রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে
মৃত্যুর মিছিল থামছে না। এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায়
আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা
যান। এদের মধ্যে ৮ জন করোনা পজিটিভ, ১ জন পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হওয়ার পর এবং ৯ জন উপসর্গে
মারা যান।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার
জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে জুলাই মাসের ৮ দিনে রামেক হাসপাতালে
করোনা ও উপসর্গে ১৩৯ জনের মৃত্যু হলো। আর জুন মাসে মৃত্যু হয়েছে ৩৫৪ জনের।
রামেক পরিচালক জানান, নতুন মৃতদের ৯ জন
রাজশাহীর (পজিটিভ ৪, উপসর্গে ৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২ জন (পজিটিভ ১, উপসর্গে ১), নাটোরের
২ জন (১ জন পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হওয়ার পর, উপসর্গে ১), নওগাঁয় ৩ জন (পজিটিভ ১, উপসর্গে
২) পাবনায় ১ (পজিটিভ), কুষ্টিয়ার ১ (পজিটিভ) জন। নতুন মৃতদের ১৪ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী।
তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত
এ হাসপাতালের ৪৫৪ বেডের বিপরীতে করোনা ও উপসর্গের রোগী ভর্তি রয়েছেন ৪৮৫ জন। গতকাল
বুধবার ভর্তি ছিলেন ৪৭০ জন। অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করে অতিরিক্ত রোগীদের চিকিৎসা
দেয়া হচ্ছে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে রাজশাহীর ২৯৩, চাঁপাইয়ের ৪০, নাটোরের ৫৩, নওগাঁর ৪৪,
পাবনার ৪২, কুষ্টিয়ার ৫, চুয়াডাঙ্গার ২, জয়পুরহাটের ১, সিরাজগঞ্জের ২, নীলফামারীর ১
ও বগুড়ার ২ জন। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন
৭০ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে রামেক হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৮ জন। নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে
রাজশাহীর ৩৩, চাঁপাইয়ের ৮, নাটোরের ১০, নওগাঁর ৭, পাবনার ৭, কুষ্টিয়ার ৩ ও চুয়াডাঙ্গার
২ জন।
রামেক পরিচালক জানান, বুধবার রাজশাহীর দুই ল্যাবে দুই জেলার ৫৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হয়েছে ১৪১ জনের। এদিন রাতে প্রকাশিত দু’টি পিসিআর ল্যাবের নমুনার ফলাফলে দেখা যায়, রাজশাহী শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে শনাক্তের হার ২০ দশমিক শূন্য শতাংশ।