকিব।

মূলত শিল্পী সমিতির নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা পর থেকেই শুরু হয় তর্কবিতর্ক এবং অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এবারের নির্বাচনে শুরু থেকেই রাজনৈতিক প্রভাবও চলমান। দুই প্যানেল থেকেই গণমাধ্যমে বেশকিছু প্রার্থী এমন অভিযোগ জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী বলেন, এবারের নির্বাচনে শিল্পীদের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পরিচয় ও ক্ষমতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে অনেকেই। এরই মধ্যে বিএফডিসির বাইরে বিভিন্ন নেতার অফিসেও করা হয়েছে মিটিং, যা আমাদের মোটেও কাম্য ছিল না। অভিযোগ উঠেছে নিজেদের জয়ী করতে অনেকেই আবার কিনছে ভোট, দেখাচ্ছে ভয়-ভীতি।

এখন পর্যন্ত ভোটারদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেনি এফডিসি। প্রচণ্ড গরম পড়ায় সকালের দিকে ভোটার সমাগম কম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কার্যকরী পরিষদ সদস্য প্রার্থী পীরজাদা হারুন দুপুর ১২টার দিকে বলেছেন, গতবার এই সময়ে ভোট কাস্ট হয়েছিল ১৬০টি, এবার ১১টি।

এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তার বিরুদ্ধেও নিপুণের জন্য সভাপতি প্রার্থী খোঁজার অভিযোগ উঠেছিল। খসরুর সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান।

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল পরিষদের অন্য প্রার্থীরা হলেন সহসভাপতি মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডিএ তায়েব; সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল।

এই প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন খ্যাতিমান চিত্রনায়িকা সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্না কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন ও ফিরোজ মিয়া।

অন্যদিকে মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন- সহসভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান; সহসাধারণ সম্পাদক বাপ্পি চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান। এ প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে প্রার্থীরা হলেন- সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো. সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান।


আরও খবর



বিদ্রোহীদের দখলে এবার মিয়ানমারের মায়াবতী শহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কয়েক সপ্তাহের তুমুল লড়াই শেষে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মায়াবতী শহরের দখল নিতে চলেছে দেশটির জান্তা শাসনবিরোধী বিদ্রোহী জোট।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আদিবাসী কারেন বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনী কয়েক সপ্তাহ আগে মায়াবতী শহর আক্রমণ করে। তারা একটু একটু করে শহরের ভেতর প্রবেশ করে এবং শহরটির পাহারায় থাকা মিয়নমারের শতাধিক সেনাসদস্য শেষ পর্যন্ত তাদের কাছে পরাস্ত হয়ে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছে।

শুক্রবার কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন-কেএনইউ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়, থাঙ্গানিনাং শহরে থাকা এক ব্যাটেলিয়ন সেনাসদস্য তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। শহরটি মায়াবতী থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে। আর মায়াবতীতে থেকে যাওয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শেষ ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে এ সপ্তাহান্তে তাদের আলোচনা চলছে এবং খুব সম্ভবত সেনাবাহিনীর ওই ব্যাটেলিয়ন আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্যে মায়াবতী শহরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুই দেশের স্থলপথে আমদানি-রপ্তানির অধিকাংশই হয় এই শহর দিয়ে।

তিন বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের শাসনভার দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। অভ্যুত্থান রক্তপাতহীনভাবে বিনা বাধায় হলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলে যায়। সাধারণ মানুষ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করে।

যে বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমন করে জান্তা বাহিনী। তাদের দমন নিপীড়নে বহু বিক্ষোভকারী প্রাণ হারায়। প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভ দমন হলেও অভ্যুত্থান বিরোধীরা মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকাগুলোতে আগে থেকেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত বিভিন্ন আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করে গত বছর শেষদিক থেকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

বিদ্রোহী জোট একের পর এক সীমান্ত এলাকা ও শহরে আক্রমণ করে সেগুলো দখল করতে শুরু করে। এ বছরের শুরু থেকে তাদের আক্রমণের তেজ বেড়ে যায়। মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ও শহর এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্য এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের অনেকটাই এখন বিদ্রোহীদের দখলে।

বিবিসি জানায়, গত তিন বছরে জান্তা বাহিনীকে এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে আর পড়তে হয়নি। মায়াবতী শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানো তাদের জন্য আরও একটি বড় ধাক্কা।

দ্য কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন আদিবাসী কারেন জনগোষ্ঠীর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সেই ১৯৪৮ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে।

গত শতাব্দীর ৯০ এর দশকে সামরিক বাহিনী তাদের অনেকটাই পরাস্ত করে এবং ২০১৫ সালের পর তারা একটি জাতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে লড়াই বন্ধ করেছিল। কিন্তু ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সবকিছু পাল্টে যায়। কেএনইউ থেকে বলা হয়, নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করায় ওই চুক্তি অকার্যকর হয়ে গেছে।

কেএনইউ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শুধু লড়াই করছে না। বরং সারা দেশ থেকে যারা স্বোচ্ছায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আসছে তাদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে।

এছাড়া সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা দেশের অন্যান্য প্রান্তের বড় বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোকে তারা এক জোট করার চেষ্টাও করছে।


আরও খবর



আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন ৩ বিচারপতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তারা হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার তারা শপথ নেবেন বলে জানা গেছে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

এদিকে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে ৫ জন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন করে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল ৮ জন।


আরও খবর



ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: নিহত ১৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের ঐতিহাসিক শহর চেরনিগিভে বুধবার কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই শহরে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এরই মধ্যে মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শহরের রাস্তা-ঘাট রক্তাক্ত হয়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছেন। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অপরদিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ অবশেষে একটি বিশাল আকারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়েছে। এতে ৬১ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘ সময়ের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভূক্ত থাকছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি যখন বিস্ফোরিত হলো তখন তিনি তার সন্তানদের নিয়ে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডোরে অবস্থান করছিলেন।

৩৩ বছর বয়সী ওলগা বলেন, আমাদের প্রতিবেশীরাও ইতোমধ্যেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। আমরা চিৎকার করে সবাইকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে বলেছিলাম। সবাই তাই করেছিল এবং এর মধ্যেই আরও দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। তারপরেই আমরা পার্কিং লটে ছুটে যাই।

এদিকে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তিন শিশুসহ ৬০ জন রুশ হামলায় আহত হয়েছে। শহরের মেয়র ওলেকসান্দর লোমাকো জানিয়েছেন, ডজনখানেকের বেশি ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডজনখানেক যানবাহন এবং মেডিকেল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রুশ হামলা প্রতিহত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়া।

তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং রাশিয়ার সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করার জন্য বিশ্বের দৃঢ় সংকল্প থাকত তবে তারা এভাবে হামলা চালাতে পারত না। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত চেরনিগিভ শহরটি। যুদ্ধের আগে ওই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার।


আরও খবর