আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

রাজস্ব জাদুঘর যেন রাজস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বাহক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

১৬০১ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ভারতে বাণিজ্য যাত্রার অনুমতি প্রদান করেন ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ। পরবর্তীতে মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৬১৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ভারতে বাণিজ্য করার অনুমতি প্রদান করেন এবং কোম্পানিটি গোয়া, মুম্বাই ও চট্টগ্রামে বাণিজ্য ঘাটি স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ১৭৬৫ সালে পলাশী যুদ্ধে ইংরেজরা জয়লাভের পর ১৭৮৬ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম বোর্ড অব রেভিনিউ গঠন করা হয়। আর স্যার জন শোরকে ১৭৮৭ সালে বোর্ড অব রেভিনিউয়ের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয় হয়।

অন্যদিকে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহজনিত ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য ১৮৬০ সালে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে আয়কর ব্যবস্থা প্রবর্তন করে ব্রিটিশ সরকার। পরবর্তীতে ১৮৮৬ সালে পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্ট প্রবর্তিত হয়। যার ধারাবাহিকতায় ১৯৮৪ সালের ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিনেন্স চালু হয়, যা আয়কর আইন হিসেবে বাংলাদেশে চালু আছে।

অনুরূপভাবে প্রাচীন মিশরীয়সহ অন্যান্য সভ্যতার সময়ে কাস্টমস ব্যবস্থার প্রমাণ পাওয়া যায়। কালের বিবর্তনে আজ আধুনিক কাস্টমস ব্যবস্থা চালু হয়। ১৫২৮ সালে বাংলাদেশে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের প্রতিষ্ঠা করেছিল পর্তুগিজরা। এরপর ধাপে ধাপে এগিয়ে চলছে কাস্টমস। একইভাবে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট প্রচলনেরও রয়েছে গৌরবগাঁথা ইতিহাস। এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উদ্যোগে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে রাজস্ব সম্মেলন। আর এর পাশেই স্থাপিত আছে রাজস্ব জাদুঘর। যেখানে ঘুরে আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাটের নানা ইতিহাসসহ এনবিআরে তিন বিভাগের ইতিহাস-ঐতিহ্য জানতে পারছে দর্শনার্থীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাদুঘর ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও যুগ্ম কমিশনার তরিকুল ইসলাম বলেন, এনবিআরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। ভবিষ্যতে আমাদের নতুন রাজস্ব ভবনে স্থায়ী একটি মিউজিয়ামে রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের মিউজিয়াম পরিদর্শন করলে আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ সম্পর্কে সহজ ও সুন্দর একটি ধারণা পাবে দর্শনার্থীরা। একইসঙ্গে আমরাও আমাদের ইতিহাস ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে পারলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের এই মিউজিয়াম পরিদর্শন করে উদ্দীপনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি আমাদের এই মিউজিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছেন।

জাদুঘর পরিদর্শনে আসা এক রাজস্ব কর্মকর্তা আরমান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এনবিআরে কাজ করছি। এ সময় অনেক ঘটনারই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষী। তবে একসাথে এনবিআরের তিনটি বিভাগের প্রাচীন ইতিহাস তেমনভাবে জানা ছিল না। রাজস্ব মিউজিয়ামে এসে ইতিহাসটা জানা হলো।

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজস্ব সম্মেলন ও রাজস্ব ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই তিনি রাজস্ব জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লেখেন। পরে সব আয়কর ও কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তারা জাদুঘর ঘুরে দেখেন।  জাদুঘরে শুল্ক আদায়ের প্রাচীন ইতিহাস চিত্রকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। একইসঙ্গে পুরোনো দিনের স্মারক আইন, বিধি, এসআরওর কপি এবং স্মাগলিংয়ের সময় আটককৃত মূল্যবান ধাতব মূর্তি প্রদর্শন করা হয়।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- এম নুরুল কাদেরের নিজ হাতে লেখা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের বরাদ্দকৃত ব্যয়ের হিসাব বিবরণী, ১৯৮৪ সালের ৪ জুন প্রকাশিক প্রথম আয়কর অধ্যাদেশের গেজেট কপি, ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান আমলের কাস্টমস ম্যানুয়াল, ১৯৫১ সালের মংলা কাস্টমসে দাখিলপত্র বিল অফ এন্ট্রির কপি, ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমসে আটককৃত লুইস এক্সভি ঘড়ি এবং রেডিও ক্যাসেট টেপ, চাঁদের পাথর ও ধূলিকণা পৃথিবীতে আনার প্রথম কাস্টমস ঘোষণাপত্র, ১৯৬৭ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমসে জুতার হিলের মধ্যে স্বর্ণ চোরাচালানের দায়ে আটককৃত জুতা অন্যতম।


আরও খবর



নওগাঁয় সন্ত্রাসী বাহিনীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁয় মোশারফ হোসেন শান্ত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা আদালতের সামনের সড়কে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকাবাসীর আয়োজনে এ কর্মসূচী পালিত হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ কবিরাজ এর সভাপতিত্বে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামেদ আলীসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় স্থানীয় বাসিন্দা চাঁন মোহাম্মদ চান্দু, আব্দুস ছালাম, গোলাম রব্বানী, সন্ত্রাসী হামলায় আহত ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসী ঝাঁড়ু হাতে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি ও হাসুয়াসহ বিভিন্ন অস্ত্র সজ্জিত হয়ে মোশারফ হোসেন শান্ত ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন এর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় সাজ্জাদকে কুপিয়ে জখম করে মোশারফ হোসেন শান্ত সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। পরে থানায় মামলা হলে মোশারফ হোসেন শান্তসহ তিনজনকে আটক করে আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ। ব্যবসায়ীরা ভয়ে ঠিকমতো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছে না। মোশারফ হোসেন শান্তর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে দুই নারী ও এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার কাঠালিয়া ও সদর উপজেলায় সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন জেলার কাঠালিয়া উপজেলার আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ গ্রামের হেলেনা বেগম, ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখের ইউনিয়নে মিনারা বেগম ও সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের ইসালিয়া গ্রামের মাহিয়া আক্তার ঈশানা।

ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলার মুন্সিরাবাদ গ্রামের হেলেনা বেগম বৃষ্টিতে ঘরের বাইরে নামলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। অন্যদিকে সদর উপজেলায় মাঠে গরু আনতে যাবার সময় মাহিয়া আক্তার শিশু নিহত হয়। সদর উপজেলায় ঝড় বৃষ্টি চলাকালে মিনারা বেগম গুরুতর আহত হন। পরে দুপুরের দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারা বেগমের মৃত্যু হয়।

ওসি আরও বলেন, সকালে তাণ্ডব চালানো এই বজ্রসহ ঝড়ে ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলায় শতাধিক বসতঘর ভেঙে পড়েছে। এ সময় গাছপালারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সকাল থেকেই পুরো জেলায় বিদ্যুতসংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। দুপুর দেড়টায় ঝালকাঠি শহরে বিদ্যুৎ আসলেও রাজাপুর ও কাঠালিয়াসহ অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।


আরও খবর



টানা তিন দিন ধরে বায়ুদূষণে শীর্ষ দশের বাইরে ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ রোববার রাজধানী ঢাকাকে শীর্ষ ১০-এর বাইরে দেখা গেছে।

বেশিরভাগ সময় দূষণে শীর্ষে থাকা এই শহরের সকাল সোয়া ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৯৬। এই স্কোর বাতাসের মানকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য বলে নির্দেশ করে। অবস্থানের দিক দিয়ে ১৬ নম্বরে।

গত শুক্রবার ও শনিবার সকালেও দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দশের বাইরে ছিল ঢাকা।

এদিকে দূষিত শহরের তালিকায় ১৬৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে চীনের বেইজিং। ভারতের দিল্লি ১৬৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং নেপালের কাঠমান্ডু ১৬৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে।

৫১ থেকে ১০০ স্কোর হলে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য, ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।


আরও খবর



স্বাস্থ্যখাতের করুণ চিত্র : দেশে কমেছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ অনুযায়ী দেশে মানুষের গড় আয়ুর পাশাপাশি নারীর প্রজনন হার এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার কমেছে, আর পাশাপাশি বেড়েছে বাল্য বিয়ে এবং শিশু মৃত্যুর হার। একই সঙ্গে এই জরিপে উঠে এসেছে দেশে প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও বিয়ে না করা পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ শতাংশ। গত দশ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার ক্রমান্বয়ে কমেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পপুলেশন সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. মো. মঈনুল ইসলাম বলছেন, সরকারি এই রিপোর্টে যা উঠে এসেছে তাতে মূলত দেশের স্বাস্থ্য খাতের করুণ চিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ যে ট্রিপল জিরো কমিটমেন্ট, অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদা (শতভাগ দম্পতিকে পরিবার পরিকল্পনার আওতায় আসা), মাতৃমৃত্যু ও বাল্য বিবাহ-সহ জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা শূন্যতে নামিয়ে আনার যে অঙ্গীকার করেছিল, তার অর্জন দুরূহ হয়ে উঠতে পারে।

প্রসঙ্গত, কেনিয়ার নাইরোবিতে ২০১৯ সালে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সম্মেলনের পঁচিশ বছর পূর্তিতে এই ট্রিপল জিরো অঙ্গীকার করেছিলো বাংলাদেশ। বিবিএস যে জরিপের ফল প্রকাশ করেছে, সেই জরিপটি পরিচালিত হয়েছে ২০২৩ সালে। একই সঙ্গে তারা এই জরিপের সঙ্গে তার আগের বছরের তথ্যও প্রকাশ করেছে। জরিপটি দেশ জুড়ে তিন লাখ আট হাজারেরও বেশি পরিবার ও বিবাহিত নারীদের ওপর পরিচালনা করা হয়েছে।

বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের পরিমাণ কমার তথ্য উঠে এসেছে এবারের এই জরিপে। ২০১৫ সালে দেশের দম্পতিদের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের টার্গেট ছিলো ৭২ শতাংশ। এবার বিবিএসের জরিপে এ সংখ্যা হলো ৬২ দশমিক ১ শতাংশ। গত বারের চেয়ে বেশ খানিকটা কমেছে।

ড. মঈনুল ইসলাম বলছেন, তৃণমূল পর্যায়ে এ সেবা পৌঁছানো ও সেবা নেয়া উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপক দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। লোকবলের সংকট, পদ্ধতিগুলো সহজে না পাওয়াসহ নানা কারণে এ বিষয়ে আগের চেয়ে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

এছাড়া বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দেশে আঠার বছর বয়সের আগে ২০২০ সালে বিয়ের সংখ্যা ছিল ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ। পনের বছরের আগে বিয়ের সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ, যা চার বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।


আরও খবর



লালমনিরহাটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের ধাক্কা, অর্ধশত যাত্রী আহত

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের ধাক্কায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট রেলস্টেশনে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নম্বর কমিউটার ট্রেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রেলকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নম্বর কমিউটার ট্রেনটি লালমনিরহাট রেলস্টেশনের প্ল্যাটর্ফমে দাঁড়ায়। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে আগের ইঞ্জিন নিয়ে লোকোশেডে চলে যান চালক।

পরে লোকোশেড থেকে অপর ইঞ্জিন নিয়ে বগিতে সংযোগ দেওয়ার সময় সজোরে ধাক্কা দিলে কমিউটার ট্রেনটির প্রায় অর্ধশত যাত্রী বগিতেই ছিটকে পড়ে আহত হন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় রেলকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে আহতদের মধ্যে দুজন নারী যাত্রী মাথা ও হাতে প্রচণ্ড আঘাত পাওয়ায় তাদের রংপুরে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি আহতদের ওই ট্রেনেই গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলস্টেশনের মাস্টার নুরুন্নবী ইসলাম বলেন, লোকোশেড থেকে ইঞ্জিন নিয়ে বগিতে সংযোগ দিতে জোরে ধাক্কা লাগায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৪০-৫০ জন যাত্রী সামান্য আঘাত পেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় লোকো বিভাগের চালক গৌর গোবিন্দের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ট্রেন নিয়ে ফিরলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে লোকো বিভাগ।

এ ব্যাপারে জানতে লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আব্দুস সালামকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।


আরও খবর