আজঃ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

রাসেলস ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জরুরি নির্দেশনা

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশের হাসপাতালগুলো পর্যাপ্ত এন্টিভেনম মজুদ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ শনিবার সকাল ১০টায় সারাদেশের সিভিল সার্জন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভাগীয় পরিচালক, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম মিটিংয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, বিভাগীয় পরিচালকদের সঙ্গে সর্পদংশন ও রাসেলস ভাইপার নিয়ে কথা বলেন এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে খোজ খবর নেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাসেল'স ভাইপার নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি জনগণকে বলব আপনারা আতংকিত হবেন না। রাসেলস ভাইপারের যে এন্টিভেনম সেটা আমাদের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ আছে। আমি পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছি কোনো অবস্থাতেই এন্টিভেনমের ঘাটতি থাকা যাবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সর্পদংশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রোগীকে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। অনতিবিলম্বে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব।

তিনি বলেন, সর্পদংশনের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করা খুবই জরুরি। রোগীকে হাসপাতালে আনতে যাতে দেরি না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

সভায় স্বাস্থ্যসেবা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ডা. রুবেদ আমিনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে: ড. ইউনূস

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার নিদের্শনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় এ নিদের্শনা দেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সচিবদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে মার্চিং অর্ডার প্রদান করতে হবে। সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করতে হবে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, যে ভয়হীন চিত্ত আমাদের উপহার দিয়েছে, তার ওপর দাঁড়িয়ে বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

দুর্নীতির মূলোৎপাটন করার নিদের্শ দিয়ে তিনি বলেন, সেবা সহজিকরণের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, সৃষ্টিশীল, নাগরিকবান্ধব মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে, যা নিয়মিত মূল্যায়ন/পরিবীক্ষণ করা হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।


আরও খবর



রাষ্ট্রপতি কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, তালিকা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

১৯৯১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে কতজনের কারাদণ্ড মওকুফ, দণ্ড স্থগিত বা হ্রাস করেছেন তার তালিকা প্রকাশ ও প্রদানের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ রবিবার এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. ওমর ফারুক।

নোটিশে বলা হয়েছে, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাবলে বহু ক্রিমিনাল, হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের ক্ষমা বা তাদের দণ্ড মওকুফের আদেশ দিয়ে আসছেন। রাষ্ট্রপতির মার্জনায় বহু ফাঁসির আসামি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেল থেকে বেরিয়ে সমাজে আবার মাফিয়া ডন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের সুপারিশ বা তদবিরে দাগী, ঘৃণিত, কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করে বা দণ্ড মওকুফ করে দায় মুক্তি দিচ্ছেন তা একজন নাগরিক হিসেবে আমার বা আমাদের জানার অধিকার আছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সংক্রান্ত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতার অপব্যবহার বা কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বা রাজনৈতিক কোনোরূপ বল প্রয়োগ আছে কি না তাও ক্ষতিয়ে দেখা দরকার।

নোটিশে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের ক্ষমতার উৎস বা কোন আইন দ্বারা তিনি কীভাবে কোনো প্রক্রিয়ায় তা করে থাকেন বা দণ্ড মত্তকুফের মানদণ্ড কী? তা মানুষের জানা দরকার। তাই এখানে ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত যতজনকে রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করে বা দণ্ড স্থগিত করে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন তাদের নামের তালিকা ও কী প্রক্রিয়ায় তাদের ক্ষমা করা হয়েছে তার বিশদ বর্ণনা নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে আমাকে প্রদান করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দণ্ড মওকুফ হওয়াদের তালিকা না পেলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



রিমান্ড শেষে কারাগারে দিলীপ, নকল হীরার সিন্ডিকেটের সন্ধানে গোয়েন্দারা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রাহকদের মোজানাইট কিংবা জারকান পাথরকে আসল হীরার গ্যারান্টি দিয়ে প্রতারণা করে আসছে দিলীপ আগরওয়ালার ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। হীরার নামে মোজানাইট পাথর কাদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা। এমনকি নকল হীরার সিন্ডিকেটের খোঁজও করছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দিলীপের সিন্ডিকেটের বেশ কিছু ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। তবে এখন এগুলো যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রিমান্ড শেষে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অভিযোগ রয়েছে, নকল হীরা বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে দিলীপ সিন্ডিকেট। এই অর্থের বড় একটি অংশ তারা বিদেশে পাচার করেছে। দেশের মতো বিদেশেও গড়েছে সম্পদ। তবে প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থের একটি অংশ তারা তৎকালীন হাসিনা সরকারের কয়েকজন প্রভাবশালীকে দিত নিয়মিত। এর মাধ্যমে নিরাপদ রেখেছিল তাদের সম্পদ।

গতকাল রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয় দিলীপ কুমারকে। এরপর মামলা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাদেক। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে আটক করে র‌্যাব। পরে ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালত দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই দুপুরে বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে নিহত হন হৃদয় নামের এক কিশোর। ওই ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শাহাদাত হোসেন খান নামের এক ব্যক্তি। সেই মামলারই আসামি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

বাংলাদেশের একটি রহস্যময় চরিত্র দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। ডায়মন্ড ব্যবসার আড়ালে কাচকে হীরা বানিয়ে বিক্রি, হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি এবং বিদেশে অর্থ পাচারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও সদরের একাংশ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যান দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।


আরও খবর



আলু-পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমেছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আলু, পেঁয়াজ ও কীটনাশক আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আলুতে ১৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক, পেঁয়াজে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক এবং কীটনাশকে ২০ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মুমেন। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা বলবৎ থাকবে।

জানা গেছে, আলুতে কাস্টমস ডিউটি (সিডি) ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এছাড়া আগে এ পণ্যটির ওপর প্রযোজ্য থাকা ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে পণ্যটিতে মোট শুল্ক কমানো হলো ১৩ শতাংশ।

আমদানি পর্যায়ে পেঁয়াজে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যদিকে কীটনাশকের ওপরে প্রযোজ্য ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া পণ্যটির ওপর সমুদয় রেগুলেটরি শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে পেঁয়াজ, আলু, ডিমে শুল্ক কর প্রত্যাহার চেয়ে এনবিআরে চিঠি দেয় এনবিআর।

এনবিআর জানায়, বিগত জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দেশে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে, যা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। উপরন্তু দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কীটনাশক, আলু ও পেঁয়াজের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমানোর ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করেছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক বিশ্লেষণপূর্বক কর ছাড়ের মাধ্যমে উল্লিখিত পণ্যগুলোর আমদানি সহজ করে সরবরাহ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

এসব পণ্যের শুল্ক কমানো কারণ হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলু এবং পেঁয়াজ অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে যেহেতু দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয়। আমদানি শুল্ক কম থাকলে দেশীয় উৎপাদনের ওপর প্রযোজ্য প্রতিরক্ষণ হ্রাস পায়, ফলে কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নেওয়া কার্যক্রমের ফলে উল্লিখিত পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকবে। দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতেও যেকোনো রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে নীতি সহায়তা প্রদানে এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজস্ব যোগানে মূল ভূমিকা পালনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একইভাবে সচেষ্ট থাকবে।

এর আগে ১১টি জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এসব বিবেচনায় আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করেছিল ট্যারিফ কমিশন।


আরও খবর
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মামলা হলেই যত্রতত্র গ্রেফতার নয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মামলা হওয়ার অর্থ যত্রতত্র গ্রেফতার নয় জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার সব দুষ্কৃতকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান চালাবে এবং দল-মত নির্বিশেষে আইনি ব্যবস্থা নেবে। সরকারের পক্ষ থেকে তল্লাশি ও মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন যথাযথভাবে মেনে চলা হবে এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে সরকার সবাইকে আশ্বস্ত করতে চায়, মামলা হওয়া মানেই যত্রতত্র গ্রেফতার নয়। এ সকল মামলার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন হলে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। গণঅভ্যুত্থান দমন করতে পতিত সরকার নিষ্ঠুর বলপ্রয়োগ করলে বহু প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিনের দুঃশাসনে বহু মানুষ অপহরণ, গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ফলে বিদায়ী সরকারের প্রতি জনমনে প্রচণ্ড ক্ষোভ বিরাজমান। অন্তর্বর্তী সরকার এসব নিপীড়নের বিচার করতে বদ্ধপরিকর।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সরকার যখন বিচারের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে জাতিসংঘকে সত্য অনুসন্ধানে আহ্বান জানিয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, ঠিক সেই সময়ে কিছু অতি উৎসাহী এবং স্বার্থান্বেষী মহল আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবাদের নামে প্রতিষ্ঠান ঘেরাও, জোরপূর্বক পদত্যাগ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বেআইনি তল্লাশি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঢালাওভাবে মামলা গ্রহণে পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ, আদালতে আসামিকে আক্রমণ করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী এসব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার সব দুষ্কৃতিকারীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান চালাবে এবং দল-মত নির্বিশেষে আইনি ব্যবস্থা নেবে।

সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দপ্তরে জানাতে হবে, কোনোভাবেই কোনো প্রতিষ্ঠান ঘেরাও বা কোনো রকম সহিংস আচরণ করা যাবে না। সরকারের পক্ষ থেকে তল্লাশি ও মামলা গ্রহণে প্রচলিত আইন যথাযথভাবে মেনে চলা হবে এবং হয়রানিমূলক পদক্ষেপ দূর করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর