চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিকের আরো চারটি কনটেইনার শনাক্ত হয়েছে। সেগুলো থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরিফুল ইসলাম বলেন, ডিপোতে আমরা রাসায়নিক থাকা আরো চারটি কনটেইনার শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল বিশেষ পদ্ধতিতে খুব সতর্কতার সঙ্গে এসব কনটেইনার অপসারণ করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, তবে ডিপোর ভেতর এখনো আগুন জ্বলছে। সেখান থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে কাজ করছেন।
এদিকে, কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ডিপোর পাঁচ শ’ মিটার শেডের ভেতর এখনো ঢুকতে পারেননি কমকল কর্মীরা। জ্বলতে থাকা আগুন আর নতুন বিস্ফোরণের আশঙ্কায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
আগুন নেভানোর পুরো কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার। তিনি বলেন, আমরা এখনো আগুন নেভানোর কাজ করছি। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগবে। এখনো অনেক কনটেইনারে আগুন জ্বলছে, ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমরা সাবধানতার সাথে সেগুলোতে পানি দিচ্ছি।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (অভিযান) দুলাল মিয়া বলেন, আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সময় লাগবে। আমাদের কাজ চলছে। ডিপোর পাঁচ শ’ মিটার শেডের ভেতর ঢুকে এখনো উদ্ধার অভিযান শুরু করা যায়নি। সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
তিনি জানান, আগুন ছাড়াও যেসব কনটেইনার জ্বলছে, তার পাশে আরো কিছু কনটেইনার রয়েছে। সেগুলোতে রাসায়নিক থাকলে নতুন করে বিস্ফোরণের আশঙ্কা আছে।
গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৮টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। রাত পৌনে ১১টায় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
রাসায়নিক থাকায় একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন। পুড়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত নয়জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন চার শতাধিক।